তাসনীম হাসান, চট্টগ্রাম
বন্ধুদের কেউ খাইয়ে দিচ্ছেন ভাত। কেউ কোমল পানীয় দিয়ে ভিজিয়ে দিচ্ছেন গলা। সবার মুখেই হাসির উচ্ছ্বাস। যাঁকে ঘিরে বন্ধুদের এত আবেগ-ভালোবাসা, নাম তাঁর বাহার উদ্দিন রায়হান। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইতিহাস বিভাগের স্নাতক শ্রেণির এই শিক্ষার্থীকে ঘিরে বন্ধুদের এমন কাণ্ড নিছক মজা নয়। এর কারণ একটাই, দুই হাতের কনুই পর্যন্তই যে নেই বাহারের!
গত বুধবার রাতে বন্ধুদের ভাত খাইয়ে দেওয়ার কয়েকটি ছবি ফেসবুকে দেন বাহার উদ্দিন। সেসব ছবি দেখে অনেকেই প্রশংসায় মেতে ওঠেন। কেউ মন্তব্যের ঘরে লেখেন, ‘বন্ধুরা এমনই হয়।’ কেউবা আবার বাহারের দুঃখে সারথি হন।
ছবির সূত্র ধরে কথা হয় বাহার উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছবিগুলো ডিসেম্বরের ২৩ তারিখ তোলা। সেদিন স্নাতক পরীক্ষা শেষে বন্ধুরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চড়ুইভাতির আয়োজন করেন। খাওয়ার সময় সবাই এসে আমাকে খাইয়ে দেন। এমন দৃশ্য কয়েক বন্ধু ধারণ করেন ক্যামেরায়। সেগুলো ফেসবুকে দিয়েছি।’
রায়হানের দুই হাত হারানোর গল্প জানতে ফিরতে হবে ১৮ বছর আগে। দিনটি ছিল ২০০৪ সালের ৩০ অক্টোবর। সন্ধ্যা আসন্ন। একটু পরেই নামবে অন্ধকার। বাড়ি ফিরতে ফিরতে বাহারের চোখ চলে যায় একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে। দেখেন বিদ্যুতের ট্রান্সফরমারের ফাঁকে ঢুকে পড়েছে একটি পাখি। সময়ের বয়স বাড়তে থাকে, কিন্তু পাখিটা বের হয় না। বাহারের অপেক্ষার পারদও কমতে থাকে।
সেই পাখিটাকে বাঁচাতে হবে—এই ভাবনা ছোট্ট বাহারকে নিয়ে যায় খুঁটির চূড়ায়। তারপর! কিন্তু সেখানে ওঠে কেব্লে হাত ছোঁয়াতেই সব শেষ। এক ঝাপটায় ছিটকে বাহার পড়ে যায় নিচে। ১৬ দিন পর যখন হাসপাতালের বেডে তার জ্ঞান ফেরে, তখন দেখতে পায় তাঁর দুই হাত আর নেই; পুরো শরীর মোড়ানো সাদা ব্যান্ডেজে। বিভীষিকাময় সেই সন্ধ্যা ভুলে অবশ্য ঘুরে দাঁড়িয়েছেন অদম্য বাহার।
দুর্ঘটনায় হাত হারানোর পর মন খারাপ করে বাড়িতেই বসে থাকতেন বাহার। তবে এসব মন খারাপের ভাবনা উড়িয়ে দেন এক খালাতো বোন। তিনি বাহারকে তাতিয়ে দেন এই বলে, ‘অনেকে পায়ে কিংবা মুখে লিখে পড়ালেখা করছে। তুইও সেভাবে চেষ্টা করে দেখ্! পারবি।’ যেই কথা সেই কাজ। কিছুদিনের মাথায় দেখা যায় মুখ দিয়ে লিখতে পারছেন বাহার। তারপর প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে পৌঁছে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনায়।
পড়ালেখার পাশাপাশি উদ্যোক্তা হিসেবেও নিজেকে গড়ে তুলছেন বাহার। তবে সবকিছুর পরও একটু দুঃখ রয়ে গেছে বাহারের। সেটি হলো হাত দিয়ে খেতে না পারা। বাহার বলেন, ‘হাত না থাকায় হাতের সঙ্গে চামচ যুক্ত করে খাবার গ্রহণ করি। চড়ুইভাতির দিনও চামচের ব্যবস্থা করেছিলাম। তবে বন্ধুরা এসে বলল, চামচ দিয়ে কষ্ট করে খেতে হবে না। আমরাই তোকে খাইয়ে দেব আজ।’
বন্ধুদের কেউ খাইয়ে দিচ্ছেন ভাত। কেউ কোমল পানীয় দিয়ে ভিজিয়ে দিচ্ছেন গলা। সবার মুখেই হাসির উচ্ছ্বাস। যাঁকে ঘিরে বন্ধুদের এত আবেগ-ভালোবাসা, নাম তাঁর বাহার উদ্দিন রায়হান। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইতিহাস বিভাগের স্নাতক শ্রেণির এই শিক্ষার্থীকে ঘিরে বন্ধুদের এমন কাণ্ড নিছক মজা নয়। এর কারণ একটাই, দুই হাতের কনুই পর্যন্তই যে নেই বাহারের!
গত বুধবার রাতে বন্ধুদের ভাত খাইয়ে দেওয়ার কয়েকটি ছবি ফেসবুকে দেন বাহার উদ্দিন। সেসব ছবি দেখে অনেকেই প্রশংসায় মেতে ওঠেন। কেউ মন্তব্যের ঘরে লেখেন, ‘বন্ধুরা এমনই হয়।’ কেউবা আবার বাহারের দুঃখে সারথি হন।
ছবির সূত্র ধরে কথা হয় বাহার উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছবিগুলো ডিসেম্বরের ২৩ তারিখ তোলা। সেদিন স্নাতক পরীক্ষা শেষে বন্ধুরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চড়ুইভাতির আয়োজন করেন। খাওয়ার সময় সবাই এসে আমাকে খাইয়ে দেন। এমন দৃশ্য কয়েক বন্ধু ধারণ করেন ক্যামেরায়। সেগুলো ফেসবুকে দিয়েছি।’
রায়হানের দুই হাত হারানোর গল্প জানতে ফিরতে হবে ১৮ বছর আগে। দিনটি ছিল ২০০৪ সালের ৩০ অক্টোবর। সন্ধ্যা আসন্ন। একটু পরেই নামবে অন্ধকার। বাড়ি ফিরতে ফিরতে বাহারের চোখ চলে যায় একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে। দেখেন বিদ্যুতের ট্রান্সফরমারের ফাঁকে ঢুকে পড়েছে একটি পাখি। সময়ের বয়স বাড়তে থাকে, কিন্তু পাখিটা বের হয় না। বাহারের অপেক্ষার পারদও কমতে থাকে।
সেই পাখিটাকে বাঁচাতে হবে—এই ভাবনা ছোট্ট বাহারকে নিয়ে যায় খুঁটির চূড়ায়। তারপর! কিন্তু সেখানে ওঠে কেব্লে হাত ছোঁয়াতেই সব শেষ। এক ঝাপটায় ছিটকে বাহার পড়ে যায় নিচে। ১৬ দিন পর যখন হাসপাতালের বেডে তার জ্ঞান ফেরে, তখন দেখতে পায় তাঁর দুই হাত আর নেই; পুরো শরীর মোড়ানো সাদা ব্যান্ডেজে। বিভীষিকাময় সেই সন্ধ্যা ভুলে অবশ্য ঘুরে দাঁড়িয়েছেন অদম্য বাহার।
দুর্ঘটনায় হাত হারানোর পর মন খারাপ করে বাড়িতেই বসে থাকতেন বাহার। তবে এসব মন খারাপের ভাবনা উড়িয়ে দেন এক খালাতো বোন। তিনি বাহারকে তাতিয়ে দেন এই বলে, ‘অনেকে পায়ে কিংবা মুখে লিখে পড়ালেখা করছে। তুইও সেভাবে চেষ্টা করে দেখ্! পারবি।’ যেই কথা সেই কাজ। কিছুদিনের মাথায় দেখা যায় মুখ দিয়ে লিখতে পারছেন বাহার। তারপর প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে পৌঁছে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনায়।
পড়ালেখার পাশাপাশি উদ্যোক্তা হিসেবেও নিজেকে গড়ে তুলছেন বাহার। তবে সবকিছুর পরও একটু দুঃখ রয়ে গেছে বাহারের। সেটি হলো হাত দিয়ে খেতে না পারা। বাহার বলেন, ‘হাত না থাকায় হাতের সঙ্গে চামচ যুক্ত করে খাবার গ্রহণ করি। চড়ুইভাতির দিনও চামচের ব্যবস্থা করেছিলাম। তবে বন্ধুরা এসে বলল, চামচ দিয়ে কষ্ট করে খেতে হবে না। আমরাই তোকে খাইয়ে দেব আজ।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫