Ajker Patrika

সেতু-সাঁকো-রাস্তার মেলবন্ধন

মো. আনোয়ারুল ইসলাম, ব্রাহ্মণপাড়া
আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২১, ১১: ১৬
সেতু-সাঁকো-রাস্তার মেলবন্ধন

ব্রাহ্মণপাড়ার চান্দলায় খলিফাপাড়া সেতু এক বছর ধরে ভেঙে পড়ে রয়েছে। ভাঙা অংশে বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ দিয়েই মানুষ পারাপার হচ্ছে। কিন্তু যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ইউনিয়নের ১০ গ্রামের বাসিন্দারা।

সেতুটির অবস্থান চান্দলা ইউনিয়নের খলিফাপাড়ার চান্দলা-চরেরপাথর সড়কে। এ সড়ক উপজেলা সদরের সঙ্গে ইউনিয়নটির সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করেছে। খলিফাপাড়ার খালটির ওপর নির্মিত সেতুটি ভাঙা থাকায় বর্তমানে দুই পাড়ের যোগাযোগে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক যুগ আগে চান্দলা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের খলিফাপাড়া এলাকায় মিয়া বাড়ি সংলগ্ন সেতুটি নির্মাণ করা হয়। গত বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড খাল খনন করার সময় ওই সেতুর নিচের মাটিও খনন করে। পরে বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলের পানিতে সেতুর খুঁটির নিচের মাটি সরে গিয়ে একপাশের অংশ ভেঙে পড়ে।

এতে সড়কটি দিয়ে চলাচলকারী চরের পাথর, খলিফাপাড়া, নেয়াপাড়া, লালখার, মিয়া বাড়ি, শান্তিনগরসহ ১০ গ্রামের মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে বাঁশ দিয়ে সাঁকো নির্মাণ করে গত এক বছর হেঁটে পার হচ্ছেন। তবে কোনো ধরনের যান পারাপার হতে পারছে না। এতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন হাজারো মানুষ।

খলিফাপাড়া এলাকার একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, সেতুটি ভাঙা থাকায় প্রতিদিন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, হাট-বাজারে ও কর্মস্থলে যাতায়াতকারী মানুষ ঝুঁকি নিয়ে সেতুটি পার হচ্ছেন। শিগগির সেতুটি যান চলাচলের উপযোগী করে তোলার দাবি তাঁদের।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ড খাল খননের সময় সেতুর নিচের মাটিও খনন করে। ওই সময় এলাকাবাসীসহ আমরা সেতুর নিচের মাটি খনন করতে নিষেধ করেছিলাম। খননকারীরা আমাদের কথা আমলে নেয়নি। পরে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে সেতুটি খালে ধসে পড়ে।’

উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘চান্দলা খলিফাপাড়া সেতুটি নতুন করে নির্মাণের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সেতুটি নতুন করে নির্মাণের কথা রয়েছে। অনুমোদন হয়ে এলে নির্মাণকাজ শুরু করা হবে।’

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবু জাহের বলেন, ‘ঠিকাদার নিয়োগ হলে এবং পানি শুকালে এই সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই-অগাস্টে বাংলাদেশে কোনো গণহত্যা হয়নি: চিফ প্রসিকিউটর

তোরা যারা রাজাকার, সময় থাকতে বাংলা ছাড়: ফেসবুকে বাকের মজুমদার

যুক্তরাষ্ট্র-চীন সমঝোতায় এক দিনে ১০০ ডলার কমল সোনার দাম

যুদ্ধ বলিউডের সিনেমা নয়: ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান

কঠোর হচ্ছে যুক্তরাজ্যের অভিবাসন নীতি, স্থায়ী বসবাসের আবেদনে অপেক্ষা ১০ বছর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত