Ajker Patrika

৮১৯ ভাটাই অবৈধ, লোক সংকটে হয় না অভিযান

তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২২, ১০: ৪৭
Thumbnail image

রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় ৯৫৩টি ইটভাটার মধ্যে অবৈধ ৮১৯টি। নিয়ম না মেনে গড়ে ওঠা এসব ভাটায় পোড়ানো হচ্ছে ইট। এতে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে, প্রভাব পড়ছে জীববৈচিত্র্যে। এ ছাড়া জনবলসংকটে কর্তৃপক্ষ ঠিকমতো অভিযান চালাতে পারছে না।

রংপুর বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর বলছে, একেকটি ভাটা একবার করে পরিদর্শন করলে পুনরায় সেটি পরিদর্শন করা তিন-চার বছরেও সম্ভব হয় না। ফলে অভিযানের পর যেসব ইটভাটা বন্ধ করে দেওয়া হয়, তা কিছুদিন পর  আবার চালু হয়।

জানা গেছে, পরিবেশ অধিদপ্তরকে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের দূষণ জরিপ, দূষণকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান চিহ্নিতকরণসহ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা, প্রয়োজন অনুসারে বিধি লঙ্ঘনকারী ব্যক্তিপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, মামলা করা, পরিবেশদূষণকারীদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়সহ বিভিন্ন কাজ নিয়মিত পরিচালনা করতে হয়।

রংপুর বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জনবলের অভাবে অবৈধ ইটভাটাগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা কিংবা পরিবেশ সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তবুও বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর ২০২১ সালে ১১০টি অবৈধ ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে ৪ কোটি ৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা এবং চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ৩২টি ভাটায় ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে।

বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সেখানে পরিচালক ও উপপরিচালকসহ অনুমোদিত ২০ পদের বিপরীতে জনবল থাকার কথা ২৬ জন। কাগজে-কলমে আছে ৯ জন। কিন্তু বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ৬ জন। বিভাগীয় কার্যালয়টিতে একমাত্র প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটসহ তিনজন অন্যত্র প্রেষণে দায়িত্ব পালন করছেন। অনুমোদিত ১৩ পদে কোনো জনবলই নেই। এই ১৩ সহ ১৬ পদে জনবল শূন্য রয়েছে ১৭ জন।

বিভাগীয় কার্যালয়ে দীর্ঘদিন পদ শূন্য রয়েছে; সিনিয়র কেমিস্ট, জুনিয়র কেমিস্ট, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, সিনিয়র টেকনিশিয়ান, সাটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর, ডেটা এন্ট্রি অপারেটর, স্টোরকিপার, প্রসেস সার্ভার, অফিস সহায়ক, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, নমুনা সংগ্রহ সহকারীর দুটি, নিরাপত্তাপ্রহরীর দুটি এবং পরিদর্শকের তিনটি পদ শূন্য।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় অবৈধ কোনো ইটভাটা কিংবা পরিবেশের খতিকর অবৈধ অন্য কোনো স্থাপনা উচ্ছেদ করতে খননযন্ত্র অপরিহার্য হয়ে পড়ে। কিন্তু রংপুর বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে কোনো খননযন্ত্র নেই, এটি ভাড়া করে কাজ করতে হয়।

রংপুর বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক সৈয়দ ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘রংপুর বিভাগে ৯৫৩টি ইটভাটা আছে। একেকটি ভাটা একবার করে পরিদর্শন করলে পুনরায় সেটি পরিদর্শন করতে তিন-চার বছরেও সম্ভব হয়ে ওঠে না। লোকজন বলে পরিবেশ অধিদপ্তর কাজ করে না। জনবল না থাকলে কাজ কীভাবে করবে, সেটা তো বুঝতে হবে। এখানে ২৬ পদের কাজ করছি ৬ জনে। জনবলসংকটসহ এমন প্রতিকূল অবস্থায় পরিবেশ সংরক্ষণে রংপুর বিভাগে সঠিকভাবে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টুঙ্গিপাড়া থানা-পুলিশকে নিরাপত্তা দিতে রাতভর সেনাবাহিনীর পাহারা

গণ-অভ্যুত্থান ও পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে যা বললেন সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল ইকবাল করিম

বগুড়ায় আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছেন সিরামিক শিল্পের মালিকেরা

ভারতকে নিয়ে বাংলাদেশসহ প্রতিবেশীদের এত সন্দেহ কেন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত