কাজী ফারজানা আফরীন
আরবি সনের নবম মাস রমজান। এ মাসের পুরোটাই রোজা পালন ও বেশি বেশি ইবাদত করে কাটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রোজার আরবি শব্দ ‘সাওম’ অর্থ বিরত থাকা। ফারসি, উর্দু, হিন্দি ও বাংলায় সাওমকে ‘রোজা’ বলা হয়। ইসলামের পরিভাষায় সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার, যৌন সম্ভোগ ও শরিয়ত-নির্ধারিত বিধিনিষেধ থেকে নিয়ত সহকারে বিরত থাকাকে সাওম বা রোজা বলা হয়।
রোজার গুরুত্ব
রোজা ফরজ ইবাদত। এটি দ্বিতীয় হিজরির শাবান মাসে ফরজ হয়। আল্লাহ তাআলা রোজা রাখার আদেশ দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমাদের জন্য সাওম ফরজ করা হলো, যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের জন্য ফরজ করা হয়েছিল; যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।’ অন্য আয়াতে বলেন, ‘রমজান মাস, এতে মানুষের দিশারি এবং সৎ পথের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারীরূপে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এই মাস পাবে, তারা যেন এই মাসে সাওম পালন করে।’ আরেক আয়াতে বলেন, ‘আর তোমরা পানাহার করো যতক্ষণ রাত্রির কৃষ্ণরেখা থেকে উষার শুভ্ররেখা স্পষ্টরূপে তোমাদের কাছে প্রতিভাত না হয়। এরপর নিশাগম পর্যন্ত সিয়াম পূর্ণ করো।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৩, ১৮৫ ও ১৮৭)
রোজার গুরুত্ব বর্ণনা করে মহানবী (সা.) বলেন, ‘পাঁচটি বস্তুর ওপর ইসলামের ভিত্তি স্থাপন করা হয়েছে। এ কথার সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর বান্দা ও রাসুল, নামাজ কায়েম করা, জাকাত আদায় করা, বাইতুল্লাহর হজ করা এবং রমজানের রোজা পালন করা।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৮)
রমজানে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সুসংবাদ দিয়ে মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমান সহকারে সওয়াবের নিয়তে রমজানের রোজা পালন করে, তার পূর্বের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩৭)
রোজার তাৎপর্য
আল্লাহ তাআলা আমাদের জন্য সারা বছরে শুধু রমজান মাসেই রোজা ফরজ করেছেন। ইসলামের আলোকে রোজা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ ইবাদত। যেমন এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার প্রতি আমাদের গভীর ইমান ও বিশ্বাস প্রকাশ পায়। মহানবী (সা.)-এর প্রতি গভীর আনুগত্য প্রকাশ পায়। আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়। অন্যের প্রতি সহানুভূতি ও মমত্ববোধ সৃষ্টি হয়। সংযম, ত্যাগ, দান, ভ্রাতৃত্ববোধ, দয়াসহ অন্যান্য চারিত্রিক গুণের বিকাশ ঘটে। দৈহিক, মানসিক, আত্মিক প্রশান্তি অর্জিত হয়। সহমর্মিতা, মমত্ববোধ ও কল্যাণ বৃদ্ধির মাধ্যমে সামাজিক বন্ধন সুদৃঢ় হয়। অন্যায় ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত থাকা হয়। ধনীদের মধ্যে গরিব, মিসকিনদের সাহায্য করার উৎসাহ সৃষ্টি হয়।
বিজ্ঞানের আলোকেও রোজার তাৎপর্য অনস্বীকার্য। রোজা পালনের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা মানবদেহকে পরিশোধিত করে শরীরের জমাকৃত চর্বি শরীর থেকে বের করে ফ্যাটি লিভার, অতিরিক্ত খারাপ কোলেস্টেরল, হৃদ্রোগ, অধিক ওজন, ডায়াবেটিস ও ক্যানসারের মতো মারাত্মক ব্যাধি থেকে রক্ষা করেন। আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিভিন্ন পর্যায়ের গবেষণায়ও তা উদ্ঘাটিত হয়েছে। এ বিষয়ে জাপানি বিজ্ঞানী ওশিওমি ওহসুমি অটোফেজি আবিষ্কারের জন্য ২০১৬ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তাঁর মতে, নির্দিষ্ট সময়ে নিয়ন্ত্রিত পানাহার এবং ১২-১৮ ঘণ্টা একটানা অভুক্ত থাকার ফলে শরীরের কোষগুলো ক্ষুধার্ত অবস্থায় শরীরের মৃত, অপ্রয়োজনীয় ও ক্ষতিকারক কোষগুলোকে খেয়ে ফেলে।
রমজানের করণীয়
এক. প্রাপ্তবয়স্ক, সাধারণ বুদ্ধিমত্তা বা স্বাভাবিক জ্ঞানসম্পন্ন, রোজা পালনে সুস্থ নারী ও পুরুষের জন্য রমজান মাসে রোজা রাখা ফরজ। ঋতুবর্তী নারী, সন্তান প্রসবকারী মা, অসুস্থ ব্যক্তিরা এই রোজা পরবর্তী সময়ে কাজা আদায় করবে। এমন অক্ষম ব্যক্তি, যাঁদের আবার সুস্থ হয়ে রোজা পালনের সামর্থ্য লাভের সম্ভাবনা নেই, তাঁরা প্রতিটি রোজার জন্য একটি সদকাতুল ফিতরের সমান ফিদিয়া প্রদান করবে। জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত ব্যক্তিদেরই এই ফিদিয়া প্রদান করা যাবে।
দুই. তারাবিহ এ মাসের অফুরন্ত রহমত, মাগফিরাত এবং প্রতিশ্রুত সওয়াব ও পুরস্কার লাভের বিশেষ আমল। তাই তারাবিহর নামাজ সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আদায় করবে।
তিন. দান-সদকা সর্বাবস্থাতেই উৎকৃষ্ট আমল, কিন্তু রমজানে এর গুরুত্ব অনেক বেড়ে যায়। হাদিসে এসেছে, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) দুনিয়ার সকল মানুষ অপেক্ষা অধিক দানশীল ছিলেন। রমজান মাসে তাঁর দানের হাত আরও প্রসারিত হতো।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৯০২)
চার. আমাদের প্রত্যেকের উচিত রমজানে অধিক পরিমাণে কোরআন তিলাওয়াত করা। কারণ, মহানবী (সা.) জিবরাইল (আ.)-এর সঙ্গে রমজানের প্রতি রাতে কোরআন মজিদ পুনরাবৃত্তি করতেন। হাদিসে এসেছে, ‘হজরত জিবরাইল (আ.) রমজানের শেষ পর্যন্ত প্রতি রাতে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন এবং রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁকে কোরআন মজিদ শোনাতেন।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৯০২)
পাঁচ. অধিক পরিমাণে জিকির-আজকারের সঙ্গে নফল ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জন করবে।
ছয়. যে ব্যক্তি রমজান পেয়েও নিজের গুনাহগুলো ক্ষমা করাতে পারল না, তার ওপর জিবরাইল (আ.) ও মহানবী (সা.) অভিসম্পাত করেছেন। তাই জীবনের কৃত গুনাহের কথা স্মরণ করে বেশি বেশি তওবা ইস্তিগফার করা এবং আল্লাহ তাআলার দরবারে ক্ষমা মঞ্জুর করিয়ে নেওয়ার এটিই উত্তম সময়।
সাত. শেষ দশকের সুন্নত ইতিকাফ অত্যন্ত ফজিলতের আমল। হাদিসে এসেছে, ‘নবী (সা.) রমজানের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করতেন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১১৭১)
আট. ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে শ্রেষ্ঠতম রজনী শবে কদর তালাশ করা মুমিনের অন্যতম কর্তব্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিঃসন্দেহে কদরের রাতে আমি কোরআন অবতীর্ণ করেছি। আর আপনি কি জানেন শবে কদর কী? শবে কদর হলো এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। এ রাতে ফেরেশতা ও রুহুল কুদস (জিবরাইল আ.) পালনকর্তার আদেশক্রমে প্রত্যেক মঙ্গলময় বস্তু নিয়ে (পৃথিবীতে) অবতরণ করেন। (এ রাতের) আগাগোড়া শান্তি, যা ফজর হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।’ (সুরা কদর, আয়াত: ১-৫)
কাজী ফারজানা আফরীন, সহকারী অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আরবি সনের নবম মাস রমজান। এ মাসের পুরোটাই রোজা পালন ও বেশি বেশি ইবাদত করে কাটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রোজার আরবি শব্দ ‘সাওম’ অর্থ বিরত থাকা। ফারসি, উর্দু, হিন্দি ও বাংলায় সাওমকে ‘রোজা’ বলা হয়। ইসলামের পরিভাষায় সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার, যৌন সম্ভোগ ও শরিয়ত-নির্ধারিত বিধিনিষেধ থেকে নিয়ত সহকারে বিরত থাকাকে সাওম বা রোজা বলা হয়।
রোজার গুরুত্ব
রোজা ফরজ ইবাদত। এটি দ্বিতীয় হিজরির শাবান মাসে ফরজ হয়। আল্লাহ তাআলা রোজা রাখার আদেশ দিয়ে পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমাদের জন্য সাওম ফরজ করা হলো, যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের জন্য ফরজ করা হয়েছিল; যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।’ অন্য আয়াতে বলেন, ‘রমজান মাস, এতে মানুষের দিশারি এবং সৎ পথের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারীরূপে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এই মাস পাবে, তারা যেন এই মাসে সাওম পালন করে।’ আরেক আয়াতে বলেন, ‘আর তোমরা পানাহার করো যতক্ষণ রাত্রির কৃষ্ণরেখা থেকে উষার শুভ্ররেখা স্পষ্টরূপে তোমাদের কাছে প্রতিভাত না হয়। এরপর নিশাগম পর্যন্ত সিয়াম পূর্ণ করো।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৩, ১৮৫ ও ১৮৭)
রোজার গুরুত্ব বর্ণনা করে মহানবী (সা.) বলেন, ‘পাঁচটি বস্তুর ওপর ইসলামের ভিত্তি স্থাপন করা হয়েছে। এ কথার সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর বান্দা ও রাসুল, নামাজ কায়েম করা, জাকাত আদায় করা, বাইতুল্লাহর হজ করা এবং রমজানের রোজা পালন করা।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৮)
রমজানে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সুসংবাদ দিয়ে মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমান সহকারে সওয়াবের নিয়তে রমজানের রোজা পালন করে, তার পূর্বের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩৭)
রোজার তাৎপর্য
আল্লাহ তাআলা আমাদের জন্য সারা বছরে শুধু রমজান মাসেই রোজা ফরজ করেছেন। ইসলামের আলোকে রোজা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ ইবাদত। যেমন এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার প্রতি আমাদের গভীর ইমান ও বিশ্বাস প্রকাশ পায়। মহানবী (সা.)-এর প্রতি গভীর আনুগত্য প্রকাশ পায়। আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়। অন্যের প্রতি সহানুভূতি ও মমত্ববোধ সৃষ্টি হয়। সংযম, ত্যাগ, দান, ভ্রাতৃত্ববোধ, দয়াসহ অন্যান্য চারিত্রিক গুণের বিকাশ ঘটে। দৈহিক, মানসিক, আত্মিক প্রশান্তি অর্জিত হয়। সহমর্মিতা, মমত্ববোধ ও কল্যাণ বৃদ্ধির মাধ্যমে সামাজিক বন্ধন সুদৃঢ় হয়। অন্যায় ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত থাকা হয়। ধনীদের মধ্যে গরিব, মিসকিনদের সাহায্য করার উৎসাহ সৃষ্টি হয়।
বিজ্ঞানের আলোকেও রোজার তাৎপর্য অনস্বীকার্য। রোজা পালনের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা মানবদেহকে পরিশোধিত করে শরীরের জমাকৃত চর্বি শরীর থেকে বের করে ফ্যাটি লিভার, অতিরিক্ত খারাপ কোলেস্টেরল, হৃদ্রোগ, অধিক ওজন, ডায়াবেটিস ও ক্যানসারের মতো মারাত্মক ব্যাধি থেকে রক্ষা করেন। আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিভিন্ন পর্যায়ের গবেষণায়ও তা উদ্ঘাটিত হয়েছে। এ বিষয়ে জাপানি বিজ্ঞানী ওশিওমি ওহসুমি অটোফেজি আবিষ্কারের জন্য ২০১৬ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তাঁর মতে, নির্দিষ্ট সময়ে নিয়ন্ত্রিত পানাহার এবং ১২-১৮ ঘণ্টা একটানা অভুক্ত থাকার ফলে শরীরের কোষগুলো ক্ষুধার্ত অবস্থায় শরীরের মৃত, অপ্রয়োজনীয় ও ক্ষতিকারক কোষগুলোকে খেয়ে ফেলে।
রমজানের করণীয়
এক. প্রাপ্তবয়স্ক, সাধারণ বুদ্ধিমত্তা বা স্বাভাবিক জ্ঞানসম্পন্ন, রোজা পালনে সুস্থ নারী ও পুরুষের জন্য রমজান মাসে রোজা রাখা ফরজ। ঋতুবর্তী নারী, সন্তান প্রসবকারী মা, অসুস্থ ব্যক্তিরা এই রোজা পরবর্তী সময়ে কাজা আদায় করবে। এমন অক্ষম ব্যক্তি, যাঁদের আবার সুস্থ হয়ে রোজা পালনের সামর্থ্য লাভের সম্ভাবনা নেই, তাঁরা প্রতিটি রোজার জন্য একটি সদকাতুল ফিতরের সমান ফিদিয়া প্রদান করবে। জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত ব্যক্তিদেরই এই ফিদিয়া প্রদান করা যাবে।
দুই. তারাবিহ এ মাসের অফুরন্ত রহমত, মাগফিরাত এবং প্রতিশ্রুত সওয়াব ও পুরস্কার লাভের বিশেষ আমল। তাই তারাবিহর নামাজ সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আদায় করবে।
তিন. দান-সদকা সর্বাবস্থাতেই উৎকৃষ্ট আমল, কিন্তু রমজানে এর গুরুত্ব অনেক বেড়ে যায়। হাদিসে এসেছে, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) দুনিয়ার সকল মানুষ অপেক্ষা অধিক দানশীল ছিলেন। রমজান মাসে তাঁর দানের হাত আরও প্রসারিত হতো।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৯০২)
চার. আমাদের প্রত্যেকের উচিত রমজানে অধিক পরিমাণে কোরআন তিলাওয়াত করা। কারণ, মহানবী (সা.) জিবরাইল (আ.)-এর সঙ্গে রমজানের প্রতি রাতে কোরআন মজিদ পুনরাবৃত্তি করতেন। হাদিসে এসেছে, ‘হজরত জিবরাইল (আ.) রমজানের শেষ পর্যন্ত প্রতি রাতে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন এবং রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁকে কোরআন মজিদ শোনাতেন।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৯০২)
পাঁচ. অধিক পরিমাণে জিকির-আজকারের সঙ্গে নফল ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জন করবে।
ছয়. যে ব্যক্তি রমজান পেয়েও নিজের গুনাহগুলো ক্ষমা করাতে পারল না, তার ওপর জিবরাইল (আ.) ও মহানবী (সা.) অভিসম্পাত করেছেন। তাই জীবনের কৃত গুনাহের কথা স্মরণ করে বেশি বেশি তওবা ইস্তিগফার করা এবং আল্লাহ তাআলার দরবারে ক্ষমা মঞ্জুর করিয়ে নেওয়ার এটিই উত্তম সময়।
সাত. শেষ দশকের সুন্নত ইতিকাফ অত্যন্ত ফজিলতের আমল। হাদিসে এসেছে, ‘নবী (সা.) রমজানের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করতেন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১১৭১)
আট. ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে শ্রেষ্ঠতম রজনী শবে কদর তালাশ করা মুমিনের অন্যতম কর্তব্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিঃসন্দেহে কদরের রাতে আমি কোরআন অবতীর্ণ করেছি। আর আপনি কি জানেন শবে কদর কী? শবে কদর হলো এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। এ রাতে ফেরেশতা ও রুহুল কুদস (জিবরাইল আ.) পালনকর্তার আদেশক্রমে প্রত্যেক মঙ্গলময় বস্তু নিয়ে (পৃথিবীতে) অবতরণ করেন। (এ রাতের) আগাগোড়া শান্তি, যা ফজর হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।’ (সুরা কদর, আয়াত: ১-৫)
কাজী ফারজানা আফরীন, সহকারী অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
২০ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫