Ajker Patrika

অ্যাম্বুলেন্স নষ্ট, জিম্মি রোগীরা

রেজা মাহমুদ, সৈয়দপুর (নীলফামারী)
আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২২, ১৩: ১২
অ্যাম্বুলেন্স নষ্ট, জিম্মি রোগীরা

সরকারি অ্যাম্বুলেন্স অচল থাকায় নীলফামারীর সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতাল চত্বরে গড়ে উঠেছে অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসার অবৈধ স্ট্যান্ড।

অভিযোগ রয়েছে, এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হাসপাতালের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারী। তাঁদের কাছে অসহায় রোগী নিয়ে আসা স্বজনেরা।

এতে বাধ্য হয়ে জরুরি রোগী আনা-নেওয়া করতে বেশি ভাড়া দিতে হচ্ছে তাঁদের। চালকেরা ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় করছেন। দরদামের কোনো সুযোগ নেই। তাঁরা যা বলেন, সেই ভাড়াতেই যেতে হয়।

জানা যায়, নীলফামারীর সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালটিতে পাশের জেলা দিনাজপুরের চিরিরবন্দর, পার্বতীপুরসহ আশপাশের এলাকা থেকে অনেকেই চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন। এ কারণে হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্সের চাহিদা বেশি, অথচ হাসপাতালটিতে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে মাত্র দুটি। এর মধ্যে একটি ১৮ বছর ধরে অচল।

অন্যটি ২০১৬ সালে দেওয়ার পরের বছরই নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। তিন মাস আগে মেরামত করা হলেও বর্তমানে সেটি আবারও অচল হয়ে পড়ে আছে। এ সুযোগ নিয়ে হাসপাতাল চত্বরে গড়ে উঠেছে ১১ জনের বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স বাণিজ্য সিন্ডিকেট।

সিন্ডিকেটের কাছে হয়রানির শিকার আনারুল ইসলাম (৪২) নামের এক ভুক্তভোগী আজকের পত্রিকাকে জানান, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি যাওয়ার জন্য এক চালক ভাড়া দাবি করেন ৩ হাজার ২০০ টাকা।

এই টাকায় তিনি যেতে না চাইলে আরেক চালক তাঁকে আড়ালে ডেকে নিয়ে যান এবং ২ হাজার ৭০০ টাকায় যেতে প্রস্তাব দেন। এরপর আরেক চালক ২ হাজার ২০০ টাকায় যেতে রাজি হলে ওই অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পথে রওনা দেন তিনি। পরে তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, সরকারি হিসেবে নির্ধারিত অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া মাত্র ৭০০ টাকা।

সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের উপপরিচালক মো. নবিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাসপাতালে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের জন্য চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে। সংরক্ষিত আসনের সাংসদ রাবেয়া আলিম এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একটি ডিও লেটারও দিয়েছেন। আশা করছি, খুব শিগগির অ্যাম্বুলেন্স সংকট দূর হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত