সম্পাদকীয়
বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ব্যাংকে হামলা, টাকা ও অস্ত্র লুট এবং ব্যাংক ব্যবস্থাপককে অপহরণের ঘটনায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়লেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফ নামের একটি সন্ত্রাসী সংগঠন লুট ও হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ। লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার এবং সন্ত্রাস নির্মূলে পাহাড়ে শুরু হয়েছে যৌথ বাহিনীর অভিযান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান শনিবার সকালে রুমা পরিদর্শনে গিয়ে যৌথ বাহিনীর অভিযানের ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, ‘অস্ত্র-পোশাকসহ তারা ঢুকবে, আর আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী বসে থাকবে, তা কাম্য নয়। এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে যাব। কোনোক্রমে আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করতে দেব না।’ পাশাপাশি মন্ত্রী এটাও বলেছেন, এলাকার জনগণ চাইলে আলোচনা বা শান্তি সংলাপের পথও খোলা রাখা হবে।
অন্যদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কেএনএফ পাশের একটি দেশের সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে ব্যাংক লুট, ডাকাতিসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। তাদের সঙ্গে আশপাশের সন্ত্রাসীদেরও যোগাযোগ আছে।
তাদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে। তাদের নির্মূল করতে সরকার বদ্ধপরিকর।
বান্দরবান জেলায় কেএনএফ বা কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রামের নিরাপত্তাব্যবস্থার দুর্বলতার চিত্রই তুলে ধরেছে। ২ এপ্রিল মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকে হানা দেয় কেএনএফ। এ সময় তারা পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র এবং ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনকে তুলে নিয়ে যায়। ১৬ ঘণ্টা না যেতেই ৩ এপ্রিল দুপুরে একই সশস্ত্র গোষ্ঠী থানচি উপজেলার কৃষি ও সোনালী ব্যাংক থেকে প্রায় ১৭ লাখ টাকা লুট করে। পরদিন ৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ৮টার দিকে থানচি থানা লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে কেএনএফ।
রুমায় কেএনএফের সদস্যরা শত শত গুলি করলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষে একটি গুলিও বের হয়নি; বরং কেএনএফ ১৪টি অস্ত্র কেড়ে নিয়েছে। তার মানে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অপ্রস্তুত ছিল? এই হামলার মধ্য দিয়ে কেএনএফ বান্দরবানে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিতদের প্রতি একটি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। এর নেপথ্যে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য, আন্তর্জাতিক সংযোগ ও ত্রিদেশীয় ভূরাজনৈতিক সম্পর্ক খতিয়ে দেখতে হবে। গোষ্ঠীটির রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এবং সামরিক শক্তি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা অর্জন করতে হবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের পাশাপাশি অস্ত্র সরবরাহ, অর্থ, বৈদেশিক সাহায্য ও জনসমর্থন থেকে কেএনএফকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক কার্যক্রমও চালাতে হবে। শান্তি আলোচনা বা সংলাপের পথ খোলা রাখার যে কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা মনে করি। পার্বত্য চট্টগ্রামের বমসহ অন্যান্য জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা বোঝা ও সম্মান করার প্রচেষ্টা টেকসই শান্তি নিশ্চিত করতে পারে। তাদের জীবন-জীবিকা, সংস্কৃতি, অধিকার সমুন্নত থাকলে কেএনএফের মতো কোনো গোষ্ঠীর পক্ষে অন্যায় প্রভাব বিস্তার সহজ হবে না।
বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ব্যাংকে হামলা, টাকা ও অস্ত্র লুট এবং ব্যাংক ব্যবস্থাপককে অপহরণের ঘটনায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়লেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফ নামের একটি সন্ত্রাসী সংগঠন লুট ও হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ। লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার এবং সন্ত্রাস নির্মূলে পাহাড়ে শুরু হয়েছে যৌথ বাহিনীর অভিযান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান শনিবার সকালে রুমা পরিদর্শনে গিয়ে যৌথ বাহিনীর অভিযানের ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, ‘অস্ত্র-পোশাকসহ তারা ঢুকবে, আর আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী বসে থাকবে, তা কাম্য নয়। এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে যাব। কোনোক্রমে আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করতে দেব না।’ পাশাপাশি মন্ত্রী এটাও বলেছেন, এলাকার জনগণ চাইলে আলোচনা বা শান্তি সংলাপের পথও খোলা রাখা হবে।
অন্যদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কেএনএফ পাশের একটি দেশের সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে ব্যাংক লুট, ডাকাতিসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। তাদের সঙ্গে আশপাশের সন্ত্রাসীদেরও যোগাযোগ আছে।
তাদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে। তাদের নির্মূল করতে সরকার বদ্ধপরিকর।
বান্দরবান জেলায় কেএনএফ বা কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রামের নিরাপত্তাব্যবস্থার দুর্বলতার চিত্রই তুলে ধরেছে। ২ এপ্রিল মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকে হানা দেয় কেএনএফ। এ সময় তারা পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র এবং ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনকে তুলে নিয়ে যায়। ১৬ ঘণ্টা না যেতেই ৩ এপ্রিল দুপুরে একই সশস্ত্র গোষ্ঠী থানচি উপজেলার কৃষি ও সোনালী ব্যাংক থেকে প্রায় ১৭ লাখ টাকা লুট করে। পরদিন ৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ৮টার দিকে থানচি থানা লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে কেএনএফ।
রুমায় কেএনএফের সদস্যরা শত শত গুলি করলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষে একটি গুলিও বের হয়নি; বরং কেএনএফ ১৪টি অস্ত্র কেড়ে নিয়েছে। তার মানে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অপ্রস্তুত ছিল? এই হামলার মধ্য দিয়ে কেএনএফ বান্দরবানে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিতদের প্রতি একটি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। এর নেপথ্যে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য, আন্তর্জাতিক সংযোগ ও ত্রিদেশীয় ভূরাজনৈতিক সম্পর্ক খতিয়ে দেখতে হবে। গোষ্ঠীটির রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এবং সামরিক শক্তি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা অর্জন করতে হবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের পাশাপাশি অস্ত্র সরবরাহ, অর্থ, বৈদেশিক সাহায্য ও জনসমর্থন থেকে কেএনএফকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক কার্যক্রমও চালাতে হবে। শান্তি আলোচনা বা সংলাপের পথ খোলা রাখার যে কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা মনে করি। পার্বত্য চট্টগ্রামের বমসহ অন্যান্য জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা বোঝা ও সম্মান করার প্রচেষ্টা টেকসই শান্তি নিশ্চিত করতে পারে। তাদের জীবন-জীবিকা, সংস্কৃতি, অধিকার সমুন্নত থাকলে কেএনএফের মতো কোনো গোষ্ঠীর পক্ষে অন্যায় প্রভাব বিস্তার সহজ হবে না।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪