Ajker Patrika

শীত বাড়ার প্রত্যাশায় বিক্রেতারা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১১: ৪৮
শীত বাড়ার প্রত্যাশায় বিক্রেতারা

অগ্রহায়ণের শেষে রাজধানীতে বইতে শুরু করেছে হিমেল হাওয়া। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত হালকা শীত অনুভূত হচ্ছে। ঘুমাতে গেলে শরীরে জড়িয়ে নিতে হচ্ছে কাঁথা। অনেকেই ছুটছেন গরম কাপড়ের খোঁজে। প্রস্তুত গরম কাপড়ের ব্যবসায়ীরাও। তবে এখনো সেভাবে শীত অনুভূত না-হওয়ায় বিকিকিনি নেই বললেই চলে। অন্যদিকে গরম কাপড় ও কম্বলের দাম আগের চেয়ে বেড়ে যাওয়ায় বাজারে গিয়েও না-কিনেই ফিরছেন ক্রেতারা। এতে হতাশ বিক্রেতারা।

গুলিস্তান, পল্টন, মতিঝিলসহ কয়েকটি স্থানের শপিং মলগুলোয় এখন গরম কাপড়ের সমাহার। হুডি, জ্যাকেট, সোয়েটার, কম্বলসহ বিভিন্ন গরম কাপড়ে সেজেছে দোকানগুলো। মার্কেটের দোকানের পাশাপাশি ফুটপাতের অস্থায়ী দোকানগুলোয়ও উঠেছে গরম কাপড়। ফুটপাতে দাম কিছুটা কম হওয়ায় সেখানে ক্রেতাদের বেশি ভিড় দেখা গেছে।

বঙ্গবাজারের অ্যানেক্স টাওয়ার শপিং কমপ্লেক্সের কম্বল ব্যবসায়ী স্বপন খান গতকাল শনিবার জানান, ২ হাজার ২০০ থেকে ৯ হাজার ৫০০ টাকায় কম্বল বিক্রি করছেন।

কম্বল তৈরির কাঁচামালের দাম ও আমদানিতে ট্যাক্স বাড়ায় দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে এখনো কম্বল জড়ানোর মতো শীত না-পড়ায় হতাশ তিনি। স্বপন খান বলেন, ‘করোনার কারণে এমনিতেই বিক্রি কমেছে। এদিকে অগ্রহায়ণের শেষেও শীত জেঁকে না-বসায় বিক্রি নেই বললেই চলে।’ গোডাউনভর্তি পণ্য আছে, বিক্রি করতে না-পারলে পথে বসার আশঙ্কা করছেন তিনি।

আরেক ব্যবসায়ী আরিফুর রহমান জানান, শীত না-পড়লে এবার তাঁদের অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে। ডিসেম্বরেও শীত না-পড়ায় শঙ্কিত তিনি। তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বর চলে যাচ্ছে এখনো শীত পড়তেছে না। ক্রেতা আইসা দেইখা চইলা যায়। এ বছর আর কম্বল লাগবো না, মনে হয়।’

কম্বলের দোকানে কিছুটা থাকলেও ক্রেতা নেই হুডি-জ্যাকেটের দোকানে। হুডি-জ্যাকেটের ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম জানান, ১ হাজার ৬০০ থেকে ৪ হাজার টাকায় জ্যাকেট এবং ৮০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকায় হুডি বিক্রি করছেন। পর্যাপ্ত পণ্য থাকলেও ক্রেতার অভাব জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রাতে শীত পড়লে হবে না। শীত পড়তে হবে বিকেলে, তাইলে মানুষ হুডি-জ্যাকেট কিনবে।’

অসহায়দের মাঝে বিতরণের জন্য ১০০ কম্বল কিনতে গুলিস্তানে এসেছিলেন ব্যবসায়ী শামীমুর রহমান। তিনি জানান, কম্বলের দাম আগের চেয়ে বেড়েছে। ফলে কয়েক দিন ধরে অনেক দোকান ঘুরে বাড়তি দামেই ১০০ কম্বল কিনেছেন।

পল্টনের ফুটপাতে অনেক দামাদামি করেও হুডি কিনতে ব্যর্থ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী আবদুর রাজ্জাক হালিম। তিনি বলেন, করোনার পর সবারই খারাপ অবস্থা। যা বেতন পান তাতে মাস চালানোই দায়। এত দাম দিয়ে কাপড় কিনবেন কীভাবে?

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ