Ajker Patrika

অকেজো পড়ে আছে জরুরি সেবার অ্যাম্বুলেন্সগুলো

মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০২২, ১৪: ২১
অকেজো পড়ে আছে জরুরি সেবার অ্যাম্বুলেন্সগুলো

গ্রামাঞ্চলের জরুরি রোগী পরিবহন ও সেবার মান বাড়তে নওগাঁর মান্দা উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে চালু করা হয়েছিল অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস। লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্টের (এলজিএসপি) বরাদ্দকৃত অর্থে এসব অ্যাম্বুলেন্স তৈরি করতে ব্যয় হয়েছিল ৩৫ লাখ টাকা। রোগী পরিবহনের পাশাপাশি এ বাহন দিয়ে প্রতি রাতে সাইরেন বাজিয়ে পাড়া-মহল্লা ঘুরে ঘুরে পাহারা দেওয়ার কাজও করতেন গ্রাম পুলিশেরা।

কিন্তু জরুরি সেবার সেই অ্যাম্বুলেন্সগুলো এখন পুরোটাই অকেজো। নষ্ট হয়ে গেছে এগুলোর ব্যাটারি। টায়ার-টিউব ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এতে সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন প্রত্যন্ত জনপদের মানুষ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এলজিএসপির অর্থায়নে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে উপজেলার ১৪ ইউনিয়নে এসব অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করা হয়। প্রত্যেকটি চার্জার অ্যাম্বুলেন্স তৈরি করতে ব্যয় হয়েছিল আড়াই লাখ টাকা। ব্যাটারিচালিত এ অ্যাম্বুলেন্সের সাহায্যে গ্রামীণ জনপদের জরুরি সেবাপ্রার্থী রোগীদের পৌঁছে দেওয়া হতো হাসপাতালে। কিন্তু ব্যাটারি, টায়ার ও টিউবসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ নষ্ট হওয়ায় অকেজো অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে বাহনটি।

সেবাপ্রার্থীরা বলছেন, মা ও শিশু স্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণসহ সরকারের সেবা দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ব্যাটারিচালিত অ্যাম্বুলেন্সটি চালু করা হয়। এতে স্বস্তি ফিরে এসেছিল গ্রামীণ জনপদে। মোবাইল করলেই পৌঁছে যেত অ্যাম্বুলেন্স। সহজেই চিকিৎসাকেন্দ্রে পৌঁছাতে পারতেন রোগীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউনিয়ন পরিষদের এক সচিব বলেন, এলজিএসপির বরাদ্দ দেওয়া অর্থে চার্জার অ্যাম্বুলেন্সটি তৈরি করা হয়। চালুর পর অনেক প্রশংসা পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু অল্পদিনেই এর ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যায়। একই সঙ্গে নষ্ট হয়ে গেছে টায়ার ও টিউব। অচল অবস্থায় পড়ে আছে অ্যাম্বুলেন্সগুলো। বন্ধ হয়ে গেছে গ্রাম পুলিশের রাতের ডিউটি।

কুসুম্বা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নওফেল আলী মণ্ডল বলেন, ‘মাঝে-মধ্যেই যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। চালকও পাওয়া যায় না। গ্রামপুলিশ দিয়ে চালু রাখার চেষ্টা করা হয়েছিল। এতে পরিষদের কাজে বিঘ্ন ঘটে। এসব কারণে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসটি বন্ধ হয়ে গেছে।’

ভারশোঁ ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন বলেন, অ্যাম্বুলেন্সগুলো আবার চালু করতে নতুন ব্যাটারিসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ লাগবে। চারটি ব্যাটারি কিনতেই লাগবে ৫০ হাজার টাকা। এগুলো মেরামতের জন্য বরাদ্দকৃত প্রকল্পের অর্থ সমন্বয় করা সম্ভব হয়নি। পরিষদের নিজস্ব অর্থায়নে এগুলো করতে হবে। এ জন্য অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদের চার্জার অ্যাম্বুলেন্সগুলো বন্ধ আছে এটি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত