Ajker Patrika

নারীদের আয়বর্ধক প্রশিক্ষণে অনিয়মের অভিযোগ

বালাগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২২, ১৩: ৪৭
Thumbnail image

সিলেটের বালাগঞ্জে নারীদের আয়বর্ধক প্রশিক্ষণ (আইজিএ) প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ নেওয়া নারীদের ভাতার টাকা কৌশলে হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় উপপরিচালক শাহিনা আক্তারের বিরুদ্ধে প্রশিক্ষণার্থীরা এই অভিযোগ তোলেন। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শাহিনা আক্তার।

মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশের প্রতিটি উপজেলায় দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত নারীদের সাতটি ট্রেডের বিনা মূল্যে তিন মাসের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত নারীদের জন্য আইজিএ প্রকল্পের আওতায় এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রতিটি ট্রেডের জন্য ২৫ জন নারী নিয়ে তৈরি করা হয় ব্যাচ। প্রশিক্ষণ শেষে প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে দৈনিক যাতায়াত ভাতা হিসেবে ২০০ টাকা করে মোট ১২ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা। বালাগঞ্জের প্রশিক্ষণার্থীদের অভিযোগ—নিয়ম অনুযায়ী তাঁদের ভাতা দেওয়া হয়নি।

জানা গেছে, বালাগঞ্জের উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার পদটি দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। সেই পদে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন সিলেট বিভাগীয় উপপরিচালক শাহিনা আক্তার। উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে ধারাবাহিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বর্তমানে ১৩ তম ব্যাচে প্রশিক্ষণ চলছে।

১১ তম ব্যাচের ‘ফ্যাশন ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নেওয়া লিপি বেগম বলেন, ‘প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন করলেও আমাকে ভাতার কোনো টাকা দেওয়া হয়নি। শামীমা বেগম ও মুন্না আক্তার নামের আরও দুই প্রশিক্ষণার্থী বলছেন, প্রশিক্ষণ শেষে তাঁদেরও কোনো টাকা দেওয়া হয়নি।

হালিমা বেগম নামের আরেক প্রশিক্ষণার্থী বলেন, ‘আমার বোন শামীমার টাকা রাহমিন বেগম নামের আরেকজনের স্বাক্ষরে ব্যাংক থেকে ওঠানো হয়েছে এবং ওই টাকা প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের হাতে দেওয়া হয়েছে।’

ওই ব্যাচের প্রশিক্ষণার্থী সুমি বেগম বলেন, ‘অগ্রিম ২ হাজার ২০০ টাকা উপপরিচালকের হাতে দেওয়ার পর আমাকে প্রশিক্ষণ ভাতার চেক দেওয়া হয়েছে।’

জানতে চাইলে মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় উপপরিচালক শাহিনা আক্তার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন না করলে বা কেউ অনুপস্থিত থাকলে, তাঁর ভাতার টাকা কর্তনের বিষয়টি নীতিমালায় স্পষ্ট করে বলা আছে। কেউ মৌখিকভাবে অনিয়মের অভিযোগ করে থাকলে সেটা ভিত্তিহীন। এ বিষয়ে বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোজিনা আক্তার বলেন, নারীদের আয়বর্ধক প্রশিক্ষণ (আইজিএ) প্রকল্পে কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতি হয়ে থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত