Ajker Patrika

বেনাপোল স্থলবন্দরে তিন দিনে রাজস্ব ক্ষতি ৫০ কোটি টাকা

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
Thumbnail image

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নির্দেশে আমদানি করা মাছ, ফল ও সবজিজাতীয় পণ্যে যুক্ত করা অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহার না করায় যশোরের বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে তিন দিন ধরে আটকা পড়ে আছে পণ্যবাহী শতাধিক ট্রাক। পণ্য খালাস বন্ধ থাকায় তিন দিনে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে ৫০ কোটি টাকার মতো। তবে খাদ্যপণ্য খালাস বন্ধ থাকলেও অন্যান্য পণ্যের আমদানি, রপ্তানি ও খালাস কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। 

বাড়তি শুল্ক আরোপ এবং পণ্য পচে গেলে প্রায় ১০ কোটি টাকার লোকসানে পড়বেন বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন আমদানিকারকেরা। পচনশীল পণ্য আমদানিতে বাড়তি শুল্ক নির্ধারণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার থেকে পণ্য খালাস বন্ধ রেখেছে তারা। 

এদিকে বেনাপোল বন্দর সূত্র জানিয়েছে, যেসব আমদানিকারক পণ্য খালাস করেননি, তাঁদের বিষয়ে আজ রোববার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 
বেনাপোল বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে যেসব পণ্য আমদানি হয়, তার বড় একটি অংশ ফল, মাছ ও সবজিজাতীয় পণ্য। গত ২৩ জুন ট্রাকের চাকার অনুপাতে পণ্যের ওজন বাড়িয়ে শুল্ককর নির্ধারণ করে চিঠি দেয় এনবিআর। ফলে প্রতি ট্রাকে অতিরিক্ত ৩-৪ লাখ টাকা গুনতে হয় আমদানিকারকদের। এতে লোকসানে পড়ে পণ্য খালাস বন্ধ রেখেছেন তাঁরা। 

বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে শতাধিক ট্রাকে মাছ, ফল ও সবজিজাতীয় পণ্য আমদানি হয়। খালাস বন্ধ থাকায় তিন দিনে সরকারের ৫০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় কমেছে। 
আমদানি-রপ্তানি সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জানান, এনবিআরের নতুন নিয়মে পণ্য খালাসে এখন তাঁদের অতিরিক্ত টাকা টাকা গুনতে হবে; যা বাণিজ্যে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে। 

বন্দরে মাছ নিয়ে আটকে থাকা একটি ট্রাকের চালক মহিদুর রহমান বলেন, ‘কাস্টমস ছাড়পত্র না দেওয়ায় তিন দিন আটকে থেকে পণ্য নষ্ট হচ্ছে।’ একই কথা জানান সবজি বহনকারী ভারতীয় একটি ট্রাকের চালক উত্তম। 

আমদানি-রপ্তানিকারক উজ্জ্বল বিশ্বাস জানান, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এনবিআরের ৪ নম্বর নির্দেশনা মানছে না। এতে পণ্য খালাস নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। 

আমদানিকারক আবুল হোসেন জানান, তিন দিন পণ্য খালাস বন্ধ থাকায় কেবল ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়েনি। সরকারও রাজস্ব হারাচ্ছে। 

ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক রেজাউল বিশ্বাস জানান, গত তিন দিনেও কোনো সমাধান না আসায় পণ্যবাহী অনেক ট্রাক খালাসের অপেক্ষায় পেট্রাপোল বন্দরে দাঁড়িয়ে আছে। এতে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের প্রায় ১০ কোটি টাকা ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে। 

বেনাপোল কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা জাহিদ হাসান বলেন, ‘নতুন নিয়মে পণ্য খালাস নিতে বাধা নেই। তবে কিছু কিছু আমদানিকারক শুল্ক বৃদ্ধির কারণে পণ্য খালাস নিচ্ছে না। তাঁদের বিষয়ে রোববার (আজ) কাস্টমসের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত