নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা সদরে পরিকল্পিত নগরায়ণের অভাবে এখনো গড়ে ওঠেনি ময়লা ফেলার নির্ধারিত জায়গা। ফলে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলছেন মানুষ। উপজেলা সদরের বাসিন্দারা বলছেন, ময়লা-আবর্জনা ব্যবস্থাপনার জন্য স্থান নির্ধারণের পাশাপাশি একটি স্থায়ী ব্যবস্থা গড়ে তোলা হোক। অন্যদিকে প্রশাসন বলছে, ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা নেই। তাই কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলা সদরে ঐতিহ্যবাহী আশুতোষ পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের পেছনে ও গাঙ্কুলপাড়ায় অবস্থিত উপজেলা মৎস্য আহরণ পরিচর্যাকেন্দ্রের কাছে মানুষ গড়ে তুলেছেন ময়লা ফেলার ভাগাড়। উপজেলা সদরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া লঙ্গন নদীপাড়ের এই স্থানে বর্জ্য ফেলায় দূষিত হচ্ছে নদী।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা সদরে প্রতিদিনের বর্জ্য ফেলার কোনো ডাস্টবিন নেই। ফলে মানুষ যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলছেন। পরিষ্কার না করায় এসব স্তূপের ময়লা পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। নাসিরনগর সদরে পরিবারের সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার এবং লোকসংখ্যা আট হাজারের বেশি। প্রতিটি পরিবারে প্রতিদিন অন্তত দুই ব্যাগ (তিন-পাঁচ কেজি) পরিমাণ বর্জ্য তৈরি হয়। এ ছাড়া এর বাইরে আছে একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, প্রাইভেট ক্লিনিক, কাঁচাবাজার, দোকানপাট, স্কুল-কলেজ, সরকারি-বেসরকারিসহ শতাধিক প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রচুর ময়লা-আবর্জনা তৈরি হয়। ফলে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি, ব্যাহত হচ্ছে জীবনযাত্রা।
স্থানীয় বাসিন্দা পরিমল দাস বলেন, ‘ময়লা-আবর্জনা যেখানে-সেখানে ফেলার কারণে আমাদের কোমলমতি শিশুরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বেড়ে উঠছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সদরের এক বাসিন্দা বলেন, ‘উপজেলা সদরে দিন দিন বাড়ছে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক, অফিস ও ক্লিনিকসহ ব্যক্তিমালিকানায় বড় ভবনসহ অনেক স্থাপনা। কিন্তু কর্তৃপক্ষের পরিকল্পিত নগরায়ণের অভাবে এখনো গড়ে ওঠেনি ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট ভাগাড়। যে যেখানে পারছেন ময়লা ফেলছেন। এতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।
নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পুতুল রানী দাস বলেন, ‘ময়লা-আবর্জনা যেন যেখানে-সেখানে ফেলা না হয়, সে জন্য সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট কোনো জায়গায় যেন ময়লা-আবর্জনা ফেলা যায় সেই ব্যবস্থা করতে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।’
জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান রাফিউদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ তিন মাস আগে বাজারের খাদ্যগুদামের পূর্ব পাশে আমি একটা নির্দিষ্ট জায়গা করে দিয়েছি। কিন্তু সাধারন জনগন সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলছে না। তবে এ ব্যাপারে আমি দ্রুত পদক্ষেপ নেব।’
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হালিমা খাতুন বলেন, ‘আমি নাসিরনগরে যোগদানের পরই বিষয়টি লক্ষ করেছি। ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা নেই। তাই কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। তবে এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করি দ্রুত একটা ব্যবস্থা হবে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা সদরে পরিকল্পিত নগরায়ণের অভাবে এখনো গড়ে ওঠেনি ময়লা ফেলার নির্ধারিত জায়গা। ফলে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলছেন মানুষ। উপজেলা সদরের বাসিন্দারা বলছেন, ময়লা-আবর্জনা ব্যবস্থাপনার জন্য স্থান নির্ধারণের পাশাপাশি একটি স্থায়ী ব্যবস্থা গড়ে তোলা হোক। অন্যদিকে প্রশাসন বলছে, ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা নেই। তাই কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলা সদরে ঐতিহ্যবাহী আশুতোষ পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের পেছনে ও গাঙ্কুলপাড়ায় অবস্থিত উপজেলা মৎস্য আহরণ পরিচর্যাকেন্দ্রের কাছে মানুষ গড়ে তুলেছেন ময়লা ফেলার ভাগাড়। উপজেলা সদরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া লঙ্গন নদীপাড়ের এই স্থানে বর্জ্য ফেলায় দূষিত হচ্ছে নদী।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা সদরে প্রতিদিনের বর্জ্য ফেলার কোনো ডাস্টবিন নেই। ফলে মানুষ যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলছেন। পরিষ্কার না করায় এসব স্তূপের ময়লা পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। নাসিরনগর সদরে পরিবারের সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার এবং লোকসংখ্যা আট হাজারের বেশি। প্রতিটি পরিবারে প্রতিদিন অন্তত দুই ব্যাগ (তিন-পাঁচ কেজি) পরিমাণ বর্জ্য তৈরি হয়। এ ছাড়া এর বাইরে আছে একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, প্রাইভেট ক্লিনিক, কাঁচাবাজার, দোকানপাট, স্কুল-কলেজ, সরকারি-বেসরকারিসহ শতাধিক প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রচুর ময়লা-আবর্জনা তৈরি হয়। ফলে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি, ব্যাহত হচ্ছে জীবনযাত্রা।
স্থানীয় বাসিন্দা পরিমল দাস বলেন, ‘ময়লা-আবর্জনা যেখানে-সেখানে ফেলার কারণে আমাদের কোমলমতি শিশুরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বেড়ে উঠছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সদরের এক বাসিন্দা বলেন, ‘উপজেলা সদরে দিন দিন বাড়ছে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক, অফিস ও ক্লিনিকসহ ব্যক্তিমালিকানায় বড় ভবনসহ অনেক স্থাপনা। কিন্তু কর্তৃপক্ষের পরিকল্পিত নগরায়ণের অভাবে এখনো গড়ে ওঠেনি ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট ভাগাড়। যে যেখানে পারছেন ময়লা ফেলছেন। এতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।
নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পুতুল রানী দাস বলেন, ‘ময়লা-আবর্জনা যেন যেখানে-সেখানে ফেলা না হয়, সে জন্য সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট কোনো জায়গায় যেন ময়লা-আবর্জনা ফেলা যায় সেই ব্যবস্থা করতে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।’
জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান রাফিউদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ তিন মাস আগে বাজারের খাদ্যগুদামের পূর্ব পাশে আমি একটা নির্দিষ্ট জায়গা করে দিয়েছি। কিন্তু সাধারন জনগন সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলছে না। তবে এ ব্যাপারে আমি দ্রুত পদক্ষেপ নেব।’
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হালিমা খাতুন বলেন, ‘আমি নাসিরনগরে যোগদানের পরই বিষয়টি লক্ষ করেছি। ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা নেই। তাই কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। তবে এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করি দ্রুত একটা ব্যবস্থা হবে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৮ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪