Ajker Patrika

শিক্ষার্থীরাই ‘খুদে ডাক্তার’

মিজানুর রহমান, তানোর
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২১, ১২: ১০
শিক্ষার্থীরাই ‘খুদে ডাক্তার’

কেউ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। কেউবা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের। কাজ করছে স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরির বিষয়ে। সেবা দিয়ে যাচ্ছে তারা, তাদেরই সমবয়সীদের। এর আগে অবশ্য তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

রাজশাহীর তানোরের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চালু হওয়া সপ্তাহব্যাপী এ কার্যক্রম সাড়া ফেলেছে এলাকায়। স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলছেন, এর ফলে স্বাস্থ্য ভালো রাখার তথ্য পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও শিক্ষা অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে সারা দেশেই ‘খুদে ডাক্তার’ কর্মসূচি চলছে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার একটি অংশ হচ্ছে ফাইলেরিয়াসিস নির্মূল ও কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম। এরই ধারাবাহিকতায় তানোর উপজেলার ১২৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৬১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ২৮টি মাদ্রাসায় গত ৩০ অক্টোবর এই কার্যক্রমের আওতায় শুরু হয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ। চলবে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত।

‘খুদে ডাক্তার’ শিক্ষার্থীরা বলেন, গ্রামের মানুষ আগে জানত না যে কীভাবে স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হওয়া দরকার। এখন সবাই জানতে পারছে। যার ফলে সবার মধ্যে সচেতনতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পারিশো দুর্গাপুর উচ্চবিদ্যালয়ে ছাত্রী তাসনিম খাতুন বলে, ‘আমার স্বপ্ন ডাক্তার হওয়া, এই কার্যক্রম আমাকে অনুপ্রেরণা দিচ্ছে।’

এমন কার্যক্রমে খুশি শিক্ষকেরাও।

উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও চাপড়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ে শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে শিশুকে উন্নত জীবনের স্বপ্ন দর্শনে উদ্বুদ্ধ করা। খুদে ডাক্তার কার্যক্রমের উদ্দেশ্য হচ্ছে, শিশুরা যাতে ভবিষ্যতে বড় হয়ে ডাক্তার হয় এবং মানুষকে সেবা দিতে উৎসাহী হয়। ছোট থেকেই তাদের সে মানসিকতার উন্নয়ন করা।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সানাউল্লা ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে এ কর্মসূচি চলছে।

এ নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বাঁনাবাস হাসদাক বলেন, খুদে ডাক্তারদের প্রথমে স্বাস্থ্য শিক্ষা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সচেতনতা বিষয়ে ধারণা দেওয়া হয়। এরপর তারা তাদের সহপাঠী ও ছোটদের সঙ্গে সেসব বিষয়ে আলোচনা করে। খুদে ডাক্তারেরা নিজেরা সচেতন হবে এবং অন্যদের সচেতন করবে। ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে কৃমিমুক্ত করা খুদে ডাক্তারদের উদ্দেশ্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত