রেজা মাহমুদ, সৈয়দপুর (নীলফামারী)
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। শহরে ওএমএস ও টিসিবির স্বল্পমূল্যের পণ্য ক্রয়ে এখন এক কাতারে ভিড় করছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত লোকজন।
ক্রেতারা মনে করেন, বাজার মনিটর না করাতেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে নিয়মিত বাজার মনিটর করা হচ্ছে বলে জানান সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম হুসাইন। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, যেসব দোকানে মূল্যতালিকা নেই, সেসব ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যদি কোনো ব্যবসায়ী নির্ধারিত মূল্যের বাইরে অতিরিক্ত মূল্য নেন, অভিযোগ পেলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সৈয়দপুর পৌর আধুনিক সবজিবাজার, রেলগেট বাজার ও মিস্ত্রিপাড়া পাইকারি সবজিবাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৫০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো সবজি। সব ধরনের শাক-সবজি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। করলা ১১০-১২০, বরবটি ৪০-৫০, টমেটো ২৫-৩০, গাজর ২৫-৩০, মটরশুঁটি ৬০-৭০, ফুলকপি প্রতিটি ৩০-৪০, বাঁধাকপি ২৫-৩০, লাউ ৩০-৪০, কাঁচকলা ৩০ টাকা হালি ও মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে মাংসের দাম কেজিতে বেড়েছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। এক সপ্তাহ আগেও গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৫৪০-৫৫০ টাকা কিন্তু গত শুক্রবার তা বিক্রি হয়েছে ৬০০-৬২০ টাকা কেজিতে। খাসির মাংসেরও একই অবস্থা। গত সপ্তাহে ৭০০ টাকা কেজি খাসির মাংস পাওয়া গেলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়া সব ধরনের মুরগি ও বিভিন্ন জাতের মাছের দামও ঊর্ধ্বমুখী। পাঁচ দিন আগেও পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩০-৩৫ টাকা কেজি, এখন ৭০-৭৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। চিনি গত সপ্তাহ থেকে ৭৮-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর আগে বিক্রি হতো ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়।
এদিকে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি কেজি ১৯০ টাকা, পাম অয়েল খোলা ১৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ১২ কেজি এলপি গ্যাস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪০০ টাকায়। দুই দিন আগেও এলপি গ্যাসের মূল্য ছিল ১ হাজার ২৫০ টাকা, খোলা সয়াবিন ১৭২, প্রতিকেজি পাম অয়েল বিক্রি হয়েছে ১৫৫ টাকা।
রেলগেট বাজারে বাজার করতে আসা ক্রেতা ইমরান হোসেন (৩৮) বলেন, ‘সবজি কিনব নাকি মুদি বাজার করব, যা কিনতে যাই দাম বেশি। করোনায় আমাদের আয় কমে গেছে কিন্তু ব্যয় বেশি হচ্ছে। পরিবার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।’
তিনি আরও জানান, মাঠ পর্যায়ে বাজার মনিটরিং কমিটির তদারকি না থাকায় ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে গেছেন। এতে আসছে রমজানে প্রতিটি পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির আশঙ্কা আরও বাড়ছে।
আর ব্যবসায়ীরা বলছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নিম্ন আয়ের মানুষ যেমন কষ্টে আছেন, তেমনি অস্বস্তিতে আছেন তাঁরাও ৷
আধুনিক পৌর মার্কেটের খুচরা ব্যবসায়ী বিপ্লব হোসেন বলেন, ‘বাজার স্থিতিশীল না থাকায় আমাদের লোকসান দিতে হচ্ছে। দাম বেড়ে যাওয়ায় পুঁজি বেশি খাটাতে হচ্ছে। কিন্তু সে তুলনায় লাভ কম। তা ছাড়া দাম বাড়ার কারণে বিক্রিও কমেছে।’
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। শহরে ওএমএস ও টিসিবির স্বল্পমূল্যের পণ্য ক্রয়ে এখন এক কাতারে ভিড় করছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত লোকজন।
ক্রেতারা মনে করেন, বাজার মনিটর না করাতেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে নিয়মিত বাজার মনিটর করা হচ্ছে বলে জানান সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম হুসাইন। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, যেসব দোকানে মূল্যতালিকা নেই, সেসব ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যদি কোনো ব্যবসায়ী নির্ধারিত মূল্যের বাইরে অতিরিক্ত মূল্য নেন, অভিযোগ পেলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সৈয়দপুর পৌর আধুনিক সবজিবাজার, রেলগেট বাজার ও মিস্ত্রিপাড়া পাইকারি সবজিবাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৫০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো সবজি। সব ধরনের শাক-সবজি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। করলা ১১০-১২০, বরবটি ৪০-৫০, টমেটো ২৫-৩০, গাজর ২৫-৩০, মটরশুঁটি ৬০-৭০, ফুলকপি প্রতিটি ৩০-৪০, বাঁধাকপি ২৫-৩০, লাউ ৩০-৪০, কাঁচকলা ৩০ টাকা হালি ও মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে মাংসের দাম কেজিতে বেড়েছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। এক সপ্তাহ আগেও গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৫৪০-৫৫০ টাকা কিন্তু গত শুক্রবার তা বিক্রি হয়েছে ৬০০-৬২০ টাকা কেজিতে। খাসির মাংসেরও একই অবস্থা। গত সপ্তাহে ৭০০ টাকা কেজি খাসির মাংস পাওয়া গেলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়া সব ধরনের মুরগি ও বিভিন্ন জাতের মাছের দামও ঊর্ধ্বমুখী। পাঁচ দিন আগেও পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩০-৩৫ টাকা কেজি, এখন ৭০-৭৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। চিনি গত সপ্তাহ থেকে ৭৮-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর আগে বিক্রি হতো ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়।
এদিকে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি কেজি ১৯০ টাকা, পাম অয়েল খোলা ১৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ১২ কেজি এলপি গ্যাস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪০০ টাকায়। দুই দিন আগেও এলপি গ্যাসের মূল্য ছিল ১ হাজার ২৫০ টাকা, খোলা সয়াবিন ১৭২, প্রতিকেজি পাম অয়েল বিক্রি হয়েছে ১৫৫ টাকা।
রেলগেট বাজারে বাজার করতে আসা ক্রেতা ইমরান হোসেন (৩৮) বলেন, ‘সবজি কিনব নাকি মুদি বাজার করব, যা কিনতে যাই দাম বেশি। করোনায় আমাদের আয় কমে গেছে কিন্তু ব্যয় বেশি হচ্ছে। পরিবার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।’
তিনি আরও জানান, মাঠ পর্যায়ে বাজার মনিটরিং কমিটির তদারকি না থাকায় ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে গেছেন। এতে আসছে রমজানে প্রতিটি পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির আশঙ্কা আরও বাড়ছে।
আর ব্যবসায়ীরা বলছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নিম্ন আয়ের মানুষ যেমন কষ্টে আছেন, তেমনি অস্বস্তিতে আছেন তাঁরাও ৷
আধুনিক পৌর মার্কেটের খুচরা ব্যবসায়ী বিপ্লব হোসেন বলেন, ‘বাজার স্থিতিশীল না থাকায় আমাদের লোকসান দিতে হচ্ছে। দাম বেড়ে যাওয়ায় পুঁজি বেশি খাটাতে হচ্ছে। কিন্তু সে তুলনায় লাভ কম। তা ছাড়া দাম বাড়ার কারণে বিক্রিও কমেছে।’
সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশে বিদেশে’ বইয়ের হরফুন মৌলা বা সকল কাজের কাজী আবদুর রহমানের বলা একটি বাক্য—‘ইনহাস্ত ওয়াতানাম’—‘এই আমার জন্মভূমি’। সে কথা বলার সময় আফগানি আবদুর রহমানের চোখেমুখে যে অম্লান দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছিল, সে কথা দিব্যি অনুভব করে নেওয়া যায়...
১ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৮ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪