রেজা মাহমুদ, সৈয়দপুর (নীলফামারী)
নীলফামারীর সৈয়দপুরে দুই হাজারের বেশি বিভিন্ন কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি কারখানায় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই। এতে প্রায় ১ লাখ শ্রমিক ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের তদারকি না থাকায় এই অবস্থা। ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ বলছে, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা শতভাগ বাস্তবায়নে কাজ করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দপুর হচ্ছে উত্তরবঙ্গের অন্যতম শিল্পসমৃদ্ধ উপজেলা। এই উপজেলায় বিসিক শিল্পনগরীসহ বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে ছোট-বড় দুই হাজারের বেশি কারখানা। এর মধ্যে রপ্তানিমুখী ক্ষুদ্র পোশাক কারখানা রয়েছে প্রায় ৫০০ টি। এসব কারখানার একটিতেও নেই অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। এ ছাড়া ৪০০টি হালকা প্রকৌশল কারখানার একটিতেও নেই, ১৫০টি পলিথিন কারখানার মধ্যে ১০০ টি, ৩০০ প্লাস্টিক কারখানার ২০০ টি, ২৫০টি খাদ্য তৈরির কারখানার মধ্যে ২০০ এবং অন্য ৪৫০টি কারখানার মধ্যে ৩৫০ টির অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই।
বিভিন্ন কারখানা ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ শিল্পপ্রতিষ্ঠানে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই। দুয়েকটিতে থাকলেও যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। এ ছাড়া যথাযথ তদারকি নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
শহরের আতিয়া কলোনির বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সৈয়দপুরের শিল্পকারখানাগুলো আমাদের জন্য গর্বের বিষয়; কিন্তু এসব শিল্পকারখানা গড়ে ওঠার সময় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখা হয়নি।’
শহরের মুন্সিপাড়া এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কয়েক বছরে ধরে এ এলাকায় গার্মেন্টস কারখানার সংখ্যা বাড়লেও সে অনুযায়ী রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করা হয়নি। এ অবস্থায় এলাকায় আগুন লাগলে আমরা ঘরবাড়ি ছেড়ে পালানোরও সুযোগ পাব না।’
শহরের শহীদ জহুরুল হক সড়কের হালকা প্রকৌশল শিল্পপ্রতিষ্ঠান জামিল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসের মালিক জামিল হোসেন বলেন, ‘আমার কারখানাটি অতি ক্ষুদ্র পরিসরে।
এখানে মূলত লোহার যন্ত্রপাতি তৈরি করা হয়। তাই অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখা হয়নি।’
সৈয়দপুর রপ্তানিমুখী ক্ষুদ্র গার্মেন্টস মালিক সমিতির সভাপতি মো. আকতার হোসেন খান জানান, প্রায় ৩০ বছর আগে উপজেলায় বিভিন্ন গার্মেন্টস গড়ে উঠেছে। শুরুর দিকে দুয়েকটি মেশিন নিয়ে কেউ কেউ বসত। ধীরে ধীরে সেগুলোই কারখানা হয়েছে। তাই শুরুর দিকে কোনো অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখা হয়নি। তবে ছোট কিংবা বড় যেটাই হোক না কেন, সরকারি নিয়ম মেনে প্রতিটি কারখানায় অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রপাতি সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক করা উচিত। এ বিষয়ে মালিকদের সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ চলছেও বলে জানান তিনি।
সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কর্মকর্তা খুরশিদ আলম জানান, শিল্পকারখানায় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকলে অগ্নিকাণ্ডের পর দ্রুত সময়ের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব। শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শতভাগ স্থায়ী অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সাল রায়হান আজকের পত্রিকাকে বলেন, উপজেলার সব কারখানায় খোঁজখবর নিয়ে স্থায়ী অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রতিটি কারখানায় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে।
নীলফামারীর সৈয়দপুরে দুই হাজারের বেশি বিভিন্ন কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি কারখানায় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই। এতে প্রায় ১ লাখ শ্রমিক ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের তদারকি না থাকায় এই অবস্থা। ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ বলছে, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা শতভাগ বাস্তবায়নে কাজ করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দপুর হচ্ছে উত্তরবঙ্গের অন্যতম শিল্পসমৃদ্ধ উপজেলা। এই উপজেলায় বিসিক শিল্পনগরীসহ বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে ছোট-বড় দুই হাজারের বেশি কারখানা। এর মধ্যে রপ্তানিমুখী ক্ষুদ্র পোশাক কারখানা রয়েছে প্রায় ৫০০ টি। এসব কারখানার একটিতেও নেই অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। এ ছাড়া ৪০০টি হালকা প্রকৌশল কারখানার একটিতেও নেই, ১৫০টি পলিথিন কারখানার মধ্যে ১০০ টি, ৩০০ প্লাস্টিক কারখানার ২০০ টি, ২৫০টি খাদ্য তৈরির কারখানার মধ্যে ২০০ এবং অন্য ৪৫০টি কারখানার মধ্যে ৩৫০ টির অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই।
বিভিন্ন কারখানা ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ শিল্পপ্রতিষ্ঠানে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই। দুয়েকটিতে থাকলেও যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। এ ছাড়া যথাযথ তদারকি নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
শহরের আতিয়া কলোনির বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সৈয়দপুরের শিল্পকারখানাগুলো আমাদের জন্য গর্বের বিষয়; কিন্তু এসব শিল্পকারখানা গড়ে ওঠার সময় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখা হয়নি।’
শহরের মুন্সিপাড়া এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কয়েক বছরে ধরে এ এলাকায় গার্মেন্টস কারখানার সংখ্যা বাড়লেও সে অনুযায়ী রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করা হয়নি। এ অবস্থায় এলাকায় আগুন লাগলে আমরা ঘরবাড়ি ছেড়ে পালানোরও সুযোগ পাব না।’
শহরের শহীদ জহুরুল হক সড়কের হালকা প্রকৌশল শিল্পপ্রতিষ্ঠান জামিল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসের মালিক জামিল হোসেন বলেন, ‘আমার কারখানাটি অতি ক্ষুদ্র পরিসরে।
এখানে মূলত লোহার যন্ত্রপাতি তৈরি করা হয়। তাই অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখা হয়নি।’
সৈয়দপুর রপ্তানিমুখী ক্ষুদ্র গার্মেন্টস মালিক সমিতির সভাপতি মো. আকতার হোসেন খান জানান, প্রায় ৩০ বছর আগে উপজেলায় বিভিন্ন গার্মেন্টস গড়ে উঠেছে। শুরুর দিকে দুয়েকটি মেশিন নিয়ে কেউ কেউ বসত। ধীরে ধীরে সেগুলোই কারখানা হয়েছে। তাই শুরুর দিকে কোনো অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখা হয়নি। তবে ছোট কিংবা বড় যেটাই হোক না কেন, সরকারি নিয়ম মেনে প্রতিটি কারখানায় অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রপাতি সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক করা উচিত। এ বিষয়ে মালিকদের সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ চলছেও বলে জানান তিনি।
সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কর্মকর্তা খুরশিদ আলম জানান, শিল্পকারখানায় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকলে অগ্নিকাণ্ডের পর দ্রুত সময়ের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব। শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শতভাগ স্থায়ী অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সাল রায়হান আজকের পত্রিকাকে বলেন, উপজেলার সব কারখানায় খোঁজখবর নিয়ে স্থায়ী অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রতিটি কারখানায় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪