আজিজুর রহমান, চৌগাছা
যশোরে চলতি বোরো মৌসুমে আউশের প্রণোদনা পাচ্ছেন ১৩ হাজার ৫০০ কৃষক। তাঁদের দেওয়া হচ্ছে এক কোটি পাঁচ লাখ ৪৬ হাজার ৮০০ টাকার বীজ ও সার। প্রত্যেক কৃষক পাঁচ কেজি আউশ ধানের বীজ, ২০ কেজি ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) ও ১০ কেজি মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) সার পাবেন।
ইতিমধ্যে বিভিন্ন উপজেলায় এ প্রণোদনা বিতরণ শুরু হয়েছে। আবার কিছু উপজেলায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে জটিলতায় তালিকা করতে দেরি হওয়ায় বিতরণ শুরু হয়নি। তবে ঈদুল ফিতরের আগেই বিতরণ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, যশোরের আট উপজেলায় আউশচাষিদের মধ্য থেকে সাড়ে ১৩ হাজার কৃষকের তালিকা করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১ হাজার ৮২০, চৌগাছায় ১ হাজার ৭০০, শার্শায় ১ হাজার ৯০০, ঝিকরগাছায় ১ হাজার ৭৮০, অভয়নগরে ১ হাজার ২০০ বাঘারপাড়ায় ১ হাজার ৩০০, মনিরামপুরে ২ হাজার ৬০০ ও কেশবপুরে ১ হাজার ২০০ কৃষক রয়েছেন।
কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, প্রণোদনা পেলে কৃষকেরা আউশ আবাদে আগ্রহী হবেন। এর মাধ্যমে তাঁরা কম-বেশি আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। বিভিন্ন উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলার আট উপজেলায় একযোগে আউশের প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তালিকাভুক্ত সব কৃষকের হাতে বীজ ও সার তুলে দেওয়া হবে।
গত বৃহস্পতিবার সদর উপজেলায় প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকের হাতে এই বীজ ও সার তুলে দেওয়া হয়। সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহম্মেদ চৌধুরী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ সাজ্জাদ হোসেন, সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেনসহ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে চৌগাছা উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে পরিষদের সদস্যরা অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ করায় এখনো তালিকা সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়নি বলে জানা গেছে। তবে এক সপ্তাহের মধ্যে এই তালিকা সম্পন্ন করে পরের এক সপ্তাহের মধ্যে সার ও বীজ বিতরণ শেষ করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা (এসএএও) রাশেদুল ইসলাম।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ সাজ্জাদ হোসেন জানান, সদর উপজেলার হৈবতপুর ইউনিয়নে ৩২০ ও কাশিমপুর ইউনিয়নে ১৮০ জন কৃষক প্রণোদনার বীজ ও সার পাচ্ছেন। এ ছাড়া বাকি ১২টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে ১১০ জন করে কৃষক পাচ্ছেন প্রণোদনার বীজ ও সার। তবে উপশহর ইউনিয়ন ও পৌরসভায় আউশের আবাদ করার মতো কৃষক না থাকায় এ দুই জায়গায় কোনো কৃষক প্রণোদনার আওতায় আসেননি।
এ ছাড়া চৌগাছার ১১ ইউনিয়ন ও এক পৌরসভার মধ্যে ফুলসারা ইউপিতে ১৫৫ কৃষক, পাশাপোলে ১২০, সিংহঝুলি, ধুলিয়ানী, চৌগাছা সদর, জগদীশপুর ইউপি এবং চৌগাছা পৌরসভায় ১২০ জন করে, পাতিবিলা ইউপিতে ১৩০, হাকিমপুর ইউপির ১৪০, স্বরুপদাহ, নারায়ণপুর ও সুখপুকুরিয়া ইউপিতে ১৮৫ জন করে কৃষক এই প্রণোদনা পাবেন বলে জানিয়েছেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রণোদনা হিসেবে ব্রি ধান-৪৮ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের। পাঁচ কেজি বীজে এক বিঘা জমি বপন কিংবা রোপণ করা যাবে। যাতে প্রতি বিঘায় ২০ মণ করে ফলন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যাদের প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে তাঁদের অধিকাংশ কৃষক নিয়মিত আউশের আবাদ করেন বলে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের দাবি।
যশোর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘আউশে প্রণোদনা দেওয়ার মাধ্যমে ধানের আবাদে একধাপ এগিয়ে গেল। এতে চাষিদের মধ্যে আগ্রহ বাড়বে। যারা নিয়মিত আউশের আবাদ করেন তাঁদেরই প্রণোদনার বীজ ও সার দেওয়া হচ্ছে।’
যশোরে চলতি বোরো মৌসুমে আউশের প্রণোদনা পাচ্ছেন ১৩ হাজার ৫০০ কৃষক। তাঁদের দেওয়া হচ্ছে এক কোটি পাঁচ লাখ ৪৬ হাজার ৮০০ টাকার বীজ ও সার। প্রত্যেক কৃষক পাঁচ কেজি আউশ ধানের বীজ, ২০ কেজি ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) ও ১০ কেজি মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) সার পাবেন।
ইতিমধ্যে বিভিন্ন উপজেলায় এ প্রণোদনা বিতরণ শুরু হয়েছে। আবার কিছু উপজেলায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে জটিলতায় তালিকা করতে দেরি হওয়ায় বিতরণ শুরু হয়নি। তবে ঈদুল ফিতরের আগেই বিতরণ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, যশোরের আট উপজেলায় আউশচাষিদের মধ্য থেকে সাড়ে ১৩ হাজার কৃষকের তালিকা করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১ হাজার ৮২০, চৌগাছায় ১ হাজার ৭০০, শার্শায় ১ হাজার ৯০০, ঝিকরগাছায় ১ হাজার ৭৮০, অভয়নগরে ১ হাজার ২০০ বাঘারপাড়ায় ১ হাজার ৩০০, মনিরামপুরে ২ হাজার ৬০০ ও কেশবপুরে ১ হাজার ২০০ কৃষক রয়েছেন।
কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, প্রণোদনা পেলে কৃষকেরা আউশ আবাদে আগ্রহী হবেন। এর মাধ্যমে তাঁরা কম-বেশি আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। বিভিন্ন উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলার আট উপজেলায় একযোগে আউশের প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তালিকাভুক্ত সব কৃষকের হাতে বীজ ও সার তুলে দেওয়া হবে।
গত বৃহস্পতিবার সদর উপজেলায় প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকের হাতে এই বীজ ও সার তুলে দেওয়া হয়। সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহম্মেদ চৌধুরী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ সাজ্জাদ হোসেন, সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেনসহ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে চৌগাছা উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে পরিষদের সদস্যরা অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ করায় এখনো তালিকা সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়নি বলে জানা গেছে। তবে এক সপ্তাহের মধ্যে এই তালিকা সম্পন্ন করে পরের এক সপ্তাহের মধ্যে সার ও বীজ বিতরণ শেষ করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা (এসএএও) রাশেদুল ইসলাম।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ সাজ্জাদ হোসেন জানান, সদর উপজেলার হৈবতপুর ইউনিয়নে ৩২০ ও কাশিমপুর ইউনিয়নে ১৮০ জন কৃষক প্রণোদনার বীজ ও সার পাচ্ছেন। এ ছাড়া বাকি ১২টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে ১১০ জন করে কৃষক পাচ্ছেন প্রণোদনার বীজ ও সার। তবে উপশহর ইউনিয়ন ও পৌরসভায় আউশের আবাদ করার মতো কৃষক না থাকায় এ দুই জায়গায় কোনো কৃষক প্রণোদনার আওতায় আসেননি।
এ ছাড়া চৌগাছার ১১ ইউনিয়ন ও এক পৌরসভার মধ্যে ফুলসারা ইউপিতে ১৫৫ কৃষক, পাশাপোলে ১২০, সিংহঝুলি, ধুলিয়ানী, চৌগাছা সদর, জগদীশপুর ইউপি এবং চৌগাছা পৌরসভায় ১২০ জন করে, পাতিবিলা ইউপিতে ১৩০, হাকিমপুর ইউপির ১৪০, স্বরুপদাহ, নারায়ণপুর ও সুখপুকুরিয়া ইউপিতে ১৮৫ জন করে কৃষক এই প্রণোদনা পাবেন বলে জানিয়েছেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রণোদনা হিসেবে ব্রি ধান-৪৮ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের। পাঁচ কেজি বীজে এক বিঘা জমি বপন কিংবা রোপণ করা যাবে। যাতে প্রতি বিঘায় ২০ মণ করে ফলন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যাদের প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে তাঁদের অধিকাংশ কৃষক নিয়মিত আউশের আবাদ করেন বলে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের দাবি।
যশোর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘আউশে প্রণোদনা দেওয়ার মাধ্যমে ধানের আবাদে একধাপ এগিয়ে গেল। এতে চাষিদের মধ্যে আগ্রহ বাড়বে। যারা নিয়মিত আউশের আবাদ করেন তাঁদেরই প্রণোদনার বীজ ও সার দেওয়া হচ্ছে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪