Ajker Patrika

মুমিনুলদের কাছে বড় ইনিংসের প্রত্যাশা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩১ মার্চ ২০২২, ১১: ০৩
মুমিনুলদের কাছে  বড় ইনিংসের প্রত্যাশা

বাংলাদেশ দলের উদ্বোধনী জুটিটা মিউজিক্যাল চেয়ারের মতো! সিরিজের সঙ্গে যেন বদলে যায় উদ্বোধনী জুটিও। সর্বশেষ নিউজিল্যান্ড সফরে দারুণ খেলার পরও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আজ ডারবানে টেস্টেও দেখা যাওয়ার কথা নতুন উদ্বোধনী জুটির।

গতকাল বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক সংবাদ সম্মেলনে ইঙ্গিত দিয়েছেন, তামিম ইকবালের সঙ্গে উদ্বোধন করবেন মাহমুদুল হাসান জয়। সর্বশেষ নিউজিল্যান্ড সফরেও চার ইনিংসে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন উদ্বোধনী জুটি দেখেছে বাংলাদেশ। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে প্রায় ১১ মাস পর অভিজাত সংস্করণে তামিমের ফেরায় ফের উদ্বোধনী জুটিতে পরিবর্তন আসবে, সেটি অনুমিতই ছিল। কিন্তু অভিজ্ঞ বাঁহাতি ওপেনারের সঙ্গে কে ওপেন করবেন, সেটিই ছিল প্রশ্ন। প্রশ্নের উত্তর মুমিনুল তো দিয়েছেনই। সব ঠিক থাকলে ওপেনিংয়ে ১১তম উদ্বোধনী সঙ্গী হিসেবে জয়কে পাচ্ছেন তামিম।

ইবাদতের কাঁধে আস্থার হাত ডোনাল্ডেরঘন ঘন উদ্বোধনী জুটি বদলালেও গত ২০ বছরে দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি পরিসংখ্যান বদলায়নি। সেখানে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো ব্যাটার সেঞ্চুরির দেখা পাননি। প্রোটিয়াদের সঙ্গে আগের তিন সফরে বাংলাদেশের হয়ে ফিফটি পেরোনো ইনিংসই খেলেছেন মাত্র সাত ব্যাটারের। তাঁদের মধ্যে চারজন নেই বর্তমানে টেস্ট দলে। অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম সর্বশেষ দুই সফরে তিন টেস্টের ৬ ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করতে পেরেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় ৪ টেস্টে ২১০ রান করে দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক মুশফিকুর রহিম। এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশের ব্যাটারদের পক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকায় সর্বোচ্চ ৭৭ রান এসেছে মুমিনুল হকের ব্যাট থেকে।

 টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটারদের এই হতশ্রী পারফরম্যান্সের প্রভাব পড়েছে দলীয় স্কোরেও। গত ২০ বছরে দক্ষিণ আফ্রিকায় মাত্র একবার ৩০০ পেরোনো স্কোর গড়তে পেরেছে বাংলাদেশ। সেখানে ১২ ইনিংসের ৮টিতেই বাংলাদেশ অলআউট ২০০-এর নিচে। সর্বশেষ ২০১৭ সালের সফরে পচেফস্ট্রুম টেস্টে মাত্র ৯০ রানে গুটিয়ে যাওয়ার তিক্ত অভিজ্ঞতাও আছে বাংলাদেশের।

প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টেস্ট জিততে হলে ব্যাটারদের যে লম্বা ইনিংস খেলতে হবে, সেটা অনুভব করছেন মুমিনুলও। লম্বা ইনিংস খেলতে হলে, কী করণীয়—সেটিও অজানা নয় তাঁর। গতকাল বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক বললেন, ‘দলের অবস্থা বুঝে খেলার চেষ্টা করি। সেশন ধরে ধরে কীভাবে ব্যাটিং করতে পারি, সেই চেষ্টা করি।’

শর্ট বলে বাংলাদেশের ব্যাটারদের দুর্বলতা নতুন নয়, বিশেষ করে বিদেশের মাঠে। এবারও দক্ষিণ আফ্রিকান ফাস্ট বোলাররা বাংলাদেশের ব্যাটারদের শর্ট বলে পরীক্ষা নিতে পারেন। তবে এই জায়গায় উন্নতি আনতে অনুশীলনে ভালোভাবেই কাজ করেছেন মুমিনুলরা। বাংলাদেশ অধিনায়ক বললেন, ‘শর্ট বল নিয়ে আমরা কাজ করছি। একটা সময় আসে যখন পেসাররা কিছু করতে পারে না, তখন শর্ট বল দিয়ে চেষ্টা করে। সে চাপটা কীভাবে সামলে উঠতে পারেন, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দলে যারা আছে, তারা সবাই টেস্টে বেশ অভিজ্ঞ। তারা জানে এই চাপটা কীভাবে কাটিয়ে উঠতে হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত