সাবিত আল হোসেন, বন্দর
কোনোভাবেই সুরক্ষিত হচ্ছে না শীতলক্ষ্যা নদীর নৌ চলাচল। একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটে যাচ্ছে ব্যস্ততম এই নদীপথে। কোনো কোনো দুর্ঘটনায় অনেক হতাহতের ঘটনাও ঘটছে। অনেকেই চালকদের বেপরোয়াকে দায়ী করছেন এসব দুর্ঘটনার জন্য। কীভাবে শীতলক্ষ্যার নৌপথকে সুরক্ষিত করা সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নগরবিদেরা। তাঁরা বলছেন, সড়কের মতো নদীপথে ট্রাফিকিং প্রয়োজন।
নারায়ণগঞ্জে সবচেয়ে বড় নৌ দুর্ঘটনাটি হয়েছিল যাত্রীবাহী লঞ্চ সাবিত আল হাসান ডুবে যাওয়ার মধ্য দিয়ে। গত ৪ এপ্রিলের ওই দুর্ঘটনায় ৩৪ জন লাশ হয়। স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে সদরের কয়লাঘাট ও বন্দরের মদনগঞ্জ। নিহত ৩১ জনের পরিবারকে এক লাখ টাকা দিয়ে কেটে পড়ে এসকেএল-৩ জাহাজের মালিকপক্ষ। তিনটি পরিবার সেই টাকা গ্রহণ না করে মামলা চালিয়ে নেওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিল গণমাধ্যমের কাছে। কিন্তু তত দিনে হারিয়ে গেছে সেই শোক। নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ রুটে এখনো নিয়মিত চলাচল করে যাচ্ছে ছোট ছোট লঞ্চ।
শুধু লঞ্চ নয়, প্রতিদিন নারায়ণগঞ্জ শহর ও বন্দরের বাসিন্দাদের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম নৌকা ও ট্রলার। যাত্রী পারাপার করতে গিয়ে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। কখনো বাল্কহেড বা জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা, আবার কখনো উত্তাল ঢেউয়ের আঘাতে ব্যালেন্স হারিয়ে ফেলা। এভাবে প্রায়ই নৌ দুর্ঘটনা ঘটে শীতলক্ষ্যার বুকে। একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটলেও স্থায়ী কোনো সমাধান আসেনি প্রশাসনের তরফ থেকে।
চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি হাজীগঞ্জ নবীগঞ্জ ট্রলার ঘাটে বেপরোয়া গতিতে ট্রলার ঘোরানোর সময় সাদ্দাম হোসেন নামে এক পোশাকশ্রমিক পড়ে তলিয়ে যান। পরে শীতলক্ষ্যা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
একই মাসের ২৭ জানুয়ারি নবীগঞ্জ ঘাটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে যাত্রীবাহী ট্রলার। এ সময় বেশ কয়েক যাত্রী ট্রলার থেকে ছিটকে নদীতে পড়ে আহত হলেও সেই যাত্রায় কেউ মারা যাননি।
গত ৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যায় নৌ দুর্ঘটনার দুঃখজনক ইতিহাস রচিত হয়। এদিন সন্ধ্যায় শীতলক্ষ্যার কয়লাঘাট এলাকায় মুন্সিগঞ্জগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ সাবিত আল হাসানকে ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে দেয় কার্গো জাহাজ এসকেএল-৩। এই দুর্ঘটনায় ৩৪ জনের প্রাণহানি ঘটে। ঘটনার পর একাধিক তদন্ত কমিটি গঠিত হয় এবং সেসব কমিটি স্ব স্ব দপ্তরে প্রতিবেদনও জমা দেয়। সেখানে বেশ কয়েকটি সুপারিশ করা হলেও তা আজ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি। ২৪ মে সেন্ট্রাল খেয়াঘাট থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রলারকে ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে দেয় বাল্কহেড। সে যাত্রায় বেঁচে যান প্রায় ৩০-৩৫ জন যাত্রী।
সবশেষ ১৪ আগস্ট শীতলক্ষ্যায় বালুবাহী একটি বাল্কহেড ফেরিকে ধাক্কা দিয়ে তার ইঞ্জিন রুম ক্ষতিগ্রস্ত করে। এই ঘটনায় বড় কোনো ক্ষতি না হলেও ফেরিতে থাকা বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল নিচে পড়ে যায়।
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সদস্য শারমিন সোনিয়া মুরশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, নৌযানের ব্যবহার আগের তুলনায় অনেকগুণ বেড়েছে। শুধু অভ্যন্তরীণ রুটে নয়, আন্তর্জাতিকভাবেও এর ব্যবহার বাড়ছে। সড়কে যেমন যানবাহনের জন্য একটি ট্রাফিক ব্যবস্থা এবং আইন রয়েছে, তেমনি নৌপথেও করা জরুরি। তাহলে এ অবস্থা থেকে উত্তরণ করা যেতে পারে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহীদুল আলম বলেন, নদীতে ট্রাফিকিং ব্যবস্থা করার কোনো সুযোগ আছে বলে আমার মনে হয় না। যাঁরা নদীতে নৌযান পরিচালনা করেন, তাঁরা সতর্ক হলে নৌ দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
নৌ নিরাপত্তার বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, শীতলক্ষ্যায় ৫টি নৌ দুর্ঘটনার মধ্যে একটি বড়, একটি মাঝারি ও বাকি ৩টি ছোট ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে ছোট-বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটুক আমরা তা প্রত্যাশা করি না। এ জন্য আমরা বিআইডব্লিউটিএর মাধ্যমে ইতিমধ্যে যাঁরা নৌযান চালক আছেন তাঁদের সতর্ক করছি। কখনো কখনো তাঁদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি। যাঁরা চালক নন তাঁরা যেন কোনোভাবেই নৌযান পরিচালনা না করেন। এ ছাড়া কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস তাদের মাধ্যমেও আমরা প্রচারণা চালিয়ে থাকি। আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা প্রায়ই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছেন, যাতে নৌ দুর্ঘটনা কম হয়।
কোনোভাবেই সুরক্ষিত হচ্ছে না শীতলক্ষ্যা নদীর নৌ চলাচল। একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটে যাচ্ছে ব্যস্ততম এই নদীপথে। কোনো কোনো দুর্ঘটনায় অনেক হতাহতের ঘটনাও ঘটছে। অনেকেই চালকদের বেপরোয়াকে দায়ী করছেন এসব দুর্ঘটনার জন্য। কীভাবে শীতলক্ষ্যার নৌপথকে সুরক্ষিত করা সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নগরবিদেরা। তাঁরা বলছেন, সড়কের মতো নদীপথে ট্রাফিকিং প্রয়োজন।
নারায়ণগঞ্জে সবচেয়ে বড় নৌ দুর্ঘটনাটি হয়েছিল যাত্রীবাহী লঞ্চ সাবিত আল হাসান ডুবে যাওয়ার মধ্য দিয়ে। গত ৪ এপ্রিলের ওই দুর্ঘটনায় ৩৪ জন লাশ হয়। স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে সদরের কয়লাঘাট ও বন্দরের মদনগঞ্জ। নিহত ৩১ জনের পরিবারকে এক লাখ টাকা দিয়ে কেটে পড়ে এসকেএল-৩ জাহাজের মালিকপক্ষ। তিনটি পরিবার সেই টাকা গ্রহণ না করে মামলা চালিয়ে নেওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিল গণমাধ্যমের কাছে। কিন্তু তত দিনে হারিয়ে গেছে সেই শোক। নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ রুটে এখনো নিয়মিত চলাচল করে যাচ্ছে ছোট ছোট লঞ্চ।
শুধু লঞ্চ নয়, প্রতিদিন নারায়ণগঞ্জ শহর ও বন্দরের বাসিন্দাদের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম নৌকা ও ট্রলার। যাত্রী পারাপার করতে গিয়ে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। কখনো বাল্কহেড বা জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা, আবার কখনো উত্তাল ঢেউয়ের আঘাতে ব্যালেন্স হারিয়ে ফেলা। এভাবে প্রায়ই নৌ দুর্ঘটনা ঘটে শীতলক্ষ্যার বুকে। একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটলেও স্থায়ী কোনো সমাধান আসেনি প্রশাসনের তরফ থেকে।
চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি হাজীগঞ্জ নবীগঞ্জ ট্রলার ঘাটে বেপরোয়া গতিতে ট্রলার ঘোরানোর সময় সাদ্দাম হোসেন নামে এক পোশাকশ্রমিক পড়ে তলিয়ে যান। পরে শীতলক্ষ্যা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
একই মাসের ২৭ জানুয়ারি নবীগঞ্জ ঘাটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে যাত্রীবাহী ট্রলার। এ সময় বেশ কয়েক যাত্রী ট্রলার থেকে ছিটকে নদীতে পড়ে আহত হলেও সেই যাত্রায় কেউ মারা যাননি।
গত ৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যায় নৌ দুর্ঘটনার দুঃখজনক ইতিহাস রচিত হয়। এদিন সন্ধ্যায় শীতলক্ষ্যার কয়লাঘাট এলাকায় মুন্সিগঞ্জগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ সাবিত আল হাসানকে ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে দেয় কার্গো জাহাজ এসকেএল-৩। এই দুর্ঘটনায় ৩৪ জনের প্রাণহানি ঘটে। ঘটনার পর একাধিক তদন্ত কমিটি গঠিত হয় এবং সেসব কমিটি স্ব স্ব দপ্তরে প্রতিবেদনও জমা দেয়। সেখানে বেশ কয়েকটি সুপারিশ করা হলেও তা আজ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি। ২৪ মে সেন্ট্রাল খেয়াঘাট থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রলারকে ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে দেয় বাল্কহেড। সে যাত্রায় বেঁচে যান প্রায় ৩০-৩৫ জন যাত্রী।
সবশেষ ১৪ আগস্ট শীতলক্ষ্যায় বালুবাহী একটি বাল্কহেড ফেরিকে ধাক্কা দিয়ে তার ইঞ্জিন রুম ক্ষতিগ্রস্ত করে। এই ঘটনায় বড় কোনো ক্ষতি না হলেও ফেরিতে থাকা বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল নিচে পড়ে যায়।
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সদস্য শারমিন সোনিয়া মুরশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, নৌযানের ব্যবহার আগের তুলনায় অনেকগুণ বেড়েছে। শুধু অভ্যন্তরীণ রুটে নয়, আন্তর্জাতিকভাবেও এর ব্যবহার বাড়ছে। সড়কে যেমন যানবাহনের জন্য একটি ট্রাফিক ব্যবস্থা এবং আইন রয়েছে, তেমনি নৌপথেও করা জরুরি। তাহলে এ অবস্থা থেকে উত্তরণ করা যেতে পারে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহীদুল আলম বলেন, নদীতে ট্রাফিকিং ব্যবস্থা করার কোনো সুযোগ আছে বলে আমার মনে হয় না। যাঁরা নদীতে নৌযান পরিচালনা করেন, তাঁরা সতর্ক হলে নৌ দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
নৌ নিরাপত্তার বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, শীতলক্ষ্যায় ৫টি নৌ দুর্ঘটনার মধ্যে একটি বড়, একটি মাঝারি ও বাকি ৩টি ছোট ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে ছোট-বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটুক আমরা তা প্রত্যাশা করি না। এ জন্য আমরা বিআইডব্লিউটিএর মাধ্যমে ইতিমধ্যে যাঁরা নৌযান চালক আছেন তাঁদের সতর্ক করছি। কখনো কখনো তাঁদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি। যাঁরা চালক নন তাঁরা যেন কোনোভাবেই নৌযান পরিচালনা না করেন। এ ছাড়া কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস তাদের মাধ্যমেও আমরা প্রচারণা চালিয়ে থাকি। আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা প্রায়ই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছেন, যাতে নৌ দুর্ঘটনা কম হয়।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪