
ড. ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী?
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পরে যে সরকার গঠিত হয়েছে, সেটাকে আমরা অন্তর্বর্তী সরকার বলছি। কিন্তু তাদের মনে রাখতে হবে, তারা জনগণের অভিপ্রায় নিয়ে নির্বাচিত সরকার। এ সরকারে যাঁরা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁরা নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে যোগ্য ব্যক্তি। কিন্তু সে জায়গা থেকে মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশের মানুষের যে নানা ধরনের দুঃখ-দুর্দশা, বঞ্চনা আছে, সেটা শুধু গত ১৫ বছরের নয়, সেটা ৫৩ বছর ধরে চলছে। সেই বঞ্চনা নিরসনের দায়িত্ব তাঁদের নিতে হবে। এই দায়িত্বের জায়গায় তাঁরা আরও যোগ্য হয়ে উঠবেন এবং জনগণের বঞ্চনার জায়গাটা অনুভব করে সেই জায়গাগুলোতে সমাধানের চেষ্টা করবেন।
আমরা মনে করি, ব্যক্তির সততার চেয়ে সিস্টেমের পরিবর্তন করা খুব জরুরি। উপদেষ্টাদের নিজের দায়বোধ থেকে এবং গণ-অভ্যুত্থানের অভিপ্রায়কে ধারণ করে কাজ করতে হবে। সেটা না হলে আমরা আসলে অনেকাংশে বিফল হব। অন্তর্বর্তী সরকার যদি এসব দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে এই গণ-অভ্যুত্থান আবারও ব্যর্থ হবে।
জনগণের বিপুল সমর্থন থাকা সত্ত্বেও সরকারের স্থবিরতা কাটছে না কেন?
এসবের জন্য বিবিধ কারণ আছে। এ দেশের মানুষের ৫৩ বছরের বঞ্চনা আছে। কিন্তু গত ১৫ বছরে যা যা করা হয়েছে তাতে নাগরিকের আত্মমর্যাদাবোধ এবং রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বকে পুরোপুরি ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে। এখানে নাগরিক বলতে কোনো প্রকার ধারণার আর অস্তিত্ব নেই। নাম না জানা অনেকগুলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৈরি করা হয়েছিল। আমরা নাগরিক হিসেবে তারা কে ও কী, সেটা জানি না। এখনো সবগুলোর পরিচয় উন্মোচিত হয়নি। এই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো কার, তাদের কী কাজ, সেটা আমরা জানি না।
র্যাব, পুলিশ, বিজিবি—সবগুলোকে আমরা এক করে দেখছি। কিন্তু প্রত্যেক বাহিনীর তো আলাদা আলাদা দায়িত্ব আছে। তাদের আলাদা আলাদা চরিত্র আছে। সেই বাহিনীগুলো গঠন করা হয়েছে আলাদা আলাদা কাজ করার জন্য। কিন্তু গত ১৫ বছরে এসব বাহিনীর আলাদা আলাদা কাজের বৈশিষ্ট্যগুলো ধ্বংস করা হয়েছে।
আমরা চাই, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো জনগণের পক্ষের এবং আশা-আকাঙ্ক্ষা ও ভরসার জায়গা হয়ে উঠুক। অন্তর্বর্তী সরকারের সীমাবদ্ধতা নিয়ে বিরোধী মত থাকতে পারে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সচল করা দরকার। এ প্রসঙ্গে পুলিশ বাহিনীর কথা বিশেষভাবে বলা জরুরি। তাদের সংস্কার করতে হবে। তারাও যে গত ১৫ বছর দলীয়ভাবে ব্যবহৃত হয়েছে, সেটা নিয়ে তাদের কোনো কথা ছিল না। এই জায়গাগুলো আমাদের লক্ষ করা দরকার। এই জায়গাগুলোতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে না বলেই অন্তর্বর্তী সরকার মন্থর গতিতে চলছে। এসব দ্রুত কাটিয়ে ওঠা উচিত। প্রথমেই এ দেশের মানুষের জানমালের নিরাপত্তা যদি ঠিক করা না যায়, তাহলে জরুরি যেসব বিষয়ে সংলাপ করা দরকার, সেসব করা সম্ভব হচ্ছে না।
অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো ব্যর্থতা দেখছেন?
অন্তর্বর্তী সরকার প্রায় দুই মাস পার করছে। আমরা মনে করি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা তাদের প্রথম কাজ ছিল। যখন শেখ হাসিনা এ দেশ ছেড়ে চলে যান, সেই সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পুরো নিয়ন্ত্রণ নেওয়া দরকার ছিল। জনগণের নিরাপত্তা শতভাগ নিশ্চিত করা দরকার ছিল। যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো যেন না ঘটতে পারে সেই চেষ্টা করা উচিত ছিল। চেষ্টাটা তাদের পক্ষ থেকে দেখা যায়নি।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আগের পাঁচ দিন ছিল একটা দুর্বিষহ সময়। কিন্তু সে সময়ে সাধারণ মানুষ নিজ দায়িত্বে প্রতিরোধ করেছে। যেভাবে গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশের মানুষ অর্জন করেছে, সেই স্পিরিট নিয়ে তারা ডাকাতির ঘটনাগুলো প্রতিরোধ করেছে। আবার সেই স্পিরিট নিয়ে ত্রাণ কার্যক্রমেও অংশ নিয়েছে। আমাদের কথা হলো, জনগণ তো রাষ্ট্রকে তার ট্যাক্স দিচ্ছে। কিন্তু রাষ্ট্র বা নতুন সরকার কেন এসব নিয়ে সক্রিয় হচ্ছে না? আমরা দেখেছি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পরপরই বারবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের যোগদানের জন্য। এখন পর্যন্ত শতভাগ যোগদান সম্পন্ন হয়নি। এটা কেন হচ্ছে না, সেটা সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে। যাঁরা বিভিন্ন পদে দায়িত্বরত আছেন, তাঁদেরও জবাবদিহি করতে হবে।
আপনাদের উদ্যোগ কি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের দিকে যাবে?
বাংলাদেশের মানুষ এখনো পূর্বের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নিয়ে ট্রমাটাইজড অবস্থায় আছে। এ অবস্থার মধ্যেও তারা পরিবর্তন, সংস্কার, পুনর্গঠন এবং নানা আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা ব্যক্ত করছে। এত শহীদ এবং অসংখ্য মানুষের হতাহতের পরেই কাঙ্ক্ষিত গণ-অভ্যুত্থান আমরা পেয়েছি। আমরা মনে করি না, এত মানুষের ত্যাগের পর শুধু নির্বাচন ও বিচারব্যবস্থার সংস্কার হলে এর উদ্দেশ্য সফল হবে।
বাংলাদেশের সবকিছু ভেঙে পড়েছে। এই সবকিছু ঠিক করা এখন আশু কর্তব্য। বাংলাদেশের মানুষের যে নাগরিকত্ব, সার্বভৌমত্বের জায়গাগুলো ভূলুণ্ঠিত হয়েছে—সেগুলো ফিরিয়ে আনা খুব জরুরি। এ কারণে আমরা মনে করছি, জাতীয় নাগরিক কমিটি এসব বিষয় নিশ্চিত করার জন্য কাজ করবে। কিন্তু আমরা যদি এখনই নির্বাচনকেন্দ্রিক চিন্তাভাবনা করি, তাহলে এমন একটা পরিস্থিতির মধ্যে আটকে যাব, তখন আর দেশের মানুষের মনের কথা বলতে পারব না। তাই রাজনৈতিক দল হবে কি না, সেটা আপাতত বলা যাচ্ছে না।
তরুণদের নেতৃত্বের কথাও বলছি। এই তরুণ নেতৃত্ব যদি মনে করে রাজনৈতিক দলের অংশ হতে চায়, সেটা তারা হতে পারে। কিন্তু আমরা মনে করছি, যেকোনো রাজনৈতিক, সামাজিক উদ্যোগের চেয়েও এ দেশের মানুষের সার্বভৌমত্ব ফিরিয়ে আনার বিষয়টি একটি সামষ্টিক উদ্যোগ। আর সামষ্টিক উদ্যোগের কারণে গণ-অভ্যুত্থান সম্ভব হয়েছে। এটাকে সমুন্নত রাখা আশু কর্তব্য।
আপনাদের অ্যাজেন্ডা তো অন্য পার্টি বাস্তবায়ন করবে না। পার্টি গঠন না করলে তো গণ-অভ্যুত্থানের স্পিরিট ভূলুণ্ঠিত হওয়ার আশঙ্কা আছে।
আমরা এর আগেও দেখেছি, মুক্তিযুদ্ধে একটা দেশের সব মানুষের সামষ্টিক অর্জনকে কীভাবে একটা দলীয় অর্জনে পরিণত করা হয়েছে। আমরা মনে করি, বাংলাদেশের মানুষের একটা কমন প্ল্যাটফর্ম থাকা দরকার, যেখানে যে কেউ রাজনৈতিক দল ব্যতীত তার রাজনৈতিক বোঝাপড়া দিয়ে
দেশ ও জনগণ নিয়ে কথা এবং কাজ করতে চায়। এ রকম একটা প্ল্যাটফর্ম থাকা অতীব জরুরি। এ দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়েও মানুষের ট্রমা আছে। সেটা কাটানোর জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সহনশীল এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা খুব জরুরি। জনগণের দাবি-দাওয়া তুলে ধরতে এবং তাদের কথা বলার জন্যই জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠিত হয়েছে।
আপনাদের সংগঠনের প্রথম প্রস্তাবনায় বলেছেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হওয়া সামষ্টিক অভিপ্রায় ও গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে সমুন্নত রাখা।’ কীভাবে করবেন?
গণ-অভ্যুত্থানের সময় অধিকাংশ মানুষ মাঠে যে সক্রিয় ছিলেন, সেটা শুধু শেখ হাসিনাকে হটানোর ব্যাপার ছিল না। তিনি যে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সেটার পুরোটা বিলোপ করার জন্য তাঁরা মাঠে নেমেছিলেন। আগামী দিনে যে কেউ ফ্যাসিবাদী হয়ে উঠতে পারে। সে জন্য কি এ দেশের মানুষ বারবার রক্ত ঝরাবে? তারা বারবার তাদের ত্যাগ স্বীকার করে অধিকার নিশ্চিত করতে থাকবে? সেটা তো হতে পারে না।
১৫০০-এর ওপরে চলে গেছে শহীদের সংখ্যা। আর কত জন আছেন, সেটা আমরা জানি না। খুঁজে পাব কি না, সেটাও নিশ্চিত নই। এতগুলো মানুষের শহিদি মৃত্যু কখনো একজনকে হঠানোর আন্দোলন ছিল না। এ জন্য দরকার পুরো ব্যবস্থার বিলোপ। যে কারণে এত দিন বাংলাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হয়েছিল, সেটাকে হটানোর আন্দোলন হিসেবে এটাকে দেখতে হবে।
এই ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপের সঙ্গে সঙ্গে ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত’ লাগবে। যাতে করে এ দেশে এমন একটা স্থায়ী ব্যবস্থা তৈরি হয়, যেখানে রাজনৈতিক সহাবস্থান তৈরি হয় সবার মধ্যে, যিনি যে মতাদর্শেরই হোন না কেন। কারণ, আমরা দেখেছি, বাংলাদেশে কখনো ক্ষমতার হস্তান্তর শান্তিপূর্ণভাবে হয়নি। এসব ব্যাপার আমাদের বারবার রাজনৈতিকভাবে পিছিয়ে দিচ্ছে। গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা শুধু একটা কেন্দ্রে ছিল না। এর বাইরে আরও আকাঙ্ক্ষা ছিল। সেই আকাঙ্ক্ষাকে সমুন্নত রাখা নাগরিক কমিটির কাজ।
আপনি ছাত্রজীবনে তেল-গ্যাস রক্ষা থেকে নানা আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। এখন এই প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হলেন। এই পরিবর্তনের কারণ কী?
ব্যক্তিগত আশা-আকাঙ্ক্ষার চেয়ে আমি সামষ্টিক আশা-আকাঙ্ক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দিই। আমি নিজেও তা করে থাকি। কিন্তু একটা কথা না বললেই না যে, আমাদের প্রজন্ম শেখ হাসিনার শাসনামল দেখে বড় হয়েছে। আমাদের তারুণ্য, যৌবনের সময়গুলো হাসিনা রেজিমের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে। আমরা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রজীবনে নানা ধরনের রাজনৈতিক তৎপরতায় যুক্ত ছিলাম, সবার চেষ্টা ছিল এ অবস্থার পরিবর্তন করা যায় কীভাবে, এ দেশে কীভাবে একটা জনমুখী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা যায়। সেই ভাবনা থেকে কাজ করতে গিয়ে নানা সময়ে নানা বাঁক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে নিজেরাও যেমন পরিবর্তিত হয়েছি, তেমনি দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষার মধ্য দিয়েও আমাদের চিন্তার পরিবর্তন হয়েছে। তাই জনমুখী আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে আন্দোলন করতে হয়েছে। ছাত্রসহ জনগণের নানা অধিকারভিত্তিক আন্দোলন করতে হয়েছে। ছাত্রলীগের দৌরাত্ম্যের মুখোমুখি হতে হয়েছে আমাদের। এসব কর্মকাণ্ড শুধু একজন ব্যক্তির ব্যাপার ছিল না। কখনো আমাদের মিছিলে অনেক কম লোক ছিল, আবার কখনো বেশি ছিল। কিন্তু এই ধারাবাহিক প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে আমরা শেখ হাসিনা রেজিমের একজন ব্যক্তিকে সরাতে পেরেছি।
এই সিস্টেমের অসংখ্য মানুষ এখনো সক্রিয় আছে। আমরা মনে করি, মানুষের ধারাবাহিক প্রতিবাদের যে যাত্রা চলমান আছে, সে যাত্রাকে সামনে আরও বহুদূর এগিয়ে নিতে হবে। এভাবে মানুষের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের যাত্রা চলমান থাকবে। এটা কোনো একক ব্যক্তির ব্যাপার না, সামষ্টিক চিন্তার ব্যাপার।
ড. ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী?
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পরে যে সরকার গঠিত হয়েছে, সেটাকে আমরা অন্তর্বর্তী সরকার বলছি। কিন্তু তাদের মনে রাখতে হবে, তারা জনগণের অভিপ্রায় নিয়ে নির্বাচিত সরকার। এ সরকারে যাঁরা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁরা নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে যোগ্য ব্যক্তি। কিন্তু সে জায়গা থেকে মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশের মানুষের যে নানা ধরনের দুঃখ-দুর্দশা, বঞ্চনা আছে, সেটা শুধু গত ১৫ বছরের নয়, সেটা ৫৩ বছর ধরে চলছে। সেই বঞ্চনা নিরসনের দায়িত্ব তাঁদের নিতে হবে। এই দায়িত্বের জায়গায় তাঁরা আরও যোগ্য হয়ে উঠবেন এবং জনগণের বঞ্চনার জায়গাটা অনুভব করে সেই জায়গাগুলোতে সমাধানের চেষ্টা করবেন।
আমরা মনে করি, ব্যক্তির সততার চেয়ে সিস্টেমের পরিবর্তন করা খুব জরুরি। উপদেষ্টাদের নিজের দায়বোধ থেকে এবং গণ-অভ্যুত্থানের অভিপ্রায়কে ধারণ করে কাজ করতে হবে। সেটা না হলে আমরা আসলে অনেকাংশে বিফল হব। অন্তর্বর্তী সরকার যদি এসব দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে এই গণ-অভ্যুত্থান আবারও ব্যর্থ হবে।
জনগণের বিপুল সমর্থন থাকা সত্ত্বেও সরকারের স্থবিরতা কাটছে না কেন?
এসবের জন্য বিবিধ কারণ আছে। এ দেশের মানুষের ৫৩ বছরের বঞ্চনা আছে। কিন্তু গত ১৫ বছরে যা যা করা হয়েছে তাতে নাগরিকের আত্মমর্যাদাবোধ এবং রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বকে পুরোপুরি ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে। এখানে নাগরিক বলতে কোনো প্রকার ধারণার আর অস্তিত্ব নেই। নাম না জানা অনেকগুলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৈরি করা হয়েছিল। আমরা নাগরিক হিসেবে তারা কে ও কী, সেটা জানি না। এখনো সবগুলোর পরিচয় উন্মোচিত হয়নি। এই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো কার, তাদের কী কাজ, সেটা আমরা জানি না।
র্যাব, পুলিশ, বিজিবি—সবগুলোকে আমরা এক করে দেখছি। কিন্তু প্রত্যেক বাহিনীর তো আলাদা আলাদা দায়িত্ব আছে। তাদের আলাদা আলাদা চরিত্র আছে। সেই বাহিনীগুলো গঠন করা হয়েছে আলাদা আলাদা কাজ করার জন্য। কিন্তু গত ১৫ বছরে এসব বাহিনীর আলাদা আলাদা কাজের বৈশিষ্ট্যগুলো ধ্বংস করা হয়েছে।
আমরা চাই, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো জনগণের পক্ষের এবং আশা-আকাঙ্ক্ষা ও ভরসার জায়গা হয়ে উঠুক। অন্তর্বর্তী সরকারের সীমাবদ্ধতা নিয়ে বিরোধী মত থাকতে পারে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সচল করা দরকার। এ প্রসঙ্গে পুলিশ বাহিনীর কথা বিশেষভাবে বলা জরুরি। তাদের সংস্কার করতে হবে। তারাও যে গত ১৫ বছর দলীয়ভাবে ব্যবহৃত হয়েছে, সেটা নিয়ে তাদের কোনো কথা ছিল না। এই জায়গাগুলো আমাদের লক্ষ করা দরকার। এই জায়গাগুলোতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে না বলেই অন্তর্বর্তী সরকার মন্থর গতিতে চলছে। এসব দ্রুত কাটিয়ে ওঠা উচিত। প্রথমেই এ দেশের মানুষের জানমালের নিরাপত্তা যদি ঠিক করা না যায়, তাহলে জরুরি যেসব বিষয়ে সংলাপ করা দরকার, সেসব করা সম্ভব হচ্ছে না।
অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো ব্যর্থতা দেখছেন?
অন্তর্বর্তী সরকার প্রায় দুই মাস পার করছে। আমরা মনে করি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা তাদের প্রথম কাজ ছিল। যখন শেখ হাসিনা এ দেশ ছেড়ে চলে যান, সেই সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পুরো নিয়ন্ত্রণ নেওয়া দরকার ছিল। জনগণের নিরাপত্তা শতভাগ নিশ্চিত করা দরকার ছিল। যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো যেন না ঘটতে পারে সেই চেষ্টা করা উচিত ছিল। চেষ্টাটা তাদের পক্ষ থেকে দেখা যায়নি।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আগের পাঁচ দিন ছিল একটা দুর্বিষহ সময়। কিন্তু সে সময়ে সাধারণ মানুষ নিজ দায়িত্বে প্রতিরোধ করেছে। যেভাবে গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশের মানুষ অর্জন করেছে, সেই স্পিরিট নিয়ে তারা ডাকাতির ঘটনাগুলো প্রতিরোধ করেছে। আবার সেই স্পিরিট নিয়ে ত্রাণ কার্যক্রমেও অংশ নিয়েছে। আমাদের কথা হলো, জনগণ তো রাষ্ট্রকে তার ট্যাক্স দিচ্ছে। কিন্তু রাষ্ট্র বা নতুন সরকার কেন এসব নিয়ে সক্রিয় হচ্ছে না? আমরা দেখেছি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পরপরই বারবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের যোগদানের জন্য। এখন পর্যন্ত শতভাগ যোগদান সম্পন্ন হয়নি। এটা কেন হচ্ছে না, সেটা সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে। যাঁরা বিভিন্ন পদে দায়িত্বরত আছেন, তাঁদেরও জবাবদিহি করতে হবে।
আপনাদের উদ্যোগ কি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের দিকে যাবে?
বাংলাদেশের মানুষ এখনো পূর্বের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নিয়ে ট্রমাটাইজড অবস্থায় আছে। এ অবস্থার মধ্যেও তারা পরিবর্তন, সংস্কার, পুনর্গঠন এবং নানা আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা ব্যক্ত করছে। এত শহীদ এবং অসংখ্য মানুষের হতাহতের পরেই কাঙ্ক্ষিত গণ-অভ্যুত্থান আমরা পেয়েছি। আমরা মনে করি না, এত মানুষের ত্যাগের পর শুধু নির্বাচন ও বিচারব্যবস্থার সংস্কার হলে এর উদ্দেশ্য সফল হবে।
বাংলাদেশের সবকিছু ভেঙে পড়েছে। এই সবকিছু ঠিক করা এখন আশু কর্তব্য। বাংলাদেশের মানুষের যে নাগরিকত্ব, সার্বভৌমত্বের জায়গাগুলো ভূলুণ্ঠিত হয়েছে—সেগুলো ফিরিয়ে আনা খুব জরুরি। এ কারণে আমরা মনে করছি, জাতীয় নাগরিক কমিটি এসব বিষয় নিশ্চিত করার জন্য কাজ করবে। কিন্তু আমরা যদি এখনই নির্বাচনকেন্দ্রিক চিন্তাভাবনা করি, তাহলে এমন একটা পরিস্থিতির মধ্যে আটকে যাব, তখন আর দেশের মানুষের মনের কথা বলতে পারব না। তাই রাজনৈতিক দল হবে কি না, সেটা আপাতত বলা যাচ্ছে না।
তরুণদের নেতৃত্বের কথাও বলছি। এই তরুণ নেতৃত্ব যদি মনে করে রাজনৈতিক দলের অংশ হতে চায়, সেটা তারা হতে পারে। কিন্তু আমরা মনে করছি, যেকোনো রাজনৈতিক, সামাজিক উদ্যোগের চেয়েও এ দেশের মানুষের সার্বভৌমত্ব ফিরিয়ে আনার বিষয়টি একটি সামষ্টিক উদ্যোগ। আর সামষ্টিক উদ্যোগের কারণে গণ-অভ্যুত্থান সম্ভব হয়েছে। এটাকে সমুন্নত রাখা আশু কর্তব্য।
আপনাদের অ্যাজেন্ডা তো অন্য পার্টি বাস্তবায়ন করবে না। পার্টি গঠন না করলে তো গণ-অভ্যুত্থানের স্পিরিট ভূলুণ্ঠিত হওয়ার আশঙ্কা আছে।
আমরা এর আগেও দেখেছি, মুক্তিযুদ্ধে একটা দেশের সব মানুষের সামষ্টিক অর্জনকে কীভাবে একটা দলীয় অর্জনে পরিণত করা হয়েছে। আমরা মনে করি, বাংলাদেশের মানুষের একটা কমন প্ল্যাটফর্ম থাকা দরকার, যেখানে যে কেউ রাজনৈতিক দল ব্যতীত তার রাজনৈতিক বোঝাপড়া দিয়ে
দেশ ও জনগণ নিয়ে কথা এবং কাজ করতে চায়। এ রকম একটা প্ল্যাটফর্ম থাকা অতীব জরুরি। এ দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়েও মানুষের ট্রমা আছে। সেটা কাটানোর জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সহনশীল এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা খুব জরুরি। জনগণের দাবি-দাওয়া তুলে ধরতে এবং তাদের কথা বলার জন্যই জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠিত হয়েছে।
আপনাদের সংগঠনের প্রথম প্রস্তাবনায় বলেছেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হওয়া সামষ্টিক অভিপ্রায় ও গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে সমুন্নত রাখা।’ কীভাবে করবেন?
গণ-অভ্যুত্থানের সময় অধিকাংশ মানুষ মাঠে যে সক্রিয় ছিলেন, সেটা শুধু শেখ হাসিনাকে হটানোর ব্যাপার ছিল না। তিনি যে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সেটার পুরোটা বিলোপ করার জন্য তাঁরা মাঠে নেমেছিলেন। আগামী দিনে যে কেউ ফ্যাসিবাদী হয়ে উঠতে পারে। সে জন্য কি এ দেশের মানুষ বারবার রক্ত ঝরাবে? তারা বারবার তাদের ত্যাগ স্বীকার করে অধিকার নিশ্চিত করতে থাকবে? সেটা তো হতে পারে না।
১৫০০-এর ওপরে চলে গেছে শহীদের সংখ্যা। আর কত জন আছেন, সেটা আমরা জানি না। খুঁজে পাব কি না, সেটাও নিশ্চিত নই। এতগুলো মানুষের শহিদি মৃত্যু কখনো একজনকে হঠানোর আন্দোলন ছিল না। এ জন্য দরকার পুরো ব্যবস্থার বিলোপ। যে কারণে এত দিন বাংলাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হয়েছিল, সেটাকে হটানোর আন্দোলন হিসেবে এটাকে দেখতে হবে।
এই ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপের সঙ্গে সঙ্গে ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত’ লাগবে। যাতে করে এ দেশে এমন একটা স্থায়ী ব্যবস্থা তৈরি হয়, যেখানে রাজনৈতিক সহাবস্থান তৈরি হয় সবার মধ্যে, যিনি যে মতাদর্শেরই হোন না কেন। কারণ, আমরা দেখেছি, বাংলাদেশে কখনো ক্ষমতার হস্তান্তর শান্তিপূর্ণভাবে হয়নি। এসব ব্যাপার আমাদের বারবার রাজনৈতিকভাবে পিছিয়ে দিচ্ছে। গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা শুধু একটা কেন্দ্রে ছিল না। এর বাইরে আরও আকাঙ্ক্ষা ছিল। সেই আকাঙ্ক্ষাকে সমুন্নত রাখা নাগরিক কমিটির কাজ।
আপনি ছাত্রজীবনে তেল-গ্যাস রক্ষা থেকে নানা আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। এখন এই প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হলেন। এই পরিবর্তনের কারণ কী?
ব্যক্তিগত আশা-আকাঙ্ক্ষার চেয়ে আমি সামষ্টিক আশা-আকাঙ্ক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দিই। আমি নিজেও তা করে থাকি। কিন্তু একটা কথা না বললেই না যে, আমাদের প্রজন্ম শেখ হাসিনার শাসনামল দেখে বড় হয়েছে। আমাদের তারুণ্য, যৌবনের সময়গুলো হাসিনা রেজিমের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে। আমরা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রজীবনে নানা ধরনের রাজনৈতিক তৎপরতায় যুক্ত ছিলাম, সবার চেষ্টা ছিল এ অবস্থার পরিবর্তন করা যায় কীভাবে, এ দেশে কীভাবে একটা জনমুখী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা যায়। সেই ভাবনা থেকে কাজ করতে গিয়ে নানা সময়ে নানা বাঁক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে নিজেরাও যেমন পরিবর্তিত হয়েছি, তেমনি দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষার মধ্য দিয়েও আমাদের চিন্তার পরিবর্তন হয়েছে। তাই জনমুখী আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে আন্দোলন করতে হয়েছে। ছাত্রসহ জনগণের নানা অধিকারভিত্তিক আন্দোলন করতে হয়েছে। ছাত্রলীগের দৌরাত্ম্যের মুখোমুখি হতে হয়েছে আমাদের। এসব কর্মকাণ্ড শুধু একজন ব্যক্তির ব্যাপার ছিল না। কখনো আমাদের মিছিলে অনেক কম লোক ছিল, আবার কখনো বেশি ছিল। কিন্তু এই ধারাবাহিক প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে আমরা শেখ হাসিনা রেজিমের একজন ব্যক্তিকে সরাতে পেরেছি।
এই সিস্টেমের অসংখ্য মানুষ এখনো সক্রিয় আছে। আমরা মনে করি, মানুষের ধারাবাহিক প্রতিবাদের যে যাত্রা চলমান আছে, সে যাত্রাকে সামনে আরও বহুদূর এগিয়ে নিতে হবে। এভাবে মানুষের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের যাত্রা চলমান থাকবে। এটা কোনো একক ব্যক্তির ব্যাপার না, সামষ্টিক চিন্তার ব্যাপার।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পরে যে সরকার গঠিত হয়েছে, সেটাকে আমরা অন্তর্বর্তী সরকার বলছি। কিন্তু তাদের মনে রাখতে হবে, তারা জনগণের অভিপ্রায় নিয়ে নির্বাচিত সরকার। এ সরকারে যাঁরা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁরা নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে যোগ্য ব্যক্তি। কিন্তু সে জায়গা থেকে মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশের মানুষের
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পরে যে সরকার গঠিত হয়েছে, সেটাকে আমরা অন্তর্বর্তী সরকার বলছি। কিন্তু তাদের মনে রাখতে হবে, তারা জনগণের অভিপ্রায় নিয়ে নির্বাচিত সরকার। এ সরকারে যাঁরা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁরা নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে যোগ্য ব্যক্তি। কিন্তু সে জায়গা থেকে মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশের মানুষের
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পরে যে সরকার গঠিত হয়েছে, সেটাকে আমরা অন্তর্বর্তী সরকার বলছি। কিন্তু তাদের মনে রাখতে হবে, তারা জনগণের অভিপ্রায় নিয়ে নির্বাচিত সরকার। এ সরকারে যাঁরা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁরা নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে যোগ্য ব্যক্তি। কিন্তু সে জায়গা থেকে মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশের মানুষের
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পরে যে সরকার গঠিত হয়েছে, সেটাকে আমরা অন্তর্বর্তী সরকার বলছি। কিন্তু তাদের মনে রাখতে হবে, তারা জনগণের অভিপ্রায় নিয়ে নির্বাচিত সরকার। এ সরকারে যাঁরা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁরা নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে যোগ্য ব্যক্তি। কিন্তু সে জায়গা থেকে মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশের মানুষের
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫