অরূপ রায়, সাভার
তথ্য অধিকার আইন ব্যবহার করে ঢাকার সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের তথ্য চেয়ে আবেদন করেছিলেন সাংবাদিক মতিউর রহমান। আবেদনের পর এক বছর পার হয়ে গেলেও কোনো তথ্য পাননি তিনি।
মতিউর রহমান ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি দৈনিক পত্রিকার সাভার প্রতিনিধি। তাঁর মতে, তথ্য কমিশনের অনেক সিদ্ধান্ত আর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তথ্য দিতে অনীহা, তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় বাধা।
তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯-এর ধারা ৮ (১) অনুযায়ী রাষ্ট্রের নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট এবং অন্য দেশের সঙ্গে বন্ধুসুলভ সম্পর্ক ক্ষুণ্ন হওয়ার আশঙ্কা আছে—এমন তথ্য ছাড়া যেকোনো তথ্য সরবরাহ করা বাধ্যতামূলক। আবেদনের ২০ কর্মদিবসের মধ্যে তা সরবরাহ করতে হবে। অধিকাংশ সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা এ আইন মানেন না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অনেকে তথ্য অধিকার আইনের ৭ ধারার অজুহাতে তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। অনেকে তথ্য সরবরাহ না করে বা আংশিক তথ্য দিয়ে পুরো তথ্য দেওয়ার দাবি করেন। অনেকে আবার তথ্য কমিশনের নির্দেশের পরও তথ্য সরবরাহ করেন না।
বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের তথ্য চেয়ে গত বছর ১৬ আগস্ট দৈনিক আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে সাভার ও ধামরাই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কাছে পৃথকভাবে ১৬টি আবেদন করা হয়েছিল। তাঁরা তথ্য না দেওয়ায় জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কাছে আপিল করা হয়েছিল। আপিলে তথ্য না পেয়ে ওই বছর নভেম্বর মাসে তথ্য কমিশনে অভিযোগ করা হয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে তথ্য কমিশন ভার্চুয়াল শুনানি গ্রহণ করে। শুনানিতে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তথ্য সরবরাহ করতে বলা হয়। এ ছাড়া ওয়েবসাইট থেকে আবেদনকারীকে তথ্য সংগ্রহ করতে বলা হয়; যদিও ওয়েবসাইটে তথ্য পেতে আবেদন করা হয়নি। ছাপানো অথবা লিখিতভাবে তথ্য পাওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছিল।
তথ্য কমিশনের সিদ্ধান্তের পর সাভার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দপ্তর থেকে গত ৩০ মার্চ আজকের পত্রিকাকে দেওয়া এক পত্রে অধিকাংশ তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে বলে জানানো হয়। অন্য সব তথ্য ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করতে বলা হয়, যার অনুলিপি তথ্য কমিশনকেও দেওয়া হয়। অথচ প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে কোনো তথ্যই সরবরাহ করা হয়নি। ওয়েবসাইটেও তথ্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাভার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোহিনুর আক্তার বলেন, ‘আপনাকে তো এসব তথ্য আগে দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া ওয়েবসাইটেও আছে। আপনি সেখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করে নেন।’
আপনার কাছে তথ্য সরবরাহের কোনো প্রমাণ আছে কি না জানতে চাইলে কোহিনুর আক্তার বলেন, ‘আমরা ছোট কর্মচারী। আমাদের যা বলতে বলা হয় তাই বলি। আপনি স্যারদের সঙ্গে কথা বলুন।’
অপরদিকে কমিশনের সিদ্ধান্তের পর ধামরাই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তথ্যের মূল্য পরিশোধ করে তথ্য সংগ্রহ করতে বলা হয়। তথ্যের মূল্য পরিশোধ করে ধামরাই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তিনি মাত্র এক থেকে দুইটি আবেদনের আংশিক তথ্য দিয়ে বাকি তথ্য পরে দেওয়ার আশ্বাস দেন। এর পর একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি নানা অজুহাতে তথ্য সরবরাহ করা থেকে বিরত থাকেন।
এর পর যতবার মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামানের সঙ্গে কথা হয়েছে ততবারই তিনি বলেছেন, ‘আপনার তথ্য রেডি করা হচ্ছে, দেওয়া হবে।’
বংশী নদী ও নদীতীরের অবৈধ দখলদারদের তথ্য চেয়ে ২০২০ সালের ৮ ডিসেম্বর সাভার উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে তথ্য চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ এক পত্রে তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯-এর ৭ ধারার ‘চ’ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তথ্য দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন।
অথচ ‘চ’ অনুচ্ছেদে বলা আছে, কোনো তথ্য প্রকাশের ফলে প্রচলিত আইনের প্রয়োগ বাধাগ্রস্ত হতে পারে বা অপরাধ বাড়তে পারে এমন তথ্য দেওয়া যাবে না।
তথ্য অধিকার আইন ব্যবহার করে ঢাকার সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের তথ্য চেয়ে আবেদন করেছিলেন সাংবাদিক মতিউর রহমান। আবেদনের পর এক বছর পার হয়ে গেলেও কোনো তথ্য পাননি তিনি।
মতিউর রহমান ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি দৈনিক পত্রিকার সাভার প্রতিনিধি। তাঁর মতে, তথ্য কমিশনের অনেক সিদ্ধান্ত আর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তথ্য দিতে অনীহা, তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় বাধা।
তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯-এর ধারা ৮ (১) অনুযায়ী রাষ্ট্রের নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট এবং অন্য দেশের সঙ্গে বন্ধুসুলভ সম্পর্ক ক্ষুণ্ন হওয়ার আশঙ্কা আছে—এমন তথ্য ছাড়া যেকোনো তথ্য সরবরাহ করা বাধ্যতামূলক। আবেদনের ২০ কর্মদিবসের মধ্যে তা সরবরাহ করতে হবে। অধিকাংশ সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা এ আইন মানেন না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অনেকে তথ্য অধিকার আইনের ৭ ধারার অজুহাতে তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। অনেকে তথ্য সরবরাহ না করে বা আংশিক তথ্য দিয়ে পুরো তথ্য দেওয়ার দাবি করেন। অনেকে আবার তথ্য কমিশনের নির্দেশের পরও তথ্য সরবরাহ করেন না।
বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের তথ্য চেয়ে গত বছর ১৬ আগস্ট দৈনিক আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে সাভার ও ধামরাই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কাছে পৃথকভাবে ১৬টি আবেদন করা হয়েছিল। তাঁরা তথ্য না দেওয়ায় জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কাছে আপিল করা হয়েছিল। আপিলে তথ্য না পেয়ে ওই বছর নভেম্বর মাসে তথ্য কমিশনে অভিযোগ করা হয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে তথ্য কমিশন ভার্চুয়াল শুনানি গ্রহণ করে। শুনানিতে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তথ্য সরবরাহ করতে বলা হয়। এ ছাড়া ওয়েবসাইট থেকে আবেদনকারীকে তথ্য সংগ্রহ করতে বলা হয়; যদিও ওয়েবসাইটে তথ্য পেতে আবেদন করা হয়নি। ছাপানো অথবা লিখিতভাবে তথ্য পাওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছিল।
তথ্য কমিশনের সিদ্ধান্তের পর সাভার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দপ্তর থেকে গত ৩০ মার্চ আজকের পত্রিকাকে দেওয়া এক পত্রে অধিকাংশ তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে বলে জানানো হয়। অন্য সব তথ্য ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করতে বলা হয়, যার অনুলিপি তথ্য কমিশনকেও দেওয়া হয়। অথচ প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে কোনো তথ্যই সরবরাহ করা হয়নি। ওয়েবসাইটেও তথ্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাভার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোহিনুর আক্তার বলেন, ‘আপনাকে তো এসব তথ্য আগে দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া ওয়েবসাইটেও আছে। আপনি সেখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করে নেন।’
আপনার কাছে তথ্য সরবরাহের কোনো প্রমাণ আছে কি না জানতে চাইলে কোহিনুর আক্তার বলেন, ‘আমরা ছোট কর্মচারী। আমাদের যা বলতে বলা হয় তাই বলি। আপনি স্যারদের সঙ্গে কথা বলুন।’
অপরদিকে কমিশনের সিদ্ধান্তের পর ধামরাই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তথ্যের মূল্য পরিশোধ করে তথ্য সংগ্রহ করতে বলা হয়। তথ্যের মূল্য পরিশোধ করে ধামরাই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তিনি মাত্র এক থেকে দুইটি আবেদনের আংশিক তথ্য দিয়ে বাকি তথ্য পরে দেওয়ার আশ্বাস দেন। এর পর একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি নানা অজুহাতে তথ্য সরবরাহ করা থেকে বিরত থাকেন।
এর পর যতবার মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামানের সঙ্গে কথা হয়েছে ততবারই তিনি বলেছেন, ‘আপনার তথ্য রেডি করা হচ্ছে, দেওয়া হবে।’
বংশী নদী ও নদীতীরের অবৈধ দখলদারদের তথ্য চেয়ে ২০২০ সালের ৮ ডিসেম্বর সাভার উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে তথ্য চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ এক পত্রে তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯-এর ৭ ধারার ‘চ’ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তথ্য দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন।
অথচ ‘চ’ অনুচ্ছেদে বলা আছে, কোনো তথ্য প্রকাশের ফলে প্রচলিত আইনের প্রয়োগ বাধাগ্রস্ত হতে পারে বা অপরাধ বাড়তে পারে এমন তথ্য দেওয়া যাবে না।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪