সম্পাদকীয়
স্কুলবাস চালুর পক্ষে মত দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। স্কুলবাসের পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন, শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে যাতায়াত করলে তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি হবে, অভিভাবকেরা বাচ্চাদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত থাকবে না, বাসে থাকবে সিসি ক্যামেরা, সুতরাং সেখানে কোনো সমস্যা তৈরি হওয়ার কথা নয়।
আয়তনের দিক থেকে পৃথিবীর অন্য বড় শহরগুলোর সঙ্গে তুলনা করা না গেলেও জনসংখ্যার দিক থেকে ঢাকা অনেক বড় শহর। এই বিশাল মহানগরে ২ কোটি মানুষ বসবাস করে বলে বলা হয়। এই মহানগরের অধিবাসীরা অবশ্যই ছুটির দিন ছাড়া অন্যান্য দিন সকালে স্কুল শুরু হওয়ার সময় লক্ষ করেছেন, কীভাবে স্থবির হয়ে যায় প্রিয় শহরটি। যানজট তখন পথচলা মানুষের নিত্য সঙ্গী। এই যানজটের একটি বড় কারণ স্কুলগামী গাড়িগুলো। এখন গাড়ির মালিক অভিভাবকের সংখ্যা একেবারেই কম নয়, তাঁরা এক একজন শিক্ষার্থীকে এক একটি গাড়িতে করে যখন নিয়ে আসেন, তখন স্কুলের সামনের রাস্তায় অকল্পনীয় যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রতিদিন সেই অকল্পনীয় যানজট ঠেলেই সবাইকে এগোতে হয়।
মেয়র আতিকুল ইসলাম যে কথা বলেছেন, তা খুবই প্রয়োজনীয়। কিন্তু আমাদের দেশে কোনো ভালো উদ্যোগ কেন টিকতে পারে না, তা রহস্য হয়েই রয়েছে আমাদের কাছে। একসময় বিআরটিসি ভলবো বাস চালানোর চেষ্টা করেছে রাজধানীতে। বিআরটিসির কর্মচারীরাই সেসব বাস ভেঙেচুরে অস্ত্রোপচার করে রাস্তায় চলার অনুপযোগী করে তুলেছে।
এসি বাস চালু হয়েছিল একসময়। এর প্রায় কিছুই আর টিকে নেই। স্কুলবাসও চলেছিল কিছুদিন। বন্ধ হয়ে গেছে। ঢাকা শহরের রাস্তায় যে বাসগুলো চলে, এর বেশির ভাগই ফিটনেসহীন। গায়ের চামড়ায় বাসে বাসে ঠোকাঠুকির চিহ্ন। দুজনের যে আসনগুলো তৈরি হয়েছে, তাতে দেড়জন মানুষের জায়গা রয়েছে। এই শহরে সাধারণ মানুষদের জন্য গ্রহণযোগ্য বাস সার্ভিস তৈরি করা যায়নি। লক্কড়ঝক্কড় বাসগুলোর মালিকানা যাঁদের, তাঁরা নাকি বিভিন্নভাবে পেশিশক্তির
মালিক। সেই পেশিশক্তি স্ফীত হয় রাজনীতি, আইনশৃঙ্খলা, ব্যবসা ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের মাধ্যমে। ফলে ঢাকা মহানগরীতে স্বাভাবিক বাসযাত্রার কথা বর্তমানে অকল্পনীয়।
এ রকম অবস্থায় স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য ভালো বাসের ব্যবস্থা করা যাবে কি না, সেটা ভাবনার বিষয় বটে। পৃথিবীর বহু দেশেই পরিবহন সমস্যাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়। সাধারণ মানুষ স্বল্পমূল্যে ভালো পরিবহনে চলাচল করতে পারেন। আমাদের সে সুযোগ এখনো আসেনি। ভালো পরিবহনব্যবস্থা তৈরি করতে হলে এই সেক্টরে ভালো মানুষদের প্রয়োজন। বাসগুলো দেখভাল করা ড্রাইভার-হেলপার কন্ডাক্টরদের সু-আচরণের শিক্ষা দেওয়া, সময়মতো বাস ছাড়া, সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছানো ইত্যাদির ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকলে এই মহানগরের পরিবহনব্যবস্থা হতে পারত স্বপ্নের মতো।
কিন্তু সেই স্বপ্ন বাস্তব না হয়ে স্বপ্নই থেকে গেল। ফলে স্কুলবাস চালু করার এই মহৎ প্রস্তাব কতটা সাফল্যের মুখ দেখবে, তা নিয়ে চিন্তা হয়।
স্কুলবাস চালুর পক্ষে মত দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। স্কুলবাসের পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন, শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে যাতায়াত করলে তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি হবে, অভিভাবকেরা বাচ্চাদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত থাকবে না, বাসে থাকবে সিসি ক্যামেরা, সুতরাং সেখানে কোনো সমস্যা তৈরি হওয়ার কথা নয়।
আয়তনের দিক থেকে পৃথিবীর অন্য বড় শহরগুলোর সঙ্গে তুলনা করা না গেলেও জনসংখ্যার দিক থেকে ঢাকা অনেক বড় শহর। এই বিশাল মহানগরে ২ কোটি মানুষ বসবাস করে বলে বলা হয়। এই মহানগরের অধিবাসীরা অবশ্যই ছুটির দিন ছাড়া অন্যান্য দিন সকালে স্কুল শুরু হওয়ার সময় লক্ষ করেছেন, কীভাবে স্থবির হয়ে যায় প্রিয় শহরটি। যানজট তখন পথচলা মানুষের নিত্য সঙ্গী। এই যানজটের একটি বড় কারণ স্কুলগামী গাড়িগুলো। এখন গাড়ির মালিক অভিভাবকের সংখ্যা একেবারেই কম নয়, তাঁরা এক একজন শিক্ষার্থীকে এক একটি গাড়িতে করে যখন নিয়ে আসেন, তখন স্কুলের সামনের রাস্তায় অকল্পনীয় যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রতিদিন সেই অকল্পনীয় যানজট ঠেলেই সবাইকে এগোতে হয়।
মেয়র আতিকুল ইসলাম যে কথা বলেছেন, তা খুবই প্রয়োজনীয়। কিন্তু আমাদের দেশে কোনো ভালো উদ্যোগ কেন টিকতে পারে না, তা রহস্য হয়েই রয়েছে আমাদের কাছে। একসময় বিআরটিসি ভলবো বাস চালানোর চেষ্টা করেছে রাজধানীতে। বিআরটিসির কর্মচারীরাই সেসব বাস ভেঙেচুরে অস্ত্রোপচার করে রাস্তায় চলার অনুপযোগী করে তুলেছে।
এসি বাস চালু হয়েছিল একসময়। এর প্রায় কিছুই আর টিকে নেই। স্কুলবাসও চলেছিল কিছুদিন। বন্ধ হয়ে গেছে। ঢাকা শহরের রাস্তায় যে বাসগুলো চলে, এর বেশির ভাগই ফিটনেসহীন। গায়ের চামড়ায় বাসে বাসে ঠোকাঠুকির চিহ্ন। দুজনের যে আসনগুলো তৈরি হয়েছে, তাতে দেড়জন মানুষের জায়গা রয়েছে। এই শহরে সাধারণ মানুষদের জন্য গ্রহণযোগ্য বাস সার্ভিস তৈরি করা যায়নি। লক্কড়ঝক্কড় বাসগুলোর মালিকানা যাঁদের, তাঁরা নাকি বিভিন্নভাবে পেশিশক্তির
মালিক। সেই পেশিশক্তি স্ফীত হয় রাজনীতি, আইনশৃঙ্খলা, ব্যবসা ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের মাধ্যমে। ফলে ঢাকা মহানগরীতে স্বাভাবিক বাসযাত্রার কথা বর্তমানে অকল্পনীয়।
এ রকম অবস্থায় স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য ভালো বাসের ব্যবস্থা করা যাবে কি না, সেটা ভাবনার বিষয় বটে। পৃথিবীর বহু দেশেই পরিবহন সমস্যাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়। সাধারণ মানুষ স্বল্পমূল্যে ভালো পরিবহনে চলাচল করতে পারেন। আমাদের সে সুযোগ এখনো আসেনি। ভালো পরিবহনব্যবস্থা তৈরি করতে হলে এই সেক্টরে ভালো মানুষদের প্রয়োজন। বাসগুলো দেখভাল করা ড্রাইভার-হেলপার কন্ডাক্টরদের সু-আচরণের শিক্ষা দেওয়া, সময়মতো বাস ছাড়া, সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছানো ইত্যাদির ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকলে এই মহানগরের পরিবহনব্যবস্থা হতে পারত স্বপ্নের মতো।
কিন্তু সেই স্বপ্ন বাস্তব না হয়ে স্বপ্নই থেকে গেল। ফলে স্কুলবাস চালু করার এই মহৎ প্রস্তাব কতটা সাফল্যের মুখ দেখবে, তা নিয়ে চিন্তা হয়।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
২৪ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫