জাহীদ রেজা নূর
আজ ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ৫০ বছর আগে ১৯৭১ সালের এই দিনে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে আত্মসমর্পণ করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। এর মাধ্যমে দীর্ঘ ত্যাগ-তিতিক্ষা, বঞ্চনা, সংগ্রাম আর ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মহান মুক্তিযুদ্ধের পর অর্জিত হয় স্বাধীনতা। পৃথিবীর মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের। যাঁদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছিল এই স্বাধীনতা, আজ জাতি তাঁদের স্মরণ করবে শ্রদ্ধাভরে। এবার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে এই আয়োজন পেয়েছে ভিন্ন মাত্রা।
দিবসটি উপলক্ষে সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ ভবন, স্থাপনাগুলো, গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, সড়কদ্বীপ ও মোড়ে ইতিমধ্যে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একাত্তরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের একের পর এক অভিযান এবং তাতে ভারতীয় বাহিনীর সহযোগিতা যোগ হওয়ার পর একেবারেই কোণঠাসা হয়ে পড়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। একটা পর্যায়ে জেনারেল নিয়াজীর কাছে আত্মসমর্পণ ছাড়া বিকল্প ছিল না। ১৬ ডিসেম্বর সকালে আত্মসমর্পণের জন্য সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল। নিয়াজী আত্মসমর্পণের প্রস্তাব মেনে নিলেন, তবে শর্ত দিলেন যে তাঁকে বা তাঁর বাহিনীকে মুক্তিবাহিনী ও বাঙালিদের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৮টায় ভারতীয় বাহিনীর জেনারেল গন্ধর্ব নাগরা মিরপুর ব্রিজের কাছ থেকে একটি বার্তাসহ এডিসি মেজর শেঠি ও দুজন অফিসারকে জিপে করে পাঠালেন ঢাকা শহরে। জিপের সামনে ছিল সাদা পতাকা। নাগরা ও নিয়াজী পরস্পর পরিচিত ছিলেন। নাগরা তাঁর চিরকুটে লিখেছিলেন, ‘প্রিয় আবদুল্লাহ, (আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজী) আমি এখানে এসে গেছি। তোমার খেলা শেষ। আমার পরামর্শ হচ্ছে, তুমি আত্মসমর্পণ করো এবং আমি তোমার দেখাশোনা করব।’
জেনারেল নাগরা জেনারেল নিয়াজীর সঙ্গে তাঁর আলোচনার কথা ভারতের ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরাকে জানান। অরোরার নির্দেশে তাঁর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল জ্যাকব আত্মসমর্পণের দলিল নিয়ে ঢাকায় আসেন দুপুরের দিকে। অপরাহ্ণে নিয়াজী বিমানবন্দরে যান লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরাকে অভ্যর্থনা জানাতে। অরোরার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এ কে খন্দকার। এরপর ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বিকেল ৪টা ৩১ মিনিটে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ বাহিনীর কাছে পাকিস্তানের সামরিক আইন প্রশাসক জোন-বি এবং ইস্টার্ন কমান্ডের কমান্ডার লে. জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজীর নেতৃত্বে আত্মসমর্পণ করে ৯১ হাজার ৫৪৯ জন পাকিস্তানি সেনা।
এ দিন সারা দেশের মানুষ বিজয়োল্লাসে মেতে ওঠে। চারদিকে ওঠে ‘জয় বাংলা’ ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ ধ্বনি। দলে দলে মানুষ আসেন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য মন্ত্রীদের অভিনন্দন জানাতে।
বিজয় দিবসের কর্মসূচি
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন উপলক্ষে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ প্রতিপাদ্যে আজ থেকে দুই দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। বিদেশি অতিথিদের অংশগ্রহণে বিজয় দিবসের মূল অনুষ্ঠানটি হবে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় আজ বিকেল সাড়ে ৪টায়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সম্মানিত অতিথির বক্তব্য দেবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
জাতীয় পর্যায়ে বিজয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হবে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে। এরপর বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবার, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। সকাল সাড়ে ১০টায় তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সম্মিলিত বাহিনীর বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমভিত্তিক যান্ত্রিক বহর প্রদর্শনী হবে। সেখানে ছয়টি দেশ মিলিয়ে একটি আন্তর্জাতিক কুচকাওয়াজ হবে।
আজ ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ৫০ বছর আগে ১৯৭১ সালের এই দিনে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে আত্মসমর্পণ করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। এর মাধ্যমে দীর্ঘ ত্যাগ-তিতিক্ষা, বঞ্চনা, সংগ্রাম আর ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মহান মুক্তিযুদ্ধের পর অর্জিত হয় স্বাধীনতা। পৃথিবীর মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের। যাঁদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছিল এই স্বাধীনতা, আজ জাতি তাঁদের স্মরণ করবে শ্রদ্ধাভরে। এবার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে এই আয়োজন পেয়েছে ভিন্ন মাত্রা।
দিবসটি উপলক্ষে সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ ভবন, স্থাপনাগুলো, গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, সড়কদ্বীপ ও মোড়ে ইতিমধ্যে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একাত্তরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের একের পর এক অভিযান এবং তাতে ভারতীয় বাহিনীর সহযোগিতা যোগ হওয়ার পর একেবারেই কোণঠাসা হয়ে পড়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। একটা পর্যায়ে জেনারেল নিয়াজীর কাছে আত্মসমর্পণ ছাড়া বিকল্প ছিল না। ১৬ ডিসেম্বর সকালে আত্মসমর্পণের জন্য সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল। নিয়াজী আত্মসমর্পণের প্রস্তাব মেনে নিলেন, তবে শর্ত দিলেন যে তাঁকে বা তাঁর বাহিনীকে মুক্তিবাহিনী ও বাঙালিদের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৮টায় ভারতীয় বাহিনীর জেনারেল গন্ধর্ব নাগরা মিরপুর ব্রিজের কাছ থেকে একটি বার্তাসহ এডিসি মেজর শেঠি ও দুজন অফিসারকে জিপে করে পাঠালেন ঢাকা শহরে। জিপের সামনে ছিল সাদা পতাকা। নাগরা ও নিয়াজী পরস্পর পরিচিত ছিলেন। নাগরা তাঁর চিরকুটে লিখেছিলেন, ‘প্রিয় আবদুল্লাহ, (আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজী) আমি এখানে এসে গেছি। তোমার খেলা শেষ। আমার পরামর্শ হচ্ছে, তুমি আত্মসমর্পণ করো এবং আমি তোমার দেখাশোনা করব।’
জেনারেল নাগরা জেনারেল নিয়াজীর সঙ্গে তাঁর আলোচনার কথা ভারতের ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরাকে জানান। অরোরার নির্দেশে তাঁর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল জ্যাকব আত্মসমর্পণের দলিল নিয়ে ঢাকায় আসেন দুপুরের দিকে। অপরাহ্ণে নিয়াজী বিমানবন্দরে যান লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরাকে অভ্যর্থনা জানাতে। অরোরার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এ কে খন্দকার। এরপর ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বিকেল ৪টা ৩১ মিনিটে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ বাহিনীর কাছে পাকিস্তানের সামরিক আইন প্রশাসক জোন-বি এবং ইস্টার্ন কমান্ডের কমান্ডার লে. জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজীর নেতৃত্বে আত্মসমর্পণ করে ৯১ হাজার ৫৪৯ জন পাকিস্তানি সেনা।
এ দিন সারা দেশের মানুষ বিজয়োল্লাসে মেতে ওঠে। চারদিকে ওঠে ‘জয় বাংলা’ ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ ধ্বনি। দলে দলে মানুষ আসেন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য মন্ত্রীদের অভিনন্দন জানাতে।
বিজয় দিবসের কর্মসূচি
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন উপলক্ষে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ প্রতিপাদ্যে আজ থেকে দুই দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। বিদেশি অতিথিদের অংশগ্রহণে বিজয় দিবসের মূল অনুষ্ঠানটি হবে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় আজ বিকেল সাড়ে ৪টায়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সম্মানিত অতিথির বক্তব্য দেবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
জাতীয় পর্যায়ে বিজয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হবে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে। এরপর বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবার, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। সকাল সাড়ে ১০টায় তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সম্মিলিত বাহিনীর বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমভিত্তিক যান্ত্রিক বহর প্রদর্শনী হবে। সেখানে ছয়টি দেশ মিলিয়ে একটি আন্তর্জাতিক কুচকাওয়াজ হবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪