Ajker Patrika

মানবাধিকার প্রতিবেদন: রাষ্ট্রকেই ঠেকাতে হবে বিচারবহির্ভূত হত্যা

রাশেদ নিজাম, ঢাকা
Thumbnail image

দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড অন্যান্য বছরের তুলনায় কমলেও তা চলমান আছে। বিচারবহির্ভূত যেকোনো হত্যাই মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। রাষ্ট্রকেই এই লঙ্ঘন ঠেকাতে হবে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তাঁদের ২০২২ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে এমন মন্তব্য করেছে।

গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে বার্ষিক প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিশন। গতকাল বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকার সঙ্গে নিজ কার্যালয়ে আলাপকালে কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন জানান, মনে সন্তুষ্টি না থাকলেও তাদের প্রচেষ্টা আছে।

দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নানা মহল থেকে প্রশ্ন উঠছে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, হেফাজতে নির্যাতনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে মানবাধিকার সংস্থা থেকে শুরু করে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনও সময়ে সময়ে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে সরকারকে।

মোট ৮৮ পাতার প্রতিবেদনে তিন পাতার মধ্যে মূল্যায়ন করা হয়েছে গত বছরের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে। সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর অধিকার পরিস্থিতি এবং হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু নিয়ে দুটি করে ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে বার্ষিক প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চিন্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সাংবিধানিক অধিকার। ২০২২ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ করে সাংবাদিকদের হয়রানির অভিযোগ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনে কমিশন এসব ঘটনায় নিন্দা প্রকাশের পাশাপাশি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার নিশ্চিতের সুপারিশ জানায়। একই সঙ্গে আইনটি আন্তর্জাতিক মানের করার জন্য রিভিউ করা দরকার বলে জানিয়েছে কমিশন।

প্রতিবেদনে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি প্রতিফলিত হয়েছে কি না, এ প্রশ্নে কমিশনার চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের দাবি, ‘অবশ্যই প্রতিফলন ঘটেছে। আমরা বেশ কিছু ক্ষেত্রে চিহ্নিত করে সেখানে কাজ করছি। রাষ্ট্রপতিকেও বিষয়গুলো জানিয়েছি। তিনি বলেছেন, মানবাধিকার রক্ষায় কমিশন যেন সর্বদা কাজ করে।’

তবে প্রতিবেদনে দেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোর আংশিক উঠে এসেছে বলে মনে করেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক নুর খান। তিনি গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কমিশন বিচারবহির্ভূত হত্যা, হেফাজতে মৃত্যুসহ বেশ কিছু বিষয় তুলে এনেছে। দেরিতে হলেও তাদের প্রতিবেদনে পরিস্থিতির আংশিক প্রতিফলন ঘটেছে।’

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মনে সন্তুষ্টি নেই, তবে প্রচেষ্টা আছে। যখন এই সব প্রতিবেদন পাব, তখন সন্তুষ্টি আসবে। সরকারের কাছে আমরা অ্যাডভোকেসি করছি, তৎপরতা বাড়াচ্ছি বিভিন্ন ইস্যুতে।’

তবে প্রতিবেদনে প্রচুর ঘাটতি আছে বলে মনে করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান। তিনি গতকাল বলেন, ‘হয়তো যা ঘটছে, সেসব বিষয়ও তাদের চোখে পড়ছে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত