আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি
আজ ১২ ডিসেম্বর। বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত দিবস। দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র ৪ দিন আগে ১৯৭১ সালে এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিজয়ের পতাকা তুলে আদমদীঘিকে শত্রুমুক্ত ঘোষণা করেন।
আদমদীঘি উপজেলা ছিল পাকিস্তানি বাহিনীর শক্ত ঘাঁটি। পাকিস্তানি সেনা, মিলিশিয়া বাহিনী এবং এ দেশীয় দোসর রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা মার্চ মাসের শুরু থেকেই গ্রামে গ্রামে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও নির্বিচার হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই কমান্ডার ফললুল হক, এল কে আবুল, মুনছুর রহমান, আজিজার রহমান, নান্টু, নজরুল ইসলাম, সেনা সদস্য আমজাদ হোসেন, আব্দুল হাকিম সহ অন্যরা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন রাস্তায় খণ্ড খণ্ড যুদ্ধ চালান। একপর্যায়ে থানায় আক্রমণ করেন। পর্যাপ্ত গোলা বারুদ নিজেদের দখলে নেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
পাকিস্তানি হানাদারের সঙ্গে কুসুম্বী ও রেল স্টেশন কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দফায় দফায় সামনা-সামনি যুদ্ধ হয়। এ উপজেলায় মোট ২৩ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। পাকিস্তানি সেনা সদস্য নিহত হয় বেশ কয়েকজন।
ঐতিহাসিক রক্তদহ বিল ছিল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নিরাপদ স্থান। তাঁরা গেরিলা আক্রমণ শেষে ওই বিল পার হয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতেন। তবে একপর্যায়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল ও আলতাফ হোসেন বিশ্রাম নেওয়ার সময় ছোট আখিড়া গ্রামের কাছ থেকে জসিম উদ্দীন নামের এক দালাল খবর দিয়ে পাকিস্তানি সেনাদের কাছে ধরিয়ে দেয়। এ ছাড়া চাঁপাপুর এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারুল হক টুলু ও আব্দুল ছাত্তারকে ধরে আনা হয় থানায়। হানাদার বাহিনী এই চার বীর মুক্তিযোদ্ধার ওপর প্রকাশ্য ভয়ানক নির্যাতন করে। দেশ স্বাধীনের মাত্র ৬ দিন আগে আদমদীঘি মহাশ্মশান ঘাঁটিতে দিনের বেলায় গুলি মেরে তাঁদের হত্যা করা হয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চারদিকের আক্রমণে ৫ ডিসেম্বর ভোর থেকে আদমদীঘি সদর থেকে পাকিস্তানি হানাদাররা রেল লাইনের পাশ দিয়ে হেঁটে পালিয়ে যেতে থাকে। এ সময় পাইকপাড়া গ্রামের কাছে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছাত্তারকে হত্যা ও কায়েত পাড়ার কাছে বীর মুক্তিযোদ্ধা একরামকে বেয়নেটের খোঁচায় গুরুতর জখম করে।
আদমদীঘি হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ক্লাব সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
আজ ১২ ডিসেম্বর। বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত দিবস। দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র ৪ দিন আগে ১৯৭১ সালে এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিজয়ের পতাকা তুলে আদমদীঘিকে শত্রুমুক্ত ঘোষণা করেন।
আদমদীঘি উপজেলা ছিল পাকিস্তানি বাহিনীর শক্ত ঘাঁটি। পাকিস্তানি সেনা, মিলিশিয়া বাহিনী এবং এ দেশীয় দোসর রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা মার্চ মাসের শুরু থেকেই গ্রামে গ্রামে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও নির্বিচার হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই কমান্ডার ফললুল হক, এল কে আবুল, মুনছুর রহমান, আজিজার রহমান, নান্টু, নজরুল ইসলাম, সেনা সদস্য আমজাদ হোসেন, আব্দুল হাকিম সহ অন্যরা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন রাস্তায় খণ্ড খণ্ড যুদ্ধ চালান। একপর্যায়ে থানায় আক্রমণ করেন। পর্যাপ্ত গোলা বারুদ নিজেদের দখলে নেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
পাকিস্তানি হানাদারের সঙ্গে কুসুম্বী ও রেল স্টেশন কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দফায় দফায় সামনা-সামনি যুদ্ধ হয়। এ উপজেলায় মোট ২৩ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। পাকিস্তানি সেনা সদস্য নিহত হয় বেশ কয়েকজন।
ঐতিহাসিক রক্তদহ বিল ছিল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নিরাপদ স্থান। তাঁরা গেরিলা আক্রমণ শেষে ওই বিল পার হয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতেন। তবে একপর্যায়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল ও আলতাফ হোসেন বিশ্রাম নেওয়ার সময় ছোট আখিড়া গ্রামের কাছ থেকে জসিম উদ্দীন নামের এক দালাল খবর দিয়ে পাকিস্তানি সেনাদের কাছে ধরিয়ে দেয়। এ ছাড়া চাঁপাপুর এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারুল হক টুলু ও আব্দুল ছাত্তারকে ধরে আনা হয় থানায়। হানাদার বাহিনী এই চার বীর মুক্তিযোদ্ধার ওপর প্রকাশ্য ভয়ানক নির্যাতন করে। দেশ স্বাধীনের মাত্র ৬ দিন আগে আদমদীঘি মহাশ্মশান ঘাঁটিতে দিনের বেলায় গুলি মেরে তাঁদের হত্যা করা হয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চারদিকের আক্রমণে ৫ ডিসেম্বর ভোর থেকে আদমদীঘি সদর থেকে পাকিস্তানি হানাদাররা রেল লাইনের পাশ দিয়ে হেঁটে পালিয়ে যেতে থাকে। এ সময় পাইকপাড়া গ্রামের কাছে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছাত্তারকে হত্যা ও কায়েত পাড়ার কাছে বীর মুক্তিযোদ্ধা একরামকে বেয়নেটের খোঁচায় গুরুতর জখম করে।
আদমদীঘি হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ক্লাব সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫