
প্রিয় এইচএসসি পরীক্ষার্থী বন্ধুরা, ৬ নভেম্বর থেকে তোমাদের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। তোমাদের প্রস্তুতি এগিয়ে রাখতে দেশের সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা দিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ। এসব পরামর্শসহ পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে তোমাদের জন্য থাকছে ‘এইচএসসি পরীক্ষা-২০২২ প্রস্তুতি’।
এইচএসসি বিশেষ প্রস্তুতি: বাংলা প্রথম পত্র
সৃজনশীল পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা
মো. সুজাউদ দৌলা, সহকারী অধ্যাপক, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা সুপ্রিয় পরীক্ষার্থী বন্ধুরা, আগামী ৬ নভেম্বর ২০২২ তোমাদের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। তোমরা এর আগেও সৃজনশীল পদ্ধতিতে দুটি পাবলিক পরীক্ষায় (জেএসসি ও এসএসসি) অংশ নিয়েছ, তাই বলা যায়, এ বিষয়ে তোমরা অনেকটাই অবগত। তারপরও আমি তোমাদের নতুন করে বাংলা প্রথম পত্রের সৃজনশীল পদ্ধতি সম্বন্ধে একটু ধারণা দিতে চাই।
চারটি বিভাগে বিভক্ত
এ বিষয়ের প্রশ্নপত্র চারটি বিভাগে বিভক্ত থাকবে। ‘ক’ বিভাগে (গদ্য) চারটি সৃজনশীল প্রশ্ন থাকবে, ‘খ’ বিভাগে (কবিতা) তিনটি সৃজনশীল প্রশ্ন থাকবে, ‘গ’ বিভাগে (সহপাঠ-উপন্যাস) দুটি সৃজনশীল প্রশ্ন থাকবে এবং ‘ঘ’ বিভাগে (সহপাঠ-নাটক) দুটি সৃজনশীল প্রশ্ন থাকবে। তোমাদেরকে সব বিভাগ থেকে যেকোনো চারটি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। মান ৪০। সময় ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট। অর্থাৎ প্রতিটি সৃজনশীল প্রশ্নের জন্য ২৫ মিনিট সময় বরাদ্দ। বহুনির্বাচনী প্রশ্ন দেওয়া থাকবে ৩০টি, তবে উত্তর করতে হবে ১৫টি; এখানে সময় ২০ মিনিট। বাংলা প্রথম পত্রে মোট ৫৫ নম্বরের পরীক্ষা হবে।
সৃজনশীল পদ্ধতিতে যেহেতু চারটি অংশ (জ্ঞান, অনুধাবন, প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতা) মিলে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রশ্ন, তাই প্রতিটি অংশের উত্তর লেখার সময় প্রতিবার নম্বরটা এভাবে লিখবে। যেমন—তুমি ৩ নম্বর প্রশ্নটা উত্তর করবে। সে ক্ষেত্রে ৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর (ক), ৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর (খ), ৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর (গ), ৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর (ঘ) এভাবে লিখলে ভালো। আর এ লেখাগুলো ভিন্ন রঙের (সবুজ/নীল/মেরুন/বাদামি ইত্যাদি) কালি দিয়ে লিখলে দেখতে অনেক সুন্দর লাগবে।
যেকোনো একটি প্রশ্নের উত্তর লেখা শুরু করলে এর চারটি অংশের উত্তরই ধারাবাহিকভাবে করতে হবে। একটি প্রশ্নের জ্ঞানের উত্তর, আরেক প্রশ্নের প্রয়োগের উত্তর এভাবে করা যাবে না। কোনো উত্তর যদি কেউ না পারে, সে ক্ষেত্রে সেটা বাদ দিয়ে তার পরের অংশের উত্তর করতে হবে। জায়গা ফাঁকা রাখার দরকার নেই।
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন: জ্ঞানমূলক প্রশ্নের নম্বর ১। এর উত্তর একটি শব্দে, একাধিক বা একটি বাক্যেও দেওয়া যাবে। তবে এ স্তরের উত্তর একটি পূর্ণাঙ্গ বাক্যে দিলে ভালো। আর এ ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে জ্ঞানমূলক প্রশ্নে যে তথ্যটি জানতে চাওয়া হয়েছে সেটির বানান ভুল করলে উত্তর কাটা যাবে এবং শূন্য পাবে। যেমন—‘সোনার তরী’ কবিতার রচয়িতা কে? এখানে ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর’-এর নামের বানানটি ভুল করলে উত্তর কাটা যাবে।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন: অনুধাবনমূলক প্রশ্নের নম্বর ২। কারণ, এর মধ্যে একটি নম্বর জ্ঞানের জন্য, আরেকটি নম্বর অনুধাবনের জন্য। তুমি ইচ্ছা করলে জ্ঞান অংশের উত্তর আগে, অনুধাবনমূলক উত্তর পরে অথবা অনুধাবনমূলকের উত্তর আগে, জ্ঞানমূলকের উত্তর পরে লিখতে পারো। তবে জ্ঞানমূলকের উত্তর আগে লিখে অনুধাবনের উত্তর পরে লেখাই ভালো। অনুধাবনের প্রশ্নের উত্তর এক প্যারাতেও লেখা যায়। তবে দুই প্যারাতে লেখার চেষ্টা করবে। আর অনুধাবনমূলক প্রশ্নের শুরুতে অযথা কবি/সাহিত্যিককে নানা বিশেষণে বিশেষায়িত করার দরকার নেই।
প্রয়োগমূলক প্রশ্ন: প্রয়োগমূলক প্রশ্নের মোট নম্বর ৩। ১ নম্বর জ্ঞানে, ১ নম্বর অনুধাবনে এবং ১ নম্বর প্রয়োগে। তবে এক প্যারাতে সব তথ্য দিয়ে উত্তর লিখলেও হবে। তবে দুই/তিন প্যারা করাই ভালো। প্রয়োগ মানে আমরা জানি, শিক্ষার্থী তার পাঠ্যবই থেকে যা জেনেছে এবং যা বুঝেছে তা নতুন ক্ষেত্রে অর্থাৎ উদ্দীপকে প্রয়োগ করবে। কাজেই উদ্দীপকটি যে ভাবের আলোকে তৈরি করা হয়েছে এবং উদ্দীপকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গল্প/কবিতার যে দিকটির সাদৃশ্য/বৈসাদৃশ্য থাকে সেটিই জ্ঞান। তারপর ওই দিকটি/প্রসঙ্গটি পাঠ্যবইয়ের আলোকে বর্ণনা করাই হলো অনুধাবন। দ্বিতীয় প্যারায় অনুধাবন অংশের উত্তর লিখতে পারা এবং সবশেষে ওই দিকটি উদ্দীপকে কীভাবে ফুটে উঠেছে, তা বর্ণনা করাই প্রয়োগ।
উচ্চতর দক্ষতামূলক প্রশ্ন: উচ্চতর দক্ষতামূলক প্রশ্নের মোট নম্বর ৪। ১ নম্বর জ্ঞানে, ১ নম্বর অনুধাবনে, ১ নম্বর প্রয়োগে এবং ১ নম্বর উচ্চতর দক্ষতায়। উচ্চতর দক্ষতা মানেই একটা সিদ্ধান্তের ব্যাপার। প্রশ্নেই সাধারণত একটা অনুসিদ্ধান্ত দেওয়া থাকবে। যদি সিদ্ধান্তটি সঠিক হয় তাহলে সেটাকেই ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে, উদ্দীপকে প্রয়োগ করে প্রমাণ করবে যে সিদ্ধান্তটি সঠিক। আর যদি সিদ্ধান্তটি ভুল হয় তাহলে কেন ভুল, সেটাও প্রমাণ করতে হবে। অনেক সময় সিদ্ধান্তটি আংশিক সত্য হতে পারে। সে ক্ষেত্রে উদ্দীপকের সঙ্গে পাঠ্যবইয়ের যে অংশটুকুর মিল আছে, তা বর্ণনা করে যে যে ক্ষেত্রে মিল নেই সেগুলোও বর্ণনা করতে হবে এবং সর্বশেষ সিদ্ধান্ত দিতে হবে যে বক্তব্য/সিদ্ধান্তটি আংশিক সত্য, পুরোপুরি নয়। বিচার-বিশ্লেষণ-সংশ্লেষণ, মূল্যায়ন করে সিদ্ধান্ত দেওয়ার নামই উচ্চতর দক্ষতা।
সৃজনশীল পদ্ধতির বহুনির্বাচনী প্রশ্নগুলোও একটু ভিন্ন ধরনের। এর জন্য তোমাদের মূল বই বেশি বেশি রিডিং পড়তে হবে। কবিতাগুলো মুখস্থ রাখতে পারলে ভালো। বিগত সালের প্রশ্ন থেকে দেখা গেছে, কবিতা থেকে এমন কিছু প্রশ্ন এসেছে যেগুলোর উত্তর কবিতা মুখস্থ থাকলে দেওয়া সম্ভব হতো।
এইচএসসি বিশেষ প্রস্তুতি: ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা
লেখার অভ্যাস চালু রাখবে
পপেল চন্দ্র সাহা, সহকারী অধ্যাপক, আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজ, নরসিংদী, প্রিয় এইচএসসি পরীক্ষার্থী বন্ধুরা, সবার প্রতি রইল আমার স্নেহাশিস শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভালো আছ এবং সুস্থ আছ। আগামী ৬ নভেম্বর থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। এ জন্য আজ আমি তোমাদের সঙ্গে ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কীভাবে ভালো করা যায়, এ-সম্পর্কে কিছু পরামর্শ উপস্থাপন করছি।
পরীক্ষার সময় ও মানবণ্টন
ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ের ১ম পত্রের ৭টি অধ্যায় এবং ২য় পত্রের ৭টি অধ্যায়ের ওপর পরীক্ষা নেওয়া হবে। ওই পরীক্ষায় মোট ১১টি সৃজনশীল প্রশ্ন থাকবে। এর মধ্য থেকে তোমাদের মোট ৪টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এ জন্য সময় পাবে ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট। বহুনির্বাচনি পরীক্ষায় ৩০টি প্রশ্ন থেকে যেকোনো ১৫টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। উত্তর দেওয়ার জন্য সময় থাকবে ২০ মিনিট।
সংক্ষিপ্ত সিলেবাস
অনেক শিক্ষার্থীই ভাবতে পারে যেহেতু সিলেবাস সংক্ষিপ্ত, তা ছাড়া ১১টি সৃজনশীল প্রশ্ন থেকে ৪টির উত্তর দিতে হবে। এ জন্য ৪টি অথবা ৫টি অধ্যায় পড়লেই উত্তর করা যাবে। এমন ভাবা সম্পূর্ণই ভুল হবে। কারণ ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রায়ই মিশ্র প্রশ্ন আসে। যেমন: ক (জ্ঞানমূলক) ও খ (অনুধাবনমূলক) এক অধ্যায় থেকে এলেও গ (প্রয়োগমূলক) এবং ঘ (উচ্চতর দক্ষতা) অন্য অধ্যায় থেকে আসে। তাই বোর্ড নির্ধারিত সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের সব অধ্যায় অবশ্যই ভালোভাবে পড়তে হবে।
বহু নির্বাচনি প্রশ্ন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর সঠিক করার জন্য পাঠ্যবই পড়ার সময় রঙিন কালি ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ লাইনগুলো দাগাতে হবে। এ ছাড়া বিগত বছরের বোর্ড পরীক্ষার প্রশ্নপত্রগুলো সমাধান করার পাশাপাশি স্বনামধন্য কলেজের নির্বাচনী পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান করবে। যেহেতু ৩০টি থেকে ১৫টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, সেহেতু বহুনির্বাচনি প্রশ্ন হাতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কোনোভাবেই সময় অপচয় করা যাবে না। তুমি যদি পূর্ণ প্রশ্নপত্র পড়তে যাও, তাহলে তোমার সময় শেষ হয়ে যাবে। এ জন্য প্রশ্ন পড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তরের বৃত্ত ভরাট করতে হবে; বিশেষ করে প্রথমেই জ্ঞানমূলক অংশের উত্তর দেবে। এতে তোমার কম সময়ে অধিক উত্তর দেওয়া সম্ভব হবে। তারপর অনুধাবনমূলক অংশের উত্তর দেবে। এরপর ১৫টি উত্তর সম্পন্ন না করতে পারলে অন্য অপশন থেকে উত্তর করবে।
সৃজনশীল প্রশ্ন
সৃজনশীল প্রশ্নের সঠিক উত্তর করার জন্য অবশ্যই পাঠ্যবইয়ের মৌলিক বিষয়গুলোর ওপর অধিক গুরুত্বারোপ করতে হবে। এ ছাড়া প্রতিটি অধ্যায় থেকে শ্রেণি বিভাগ/প্রকারভেদ, নীতিমালা, বৈশিষ্ট্য এবং পদক্ষেপ/ধাপ ভালো করে আয়ত্ত করবে। তাহলে তুমি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর সহজেই লিখতে পারবে।
এ ছাড়া সৃজনশীল প্রশ্নের জ্ঞানমূলক
(ক) ও অনুধাবনমূলক (খ) প্রশ্নের উত্তর করাটা খুবই সহজ কাজ। তবে প্রয়োগের উত্তর করতে হলে অবশ্যই ৩টি প্যারায় লিখতে হবে; অর্থাৎ ১ম প্যারার জ্ঞানমূলক, ২য় প্যারার জ্ঞানমূলক অংশের ব্যাখ্যা, ৩য় প্যারার উদ্দীপকের হাইলাইট করে প্রয়োগমূলক অংশ উপস্থাপন করতে হবে।
(ঘ) অর্থাৎ উচ্চতর দক্ষতার ক্ষেত্রে একই উপায়ে প্রথমে জ্ঞানমূলক অংশ চিহ্নিতকরণ, এরপর ২য় অংশে ব্যাখ্যা ৩য় অংশে উদ্দীপকের সঙ্গে মিলিয়ে প্রয়োগ এবং ৪র্থ প্যারায় উদ্দীপক অনুযায়ী যুক্তিতর্ক বিচার-বিশ্লেষণ ও মতামত তুলে ধরতে হবে।
সর্বোপরি তুমি তোমার পাঠ্যপুস্তকের অর্জিত জ্ঞান, দক্ষতা কাজে লাগিয়ে চিন্তাভাবনা, কল্পনাশক্তি, উদ্ভাবনী ক্ষমতা, নান্দনিক উপায়ে প্রকাশ ও উপস্থাপন করবে। তাহলে আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় সফলতা সুনিশ্চিত।
পরীক্ষার মধ্যে বন্ধকালীন
ছুটির সঠিক ব্যবহার
এ বছর ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ের ১ম পত্রের আগে ১২ দিন লম্বা ছুটি, যা তোমাদের জন্য খুবই ভালো কাজে দেবে। যাদের উৎপাদন ও বিপণন বিষয়টি নেই শুধু তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে হ্যাঁ, এই ১২ দিন সুপরিকল্পিতভাবে যদি তুমি কাজে লাগাতে পারো, তাহলে ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে এ+ পাওয়া খুবই সহজ হবে। এ জন্য আমি বলব, যেহেতু ২য় পত্র পরীক্ষার আগে ১ দিন বন্ধ, তাই ১ম পত্র পরীক্ষার আগে ৩ দিন ২য় পত্রের জন্য সৃজনশীল অংশের প্রস্তুতি নেবে। সেই সঙ্গে আরও ২ দিন ২য় পত্রের বহুনির্বাচনির জন্য প্রস্তুতি নেবে। তাহলে তুমি সহজেই ২য় পত্রের সিলেবাস সম্পন্ন করতে পারবে। ১২ দিন থেকে ৫ দিন ২য় পত্রের জন্য চলে গেল। বাকি ৭ দিন ১ম পত্রের পরীক্ষার জন্য ঠান্ডা মাথায় ভালো করে প্রস্তুতি নিতে পারবে। পাঠ্যবই অনুশীলনের পাশাপাশি লেখার অভ্যাস চালু রাখবে। মনে রাখবে পরীক্ষার খাতায় পরিচ্ছন্ন হস্তাক্ষর ও শতভাগ প্রশ্নের উত্তর তোমার জিপিএ-৫.০০ পাওয়াকে ত্বরান্বিত করবে। মনে সাহস রাখবে, নিজের ওপর আস্তা রাখবে এবং পরীক্ষার হলে সময়মতো উপস্থিত হবে। পরীক্ষার শেষের দিকে রিভিশনের জন্য সময় রাখবে, যেন একবার চোখ বোলাতে পারো। সেই সঙ্গে ভুলত্রুটি থাকলে তা যেন সংশোধন করতে পারো।
এইচএসসি বিশেষ প্রস্তুতি: পদার্থবিজ্ঞান
প্রশ্ন নির্বাচন অতীব গুরুত্বপূর্ণ
এহসান উদ্দিন আহমদ, প্রভাষক, সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ডেমরা, ঢাকা। ২০২২ সালের প্রিয় এইচএসসি পরীক্ষার্থী বন্ধুরা, আশা করি সবাই সুস্থ আছ। তোমাদের পরীক্ষার পূর্ব প্রস্তুতি এবং পরীক্ষাকালীন করণীয় সম্পর্কে কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো:
নম্বর বণ্টন
পরিবর্তিত নম্বর বণ্টন পদ্ধতিতে তোমাদের পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ের প্রতিটি পত্রে পরীক্ষা হবে ৪৫ নম্বরের। বহুনির্বাচনি ১৫ নম্বর (২৫টি প্রশ্ন থেকে যেকোনো ১৫টির উত্তর দিতে হবে) এবং সৃজনশীল ৩০ নম্বর (৮টি উদ্দীপক সংশ্লিষ্ট প্রশ্ন থেকে ৩টি উদ্দীপক সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে)। সময় ২ ঘণ্টা (বহুনির্বাচনি ২০ মিনিট এবং লিখিত অংশে ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট)। সতর্কতার সঙ্গে পরীক্ষা দিলে পরিবর্তিত নম্বর বণ্টন পদ্ধতিতে পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে বিগত বছরগুলোর তুলনায় ভালো ফলাফল করা সম্ভব।
বহুনির্বাচনি অংশ
এ বছর বহুনির্বাচনি অংশে প্রশ্ন বাছাই করে উত্তর দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছ। প্রশ্ন বাছাই করার ক্ষেত্রে যে প্রশ্নের উত্তর তোমার কাছে অজানা মনে হবে, সেটির জন্য সময় নষ্ট না করে পরবর্তী প্রশ্নে যেতে হবে।
সৃজনশীল অংশ
সৃজনশীল অংশ পড়ে প্রশ্ন বাছাই করে শান্তভাবে লেখা শুরু করবে। এতে পরীক্ষা ভালো হবে। পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে প্রতিটি পত্রে ৭টি করে অধ্যায় থেকে ৮টি সৃজনশীল প্রশ্ন হবে। তাই প্রতিটি অধ্যায় থেকে প্রশ্ন হবে বলে আমরা আশা করতেই পারি। এ কারণে প্রিয় শিক্ষার্থী, তুমি যেসব বিষয়ে প্রস্তুতি নেবে, সেগুলো জেনে-বুঝে আয়ত্ত করবে আশা করছি। বহুনির্বাচনি অংশে ভালো করতে বোর্ড অনুমোদিত বই ভালোভাবে বারবার বুঝে পড়তে হবে। সৃজনশীল অংশে জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর সমস্যা দেখা দেয়। এ অংশে ভালো করতে তোমাদের সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত অংশের বিগত বছরগুলোর বিভিন্ন বোর্ডে আসা প্রশ্ন বুঝে বারবার অনুশীলন করতে হবে। মনে রাখতে হবে পদার্থবিজ্ঞানে বুঝে-শুনে বারবার অনুশীলনের বিকল্প নেই।
এইচএসসি বিশেষ প্রস্তুতি: ইংরেজি
প্রস্তুতি নেবে যেভাবে
দেওয়ান মোহাম্মদ এমদাদ হোসেন, সহকারী অধ্যাপক, মাইলস্টোন কলেজ, উত্তরা, ঢাকা সুপ্রিয় এইচএসসি পরীক্ষার্থী বন্ধুরা, তোমাদের প্রতি শুভেচ্ছা রইল। করোনা মহামারির কারণে তোমাদের সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। এখন তোমাকে ইংরেজি প্রথম পত্রের জন্য ৫০ এবং ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের জন্য ৫০ নম্বরের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিতে হবে। সময় নির্ধারণ হয়েছে দুই ঘণ্টা প্রতিটি পরীক্ষার জন্য।
ইংরেজি প্রথম পত্র
ইংরেজি প্রথম পত্রে মোট ৮টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। ২টি Part-এ বিভক্ত থাকবে প্রথম পত্র প্রশ্নটি।
Part 1: এ অংশে ৫টি প্রশ্ন থাকবে।
1. Multiple choice questions : seen passageথেকে ১০টি MCQ থাকবে, marks. .5×10=5
2. Short answer questions: seen passage ৪টি প্রশ্ন থাকবে 2×4=8
3. Synonym/antonym: (seen) passage ১০টি words থাকবে . 5×10=5
4. Cloze test without clues: (unseen) ৮টি gap-সংবলিত একটি passage থাকবে. 5×8=4
5. Rearranging:unseen. 1×8=8
Part 2: এ অংশে ৩টি প্রশ্ন থাকবে।
6. Writing paragraph (descriptive/listing) 7
7. Story Writing (Completing an incomplete story) 7
8. Summary (Seen, from EFT) 6
প্রস্তুতি নেবে যেভাবে
EFT বই থেকে মাত্র ৬টি Unit থেকে তোমাদের সব seen passage থাকবে। তাই, এই ৬টি unit খুব ভালো করে পড়লে ১, ২, ৩ এই ৩টি প্রশ্নের উত্তর যথাযথভাবে দিতে পারবে।আর, (৪) নম্বর প্রশ্নের জন্য বিগত সালের Board-গুলো ভালোভাবে করবে। (৫) নম্বর প্রশ্নের জন্য বিগত সালের Board-গুলোর Rearrange -গুলো ভালোভাবে অনুশীলন করবে। (৬) নম্বর প্রশ্নের জন্য বিগত সালের সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি করে এ রকম Paragraph পড়বে। তবে মনে রাখবে, তোমার লেখাটি যেন ২০০ শব্দের বেশি না হয়।(৭) নম্বর প্রশ্নের জন্য বিগত সালের Board-গুলোর story ভালোভাবে পড়বে। মনে রাখবে, storyতে moral দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে অবশ্যই সুন্দর একটি Title দেবে। (৮) নম্বর প্রশ্নের summary করার জন্য অবশ্যই উদাহরণ, উপমা, পরিহার করতে হবে। passage থেকে সরাসরি লাইন কপি করবে না; বরং paraphrase করবে। তোমার summary given text-এর One third হবে।
ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র
ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রে মোট ৮টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। ২টি Part-এ বিভক্ত থাকবে এ পত্রের প্রশ্নটি।
Part A: এ অংশে ৬টি প্রশ্ন থাকবে।
1. Gap filling activities without clues (for prepositions) 5×10=5
2. Gap filling activities without clues (for special uses: was born, have to/has to, would rather, had better, let alone, as soon as, what… like, what does..look like, introductory there, it). 5×10=5
3. Completing sentences (with clauses/phrases) 1× 5=5
4. Use of verbs (right form of verbs and subject-verb agreement as per context) . 5×10=5
5. Narrative style (direct to indirect and vice versa) 5
6. Use of sentence connectors……. .5×10=5
PART B: Composition (20 marks)
7. Formal letter writing 10
8. Writing paragraph 10
প্রস্তুতি নেবে যেভাবে
তোমাদের মাত্র ৬টি grammatical আইটেম থাকবে। এই আইটেমগুলোর জন্য সব Board-এর questions গুলোর সমাধান করবে।
মনে রাখবে

প্রিয় এইচএসসি পরীক্ষার্থী বন্ধুরা, ৬ নভেম্বর থেকে তোমাদের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। তোমাদের প্রস্তুতি এগিয়ে রাখতে দেশের সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা দিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ। এসব পরামর্শসহ পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে তোমাদের জন্য থাকছে ‘এইচএসসি পরীক্ষা-২০২২ প্রস্তুতি’।
এইচএসসি বিশেষ প্রস্তুতি: বাংলা প্রথম পত্র
সৃজনশীল পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা
মো. সুজাউদ দৌলা, সহকারী অধ্যাপক, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা সুপ্রিয় পরীক্ষার্থী বন্ধুরা, আগামী ৬ নভেম্বর ২০২২ তোমাদের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। তোমরা এর আগেও সৃজনশীল পদ্ধতিতে দুটি পাবলিক পরীক্ষায় (জেএসসি ও এসএসসি) অংশ নিয়েছ, তাই বলা যায়, এ বিষয়ে তোমরা অনেকটাই অবগত। তারপরও আমি তোমাদের নতুন করে বাংলা প্রথম পত্রের সৃজনশীল পদ্ধতি সম্বন্ধে একটু ধারণা দিতে চাই।
চারটি বিভাগে বিভক্ত
এ বিষয়ের প্রশ্নপত্র চারটি বিভাগে বিভক্ত থাকবে। ‘ক’ বিভাগে (গদ্য) চারটি সৃজনশীল প্রশ্ন থাকবে, ‘খ’ বিভাগে (কবিতা) তিনটি সৃজনশীল প্রশ্ন থাকবে, ‘গ’ বিভাগে (সহপাঠ-উপন্যাস) দুটি সৃজনশীল প্রশ্ন থাকবে এবং ‘ঘ’ বিভাগে (সহপাঠ-নাটক) দুটি সৃজনশীল প্রশ্ন থাকবে। তোমাদেরকে সব বিভাগ থেকে যেকোনো চারটি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। মান ৪০। সময় ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট। অর্থাৎ প্রতিটি সৃজনশীল প্রশ্নের জন্য ২৫ মিনিট সময় বরাদ্দ। বহুনির্বাচনী প্রশ্ন দেওয়া থাকবে ৩০টি, তবে উত্তর করতে হবে ১৫টি; এখানে সময় ২০ মিনিট। বাংলা প্রথম পত্রে মোট ৫৫ নম্বরের পরীক্ষা হবে।
সৃজনশীল পদ্ধতিতে যেহেতু চারটি অংশ (জ্ঞান, অনুধাবন, প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতা) মিলে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রশ্ন, তাই প্রতিটি অংশের উত্তর লেখার সময় প্রতিবার নম্বরটা এভাবে লিখবে। যেমন—তুমি ৩ নম্বর প্রশ্নটা উত্তর করবে। সে ক্ষেত্রে ৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর (ক), ৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর (খ), ৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর (গ), ৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর (ঘ) এভাবে লিখলে ভালো। আর এ লেখাগুলো ভিন্ন রঙের (সবুজ/নীল/মেরুন/বাদামি ইত্যাদি) কালি দিয়ে লিখলে দেখতে অনেক সুন্দর লাগবে।
যেকোনো একটি প্রশ্নের উত্তর লেখা শুরু করলে এর চারটি অংশের উত্তরই ধারাবাহিকভাবে করতে হবে। একটি প্রশ্নের জ্ঞানের উত্তর, আরেক প্রশ্নের প্রয়োগের উত্তর এভাবে করা যাবে না। কোনো উত্তর যদি কেউ না পারে, সে ক্ষেত্রে সেটা বাদ দিয়ে তার পরের অংশের উত্তর করতে হবে। জায়গা ফাঁকা রাখার দরকার নেই।
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন: জ্ঞানমূলক প্রশ্নের নম্বর ১। এর উত্তর একটি শব্দে, একাধিক বা একটি বাক্যেও দেওয়া যাবে। তবে এ স্তরের উত্তর একটি পূর্ণাঙ্গ বাক্যে দিলে ভালো। আর এ ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে জ্ঞানমূলক প্রশ্নে যে তথ্যটি জানতে চাওয়া হয়েছে সেটির বানান ভুল করলে উত্তর কাটা যাবে এবং শূন্য পাবে। যেমন—‘সোনার তরী’ কবিতার রচয়িতা কে? এখানে ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর’-এর নামের বানানটি ভুল করলে উত্তর কাটা যাবে।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন: অনুধাবনমূলক প্রশ্নের নম্বর ২। কারণ, এর মধ্যে একটি নম্বর জ্ঞানের জন্য, আরেকটি নম্বর অনুধাবনের জন্য। তুমি ইচ্ছা করলে জ্ঞান অংশের উত্তর আগে, অনুধাবনমূলক উত্তর পরে অথবা অনুধাবনমূলকের উত্তর আগে, জ্ঞানমূলকের উত্তর পরে লিখতে পারো। তবে জ্ঞানমূলকের উত্তর আগে লিখে অনুধাবনের উত্তর পরে লেখাই ভালো। অনুধাবনের প্রশ্নের উত্তর এক প্যারাতেও লেখা যায়। তবে দুই প্যারাতে লেখার চেষ্টা করবে। আর অনুধাবনমূলক প্রশ্নের শুরুতে অযথা কবি/সাহিত্যিককে নানা বিশেষণে বিশেষায়িত করার দরকার নেই।
প্রয়োগমূলক প্রশ্ন: প্রয়োগমূলক প্রশ্নের মোট নম্বর ৩। ১ নম্বর জ্ঞানে, ১ নম্বর অনুধাবনে এবং ১ নম্বর প্রয়োগে। তবে এক প্যারাতে সব তথ্য দিয়ে উত্তর লিখলেও হবে। তবে দুই/তিন প্যারা করাই ভালো। প্রয়োগ মানে আমরা জানি, শিক্ষার্থী তার পাঠ্যবই থেকে যা জেনেছে এবং যা বুঝেছে তা নতুন ক্ষেত্রে অর্থাৎ উদ্দীপকে প্রয়োগ করবে। কাজেই উদ্দীপকটি যে ভাবের আলোকে তৈরি করা হয়েছে এবং উদ্দীপকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গল্প/কবিতার যে দিকটির সাদৃশ্য/বৈসাদৃশ্য থাকে সেটিই জ্ঞান। তারপর ওই দিকটি/প্রসঙ্গটি পাঠ্যবইয়ের আলোকে বর্ণনা করাই হলো অনুধাবন। দ্বিতীয় প্যারায় অনুধাবন অংশের উত্তর লিখতে পারা এবং সবশেষে ওই দিকটি উদ্দীপকে কীভাবে ফুটে উঠেছে, তা বর্ণনা করাই প্রয়োগ।
উচ্চতর দক্ষতামূলক প্রশ্ন: উচ্চতর দক্ষতামূলক প্রশ্নের মোট নম্বর ৪। ১ নম্বর জ্ঞানে, ১ নম্বর অনুধাবনে, ১ নম্বর প্রয়োগে এবং ১ নম্বর উচ্চতর দক্ষতায়। উচ্চতর দক্ষতা মানেই একটা সিদ্ধান্তের ব্যাপার। প্রশ্নেই সাধারণত একটা অনুসিদ্ধান্ত দেওয়া থাকবে। যদি সিদ্ধান্তটি সঠিক হয় তাহলে সেটাকেই ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে, উদ্দীপকে প্রয়োগ করে প্রমাণ করবে যে সিদ্ধান্তটি সঠিক। আর যদি সিদ্ধান্তটি ভুল হয় তাহলে কেন ভুল, সেটাও প্রমাণ করতে হবে। অনেক সময় সিদ্ধান্তটি আংশিক সত্য হতে পারে। সে ক্ষেত্রে উদ্দীপকের সঙ্গে পাঠ্যবইয়ের যে অংশটুকুর মিল আছে, তা বর্ণনা করে যে যে ক্ষেত্রে মিল নেই সেগুলোও বর্ণনা করতে হবে এবং সর্বশেষ সিদ্ধান্ত দিতে হবে যে বক্তব্য/সিদ্ধান্তটি আংশিক সত্য, পুরোপুরি নয়। বিচার-বিশ্লেষণ-সংশ্লেষণ, মূল্যায়ন করে সিদ্ধান্ত দেওয়ার নামই উচ্চতর দক্ষতা।
সৃজনশীল পদ্ধতির বহুনির্বাচনী প্রশ্নগুলোও একটু ভিন্ন ধরনের। এর জন্য তোমাদের মূল বই বেশি বেশি রিডিং পড়তে হবে। কবিতাগুলো মুখস্থ রাখতে পারলে ভালো। বিগত সালের প্রশ্ন থেকে দেখা গেছে, কবিতা থেকে এমন কিছু প্রশ্ন এসেছে যেগুলোর উত্তর কবিতা মুখস্থ থাকলে দেওয়া সম্ভব হতো।
এইচএসসি বিশেষ প্রস্তুতি: ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা
লেখার অভ্যাস চালু রাখবে
পপেল চন্দ্র সাহা, সহকারী অধ্যাপক, আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজ, নরসিংদী, প্রিয় এইচএসসি পরীক্ষার্থী বন্ধুরা, সবার প্রতি রইল আমার স্নেহাশিস শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভালো আছ এবং সুস্থ আছ। আগামী ৬ নভেম্বর থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। এ জন্য আজ আমি তোমাদের সঙ্গে ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কীভাবে ভালো করা যায়, এ-সম্পর্কে কিছু পরামর্শ উপস্থাপন করছি।
পরীক্ষার সময় ও মানবণ্টন
ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ের ১ম পত্রের ৭টি অধ্যায় এবং ২য় পত্রের ৭টি অধ্যায়ের ওপর পরীক্ষা নেওয়া হবে। ওই পরীক্ষায় মোট ১১টি সৃজনশীল প্রশ্ন থাকবে। এর মধ্য থেকে তোমাদের মোট ৪টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এ জন্য সময় পাবে ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট। বহুনির্বাচনি পরীক্ষায় ৩০টি প্রশ্ন থেকে যেকোনো ১৫টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। উত্তর দেওয়ার জন্য সময় থাকবে ২০ মিনিট।
সংক্ষিপ্ত সিলেবাস
অনেক শিক্ষার্থীই ভাবতে পারে যেহেতু সিলেবাস সংক্ষিপ্ত, তা ছাড়া ১১টি সৃজনশীল প্রশ্ন থেকে ৪টির উত্তর দিতে হবে। এ জন্য ৪টি অথবা ৫টি অধ্যায় পড়লেই উত্তর করা যাবে। এমন ভাবা সম্পূর্ণই ভুল হবে। কারণ ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রায়ই মিশ্র প্রশ্ন আসে। যেমন: ক (জ্ঞানমূলক) ও খ (অনুধাবনমূলক) এক অধ্যায় থেকে এলেও গ (প্রয়োগমূলক) এবং ঘ (উচ্চতর দক্ষতা) অন্য অধ্যায় থেকে আসে। তাই বোর্ড নির্ধারিত সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের সব অধ্যায় অবশ্যই ভালোভাবে পড়তে হবে।
বহু নির্বাচনি প্রশ্ন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর সঠিক করার জন্য পাঠ্যবই পড়ার সময় রঙিন কালি ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ লাইনগুলো দাগাতে হবে। এ ছাড়া বিগত বছরের বোর্ড পরীক্ষার প্রশ্নপত্রগুলো সমাধান করার পাশাপাশি স্বনামধন্য কলেজের নির্বাচনী পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান করবে। যেহেতু ৩০টি থেকে ১৫টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, সেহেতু বহুনির্বাচনি প্রশ্ন হাতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কোনোভাবেই সময় অপচয় করা যাবে না। তুমি যদি পূর্ণ প্রশ্নপত্র পড়তে যাও, তাহলে তোমার সময় শেষ হয়ে যাবে। এ জন্য প্রশ্ন পড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তরের বৃত্ত ভরাট করতে হবে; বিশেষ করে প্রথমেই জ্ঞানমূলক অংশের উত্তর দেবে। এতে তোমার কম সময়ে অধিক উত্তর দেওয়া সম্ভব হবে। তারপর অনুধাবনমূলক অংশের উত্তর দেবে। এরপর ১৫টি উত্তর সম্পন্ন না করতে পারলে অন্য অপশন থেকে উত্তর করবে।
সৃজনশীল প্রশ্ন
সৃজনশীল প্রশ্নের সঠিক উত্তর করার জন্য অবশ্যই পাঠ্যবইয়ের মৌলিক বিষয়গুলোর ওপর অধিক গুরুত্বারোপ করতে হবে। এ ছাড়া প্রতিটি অধ্যায় থেকে শ্রেণি বিভাগ/প্রকারভেদ, নীতিমালা, বৈশিষ্ট্য এবং পদক্ষেপ/ধাপ ভালো করে আয়ত্ত করবে। তাহলে তুমি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর সহজেই লিখতে পারবে।
এ ছাড়া সৃজনশীল প্রশ্নের জ্ঞানমূলক
(ক) ও অনুধাবনমূলক (খ) প্রশ্নের উত্তর করাটা খুবই সহজ কাজ। তবে প্রয়োগের উত্তর করতে হলে অবশ্যই ৩টি প্যারায় লিখতে হবে; অর্থাৎ ১ম প্যারার জ্ঞানমূলক, ২য় প্যারার জ্ঞানমূলক অংশের ব্যাখ্যা, ৩য় প্যারার উদ্দীপকের হাইলাইট করে প্রয়োগমূলক অংশ উপস্থাপন করতে হবে।
(ঘ) অর্থাৎ উচ্চতর দক্ষতার ক্ষেত্রে একই উপায়ে প্রথমে জ্ঞানমূলক অংশ চিহ্নিতকরণ, এরপর ২য় অংশে ব্যাখ্যা ৩য় অংশে উদ্দীপকের সঙ্গে মিলিয়ে প্রয়োগ এবং ৪র্থ প্যারায় উদ্দীপক অনুযায়ী যুক্তিতর্ক বিচার-বিশ্লেষণ ও মতামত তুলে ধরতে হবে।
সর্বোপরি তুমি তোমার পাঠ্যপুস্তকের অর্জিত জ্ঞান, দক্ষতা কাজে লাগিয়ে চিন্তাভাবনা, কল্পনাশক্তি, উদ্ভাবনী ক্ষমতা, নান্দনিক উপায়ে প্রকাশ ও উপস্থাপন করবে। তাহলে আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় সফলতা সুনিশ্চিত।
পরীক্ষার মধ্যে বন্ধকালীন
ছুটির সঠিক ব্যবহার
এ বছর ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ের ১ম পত্রের আগে ১২ দিন লম্বা ছুটি, যা তোমাদের জন্য খুবই ভালো কাজে দেবে। যাদের উৎপাদন ও বিপণন বিষয়টি নেই শুধু তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে হ্যাঁ, এই ১২ দিন সুপরিকল্পিতভাবে যদি তুমি কাজে লাগাতে পারো, তাহলে ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে এ+ পাওয়া খুবই সহজ হবে। এ জন্য আমি বলব, যেহেতু ২য় পত্র পরীক্ষার আগে ১ দিন বন্ধ, তাই ১ম পত্র পরীক্ষার আগে ৩ দিন ২য় পত্রের জন্য সৃজনশীল অংশের প্রস্তুতি নেবে। সেই সঙ্গে আরও ২ দিন ২য় পত্রের বহুনির্বাচনির জন্য প্রস্তুতি নেবে। তাহলে তুমি সহজেই ২য় পত্রের সিলেবাস সম্পন্ন করতে পারবে। ১২ দিন থেকে ৫ দিন ২য় পত্রের জন্য চলে গেল। বাকি ৭ দিন ১ম পত্রের পরীক্ষার জন্য ঠান্ডা মাথায় ভালো করে প্রস্তুতি নিতে পারবে। পাঠ্যবই অনুশীলনের পাশাপাশি লেখার অভ্যাস চালু রাখবে। মনে রাখবে পরীক্ষার খাতায় পরিচ্ছন্ন হস্তাক্ষর ও শতভাগ প্রশ্নের উত্তর তোমার জিপিএ-৫.০০ পাওয়াকে ত্বরান্বিত করবে। মনে সাহস রাখবে, নিজের ওপর আস্তা রাখবে এবং পরীক্ষার হলে সময়মতো উপস্থিত হবে। পরীক্ষার শেষের দিকে রিভিশনের জন্য সময় রাখবে, যেন একবার চোখ বোলাতে পারো। সেই সঙ্গে ভুলত্রুটি থাকলে তা যেন সংশোধন করতে পারো।
এইচএসসি বিশেষ প্রস্তুতি: পদার্থবিজ্ঞান
প্রশ্ন নির্বাচন অতীব গুরুত্বপূর্ণ
এহসান উদ্দিন আহমদ, প্রভাষক, সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ডেমরা, ঢাকা। ২০২২ সালের প্রিয় এইচএসসি পরীক্ষার্থী বন্ধুরা, আশা করি সবাই সুস্থ আছ। তোমাদের পরীক্ষার পূর্ব প্রস্তুতি এবং পরীক্ষাকালীন করণীয় সম্পর্কে কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো:
নম্বর বণ্টন
পরিবর্তিত নম্বর বণ্টন পদ্ধতিতে তোমাদের পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ের প্রতিটি পত্রে পরীক্ষা হবে ৪৫ নম্বরের। বহুনির্বাচনি ১৫ নম্বর (২৫টি প্রশ্ন থেকে যেকোনো ১৫টির উত্তর দিতে হবে) এবং সৃজনশীল ৩০ নম্বর (৮টি উদ্দীপক সংশ্লিষ্ট প্রশ্ন থেকে ৩টি উদ্দীপক সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে)। সময় ২ ঘণ্টা (বহুনির্বাচনি ২০ মিনিট এবং লিখিত অংশে ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট)। সতর্কতার সঙ্গে পরীক্ষা দিলে পরিবর্তিত নম্বর বণ্টন পদ্ধতিতে পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে বিগত বছরগুলোর তুলনায় ভালো ফলাফল করা সম্ভব।
বহুনির্বাচনি অংশ
এ বছর বহুনির্বাচনি অংশে প্রশ্ন বাছাই করে উত্তর দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছ। প্রশ্ন বাছাই করার ক্ষেত্রে যে প্রশ্নের উত্তর তোমার কাছে অজানা মনে হবে, সেটির জন্য সময় নষ্ট না করে পরবর্তী প্রশ্নে যেতে হবে।
সৃজনশীল অংশ
সৃজনশীল অংশ পড়ে প্রশ্ন বাছাই করে শান্তভাবে লেখা শুরু করবে। এতে পরীক্ষা ভালো হবে। পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে প্রতিটি পত্রে ৭টি করে অধ্যায় থেকে ৮টি সৃজনশীল প্রশ্ন হবে। তাই প্রতিটি অধ্যায় থেকে প্রশ্ন হবে বলে আমরা আশা করতেই পারি। এ কারণে প্রিয় শিক্ষার্থী, তুমি যেসব বিষয়ে প্রস্তুতি নেবে, সেগুলো জেনে-বুঝে আয়ত্ত করবে আশা করছি। বহুনির্বাচনি অংশে ভালো করতে বোর্ড অনুমোদিত বই ভালোভাবে বারবার বুঝে পড়তে হবে। সৃজনশীল অংশে জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর সমস্যা দেখা দেয়। এ অংশে ভালো করতে তোমাদের সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত অংশের বিগত বছরগুলোর বিভিন্ন বোর্ডে আসা প্রশ্ন বুঝে বারবার অনুশীলন করতে হবে। মনে রাখতে হবে পদার্থবিজ্ঞানে বুঝে-শুনে বারবার অনুশীলনের বিকল্প নেই।
এইচএসসি বিশেষ প্রস্তুতি: ইংরেজি
প্রস্তুতি নেবে যেভাবে
দেওয়ান মোহাম্মদ এমদাদ হোসেন, সহকারী অধ্যাপক, মাইলস্টোন কলেজ, উত্তরা, ঢাকা সুপ্রিয় এইচএসসি পরীক্ষার্থী বন্ধুরা, তোমাদের প্রতি শুভেচ্ছা রইল। করোনা মহামারির কারণে তোমাদের সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। এখন তোমাকে ইংরেজি প্রথম পত্রের জন্য ৫০ এবং ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের জন্য ৫০ নম্বরের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিতে হবে। সময় নির্ধারণ হয়েছে দুই ঘণ্টা প্রতিটি পরীক্ষার জন্য।
ইংরেজি প্রথম পত্র
ইংরেজি প্রথম পত্রে মোট ৮টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। ২টি Part-এ বিভক্ত থাকবে প্রথম পত্র প্রশ্নটি।
Part 1: এ অংশে ৫টি প্রশ্ন থাকবে।
1. Multiple choice questions : seen passageথেকে ১০টি MCQ থাকবে, marks. .5×10=5
2. Short answer questions: seen passage ৪টি প্রশ্ন থাকবে 2×4=8
3. Synonym/antonym: (seen) passage ১০টি words থাকবে . 5×10=5
4. Cloze test without clues: (unseen) ৮টি gap-সংবলিত একটি passage থাকবে. 5×8=4
5. Rearranging:unseen. 1×8=8
Part 2: এ অংশে ৩টি প্রশ্ন থাকবে।
6. Writing paragraph (descriptive/listing) 7
7. Story Writing (Completing an incomplete story) 7
8. Summary (Seen, from EFT) 6
প্রস্তুতি নেবে যেভাবে
EFT বই থেকে মাত্র ৬টি Unit থেকে তোমাদের সব seen passage থাকবে। তাই, এই ৬টি unit খুব ভালো করে পড়লে ১, ২, ৩ এই ৩টি প্রশ্নের উত্তর যথাযথভাবে দিতে পারবে।আর, (৪) নম্বর প্রশ্নের জন্য বিগত সালের Board-গুলো ভালোভাবে করবে। (৫) নম্বর প্রশ্নের জন্য বিগত সালের Board-গুলোর Rearrange -গুলো ভালোভাবে অনুশীলন করবে। (৬) নম্বর প্রশ্নের জন্য বিগত সালের সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি করে এ রকম Paragraph পড়বে। তবে মনে রাখবে, তোমার লেখাটি যেন ২০০ শব্দের বেশি না হয়।(৭) নম্বর প্রশ্নের জন্য বিগত সালের Board-গুলোর story ভালোভাবে পড়বে। মনে রাখবে, storyতে moral দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে অবশ্যই সুন্দর একটি Title দেবে। (৮) নম্বর প্রশ্নের summary করার জন্য অবশ্যই উদাহরণ, উপমা, পরিহার করতে হবে। passage থেকে সরাসরি লাইন কপি করবে না; বরং paraphrase করবে। তোমার summary given text-এর One third হবে।
ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র
ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রে মোট ৮টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। ২টি Part-এ বিভক্ত থাকবে এ পত্রের প্রশ্নটি।
Part A: এ অংশে ৬টি প্রশ্ন থাকবে।
1. Gap filling activities without clues (for prepositions) 5×10=5
2. Gap filling activities without clues (for special uses: was born, have to/has to, would rather, had better, let alone, as soon as, what… like, what does..look like, introductory there, it). 5×10=5
3. Completing sentences (with clauses/phrases) 1× 5=5
4. Use of verbs (right form of verbs and subject-verb agreement as per context) . 5×10=5
5. Narrative style (direct to indirect and vice versa) 5
6. Use of sentence connectors……. .5×10=5
PART B: Composition (20 marks)
7. Formal letter writing 10
8. Writing paragraph 10
প্রস্তুতি নেবে যেভাবে
তোমাদের মাত্র ৬টি grammatical আইটেম থাকবে। এই আইটেমগুলোর জন্য সব Board-এর questions গুলোর সমাধান করবে।
মনে রাখবে

প্রিয় এইচএসসি পরীক্ষার্থী বন্ধুরা, ৬ নভেম্বর থেকে তোমাদের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। তোমাদের প্রস্তুতি এগিয়ে রাখতে দেশের সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা দিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ। এসব পরামর্শসহ পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে তোমাদের জন্য থাকছে ‘এইচএসসি পরীক্ষা-২০২২ প্রস্তুতি’।
এইচএসসি বিশেষ প্রস্তুতি: বাংলা প্রথম পত্র
সৃজনশীল পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা
মো. সুজাউদ দৌলা, সহকারী অধ্যাপক, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা সুপ্রিয় পরীক্ষার্থী বন্ধুরা, আগামী ৬ নভেম্বর ২০২২ তোমাদের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। তোমরা এর আগেও সৃজনশীল পদ্ধতিতে দুটি পাবলিক পরীক্ষায় (জেএসসি ও এসএসসি) অংশ নিয়েছ, তাই বলা যায়, এ বিষয়ে তোমরা অনেকটাই অবগত। তারপরও আমি তোমাদের নতুন করে বাংলা প্রথম পত্রের সৃজনশীল পদ্ধতি সম্বন্ধে একটু ধারণা দিতে চাই।
চারটি বিভাগে বিভক্ত
এ বিষয়ের প্রশ্নপত্র চারটি বিভাগে বিভক্ত থাকবে। ‘ক’ বিভাগে (গদ্য) চারটি সৃজনশীল প্রশ্ন থাকবে, ‘খ’ বিভাগে (কবিতা) তিনটি সৃজনশীল প্রশ্ন থাকবে, ‘গ’ বিভাগে (সহপাঠ-উপন্যাস) দুটি সৃজনশীল প্রশ্ন থাকবে এবং ‘ঘ’ বিভাগে (সহপাঠ-নাটক) দুটি সৃজনশীল প্রশ্ন থাকবে। তোমাদেরকে সব বিভাগ থেকে যেকোনো চারটি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। মান ৪০। সময় ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট। অর্থাৎ প্রতিটি সৃজনশীল প্রশ্নের জন্য ২৫ মিনিট সময় বরাদ্দ। বহুনির্বাচনী প্রশ্ন দেওয়া থাকবে ৩০টি, তবে উত্তর করতে হবে ১৫টি; এখানে সময় ২০ মিনিট। বাংলা প্রথম পত্রে মোট ৫৫ নম্বরের পরীক্ষা হবে।
সৃজনশীল পদ্ধতিতে যেহেতু চারটি অংশ (জ্ঞান, অনুধাবন, প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতা) মিলে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রশ্ন, তাই প্রতিটি অংশের উত্তর লেখার সময় প্রতিবার নম্বরটা এভাবে লিখবে। যেমন—তুমি ৩ নম্বর প্রশ্নটা উত্তর করবে। সে ক্ষেত্রে ৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর (ক), ৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর (খ), ৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর (গ), ৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর (ঘ) এভাবে লিখলে ভালো। আর এ লেখাগুলো ভিন্ন রঙের (সবুজ/নীল/মেরুন/বাদামি ইত্যাদি) কালি দিয়ে লিখলে দেখতে অনেক সুন্দর লাগবে।
যেকোনো একটি প্রশ্নের উত্তর লেখা শুরু করলে এর চারটি অংশের উত্তরই ধারাবাহিকভাবে করতে হবে। একটি প্রশ্নের জ্ঞানের উত্তর, আরেক প্রশ্নের প্রয়োগের উত্তর এভাবে করা যাবে না। কোনো উত্তর যদি কেউ না পারে, সে ক্ষেত্রে সেটা বাদ দিয়ে তার পরের অংশের উত্তর করতে হবে। জায়গা ফাঁকা রাখার দরকার নেই।
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন: জ্ঞানমূলক প্রশ্নের নম্বর ১। এর উত্তর একটি শব্দে, একাধিক বা একটি বাক্যেও দেওয়া যাবে। তবে এ স্তরের উত্তর একটি পূর্ণাঙ্গ বাক্যে দিলে ভালো। আর এ ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে জ্ঞানমূলক প্রশ্নে যে তথ্যটি জানতে চাওয়া হয়েছে সেটির বানান ভুল করলে উত্তর কাটা যাবে এবং শূন্য পাবে। যেমন—‘সোনার তরী’ কবিতার রচয়িতা কে? এখানে ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর’-এর নামের বানানটি ভুল করলে উত্তর কাটা যাবে।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন: অনুধাবনমূলক প্রশ্নের নম্বর ২। কারণ, এর মধ্যে একটি নম্বর জ্ঞানের জন্য, আরেকটি নম্বর অনুধাবনের জন্য। তুমি ইচ্ছা করলে জ্ঞান অংশের উত্তর আগে, অনুধাবনমূলক উত্তর পরে অথবা অনুধাবনমূলকের উত্তর আগে, জ্ঞানমূলকের উত্তর পরে লিখতে পারো। তবে জ্ঞানমূলকের উত্তর আগে লিখে অনুধাবনের উত্তর পরে লেখাই ভালো। অনুধাবনের প্রশ্নের উত্তর এক প্যারাতেও লেখা যায়। তবে দুই প্যারাতে লেখার চেষ্টা করবে। আর অনুধাবনমূলক প্রশ্নের শুরুতে অযথা কবি/সাহিত্যিককে নানা বিশেষণে বিশেষায়িত করার দরকার নেই।
প্রয়োগমূলক প্রশ্ন: প্রয়োগমূলক প্রশ্নের মোট নম্বর ৩। ১ নম্বর জ্ঞানে, ১ নম্বর অনুধাবনে এবং ১ নম্বর প্রয়োগে। তবে এক প্যারাতে সব তথ্য দিয়ে উত্তর লিখলেও হবে। তবে দুই/তিন প্যারা করাই ভালো। প্রয়োগ মানে আমরা জানি, শিক্ষার্থী তার পাঠ্যবই থেকে যা জেনেছে এবং যা বুঝেছে তা নতুন ক্ষেত্রে অর্থাৎ উদ্দীপকে প্রয়োগ করবে। কাজেই উদ্দীপকটি যে ভাবের আলোকে তৈরি করা হয়েছে এবং উদ্দীপকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গল্প/কবিতার যে দিকটির সাদৃশ্য/বৈসাদৃশ্য থাকে সেটিই জ্ঞান। তারপর ওই দিকটি/প্রসঙ্গটি পাঠ্যবইয়ের আলোকে বর্ণনা করাই হলো অনুধাবন। দ্বিতীয় প্যারায় অনুধাবন অংশের উত্তর লিখতে পারা এবং সবশেষে ওই দিকটি উদ্দীপকে কীভাবে ফুটে উঠেছে, তা বর্ণনা করাই প্রয়োগ।
উচ্চতর দক্ষতামূলক প্রশ্ন: উচ্চতর দক্ষতামূলক প্রশ্নের মোট নম্বর ৪। ১ নম্বর জ্ঞানে, ১ নম্বর অনুধাবনে, ১ নম্বর প্রয়োগে এবং ১ নম্বর উচ্চতর দক্ষতায়। উচ্চতর দক্ষতা মানেই একটা সিদ্ধান্তের ব্যাপার। প্রশ্নেই সাধারণত একটা অনুসিদ্ধান্ত দেওয়া থাকবে। যদি সিদ্ধান্তটি সঠিক হয় তাহলে সেটাকেই ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে, উদ্দীপকে প্রয়োগ করে প্রমাণ করবে যে সিদ্ধান্তটি সঠিক। আর যদি সিদ্ধান্তটি ভুল হয় তাহলে কেন ভুল, সেটাও প্রমাণ করতে হবে। অনেক সময় সিদ্ধান্তটি আংশিক সত্য হতে পারে। সে ক্ষেত্রে উদ্দীপকের সঙ্গে পাঠ্যবইয়ের যে অংশটুকুর মিল আছে, তা বর্ণনা করে যে যে ক্ষেত্রে মিল নেই সেগুলোও বর্ণনা করতে হবে এবং সর্বশেষ সিদ্ধান্ত দিতে হবে যে বক্তব্য/সিদ্ধান্তটি আংশিক সত্য, পুরোপুরি নয়। বিচার-বিশ্লেষণ-সংশ্লেষণ, মূল্যায়ন করে সিদ্ধান্ত দেওয়ার নামই উচ্চতর দক্ষতা।
সৃজনশীল পদ্ধতির বহুনির্বাচনী প্রশ্নগুলোও একটু ভিন্ন ধরনের। এর জন্য তোমাদের মূল বই বেশি বেশি রিডিং পড়তে হবে। কবিতাগুলো মুখস্থ রাখতে পারলে ভালো। বিগত সালের প্রশ্ন থেকে দেখা গেছে, কবিতা থেকে এমন কিছু প্রশ্ন এসেছে যেগুলোর উত্তর কবিতা মুখস্থ থাকলে দেওয়া সম্ভব হতো।
এইচএসসি বিশেষ প্রস্তুতি: ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা
লেখার অভ্যাস চালু রাখবে
পপেল চন্দ্র সাহা, সহকারী অধ্যাপক, আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজ, নরসিংদী, প্রিয় এইচএসসি পরীক্ষার্থী বন্ধুরা, সবার প্রতি রইল আমার স্নেহাশিস শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভালো আছ এবং সুস্থ আছ। আগামী ৬ নভেম্বর থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। এ জন্য আজ আমি তোমাদের সঙ্গে ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কীভাবে ভালো করা যায়, এ-সম্পর্কে কিছু পরামর্শ উপস্থাপন করছি।
পরীক্ষার সময় ও মানবণ্টন
ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ের ১ম পত্রের ৭টি অধ্যায় এবং ২য় পত্রের ৭টি অধ্যায়ের ওপর পরীক্ষা নেওয়া হবে। ওই পরীক্ষায় মোট ১১টি সৃজনশীল প্রশ্ন থাকবে। এর মধ্য থেকে তোমাদের মোট ৪টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এ জন্য সময় পাবে ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট। বহুনির্বাচনি পরীক্ষায় ৩০টি প্রশ্ন থেকে যেকোনো ১৫টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। উত্তর দেওয়ার জন্য সময় থাকবে ২০ মিনিট।
সংক্ষিপ্ত সিলেবাস
অনেক শিক্ষার্থীই ভাবতে পারে যেহেতু সিলেবাস সংক্ষিপ্ত, তা ছাড়া ১১টি সৃজনশীল প্রশ্ন থেকে ৪টির উত্তর দিতে হবে। এ জন্য ৪টি অথবা ৫টি অধ্যায় পড়লেই উত্তর করা যাবে। এমন ভাবা সম্পূর্ণই ভুল হবে। কারণ ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রায়ই মিশ্র প্রশ্ন আসে। যেমন: ক (জ্ঞানমূলক) ও খ (অনুধাবনমূলক) এক অধ্যায় থেকে এলেও গ (প্রয়োগমূলক) এবং ঘ (উচ্চতর দক্ষতা) অন্য অধ্যায় থেকে আসে। তাই বোর্ড নির্ধারিত সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের সব অধ্যায় অবশ্যই ভালোভাবে পড়তে হবে।
বহু নির্বাচনি প্রশ্ন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর সঠিক করার জন্য পাঠ্যবই পড়ার সময় রঙিন কালি ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ লাইনগুলো দাগাতে হবে। এ ছাড়া বিগত বছরের বোর্ড পরীক্ষার প্রশ্নপত্রগুলো সমাধান করার পাশাপাশি স্বনামধন্য কলেজের নির্বাচনী পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান করবে। যেহেতু ৩০টি থেকে ১৫টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, সেহেতু বহুনির্বাচনি প্রশ্ন হাতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কোনোভাবেই সময় অপচয় করা যাবে না। তুমি যদি পূর্ণ প্রশ্নপত্র পড়তে যাও, তাহলে তোমার সময় শেষ হয়ে যাবে। এ জন্য প্রশ্ন পড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তরের বৃত্ত ভরাট করতে হবে; বিশেষ করে প্রথমেই জ্ঞানমূলক অংশের উত্তর দেবে। এতে তোমার কম সময়ে অধিক উত্তর দেওয়া সম্ভব হবে। তারপর অনুধাবনমূলক অংশের উত্তর দেবে। এরপর ১৫টি উত্তর সম্পন্ন না করতে পারলে অন্য অপশন থেকে উত্তর করবে।
সৃজনশীল প্রশ্ন
সৃজনশীল প্রশ্নের সঠিক উত্তর করার জন্য অবশ্যই পাঠ্যবইয়ের মৌলিক বিষয়গুলোর ওপর অধিক গুরুত্বারোপ করতে হবে। এ ছাড়া প্রতিটি অধ্যায় থেকে শ্রেণি বিভাগ/প্রকারভেদ, নীতিমালা, বৈশিষ্ট্য এবং পদক্ষেপ/ধাপ ভালো করে আয়ত্ত করবে। তাহলে তুমি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর সহজেই লিখতে পারবে।
এ ছাড়া সৃজনশীল প্রশ্নের জ্ঞানমূলক
(ক) ও অনুধাবনমূলক (খ) প্রশ্নের উত্তর করাটা খুবই সহজ কাজ। তবে প্রয়োগের উত্তর করতে হলে অবশ্যই ৩টি প্যারায় লিখতে হবে; অর্থাৎ ১ম প্যারার জ্ঞানমূলক, ২য় প্যারার জ্ঞানমূলক অংশের ব্যাখ্যা, ৩য় প্যারার উদ্দীপকের হাইলাইট করে প্রয়োগমূলক অংশ উপস্থাপন করতে হবে।
(ঘ) অর্থাৎ উচ্চতর দক্ষতার ক্ষেত্রে একই উপায়ে প্রথমে জ্ঞানমূলক অংশ চিহ্নিতকরণ, এরপর ২য় অংশে ব্যাখ্যা ৩য় অংশে উদ্দীপকের সঙ্গে মিলিয়ে প্রয়োগ এবং ৪র্থ প্যারায় উদ্দীপক অনুযায়ী যুক্তিতর্ক বিচার-বিশ্লেষণ ও মতামত তুলে ধরতে হবে।
সর্বোপরি তুমি তোমার পাঠ্যপুস্তকের অর্জিত জ্ঞান, দক্ষতা কাজে লাগিয়ে চিন্তাভাবনা, কল্পনাশক্তি, উদ্ভাবনী ক্ষমতা, নান্দনিক উপায়ে প্রকাশ ও উপস্থাপন করবে। তাহলে আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় সফলতা সুনিশ্চিত।
পরীক্ষার মধ্যে বন্ধকালীন
ছুটির সঠিক ব্যবহার
এ বছর ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ের ১ম পত্রের আগে ১২ দিন লম্বা ছুটি, যা তোমাদের জন্য খুবই ভালো কাজে দেবে। যাদের উৎপাদন ও বিপণন বিষয়টি নেই শুধু তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে হ্যাঁ, এই ১২ দিন সুপরিকল্পিতভাবে যদি তুমি কাজে লাগাতে পারো, তাহলে ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে এ+ পাওয়া খুবই সহজ হবে। এ জন্য আমি বলব, যেহেতু ২য় পত্র পরীক্ষার আগে ১ দিন বন্ধ, তাই ১ম পত্র পরীক্ষার আগে ৩ দিন ২য় পত্রের জন্য সৃজনশীল অংশের প্রস্তুতি নেবে। সেই সঙ্গে আরও ২ দিন ২য় পত্রের বহুনির্বাচনির জন্য প্রস্তুতি নেবে। তাহলে তুমি সহজেই ২য় পত্রের সিলেবাস সম্পন্ন করতে পারবে। ১২ দিন থেকে ৫ দিন ২য় পত্রের জন্য চলে গেল। বাকি ৭ দিন ১ম পত্রের পরীক্ষার জন্য ঠান্ডা মাথায় ভালো করে প্রস্তুতি নিতে পারবে। পাঠ্যবই অনুশীলনের পাশাপাশি লেখার অভ্যাস চালু রাখবে। মনে রাখবে পরীক্ষার খাতায় পরিচ্ছন্ন হস্তাক্ষর ও শতভাগ প্রশ্নের উত্তর তোমার জিপিএ-৫.০০ পাওয়াকে ত্বরান্বিত করবে। মনে সাহস রাখবে, নিজের ওপর আস্তা রাখবে এবং পরীক্ষার হলে সময়মতো উপস্থিত হবে। পরীক্ষার শেষের দিকে রিভিশনের জন্য সময় রাখবে, যেন একবার চোখ বোলাতে পারো। সেই সঙ্গে ভুলত্রুটি থাকলে তা যেন সংশোধন করতে পারো।
এইচএসসি বিশেষ প্রস্তুতি: পদার্থবিজ্ঞান
প্রশ্ন নির্বাচন অতীব গুরুত্বপূর্ণ
এহসান উদ্দিন আহমদ, প্রভাষক, সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ডেমরা, ঢাকা। ২০২২ সালের প্রিয় এইচএসসি পরীক্ষার্থী বন্ধুরা, আশা করি সবাই সুস্থ আছ। তোমাদের পরীক্ষার পূর্ব প্রস্তুতি এবং পরীক্ষাকালীন করণীয় সম্পর্কে কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো:
নম্বর বণ্টন
পরিবর্তিত নম্বর বণ্টন পদ্ধতিতে তোমাদের পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ের প্রতিটি পত্রে পরীক্ষা হবে ৪৫ নম্বরের। বহুনির্বাচনি ১৫ নম্বর (২৫টি প্রশ্ন থেকে যেকোনো ১৫টির উত্তর দিতে হবে) এবং সৃজনশীল ৩০ নম্বর (৮টি উদ্দীপক সংশ্লিষ্ট প্রশ্ন থেকে ৩টি উদ্দীপক সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে)। সময় ২ ঘণ্টা (বহুনির্বাচনি ২০ মিনিট এবং লিখিত অংশে ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট)। সতর্কতার সঙ্গে পরীক্ষা দিলে পরিবর্তিত নম্বর বণ্টন পদ্ধতিতে পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে বিগত বছরগুলোর তুলনায় ভালো ফলাফল করা সম্ভব।
বহুনির্বাচনি অংশ
এ বছর বহুনির্বাচনি অংশে প্রশ্ন বাছাই করে উত্তর দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছ। প্রশ্ন বাছাই করার ক্ষেত্রে যে প্রশ্নের উত্তর তোমার কাছে অজানা মনে হবে, সেটির জন্য সময় নষ্ট না করে পরবর্তী প্রশ্নে যেতে হবে।
সৃজনশীল অংশ
সৃজনশীল অংশ পড়ে প্রশ্ন বাছাই করে শান্তভাবে লেখা শুরু করবে। এতে পরীক্ষা ভালো হবে। পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে প্রতিটি পত্রে ৭টি করে অধ্যায় থেকে ৮টি সৃজনশীল প্রশ্ন হবে। তাই প্রতিটি অধ্যায় থেকে প্রশ্ন হবে বলে আমরা আশা করতেই পারি। এ কারণে প্রিয় শিক্ষার্থী, তুমি যেসব বিষয়ে প্রস্তুতি নেবে, সেগুলো জেনে-বুঝে আয়ত্ত করবে আশা করছি। বহুনির্বাচনি অংশে ভালো করতে বোর্ড অনুমোদিত বই ভালোভাবে বারবার বুঝে পড়তে হবে। সৃজনশীল অংশে জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর সমস্যা দেখা দেয়। এ অংশে ভালো করতে তোমাদের সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত অংশের বিগত বছরগুলোর বিভিন্ন বোর্ডে আসা প্রশ্ন বুঝে বারবার অনুশীলন করতে হবে। মনে রাখতে হবে পদার্থবিজ্ঞানে বুঝে-শুনে বারবার অনুশীলনের বিকল্প নেই।
এইচএসসি বিশেষ প্রস্তুতি: ইংরেজি
প্রস্তুতি নেবে যেভাবে
দেওয়ান মোহাম্মদ এমদাদ হোসেন, সহকারী অধ্যাপক, মাইলস্টোন কলেজ, উত্তরা, ঢাকা সুপ্রিয় এইচএসসি পরীক্ষার্থী বন্ধুরা, তোমাদের প্রতি শুভেচ্ছা রইল। করোনা মহামারির কারণে তোমাদের সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। এখন তোমাকে ইংরেজি প্রথম পত্রের জন্য ৫০ এবং ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের জন্য ৫০ নম্বরের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিতে হবে। সময় নির্ধারণ হয়েছে দুই ঘণ্টা প্রতিটি পরীক্ষার জন্য।
ইংরেজি প্রথম পত্র
ইংরেজি প্রথম পত্রে মোট ৮টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। ২টি Part-এ বিভক্ত থাকবে প্রথম পত্র প্রশ্নটি।
Part 1: এ অংশে ৫টি প্রশ্ন থাকবে।
1. Multiple choice questions : seen passageথেকে ১০টি MCQ থাকবে, marks. .5×10=5
2. Short answer questions: seen passage ৪টি প্রশ্ন থাকবে 2×4=8
3. Synonym/antonym: (seen) passage ১০টি words থাকবে . 5×10=5
4. Cloze test without clues: (unseen) ৮টি gap-সংবলিত একটি passage থাকবে. 5×8=4
5. Rearranging:unseen. 1×8=8
Part 2: এ অংশে ৩টি প্রশ্ন থাকবে।
6. Writing paragraph (descriptive/listing) 7
7. Story Writing (Completing an incomplete story) 7
8. Summary (Seen, from EFT) 6
প্রস্তুতি নেবে যেভাবে
EFT বই থেকে মাত্র ৬টি Unit থেকে তোমাদের সব seen passage থাকবে। তাই, এই ৬টি unit খুব ভালো করে পড়লে ১, ২, ৩ এই ৩টি প্রশ্নের উত্তর যথাযথভাবে দিতে পারবে।আর, (৪) নম্বর প্রশ্নের জন্য বিগত সালের Board-গুলো ভালোভাবে করবে। (৫) নম্বর প্রশ্নের জন্য বিগত সালের Board-গুলোর Rearrange -গুলো ভালোভাবে অনুশীলন করবে। (৬) নম্বর প্রশ্নের জন্য বিগত সালের সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি করে এ রকম Paragraph পড়বে। তবে মনে রাখবে, তোমার লেখাটি যেন ২০০ শব্দের বেশি না হয়।(৭) নম্বর প্রশ্নের জন্য বিগত সালের Board-গুলোর story ভালোভাবে পড়বে। মনে রাখবে, storyতে moral দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে অবশ্যই সুন্দর একটি Title দেবে। (৮) নম্বর প্রশ্নের summary করার জন্য অবশ্যই উদাহরণ, উপমা, পরিহার করতে হবে। passage থেকে সরাসরি লাইন কপি করবে না; বরং paraphrase করবে। তোমার summary given text-এর One third হবে।
ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র
ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রে মোট ৮টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। ২টি Part-এ বিভক্ত থাকবে এ পত্রের প্রশ্নটি।
Part A: এ অংশে ৬টি প্রশ্ন থাকবে।
1. Gap filling activities without clues (for prepositions) 5×10=5
2. Gap filling activities without clues (for special uses: was born, have to/has to, would rather, had better, let alone, as soon as, what… like, what does..look like, introductory there, it). 5×10=5
3. Completing sentences (with clauses/phrases) 1× 5=5
4. Use of verbs (right form of verbs and subject-verb agreement as per context) . 5×10=5
5. Narrative style (direct to indirect and vice versa) 5
6. Use of sentence connectors……. .5×10=5
PART B: Composition (20 marks)
7. Formal letter writing 10
8. Writing paragraph 10
প্রস্তুতি নেবে যেভাবে
তোমাদের মাত্র ৬টি grammatical আইটেম থাকবে। এই আইটেমগুলোর জন্য সব Board-এর questions গুলোর সমাধান করবে।
মনে রাখবে

প্রিয় এইচএসসি পরীক্ষার্থী বন্ধুরা, ৬ নভেম্বর থেকে তোমাদের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। তোমাদের প্রস্তুতি এগিয়ে রাখতে দেশের সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা দিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ। এসব পরামর্শসহ পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে তোমাদের জন্য থাকছে ‘এইচএসসি পরীক্ষা-২০২২ প্রস্তুতি’।
এইচএসসি বিশেষ প্রস্তুতি: বাংলা প্রথম পত্র
সৃজনশীল পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা
মো. সুজাউদ দৌলা, সহকারী অধ্যাপক, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা সুপ্রিয় পরীক্ষার্থী বন্ধুরা, আগামী ৬ নভেম্বর ২০২২ তোমাদের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। তোমরা এর আগেও সৃজনশীল পদ্ধতিতে দুটি পাবলিক পরীক্ষায় (জেএসসি ও এসএসসি) অংশ নিয়েছ, তাই বলা যায়, এ বিষয়ে তোমরা অনেকটাই অবগত। তারপরও আমি তোমাদের নতুন করে বাংলা প্রথম পত্রের সৃজনশীল পদ্ধতি সম্বন্ধে একটু ধারণা দিতে চাই।
চারটি বিভাগে বিভক্ত
এ বিষয়ের প্রশ্নপত্র চারটি বিভাগে বিভক্ত থাকবে। ‘ক’ বিভাগে (গদ্য) চারটি সৃজনশীল প্রশ্ন থাকবে, ‘খ’ বিভাগে (কবিতা) তিনটি সৃজনশীল প্রশ্ন থাকবে, ‘গ’ বিভাগে (সহপাঠ-উপন্যাস) দুটি সৃজনশীল প্রশ্ন থাকবে এবং ‘ঘ’ বিভাগে (সহপাঠ-নাটক) দুটি সৃজনশীল প্রশ্ন থাকবে। তোমাদেরকে সব বিভাগ থেকে যেকোনো চারটি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। মান ৪০। সময় ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট। অর্থাৎ প্রতিটি সৃজনশীল প্রশ্নের জন্য ২৫ মিনিট সময় বরাদ্দ। বহুনির্বাচনী প্রশ্ন দেওয়া থাকবে ৩০টি, তবে উত্তর করতে হবে ১৫টি; এখানে সময় ২০ মিনিট। বাংলা প্রথম পত্রে মোট ৫৫ নম্বরের পরীক্ষা হবে।
সৃজনশীল পদ্ধতিতে যেহেতু চারটি অংশ (জ্ঞান, অনুধাবন, প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতা) মিলে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রশ্ন, তাই প্রতিটি অংশের উত্তর লেখার সময় প্রতিবার নম্বরটা এভাবে লিখবে। যেমন—তুমি ৩ নম্বর প্রশ্নটা উত্তর করবে। সে ক্ষেত্রে ৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর (ক), ৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর (খ), ৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর (গ), ৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর (ঘ) এভাবে লিখলে ভালো। আর এ লেখাগুলো ভিন্ন রঙের (সবুজ/নীল/মেরুন/বাদামি ইত্যাদি) কালি দিয়ে লিখলে দেখতে অনেক সুন্দর লাগবে।
যেকোনো একটি প্রশ্নের উত্তর লেখা শুরু করলে এর চারটি অংশের উত্তরই ধারাবাহিকভাবে করতে হবে। একটি প্রশ্নের জ্ঞানের উত্তর, আরেক প্রশ্নের প্রয়োগের উত্তর এভাবে করা যাবে না। কোনো উত্তর যদি কেউ না পারে, সে ক্ষেত্রে সেটা বাদ দিয়ে তার পরের অংশের উত্তর করতে হবে। জায়গা ফাঁকা রাখার দরকার নেই।
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন: জ্ঞানমূলক প্রশ্নের নম্বর ১। এর উত্তর একটি শব্দে, একাধিক বা একটি বাক্যেও দেওয়া যাবে। তবে এ স্তরের উত্তর একটি পূর্ণাঙ্গ বাক্যে দিলে ভালো। আর এ ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে জ্ঞানমূলক প্রশ্নে যে তথ্যটি জানতে চাওয়া হয়েছে সেটির বানান ভুল করলে উত্তর কাটা যাবে এবং শূন্য পাবে। যেমন—‘সোনার তরী’ কবিতার রচয়িতা কে? এখানে ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর’-এর নামের বানানটি ভুল করলে উত্তর কাটা যাবে।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন: অনুধাবনমূলক প্রশ্নের নম্বর ২। কারণ, এর মধ্যে একটি নম্বর জ্ঞানের জন্য, আরেকটি নম্বর অনুধাবনের জন্য। তুমি ইচ্ছা করলে জ্ঞান অংশের উত্তর আগে, অনুধাবনমূলক উত্তর পরে অথবা অনুধাবনমূলকের উত্তর আগে, জ্ঞানমূলকের উত্তর পরে লিখতে পারো। তবে জ্ঞানমূলকের উত্তর আগে লিখে অনুধাবনের উত্তর পরে লেখাই ভালো। অনুধাবনের প্রশ্নের উত্তর এক প্যারাতেও লেখা যায়। তবে দুই প্যারাতে লেখার চেষ্টা করবে। আর অনুধাবনমূলক প্রশ্নের শুরুতে অযথা কবি/সাহিত্যিককে নানা বিশেষণে বিশেষায়িত করার দরকার নেই।
প্রয়োগমূলক প্রশ্ন: প্রয়োগমূলক প্রশ্নের মোট নম্বর ৩। ১ নম্বর জ্ঞানে, ১ নম্বর অনুধাবনে এবং ১ নম্বর প্রয়োগে। তবে এক প্যারাতে সব তথ্য দিয়ে উত্তর লিখলেও হবে। তবে দুই/তিন প্যারা করাই ভালো। প্রয়োগ মানে আমরা জানি, শিক্ষার্থী তার পাঠ্যবই থেকে যা জেনেছে এবং যা বুঝেছে তা নতুন ক্ষেত্রে অর্থাৎ উদ্দীপকে প্রয়োগ করবে। কাজেই উদ্দীপকটি যে ভাবের আলোকে তৈরি করা হয়েছে এবং উদ্দীপকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গল্প/কবিতার যে দিকটির সাদৃশ্য/বৈসাদৃশ্য থাকে সেটিই জ্ঞান। তারপর ওই দিকটি/প্রসঙ্গটি পাঠ্যবইয়ের আলোকে বর্ণনা করাই হলো অনুধাবন। দ্বিতীয় প্যারায় অনুধাবন অংশের উত্তর লিখতে পারা এবং সবশেষে ওই দিকটি উদ্দীপকে কীভাবে ফুটে উঠেছে, তা বর্ণনা করাই প্রয়োগ।
উচ্চতর দক্ষতামূলক প্রশ্ন: উচ্চতর দক্ষতামূলক প্রশ্নের মোট নম্বর ৪। ১ নম্বর জ্ঞানে, ১ নম্বর অনুধাবনে, ১ নম্বর প্রয়োগে এবং ১ নম্বর উচ্চতর দক্ষতায়। উচ্চতর দক্ষতা মানেই একটা সিদ্ধান্তের ব্যাপার। প্রশ্নেই সাধারণত একটা অনুসিদ্ধান্ত দেওয়া থাকবে। যদি সিদ্ধান্তটি সঠিক হয় তাহলে সেটাকেই ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে, উদ্দীপকে প্রয়োগ করে প্রমাণ করবে যে সিদ্ধান্তটি সঠিক। আর যদি সিদ্ধান্তটি ভুল হয় তাহলে কেন ভুল, সেটাও প্রমাণ করতে হবে। অনেক সময় সিদ্ধান্তটি আংশিক সত্য হতে পারে। সে ক্ষেত্রে উদ্দীপকের সঙ্গে পাঠ্যবইয়ের যে অংশটুকুর মিল আছে, তা বর্ণনা করে যে যে ক্ষেত্রে মিল নেই সেগুলোও বর্ণনা করতে হবে এবং সর্বশেষ সিদ্ধান্ত দিতে হবে যে বক্তব্য/সিদ্ধান্তটি আংশিক সত্য, পুরোপুরি নয়। বিচার-বিশ্লেষণ-সংশ্লেষণ, মূল্যায়ন করে সিদ্ধান্ত দেওয়ার নামই উচ্চতর দক্ষতা।
সৃজনশীল পদ্ধতির বহুনির্বাচনী প্রশ্নগুলোও একটু ভিন্ন ধরনের। এর জন্য তোমাদের মূল বই বেশি বেশি রিডিং পড়তে হবে। কবিতাগুলো মুখস্থ রাখতে পারলে ভালো। বিগত সালের প্রশ্ন থেকে দেখা গেছে, কবিতা থেকে এমন কিছু প্রশ্ন এসেছে যেগুলোর উত্তর কবিতা মুখস্থ থাকলে দেওয়া সম্ভব হতো।
এইচএসসি বিশেষ প্রস্তুতি: ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা
লেখার অভ্যাস চালু রাখবে
পপেল চন্দ্র সাহা, সহকারী অধ্যাপক, আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজ, নরসিংদী, প্রিয় এইচএসসি পরীক্ষার্থী বন্ধুরা, সবার প্রতি রইল আমার স্নেহাশিস শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভালো আছ এবং সুস্থ আছ। আগামী ৬ নভেম্বর থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। এ জন্য আজ আমি তোমাদের সঙ্গে ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কীভাবে ভালো করা যায়, এ-সম্পর্কে কিছু পরামর্শ উপস্থাপন করছি।
পরীক্ষার সময় ও মানবণ্টন
ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ের ১ম পত্রের ৭টি অধ্যায় এবং ২য় পত্রের ৭টি অধ্যায়ের ওপর পরীক্ষা নেওয়া হবে। ওই পরীক্ষায় মোট ১১টি সৃজনশীল প্রশ্ন থাকবে। এর মধ্য থেকে তোমাদের মোট ৪টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এ জন্য সময় পাবে ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট। বহুনির্বাচনি পরীক্ষায় ৩০টি প্রশ্ন থেকে যেকোনো ১৫টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। উত্তর দেওয়ার জন্য সময় থাকবে ২০ মিনিট।
সংক্ষিপ্ত সিলেবাস
অনেক শিক্ষার্থীই ভাবতে পারে যেহেতু সিলেবাস সংক্ষিপ্ত, তা ছাড়া ১১টি সৃজনশীল প্রশ্ন থেকে ৪টির উত্তর দিতে হবে। এ জন্য ৪টি অথবা ৫টি অধ্যায় পড়লেই উত্তর করা যাবে। এমন ভাবা সম্পূর্ণই ভুল হবে। কারণ ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রায়ই মিশ্র প্রশ্ন আসে। যেমন: ক (জ্ঞানমূলক) ও খ (অনুধাবনমূলক) এক অধ্যায় থেকে এলেও গ (প্রয়োগমূলক) এবং ঘ (উচ্চতর দক্ষতা) অন্য অধ্যায় থেকে আসে। তাই বোর্ড নির্ধারিত সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের সব অধ্যায় অবশ্যই ভালোভাবে পড়তে হবে।
বহু নির্বাচনি প্রশ্ন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর সঠিক করার জন্য পাঠ্যবই পড়ার সময় রঙিন কালি ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ লাইনগুলো দাগাতে হবে। এ ছাড়া বিগত বছরের বোর্ড পরীক্ষার প্রশ্নপত্রগুলো সমাধান করার পাশাপাশি স্বনামধন্য কলেজের নির্বাচনী পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান করবে। যেহেতু ৩০টি থেকে ১৫টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, সেহেতু বহুনির্বাচনি প্রশ্ন হাতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কোনোভাবেই সময় অপচয় করা যাবে না। তুমি যদি পূর্ণ প্রশ্নপত্র পড়তে যাও, তাহলে তোমার সময় শেষ হয়ে যাবে। এ জন্য প্রশ্ন পড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তরের বৃত্ত ভরাট করতে হবে; বিশেষ করে প্রথমেই জ্ঞানমূলক অংশের উত্তর দেবে। এতে তোমার কম সময়ে অধিক উত্তর দেওয়া সম্ভব হবে। তারপর অনুধাবনমূলক অংশের উত্তর দেবে। এরপর ১৫টি উত্তর সম্পন্ন না করতে পারলে অন্য অপশন থেকে উত্তর করবে।
সৃজনশীল প্রশ্ন
সৃজনশীল প্রশ্নের সঠিক উত্তর করার জন্য অবশ্যই পাঠ্যবইয়ের মৌলিক বিষয়গুলোর ওপর অধিক গুরুত্বারোপ করতে হবে। এ ছাড়া প্রতিটি অধ্যায় থেকে শ্রেণি বিভাগ/প্রকারভেদ, নীতিমালা, বৈশিষ্ট্য এবং পদক্ষেপ/ধাপ ভালো করে আয়ত্ত করবে। তাহলে তুমি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর সহজেই লিখতে পারবে।
এ ছাড়া সৃজনশীল প্রশ্নের জ্ঞানমূলক
(ক) ও অনুধাবনমূলক (খ) প্রশ্নের উত্তর করাটা খুবই সহজ কাজ। তবে প্রয়োগের উত্তর করতে হলে অবশ্যই ৩টি প্যারায় লিখতে হবে; অর্থাৎ ১ম প্যারার জ্ঞানমূলক, ২য় প্যারার জ্ঞানমূলক অংশের ব্যাখ্যা, ৩য় প্যারার উদ্দীপকের হাইলাইট করে প্রয়োগমূলক অংশ উপস্থাপন করতে হবে।
(ঘ) অর্থাৎ উচ্চতর দক্ষতার ক্ষেত্রে একই উপায়ে প্রথমে জ্ঞানমূলক অংশ চিহ্নিতকরণ, এরপর ২য় অংশে ব্যাখ্যা ৩য় অংশে উদ্দীপকের সঙ্গে মিলিয়ে প্রয়োগ এবং ৪র্থ প্যারায় উদ্দীপক অনুযায়ী যুক্তিতর্ক বিচার-বিশ্লেষণ ও মতামত তুলে ধরতে হবে।
সর্বোপরি তুমি তোমার পাঠ্যপুস্তকের অর্জিত জ্ঞান, দক্ষতা কাজে লাগিয়ে চিন্তাভাবনা, কল্পনাশক্তি, উদ্ভাবনী ক্ষমতা, নান্দনিক উপায়ে প্রকাশ ও উপস্থাপন করবে। তাহলে আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় সফলতা সুনিশ্চিত।
পরীক্ষার মধ্যে বন্ধকালীন
ছুটির সঠিক ব্যবহার
এ বছর ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ের ১ম পত্রের আগে ১২ দিন লম্বা ছুটি, যা তোমাদের জন্য খুবই ভালো কাজে দেবে। যাদের উৎপাদন ও বিপণন বিষয়টি নেই শুধু তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে হ্যাঁ, এই ১২ দিন সুপরিকল্পিতভাবে যদি তুমি কাজে লাগাতে পারো, তাহলে ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে এ+ পাওয়া খুবই সহজ হবে। এ জন্য আমি বলব, যেহেতু ২য় পত্র পরীক্ষার আগে ১ দিন বন্ধ, তাই ১ম পত্র পরীক্ষার আগে ৩ দিন ২য় পত্রের জন্য সৃজনশীল অংশের প্রস্তুতি নেবে। সেই সঙ্গে আরও ২ দিন ২য় পত্রের বহুনির্বাচনির জন্য প্রস্তুতি নেবে। তাহলে তুমি সহজেই ২য় পত্রের সিলেবাস সম্পন্ন করতে পারবে। ১২ দিন থেকে ৫ দিন ২য় পত্রের জন্য চলে গেল। বাকি ৭ দিন ১ম পত্রের পরীক্ষার জন্য ঠান্ডা মাথায় ভালো করে প্রস্তুতি নিতে পারবে। পাঠ্যবই অনুশীলনের পাশাপাশি লেখার অভ্যাস চালু রাখবে। মনে রাখবে পরীক্ষার খাতায় পরিচ্ছন্ন হস্তাক্ষর ও শতভাগ প্রশ্নের উত্তর তোমার জিপিএ-৫.০০ পাওয়াকে ত্বরান্বিত করবে। মনে সাহস রাখবে, নিজের ওপর আস্তা রাখবে এবং পরীক্ষার হলে সময়মতো উপস্থিত হবে। পরীক্ষার শেষের দিকে রিভিশনের জন্য সময় রাখবে, যেন একবার চোখ বোলাতে পারো। সেই সঙ্গে ভুলত্রুটি থাকলে তা যেন সংশোধন করতে পারো।
এইচএসসি বিশেষ প্রস্তুতি: পদার্থবিজ্ঞান
প্রশ্ন নির্বাচন অতীব গুরুত্বপূর্ণ
এহসান উদ্দিন আহমদ, প্রভাষক, সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ডেমরা, ঢাকা। ২০২২ সালের প্রিয় এইচএসসি পরীক্ষার্থী বন্ধুরা, আশা করি সবাই সুস্থ আছ। তোমাদের পরীক্ষার পূর্ব প্রস্তুতি এবং পরীক্ষাকালীন করণীয় সম্পর্কে কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো:
নম্বর বণ্টন
পরিবর্তিত নম্বর বণ্টন পদ্ধতিতে তোমাদের পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ের প্রতিটি পত্রে পরীক্ষা হবে ৪৫ নম্বরের। বহুনির্বাচনি ১৫ নম্বর (২৫টি প্রশ্ন থেকে যেকোনো ১৫টির উত্তর দিতে হবে) এবং সৃজনশীল ৩০ নম্বর (৮টি উদ্দীপক সংশ্লিষ্ট প্রশ্ন থেকে ৩টি উদ্দীপক সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে)। সময় ২ ঘণ্টা (বহুনির্বাচনি ২০ মিনিট এবং লিখিত অংশে ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট)। সতর্কতার সঙ্গে পরীক্ষা দিলে পরিবর্তিত নম্বর বণ্টন পদ্ধতিতে পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে বিগত বছরগুলোর তুলনায় ভালো ফলাফল করা সম্ভব।
বহুনির্বাচনি অংশ
এ বছর বহুনির্বাচনি অংশে প্রশ্ন বাছাই করে উত্তর দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছ। প্রশ্ন বাছাই করার ক্ষেত্রে যে প্রশ্নের উত্তর তোমার কাছে অজানা মনে হবে, সেটির জন্য সময় নষ্ট না করে পরবর্তী প্রশ্নে যেতে হবে।
সৃজনশীল অংশ
সৃজনশীল অংশ পড়ে প্রশ্ন বাছাই করে শান্তভাবে লেখা শুরু করবে। এতে পরীক্ষা ভালো হবে। পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে প্রতিটি পত্রে ৭টি করে অধ্যায় থেকে ৮টি সৃজনশীল প্রশ্ন হবে। তাই প্রতিটি অধ্যায় থেকে প্রশ্ন হবে বলে আমরা আশা করতেই পারি। এ কারণে প্রিয় শিক্ষার্থী, তুমি যেসব বিষয়ে প্রস্তুতি নেবে, সেগুলো জেনে-বুঝে আয়ত্ত করবে আশা করছি। বহুনির্বাচনি অংশে ভালো করতে বোর্ড অনুমোদিত বই ভালোভাবে বারবার বুঝে পড়তে হবে। সৃজনশীল অংশে জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর সমস্যা দেখা দেয়। এ অংশে ভালো করতে তোমাদের সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত অংশের বিগত বছরগুলোর বিভিন্ন বোর্ডে আসা প্রশ্ন বুঝে বারবার অনুশীলন করতে হবে। মনে রাখতে হবে পদার্থবিজ্ঞানে বুঝে-শুনে বারবার অনুশীলনের বিকল্প নেই।
এইচএসসি বিশেষ প্রস্তুতি: ইংরেজি
প্রস্তুতি নেবে যেভাবে
দেওয়ান মোহাম্মদ এমদাদ হোসেন, সহকারী অধ্যাপক, মাইলস্টোন কলেজ, উত্তরা, ঢাকা সুপ্রিয় এইচএসসি পরীক্ষার্থী বন্ধুরা, তোমাদের প্রতি শুভেচ্ছা রইল। করোনা মহামারির কারণে তোমাদের সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। এখন তোমাকে ইংরেজি প্রথম পত্রের জন্য ৫০ এবং ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের জন্য ৫০ নম্বরের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিতে হবে। সময় নির্ধারণ হয়েছে দুই ঘণ্টা প্রতিটি পরীক্ষার জন্য।
ইংরেজি প্রথম পত্র
ইংরেজি প্রথম পত্রে মোট ৮টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। ২টি Part-এ বিভক্ত থাকবে প্রথম পত্র প্রশ্নটি।
Part 1: এ অংশে ৫টি প্রশ্ন থাকবে।
1. Multiple choice questions : seen passageথেকে ১০টি MCQ থাকবে, marks. .5×10=5
2. Short answer questions: seen passage ৪টি প্রশ্ন থাকবে 2×4=8
3. Synonym/antonym: (seen) passage ১০টি words থাকবে . 5×10=5
4. Cloze test without clues: (unseen) ৮টি gap-সংবলিত একটি passage থাকবে. 5×8=4
5. Rearranging:unseen. 1×8=8
Part 2: এ অংশে ৩টি প্রশ্ন থাকবে।
6. Writing paragraph (descriptive/listing) 7
7. Story Writing (Completing an incomplete story) 7
8. Summary (Seen, from EFT) 6
প্রস্তুতি নেবে যেভাবে
EFT বই থেকে মাত্র ৬টি Unit থেকে তোমাদের সব seen passage থাকবে। তাই, এই ৬টি unit খুব ভালো করে পড়লে ১, ২, ৩ এই ৩টি প্রশ্নের উত্তর যথাযথভাবে দিতে পারবে।আর, (৪) নম্বর প্রশ্নের জন্য বিগত সালের Board-গুলো ভালোভাবে করবে। (৫) নম্বর প্রশ্নের জন্য বিগত সালের Board-গুলোর Rearrange -গুলো ভালোভাবে অনুশীলন করবে। (৬) নম্বর প্রশ্নের জন্য বিগত সালের সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি করে এ রকম Paragraph পড়বে। তবে মনে রাখবে, তোমার লেখাটি যেন ২০০ শব্দের বেশি না হয়।(৭) নম্বর প্রশ্নের জন্য বিগত সালের Board-গুলোর story ভালোভাবে পড়বে। মনে রাখবে, storyতে moral দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে অবশ্যই সুন্দর একটি Title দেবে। (৮) নম্বর প্রশ্নের summary করার জন্য অবশ্যই উদাহরণ, উপমা, পরিহার করতে হবে। passage থেকে সরাসরি লাইন কপি করবে না; বরং paraphrase করবে। তোমার summary given text-এর One third হবে।
ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র
ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রে মোট ৮টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। ২টি Part-এ বিভক্ত থাকবে এ পত্রের প্রশ্নটি।
Part A: এ অংশে ৬টি প্রশ্ন থাকবে।
1. Gap filling activities without clues (for prepositions) 5×10=5
2. Gap filling activities without clues (for special uses: was born, have to/has to, would rather, had better, let alone, as soon as, what… like, what does..look like, introductory there, it). 5×10=5
3. Completing sentences (with clauses/phrases) 1× 5=5
4. Use of verbs (right form of verbs and subject-verb agreement as per context) . 5×10=5
5. Narrative style (direct to indirect and vice versa) 5
6. Use of sentence connectors……. .5×10=5
PART B: Composition (20 marks)
7. Formal letter writing 10
8. Writing paragraph 10
প্রস্তুতি নেবে যেভাবে
তোমাদের মাত্র ৬টি grammatical আইটেম থাকবে। এই আইটেমগুলোর জন্য সব Board-এর questions গুলোর সমাধান করবে।
মনে রাখবে

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

প্রিয় এইচএসসি পরীক্ষার্থী বন্ধুরা, ৬ নভেম্বর থেকে তোমাদের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। তোমাদের প্রস্তুতি এগিয়ে রাখতে দেশের সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা দিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ। এসব পরামর্শসহ পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে তোমাদের জন্য থাকছে ‘এইচএসসি পরীক্ষা-২০২২ প্রস্তুতি’
৩১ অক্টোবর ২০২২
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

প্রিয় এইচএসসি পরীক্ষার্থী বন্ধুরা, ৬ নভেম্বর থেকে তোমাদের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। তোমাদের প্রস্তুতি এগিয়ে রাখতে দেশের সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা দিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ। এসব পরামর্শসহ পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে তোমাদের জন্য থাকছে ‘এইচএসসি পরীক্ষা-২০২২ প্রস্তুতি’
৩১ অক্টোবর ২০২২
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

প্রিয় এইচএসসি পরীক্ষার্থী বন্ধুরা, ৬ নভেম্বর থেকে তোমাদের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। তোমাদের প্রস্তুতি এগিয়ে রাখতে দেশের সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা দিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ। এসব পরামর্শসহ পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে তোমাদের জন্য থাকছে ‘এইচএসসি পরীক্ষা-২০২২ প্রস্তুতি’
৩১ অক্টোবর ২০২২
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

প্রিয় এইচএসসি পরীক্ষার্থী বন্ধুরা, ৬ নভেম্বর থেকে তোমাদের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। তোমাদের প্রস্তুতি এগিয়ে রাখতে দেশের সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা দিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ। এসব পরামর্শসহ পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে তোমাদের জন্য থাকছে ‘এইচএসসি পরীক্ষা-২০২২ প্রস্তুতি’
৩১ অক্টোবর ২০২২
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫