Ajker Patrika

তহবিল নিয়ে ধনীদের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০২১, ১৬: ৫৯
তহবিল নিয়ে ধনীদের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ

গ্লাসগোর জলবায়ু সম্মেলন (কপ-২৬) গত শুক্রবার শেষ হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। গতকাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আগের দিন জলবায়ু চুক্তির দ্বিতীয় খসড়া নিয়ে তুমুল আলোচনা হয়েছে। ওই আলোচনার আলোকে গতকাল শনিবার সকালে তৃতীয় খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। এ খসড়া ১৯৬ দেশ বা পক্ষের সমন্বয়ে পাসের সম্ভাবনা রয়েছে, যা এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হয়নি। কিন্তু সর্বশেষ এ খসড়ার ভাষা ও জলবায়ু তহবিল নিয়ে ভুক্তভোগী উন্নয়নশীল দেশগুলো ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

গার্ডিয়ান জানায়, আগের খসড়ায় ২০৩০ সালের মধ্যে কয়লার ব্যবহার বন্ধ করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তৃতীয় খসড়ায় কয়লা নিয়ে ভাষা একটু নরম হয়ে এসেছে। সরাসরি ‘বন্ধ’ করা হবে না বলে, কয়লার ব্যবহার বন্ধ করতে ‘তৎপরতা বাড়ানো’ হবে বলা হয়েছে। অন্যদিকে জীবাশ্ম জ্বালানিতে ভর্তুকি একটা সময় পর্যন্ত অব্যাহত থাকার কথা বলা হয়েছে। তবে সময় এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

আগের দুটি খসড়ার মতো তৃতীয় খসড়াতেও জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশগুলো কী করবে তথা ‘জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান’ বা এনডিসির নতুন পরিকল্পনা আগামী বছরের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে।

দেশগুলোর সর্বশেষ এনডিসি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হলেও ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ ৪৬ শতাংশ কমার বদলে উল্টো ২৬ শতাংশ বাড়তে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞেরা। আর বর্তমান এনডিসি লক্ষ্যমাত্রা নতুন করে নির্ধারণ করা না হলে চলতি শতাব্দীর শেষে বিশ্বের উষ্ণতা শিল্পবিপ্লবের আগের তুলনায় অন্তত ২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে ‘ক্লাইমেট অ্যাকশন ট্রেকার’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ফলে ৬০-৭০ বছরে মধ্যে মালদ্বীপসহ বিশ্বের অনেক নিচু দেশ পানির নিচে হারিয়ে যেতে পারে। বাড়বে নানা ধরনের দুর্যোগ।

এবারের জলবায়ু সম্মেলনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল জলবায়ু তহবিল যথাসময়ে নিশ্চিত করা। এ জন্য ‘অ্যালায়েন্স অব স্মল আইল্যান্ড স্টেটস’ বা এওএসআইএস এবং ‘জি৭৭+ চায়না’ নামের উন্নয়নশীল দেশগুলোর জোট কপ-২৬-এর শুরু থেকে তৎপর ছিল। জলবায়ু পরিবর্তন সামলাতে গরিব দেশগুলোকে ধনীদের প্রতিশ্রুত অর্থসহায়তা দ্বিগুণ করার চেষ্টা করছিল এসব প্ল্যাটফর্ম। কিন্তু নতুন খসড়ার এর প্রতিফল ঘটেনি।

বিবিসির পরিবেশবিষয়ক প্রতিবেদক ম্যাট ম্যাকগ্রা বলেন, তৃতীয় খসড়ায় একটি অর্থ তহবিল প্রতিষ্ঠার সুপারিশের বদলে এ বিষয়ে আগামী বছর আলোচনা করার কথা বলা হয়েছে, যা তহবিল ক্যাম্পাইনারদের ভয়ানক হতাশ করেছে।

ক্লাইমেট অ্যাকশন নেটওয়ার্কের প্রধান তাসনিম এসপ তৃতীয় খসড়াকে ‘স্পষ্ট বিশ্বাসঘাতকতা’ বলে মন্তব্য করেছেন। আর বিবিসি জানায়, বাংলাদেশের ‘ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের’ পরিচালক সলিমুল হক টুইটারে লেখেন, ধনী দেশগুলোর তরফে গরিব দেশগুলোকে দেওয়ার প্রতিশ্রুত ক্ষতিপূরণ নিয়ে তৃতীয় খসড়ায় যে ভাষায় কথা বলা হয়েছে, তা আগের চেয়ে দুর্বল। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং যুক্তরাজ্যের মতো বড় দাতাগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে বিষয়টি এড়িয়ে গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হরমুজ প্রণালিতে প্রবেশ করে ইউটার্ন নিল দুটি জাহাজ

ইসরায়েলে ২০ লাখ রুশভাষীর বাস, রাশিয়াকে তাঁদের কথা ভাবতে হয়: পুতিন

গুমে জড়িত ছিল ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা: গুম কমিশনের প্রতিবেদন

ইরানের হামলার তীব্র নিন্দা কাতারের, পাল্টা জবাবের হুঁশিয়ারি

চীন-পাকিস্তানের সঙ্গে নতুন ত্রিপক্ষীয় ব্যবস্থায় ঝামেলা বাড়বে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত