রাশেদ রাব্বি, ঢাকা
ডেঙ্গু জ্বরের ভয়াবহ বিস্তার ঘটেছে। চলতি বছরে আক্রান্তদের মধ্যে ১ লাখ ২৩ হাজার ৮০৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। তাদের মধ্যে ৯৯ হাজার ৪৫৯ জনই ভর্তি হয়েছে সরকারি হাসপাতালে। বিনা মূল্যের সরকারি হাসপাতালে একজন ডেঙ্গু রোগীর পেছনে সরকারের ব্যয় ৫০ হাজার টাকা। কোনো ডেঙ্গু রোগী তিন দিন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) থাকলে ব্যয় হয় প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
এই হিসাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রের। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সম্প্রতি বলেছেন, ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় এ পর্যন্ত সরকারের প্রায় ৪০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম জানায়, গত বুধবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২ হাজার ৩০৮ জন ডেঙ্গু রোগী। চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে প্রাণ গেছে ৫৯৩ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সূত্র জানায়, সরকারি হাসপাতালে একজন ডেঙ্গু রোগী ভর্তির পর থেকে তার সুস্থ হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা, ওষুধপথ্য, পরিচর্যা—সবই দেওয়া হয় বিনা মূল্যে। মধ্যম সারির একটি বেসরকারি হাসপাতালে এমন রোগীর চিকিৎসা ব্যয় কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা। রোগী হাসপাতালে ভর্তি হলে প্রথমেই ডেঙ্গু শনাক্ত ও নিশ্চিতকরণ পরীক্ষা করা হয়। সরকারি হাসপাতালে এই পরীক্ষার মূল্য ১৫০ টাকা হলেও বাইরে প্রায় ১ হাজার টাকা। ডেঙ্গু শনাক্ত হলে ইলেকট্রোলাইট, এসজিপিটিসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও বেশ কিছু পরীক্ষা করাতে হয়। বাইরে এসব পরীক্ষায় ব্যয় প্রায় ৫ হাজার টাকা। রোগীকে প্রায় ১০ ব্যাগ আইভি ফ্লুইড (স্যালাইন) দিতে হয়। এর বাজারমূল্য ১ হাজার টাকা। রোগীর শরীরে ইলেকট্রোলাইটের মাত্রা ঠিক রাখতে ৫০০ এমএলের তিনটি অ্যালবোমিন দিতে হলে বাইরে এর দাম মোট ২৫ হাজার টাকা। রোগীকে প্লাটিলেট দিতে হলে এক ইউনিট প্লাটিলেট প্রক্রিয়াজাত করতে ব্যয় হয় প্রায় ২০ হাজার টাকা।
সূত্র আরও জানায়, রোগীর জটিলতা আরও বাড়লে এবং তাকে আইসিইউতে নিতে হলে চিকিৎসা ব্যয় অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। কোনো রোগী তিন দিন আইসিইউতে থাকলে তার পেছনে সরকারের ব্যয় হয় ৯০ হাজার টাকা। এর সঙ্গে কনসালটেন্সি ফি হিসাবে আরও ২৫ হাজার টাকা যোগ হলে সব মিলিয়ে সরকারের ব্যয় হয় প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। শয্যাভাড়া, ওষুধ ও খাবারের দাম যোগ করলে এই ব্যয় ২ লাখ টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
গত সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় এ পর্যন্ত সরকারের প্রায় ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া একজন সাধারণ ডেঙ্গু রোগীর পেছনে সরকারের ব্যয় ৫০ হাজার টাকা এবং জটিল রোগীর পেছনে গড়ে ব্যয় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা ব্যয়ের একটি হিসাব দিয়েছেন। তবে প্রকৃত ব্যয় এর চেয়েও বেশি।
আরও ১৭ মৃত্যু: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম জানায়, গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের ১৬ জনই ঢাকার। একই সময়ে হাসপাতালে নতুন ভর্তি হওয়া ২ হাজার ৩০৮ জনের মধ্যে রাজধানীতে ৮৭৫ এবং ঢাকার বাইরে ১ হাজার ৪৩৩ জন।
চলতি বছরে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে আগস্ট মাসে, ৭১ হাজার ৯৭৬ জন। আগস্টে মৃত্যু হয়েছে ৩৪২ জনের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আক্রান্ত ও মৃত্যুর ধারা আগামী অক্টোবর পর্যন্ত চলতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বরের ভয়াবহ বিস্তার ঘটেছে। চলতি বছরে আক্রান্তদের মধ্যে ১ লাখ ২৩ হাজার ৮০৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। তাদের মধ্যে ৯৯ হাজার ৪৫৯ জনই ভর্তি হয়েছে সরকারি হাসপাতালে। বিনা মূল্যের সরকারি হাসপাতালে একজন ডেঙ্গু রোগীর পেছনে সরকারের ব্যয় ৫০ হাজার টাকা। কোনো ডেঙ্গু রোগী তিন দিন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) থাকলে ব্যয় হয় প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
এই হিসাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রের। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সম্প্রতি বলেছেন, ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় এ পর্যন্ত সরকারের প্রায় ৪০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম জানায়, গত বুধবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২ হাজার ৩০৮ জন ডেঙ্গু রোগী। চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে প্রাণ গেছে ৫৯৩ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সূত্র জানায়, সরকারি হাসপাতালে একজন ডেঙ্গু রোগী ভর্তির পর থেকে তার সুস্থ হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা, ওষুধপথ্য, পরিচর্যা—সবই দেওয়া হয় বিনা মূল্যে। মধ্যম সারির একটি বেসরকারি হাসপাতালে এমন রোগীর চিকিৎসা ব্যয় কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা। রোগী হাসপাতালে ভর্তি হলে প্রথমেই ডেঙ্গু শনাক্ত ও নিশ্চিতকরণ পরীক্ষা করা হয়। সরকারি হাসপাতালে এই পরীক্ষার মূল্য ১৫০ টাকা হলেও বাইরে প্রায় ১ হাজার টাকা। ডেঙ্গু শনাক্ত হলে ইলেকট্রোলাইট, এসজিপিটিসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও বেশ কিছু পরীক্ষা করাতে হয়। বাইরে এসব পরীক্ষায় ব্যয় প্রায় ৫ হাজার টাকা। রোগীকে প্রায় ১০ ব্যাগ আইভি ফ্লুইড (স্যালাইন) দিতে হয়। এর বাজারমূল্য ১ হাজার টাকা। রোগীর শরীরে ইলেকট্রোলাইটের মাত্রা ঠিক রাখতে ৫০০ এমএলের তিনটি অ্যালবোমিন দিতে হলে বাইরে এর দাম মোট ২৫ হাজার টাকা। রোগীকে প্লাটিলেট দিতে হলে এক ইউনিট প্লাটিলেট প্রক্রিয়াজাত করতে ব্যয় হয় প্রায় ২০ হাজার টাকা।
সূত্র আরও জানায়, রোগীর জটিলতা আরও বাড়লে এবং তাকে আইসিইউতে নিতে হলে চিকিৎসা ব্যয় অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। কোনো রোগী তিন দিন আইসিইউতে থাকলে তার পেছনে সরকারের ব্যয় হয় ৯০ হাজার টাকা। এর সঙ্গে কনসালটেন্সি ফি হিসাবে আরও ২৫ হাজার টাকা যোগ হলে সব মিলিয়ে সরকারের ব্যয় হয় প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। শয্যাভাড়া, ওষুধ ও খাবারের দাম যোগ করলে এই ব্যয় ২ লাখ টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
গত সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় এ পর্যন্ত সরকারের প্রায় ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া একজন সাধারণ ডেঙ্গু রোগীর পেছনে সরকারের ব্যয় ৫০ হাজার টাকা এবং জটিল রোগীর পেছনে গড়ে ব্যয় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা ব্যয়ের একটি হিসাব দিয়েছেন। তবে প্রকৃত ব্যয় এর চেয়েও বেশি।
আরও ১৭ মৃত্যু: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম জানায়, গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের ১৬ জনই ঢাকার। একই সময়ে হাসপাতালে নতুন ভর্তি হওয়া ২ হাজার ৩০৮ জনের মধ্যে রাজধানীতে ৮৭৫ এবং ঢাকার বাইরে ১ হাজার ৪৩৩ জন।
চলতি বছরে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে আগস্ট মাসে, ৭১ হাজার ৯৭৬ জন। আগস্টে মৃত্যু হয়েছে ৩৪২ জনের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আক্রান্ত ও মৃত্যুর ধারা আগামী অক্টোবর পর্যন্ত চলতে পারে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
১ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪