Ajker Patrika

৬ ইউনিয়নের যোগাযোগ বন্ধ

ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
৬ ইউনিয়নের যোগাযোগ বন্ধ

মানিকগঞ্জে অসময়ে ইছামতীর ভাঙনে ঘিওর-জিয়নপুর সড়কের কুস্তা বেইলি সেতুর একাংশ নদীগর্ভে চলে গেছে। এতে সেতু দিয়ে চার দিন ধরে ঘিওর ও দৌলতপুর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের প্রায় ২০টি গ্রামের বাসিন্দাদের যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে।

তবে ঘিওর সদর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) এবং স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) যৌথ উদ্যোগে সেতুটি দ্রুত পুনর্নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

এদিকে গতকাল শনিবার বিকেলে ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন মানিকগঞ্জ-১ (শিবালয়, ঘিওর ও দৌলতপুর) আসনের সংসদ সদস্য এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয়। এ সময় সংশ্লিষ্টদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করার নির্দেশ দেন তিনি।

ঘিওর ছাড়াও পার্শ্ববর্তী দৌলতপুর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম কুস্তা বেইলি সেতু। উপজেলা এলজিইডির অধীনে ১৯৯৭ সালে ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। চলতি মাসের শুরুতে ইছামতী নদীতে তীব্র ভাঙন দেখা দিলে সেতুর দুই পাশের পাদদেশেও ভাঙন শুরু হয়। এতে গার্ডারের কাছ থেকে মাটি সরে সংযোগ সড়ক ও সেতুর মাঝে প্রায় ২ ফুট ফাঁক হয়ে যায়। পরে সেতুটি এক পাশে কাত হয়ে পড়ে।

এদিকে বেইলি সেতু অকেজো হয়ে বিপাকে পড়েছে ঘিওর ও দৌলতপুর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের মানুষ। কুস্তা, ভররা, বিনোদপুর, খলসী, কুমুরিয়া, 
নারচি, গোবর নারচি, শ্রীধরনগর, জিয়নপুর, শোলাকোড়াসহ ২০টি গ্রামের মানুষের চলাচলের প্রধান রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ওই সব এলাকার মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্য, হাট-বাজারে যাওয়া ছাড়াও শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

গতকাল দেখা যায়, সেতুটির সংস্কারকাজ চলছে। এ জন্য সেতুর ওপর দিয়ে মানুষ ও যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিকল্প উপায় হিসেবে সেতু থেকে ১৫০ গজ দূরে কাঠের পাটাতন দিয়ে পুল তৈরি করে দিয়েছে সদর ইউপি। সেটা দিয়ে শুধু মানুষ হেঁটে চলাচল করতে পারে।

এদিকে ভাঙনে কুস্তা কফিল উদ্দিন দরজি উচ্চবিদ্যালয় ও কুস্তা সেতু, ঘিওর-গোলাপ নগরের রাস্তা, ব্যাপারীপাড়া কবরস্থান, রসুলপুর গ্রামের বসতবাড়ি হুমকির মধ্যে রয়েছে। যেকোনো সময় নদীগর্ভে হারিয়ে যাবে এসব স্থাপনা ও বসতবাড়ি।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. নাজমুল হাসান বলেন, ‘কুস্তা বেইলি সেতু দিয়ে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বাড়ি থেকে বাজারে যেতে নানা ঝক্কিঝামেলায় পড়তে হচ্ছে।’ 
ঘিওর সদর ইউপি চেয়ারম্যান অহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গত শুক্রবার সরকারিভাবে ৫০ টন ওজন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ক্রেন আনা হয়েছিল, কিন্তু ক্রেন প্রতিস্থাপন জটিলতায় কাজ করা সম্ভব হয়নি। পরে এলজিইডি দপ্তর থেকে নতুন করে চেইন কপ্পার মাধ্যমে সেতু পুনঃস্থাপনের কাজ করা হচ্ছে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হামিদুর রহমান বলেন, ঘিওরের কুস্তা বেইলি সেতুর গার্ডারের কাছ থেকে মাটি সরে গেছে, দেখতে ঝুঁকিপূর্ণ মনে হলেও আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। সেতুর সংস্কারকাজ চলছে। দু-এক দিনের মধ্যে কাজ শেষ হবে।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, সাড়ে আট হাজার জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর কাজ শুরু হয়েছে। আর বেইলি সেতু রক্ষায় গাইড ওয়ালসহ আশপাশে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। পানির প্রবাহ কমে গেলে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত