Ajker Patrika

পাড় কেটে মাটি বিক্রি রাস্তা ভেঙে নদীতে

মির্জাপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২: ১৩
পাড় কেটে মাটি বিক্রি রাস্তা ভেঙে নদীতে

মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের কয়েকটি স্থানে নদীর পাড় ও পাড়সংলগ্ন জমির মাটি কেটে বিক্রি করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। এতে রাস্তা ভেঙে নদীগর্ভে চলে গেছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে আরও কিছু স্থাপনা।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের বংশাই নদীর তীরের মাটি অবৈধভাবে কেটে নেওয়া হচ্ছে। একাধিক মাটি কাটার যন্ত্র (ভেকু) দিয়ে মাটি কেটে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করা হচ্ছে। শুষ্ক মৌসুমে মাটি কাটা আর বর্ষায় বালু উত্তোলন করায় ইতিমধ্যে নদীতীরের অর্ধশত বছরের পুরোনো একটি রাস্তা ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

গোড়াই খামারপাড়া এলাকার বাসিন্দা আবদুল মান্নান, পাখি, জমিদার বাড়ি এলাকার মাসুম, সাদক কাশেম এই মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত বলেও জানান তাঁরা। ভয়ে ওই প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারছে না এলাকাবাসী।

সরেজমিন দেখা গেছে, গোড়াই ইউনিয়নের পালপাড়া, মাঝিপাড়া, মৈইশালপাড়া এলাকার নদীতীর ও নদীসংলগ্ন জমি থেকে ভেকু দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। দিনে ও রাতে চলছে মাটি কাটার কাজ। গত দুই সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন লাখ টাকার মাটি কেটে নিলেও যেন দেখার কেউ নেই।

এদিকে বালু উত্তোলন আর দুই তীরের মাটি কেটে নেওয়ায় ইতিমধ্যে গোড়াই পালপাড়া থেকে মাঝিপাড়া পর্যন্ত অর্ধকিলোমিটার রাস্তাটি ভেঙে পড়েছে নদীতে। শুধু ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে সড়কবিহীন দুটি সেতু। সড়ক ভেঙে যাওয়ায় ওই এলাকার বাসিন্দারা কয়েক কিলোমিটার এলাকা ঘুরে যাতায়াত করছেন।

গোড়াই মাঝিপাড়ার অখিল সরকারের স্ত্রী আরতি সরকার বলেন, আগে তাঁরা এই রাস্তা দিয়ে গোড়াই মিলগেট এলাকায় যাতায়াত করতেন। তাঁদের ছেলেমেয়েরাও গোড়াই স্কুলে যেত এই রাস্তা দিয়ে। কিন্তু বালু উত্তোলন ও মাটি কেটে নেওয়ায় রাস্তা ভেঙে পড়েছে। এখন স্কুল পড়ুয়া ছেলে মেয়েদের সৈয়দপুর হয়ে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে মিলগেট এলাকায় যেতে হয়।

মৈইশালপাড়ার জহুর উদ্দিন বলেন, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে নদীর মৈশালপাড়া, চাঁনপুর ও ভুল্লা এলাকায় ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা হয়। এখন দিনরাত ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে।

গোড়াই ইউপি সদস্য আদিল খান জানান, বছরের পর বছর ধরে মাটি কেটে নেওয়ায় ওই রাস্তাটি ভেঙে নদীগর্ভে চলে গেছে। তারপরও প্রভাবশালীদের মাটি কাটা থামছে না।

এ বিষয়ে মান্নান ও পাখির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা বলেন, ‘নদীর জায়গার মাটি নয় তাঁরা ব্যক্তি মালিকানা জমির মাটি কাটছেন। এ ছাড়া প্রশাসনের কাছ থেকে মৌখিকভাবে অনুমোদন নেওয়া রয়েছে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ভেকু দিয়ে মাটি কাটার কোনো অনুমোদন নেই। এ ছাড়া মাটি কাটার বিষয়টিও তাঁর জানা নেই। খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফাইনালে ভারতের ‘যম’কে খেলানো নিয়ে দোটানায় নিউজিল্যান্ড

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিলুপ্তের সিদ্ধান্ত হয়নি, নাহিদের মন্তব্যের জবাবে উমামা

আ.লীগ নেতার গ্রেপ্তার নিয়ে রাজশাহীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

আওয়ামী লীগ নেতা ‘ব্যাটারি বাবু’ ভবনে ঢুকে হাওয়া!

নিষিদ্ধ হিযবুত তাহ্‌রীরের মিছিল, পুলিশের টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেডে ছত্রভঙ্গ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত