মধুপুর ও কালিহাতী প্রতিনিধি
সম্প্রতি সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ব্যাপক হারে। এ ছাড়া বাজারে দেখা দিয়েছে পণ্যটির সংকটও। ফলে ভোক্তা পর্যায়ে বোতলজাত সয়াবিন দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠেছে। আর খোলা তেল ২২০ থেকে ২৩০ টাকা লিটার দরে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন ভোক্তারা। এতে হিমশিম খাচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, অনেক কোম্পানি টাকা নিয়েও তেল সরবরাহ করছে না।
মধুপুর ও কালিহাতীর একাধিক ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদুল ফিতর ঘিরে ভোজ্যতেলের চাহিদা বেড়েছিল। এমন সময় বাজারে বোতলজাত সয়াবিনের সংকট দেখা দেয়। আবার কোনো কোনো কোম্পানি সয়াবিন তেলের বোতলের সঙ্গে অন্য কোনো পণ্য চাপিয়ে দিচ্ছে। এতে অনেক ব্যবসায়ী সয়াবিন তেল কেনাবেচায় অনাগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এতে করে বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট দেখা দিয়েছে।
মধুপুর শিল্প ও বণিক সমিতির সহসম্পাদক ও ব্যবসায়ী স্বপন কুমার সাহা বলেন, ‘আমরা নির্ধারিত দামে কিনি এবং নির্ধারিত দামে বিক্রি করি। আমাদের লাভ হলো কমিশন। আগে ৫ লিটারের সয়াবিন ছিল ৬০০ টাকা। এখন কোম্পানির দাম ৯৪৫ টাকা। আমরা বিক্রি করি ৯৬৫ টাকা আর খুচরা ব্যবসায়ীরা বিক্রি করেন বোতলের গায়ে লেখা মূল্য ৯৮৫ টাকায়। এক ড্রাম সয়াবিন তেল ২৯ হাজার থেকে বেড়ে ৩৮ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে। তবে ব্যবসায়ীরা কী করবে?’
অপর এক ব্যবসায়ী জানান, অনেক কোম্পানি টাকা নিয়েও সয়াবিন তেল সরবরাহ করছে না। আবার অনেক কোম্পানি আগের দরে টাকা নিয়েছে ঠিকই, কিন্তু এখন বাজারদর অনুযায়ী টাকা না দিলে মালামাল সরবরাহ করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীরাও বেকায়দায় রয়েছেন। কেউ কেউ সয়াবিনের বোতলের সঙ্গে ওই কোম্পানির অপ্রচলিত পণ্য নিতে বাধ্য করছে। অন্যথায় সয়াবিন তেলের বোতল সরবরাহ বন্ধ রাখছে কোম্পানিগুলো।
কালিহাতী কাঁচাবাজারের রুপা এন্টারপ্রাইজের দীপক ঘোষ বলেন, ‘পাঁচ লিটারের বোতল ঈদের আগে ৭৫০ টাকায় কিনে ৭৬০ টাকায় বিক্রি করেছি। কিন্তু পাঁচ লিটার তেলের একটি বোতল কিনতে দুই কেজির চা-পাতার প্যাকেট নেওয়া বাধ্যতামূলক। ৫০ বোতল কিনলে ১০০ কেজি চা-পাতা নিতে হবে। এত চা দিয়ে আমি কী করব।’
কালিহাতী পুরোনো থানা সড়কের সুভাষ স্টোরের মালিক শ্রী সুভাষ সাহা বলেন, ‘এক মাস ধরে সয়াবিন তেলের বোতলের সরবরাহ কম। বোতলের সঙ্গে সরিষার তেল, চা-পাতা, চিনি, গুঁড়া চালসহ আরও আইটেম বাধ্যতামূলক নিতে হয়। তবেই বোতল দেয়। এ নিয়ে আমরা বিপদে আছি।’
নন্দিতা স্টোরের বিষ্ণু ঘোষ বলেন, ‘বোতলজাত সয়াবিনের প্রতি মানুষের আস্থা বেশি থাকায় এলেঙ্গা ও টাঙ্গাইলের বাজার ঘুরে বেশি দাম দিয়েও কিনতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি।’
ব্যবসায়ী আব্দুস সাত্তার জানান, এখন কোনো ব্যবসায়ীই বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি করছেন না। দাম বেশি থাকার কারণে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করছেন ২২০ থেকে ২৩০ টাকা লিটার।
উপজেলা সদরের ঘুনী এলাকার রইজ উদ্দিন, সিলিমপুর গ্রামের মোরশেদা বেগম বলেন, মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষের সূর্যমুখী বা সরিষার তেল কেনার সামর্থ্য নেই। তাঁরা কম দামে সয়াবিন তেল খেয়ে অভ্যস্ত। তাই বাধ্য হয়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এখন বোতলজাত তেল পাওয়াই যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাজমুল হুসেইন বলেন, ‘বিষয়টি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে আমরা অবহিত করব। এ ছাড়া বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ বাড়াতে এবং খোলা তেলের মান নিয়ন্ত্রণে বাজারে শিগগিরই অভিযান পরিচালনা করা হবে।’
সম্প্রতি সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ব্যাপক হারে। এ ছাড়া বাজারে দেখা দিয়েছে পণ্যটির সংকটও। ফলে ভোক্তা পর্যায়ে বোতলজাত সয়াবিন দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠেছে। আর খোলা তেল ২২০ থেকে ২৩০ টাকা লিটার দরে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন ভোক্তারা। এতে হিমশিম খাচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, অনেক কোম্পানি টাকা নিয়েও তেল সরবরাহ করছে না।
মধুপুর ও কালিহাতীর একাধিক ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদুল ফিতর ঘিরে ভোজ্যতেলের চাহিদা বেড়েছিল। এমন সময় বাজারে বোতলজাত সয়াবিনের সংকট দেখা দেয়। আবার কোনো কোনো কোম্পানি সয়াবিন তেলের বোতলের সঙ্গে অন্য কোনো পণ্য চাপিয়ে দিচ্ছে। এতে অনেক ব্যবসায়ী সয়াবিন তেল কেনাবেচায় অনাগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এতে করে বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট দেখা দিয়েছে।
মধুপুর শিল্প ও বণিক সমিতির সহসম্পাদক ও ব্যবসায়ী স্বপন কুমার সাহা বলেন, ‘আমরা নির্ধারিত দামে কিনি এবং নির্ধারিত দামে বিক্রি করি। আমাদের লাভ হলো কমিশন। আগে ৫ লিটারের সয়াবিন ছিল ৬০০ টাকা। এখন কোম্পানির দাম ৯৪৫ টাকা। আমরা বিক্রি করি ৯৬৫ টাকা আর খুচরা ব্যবসায়ীরা বিক্রি করেন বোতলের গায়ে লেখা মূল্য ৯৮৫ টাকায়। এক ড্রাম সয়াবিন তেল ২৯ হাজার থেকে বেড়ে ৩৮ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে। তবে ব্যবসায়ীরা কী করবে?’
অপর এক ব্যবসায়ী জানান, অনেক কোম্পানি টাকা নিয়েও সয়াবিন তেল সরবরাহ করছে না। আবার অনেক কোম্পানি আগের দরে টাকা নিয়েছে ঠিকই, কিন্তু এখন বাজারদর অনুযায়ী টাকা না দিলে মালামাল সরবরাহ করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীরাও বেকায়দায় রয়েছেন। কেউ কেউ সয়াবিনের বোতলের সঙ্গে ওই কোম্পানির অপ্রচলিত পণ্য নিতে বাধ্য করছে। অন্যথায় সয়াবিন তেলের বোতল সরবরাহ বন্ধ রাখছে কোম্পানিগুলো।
কালিহাতী কাঁচাবাজারের রুপা এন্টারপ্রাইজের দীপক ঘোষ বলেন, ‘পাঁচ লিটারের বোতল ঈদের আগে ৭৫০ টাকায় কিনে ৭৬০ টাকায় বিক্রি করেছি। কিন্তু পাঁচ লিটার তেলের একটি বোতল কিনতে দুই কেজির চা-পাতার প্যাকেট নেওয়া বাধ্যতামূলক। ৫০ বোতল কিনলে ১০০ কেজি চা-পাতা নিতে হবে। এত চা দিয়ে আমি কী করব।’
কালিহাতী পুরোনো থানা সড়কের সুভাষ স্টোরের মালিক শ্রী সুভাষ সাহা বলেন, ‘এক মাস ধরে সয়াবিন তেলের বোতলের সরবরাহ কম। বোতলের সঙ্গে সরিষার তেল, চা-পাতা, চিনি, গুঁড়া চালসহ আরও আইটেম বাধ্যতামূলক নিতে হয়। তবেই বোতল দেয়। এ নিয়ে আমরা বিপদে আছি।’
নন্দিতা স্টোরের বিষ্ণু ঘোষ বলেন, ‘বোতলজাত সয়াবিনের প্রতি মানুষের আস্থা বেশি থাকায় এলেঙ্গা ও টাঙ্গাইলের বাজার ঘুরে বেশি দাম দিয়েও কিনতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি।’
ব্যবসায়ী আব্দুস সাত্তার জানান, এখন কোনো ব্যবসায়ীই বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি করছেন না। দাম বেশি থাকার কারণে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করছেন ২২০ থেকে ২৩০ টাকা লিটার।
উপজেলা সদরের ঘুনী এলাকার রইজ উদ্দিন, সিলিমপুর গ্রামের মোরশেদা বেগম বলেন, মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষের সূর্যমুখী বা সরিষার তেল কেনার সামর্থ্য নেই। তাঁরা কম দামে সয়াবিন তেল খেয়ে অভ্যস্ত। তাই বাধ্য হয়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এখন বোতলজাত তেল পাওয়াই যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাজমুল হুসেইন বলেন, ‘বিষয়টি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে আমরা অবহিত করব। এ ছাড়া বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ বাড়াতে এবং খোলা তেলের মান নিয়ন্ত্রণে বাজারে শিগগিরই অভিযান পরিচালনা করা হবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪