Ajker Patrika

গাছ কাটায় ক্ষোভ

প্রতিনিধি, ঢাবি
আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৩: ০২
Thumbnail image

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কলা ভবনের দক্ষিণ-পূর্ব পাশের একটি কৃষ্ণচূড়া গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। প্রশাসনের দাবি, গাছটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল তাই নিরাপত্তার স্বার্থে কাটা হয়েছে। এদিকে গাছ কাটাকে অযৌক্তিক দাবি করে নতুন করে আরও ১০০ গাছ লাগানোর দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা।

এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখন কাঠ ব্যবসায়ী হয়ে গেছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু, হাজারো ইতিহাসের সাক্ষী ৭০ বছরের এই পুরোনো গাছ কেটে কাঠ বিক্রি করবে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কেটে ফেলা গাছের একটি ডালকে কাফনে মুড়িয়ে প্রতীকী কফিন বানিয়ে মিছিল করেন একদল শিক্ষার্থী। এর আগে কেটে ফেলা গাছটির জায়গায় নতুন চারা রোপণ করেন তাঁরা।

মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। সমাবেশে তাঁরা দাবি জানান, ভবিষ্যতে অপরিকল্পিতভাবে যেকোনো গাছ কাটা থেকে প্রশাসনকে বিরত থাকতে হবে। কেটে ফেলা গাছটির কাঠ বিক্রি করা যাবে না, এটি চারুকলা অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাজের প্রয়োজনে ব্যবহৃত হবে। শিক্ষার্থীদের রোপণ করা চারাগাছটিকে সংরক্ষণ করতে হবে।

সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সাধারণ সম্পাদক রাগীব নাঈম বলেন, ‘ঢাবি শিক্ষার্থীরা যখন করোনায় আক্রান্ত হয়ে অক্সিজেনের অভাব বোধ করছেন, ঠিক সে সময় বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আগ মুহূর্তে এভাবে গাছ কাটা হচ্ছে। এই গাছগুলো কাটা মানেই ইতিহাসকে কেটে ফেলা।’

সমাবেশে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী রাকিব হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখন কাঠ ব্যবসায়ী হয়ে গেছে। আমরা গাছটাকে বহুদিন ধরে দেখছি, আজকেও গিয়ে দেখে এসে মোটেও মনে হয়নি এটা কোনোভাবে ঝুঁকির কারণ। বরং গাছটি কেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্যকেই মূলত নষ্ট করা হয়েছে।’

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফারজানা মিম বলেন, আমরা নির্বিচারে এই গাছ হত্যার প্রতিবাদ জানাই। আমরা চাই এভাবে যেন আর কোনো গাছ কাটা না হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত