Ajker Patrika

বৃষ্টিতে সবজির ক্ষতি

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১১: ২৭
বৃষ্টিতে সবজির ক্ষতি

ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে বৃষ্টিতে মৌলভীবাজারে শীতকালীন সবজির ক্ষতি হয়েছে। কৃষকেরা জানান, জেলার কমলগঞ্জ উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলায় বৃষ্টিতে মাঠে পানি জমে নষ্ট হয়েছে সবজি।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, টানা বৃষ্টির ফলে ফসলের মাঠে পানি জমে অনেক সবজি ও গাছের গোড়া পচে গেছে।

জেলায় অন্যান্য উপজেলার তুলনায় সবচেয়ে বেশি সবজি চাষাবাদ হয় কমলগঞ্জ উপজেলায়। এ উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে জেলা ও দেশের অন্যান্য স্থানেও সবজি যায়। কিন্তু অসময়ে এই বৃষ্টির ফলে এবার লক্ষ্য পূরণ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকেরা।

কমলগঞ্জ উপজেলার রানিবাজার এলাকায় ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটোসহ বিভিন্ন সবজি চাষাবাদ করেছেন কৃষক কলাবতী সিনহা। তিনি বলেন, কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ফসলের মাঠে পানি জমে যায়। ফলে সবজিতে পচন ধরা শুরু হয়েছে। তবে রোদ ওঠায় কিছু সবজি পাওয়া যাবে।

কলাবতী সিনহা আরও বলেন, ‘আমার পরিবারের বার্ষিক আয়ের একটা উৎস সবজি থেকে আসে। কিন্তু এ বছর বিশাল ক্ষতি হয়ে গেল। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হবে।’

এ এলাকার কৃষক নন্দকিশোর সিংহ জানান, তাঁর খেতের ৫০ শতাংশ সবজি পচে গেছে। তিনি জমিতে মুলা, বেগুন, করলা, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি ও ধনেপাতা চাষ করেছিলেন। শীত মৌসুমে হঠাৎ এমন বৃষ্টি হওয়ায় তাঁর অনেক ক্ষতি হয়ে গেল।

রাজনগর উপজেলার কৃষক ছয়ফুল মিয়া বলেন, ‘ঋণ নিয়ে দুই বিঘা জমিতে আলু, মুলা, টমেটোসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করেছি। এই সবজি চাষের আয় থেকে আমার পরিবারের খরচ বহন করি। কিন্তু বৃষ্টির কারণে লাভ হবে কি না তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছি।’

এ পর্যন্ত কতটুকু ক্ষতি তা নির্ণয় করতে না পারলেও অর্ধেকের মতো ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।

সদর উপজেলার আরিফ মিয়া বলেন, টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে অধিকাংশ খেতে পানি জমে সবজিগাছে পচন ধরেছে। কৃষকেরা পুরোদমে মুলা বিক্রি শুরু করলেও খেতে পানি জমে বিক্রি উপযোগী মুলাও নষ্ট হয়ে গেছে। শিমখেতের সব ফুলই ঝরে পড়ে গেছে। বিস্তীর্ণ জমির তিত করলার গাছও মরে গেছে। অথচ মাস ঘুরলেই সব ধরনের শীতকালীন সবজি একযোগে বাজারে তোলা যেত।

মৌলভীবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কাজী লুৎফুল বারী বলেন, ‘এই অসময়ের বৃষ্টি সবজিখেতের জন্য ক্ষতিকর। যদিও খুব বেশি বৃষ্টি হয়নি, তাই ক্ষতির আশঙ্ক্ষা কম। জেলায় কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, এখনো নিরূপণ করা হয়নি। দু-এক দিনের মধ্যে ক্ষতির পরিমাণ আমরা জানতে পারব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত