Ajker Patrika

সন্ধান মিলল ঈসা খাঁর দুর্গের

সাখাওয়াত হোসেন হৃদয়, পাকুন্দিয়া
আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০২২, ১৬: ০১
সন্ধান মিলল ঈসা খাঁর দুর্গের

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার এগারসিন্দুর শাহ গরীবুল্লাহ মাজারের ঢিবি খনন করে বাংলার বারো ভূঁইয়াদের মধ্যে অন্যতম ঈসা খাঁ প্রতিরক্ষা চৌকির (দুর্গ) অস্তিত্ব পেয়েছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার এগারসিন্দুর দুর্গ ঈদগাহ ময়দানে খনন শেষে প্রাপ্ত প্রত্নবস্তুর প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। প্রদর্শনীতে এসব তথ্য জানানো হয়। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) রতন চন্দ্র পণ্ডিত প্রধান অতিথি হিসেবে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের উদ্যোগে গত ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিকে শাহ গরীবুল্লাহ মাজারের ঢিবি খনন শুরু হয়। খনন কাজ শেষ হয় গত মার্চে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের দক্ষ খনন কারিরা দীর্ঘদিন খনন শেষে বিপুল পরিমাণ প্রত্নবস্তু উদ্ধার করেন এবং ঢিবিতে ঐতিহাসিক ঈশাখাঁর প্রতিরক্ষা চৌকির (দুর্গ) অস্তিত্ব পান।

এ উপলক্ষে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের আঞ্চলিক পরিচালক রাখী রায়ের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনু ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোজলিন শহীদ চৌধুরী।

 এ সময় প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের উপপরিচালক ডা. মো. আতাউর রহমান, লাভলী ইয়াসমিন, ঢাকা বিভাগীয় সহকারী পরিচালক ড. আহমেদ আবদুল্লাহ, গোলাম ফেরদৌস, ফিল্ড অফিসার সাবিনা ইয়াসমিন ও এগারসিন্দুর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান বাবুসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ঐতিহাসিক স্মৃতি সমৃদ্ধ এই এগারসিন্দুর। এখানে বীর ঈশাখাঁর দুর্গ, শাহ্ মাহমুদ মসজিদ, সাদী মজসিদ ও বেবুদ রাজার দিঘি রয়েছে। পাশাপাশি সব কটি ঐতিহাসিক স্থাপত্য হওয়ায় এলাকাটি পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তোলা হলে একদিকে যেমন ইতিহাস ঐতিহ্যকে ধরে রাখা যাবে তেমনি স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।

ইউএনও রোজলিন শহীদ চৌধুরী বলেন, ‘প্রাচীন একাধিক স্থাপত্য সমৃদ্ধ এলাকা এগারসিন্দুর। এলাকাটি পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হলে এ জনপদ আরও সমৃদ্ধ হবে।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রতন চন্দ্র পণ্ডিত বলেন, ‘প্রাচীন ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও অনুসন্ধানই প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কাজ। গত ফেব্রুয়ারি মাসে এখানে এগারসিন্দুর শাহ গরীবুল্লাহ মাজার ঢিবিতে প্রত্নতাত্ত্বিক উৎখনন শুরু হয়। এ সময় প্রাচীন সময়ের চীনামাটির বিভিন্ন পাত্র, লৌহপিন্ড, পাথর খণ্ড, জীবাশ্ম, ব্রিটিশ মুদ্রা, হাড়হাড্ডি ও কলকেসহ ২৫০ টির মতো প্রত্নবস্তু পাওয়া যায়। যা ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষণ করে রাখা হবে। এগারসিন্দুরকে পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে।

এর আগে ঈদগাহ ময়দানে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে রাখা হয় উদ্ধার হওয়া প্রত্নতত্ত্ব বস্তুসমূহ। স্থানীয় শিক্ষার্থী ও উৎসুক জনতা প্রদর্শনী উপভোগ করেন। এ সময় উপস্থিত সবাইকে ঐতিহ্য রক্ষার শপথ বাক্য পাঠ করান রতন চন্দ্র পণ্ডিত।

পরে এগারসিন্দুর দুর্গ, সাদী মসজিদ, বেবুদ রাজার দিঘি ও শাহ্ মাহমুদ পরিদর্শন করেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও অন্যান্য কর্মকর্তারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল, ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

ঘন ঘন নাক খুঁটিয়ে স্মৃতিভ্রংশ ডেকে আনছেন না তো!

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত