Ajker Patrika

বাল্যবিবাহ করতে বর এলেন হেলিকপ্টারে

পূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৪: ০৬
বাল্যবিবাহ করতে বর এলেন হেলিকপ্টারে

হেলিকপ্টারে চড়ে এক স্কুলছাত্রীকে বিয়ে করতে এসে প্রশাসনের তোপের মুখে পড়েন মো. শাহজালাল নামের এক যুবক। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিয়ে বন্ধ হয়। মেয়েটি বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পায়। তার বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন নাম মর্মে মুচলেকা দেন অভিভাবকেরা।

পরে কনে ছাড়াই একই হেলিকপ্টারে বাড়ি ফিরে যান শাহজালাল। গত শুক্রবার নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় ঘটে এ ঘটনা।

জানা গেছে, স্থানীয় একটি উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীর (১৬) বাড়ি পূর্বধলা উপজেলার একটি গ্রামে। তার সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরের শাহজালালের (৩০) বিয়ের আয়োজন করা হয় শুক্রবার।

বেলা দুইটার দিকে হেলিকপ্টারে চড়ে বরযাত্রীরা আসেন। হেলিকপ্টারটি পূর্বধলা সদরের একটি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে অবতরণ করে। ওই মাঠের পাশেই বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। বর শাহজালালের সঙ্গে হেলিকপ্টার থেকে নামেন তাঁর তিনজন আত্মীয়। এ উপজেলায় এই প্রথম কেউ হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে আসেন। এ কারণে আশপাশের কয়েকটি গ্রামের কয়েক শ মানুষ হেলিকপ্টার দেখতে ওই মাঠে ভিড় করেন। ভিড় সামাল দিতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। অন্য বরযাত্রীরা আসেন সড়কপথে। তবে একপর্যায়ে এই বাল্যবিবাহের আয়োজনের কথা জেনে যায় প্রশাসন।

বিয়ের অনুষ্ঠানের স্থানে অভিযান চালান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স। এ সময় কনে প্রাপ্তবয়স্ক বলে দাবি করেন তার অভিভাবকেরা। এর পক্ষে তাঁরা মেয়েটির জন্মনিবন্ধন সনদ দেখান। কিন্তু অনলাইনে যাচাই করে এটি ভুয়া বলে নিশ্চিত হন ইউএনও। তাই এ বিয়ে বন্ধের আদেশ দেন তিনি। কনে ছাড়াই আবার একই হেলিকপ্টারে করে বরকে ফিরে যেতে হয়।

ইউএনও শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কনের জন্মসনদ চাইলে একটি ভুয়া সনদ দেখানো হয়। যাচাই করে জানাতে পারি কনে অপ্রাপ্তবয়স্ক। কিন্তু আইন অমান্য করে বর ও কনে পক্ষ এ বিয়ের আয়োজন করে। এ কারণে এই বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত