Ajker Patrika

লঞ্চ চলাচল আবার বন্ধ নরসিংহপুর ঘাটে

ভেদরগঞ্জ (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২২, ১১: ২২
Thumbnail image

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার নরসিংহপুর আলুর বাজার লঞ্চঘাটে আবারও বন্ধ হয়ে গেছে লঞ্চ চলাচল। নাব্যতা-সংকট কাটাতে চলছে ড্রেজিং। এতে চালু হওয়ার ১০ দিন পর আবারও বন্ধ হয়ে যায় লঞ্চ চলাচল। ফলে সৃষ্টি হয়েছে ভোগান্তি।

বিআইডব্লিইটিএর পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, দ্রুতই এই সমস্যার সমাধান হবে। কমবে ভোগান্তি।

জানা গেছে, নরসিংহপুর আলুর বাজার লঞ্চঘাট এলাকায় পদ্মার শাখানদীতে দেখা দেয় নাব্যতা-সংকট। ফল বন্ধ হয়ে যায় লঞ্চ চলাচল। ড্রেজিং করে নাব্যতা-সংকট কাটানোর চেষ্টা করা হয়, কিন্তু কাজ চলে ধীরগতিতে। নাব্যতা-সংকট দূর করার আগে গণমাধ্যমের ভোগান্তি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় চালু করা হয় ঘাট। কিন্তু লঞ্চঘাট চালু হতে না হতেই আবারও বন্ধ হয়ে গেছে। এতে যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বিপাকে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, আলুর বাজার এলাকায় ফেরিঘাটের সঙ্গে ড্রেজারের পাইপ দিয়ে লঞ্চঘাটের প্রবেশপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে লঞ্চ তো দূরের কথা, ছোট ছোট নৌযানও ঘাটে ভিড়তে পারছে না।

ঘাট থেকে ট্রলারে করে যাত্রী নিয়ে মাঝনদীতে লঞ্চে তুলে দেওয়া হয়। এতে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা।

চর মহিষখালী কান্দির আজিবর মাঝি জানান, আলুর বাজার ফেরিঘাটের নাব্যতা-সংকট দূর করতে দীর্ঘদিন ধরে ড্রেজিং চলছে। এতে ড্রেজারের পাইপ নদীতে ফেলে রাখায় লঞ্চঘাটটি ৩-৪ মাস বন্ধ। এতে যাতায়াতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।’

যাত্রী আবু সুফিয়ান (৭০) বলেন, ‘চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে ঢাকায় যেতে হচ্ছে। সঙ্গে বৃদ্ধ স্ত্রীও রয়েছে। কিন্তু লঞ্চ না থাকায় ট্রলারে করে মাঝনদীতে যেতে হচ্ছে। পরে লঞ্চে তুলে দেওয়া হয়। এতে যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।’

স্থানীয় এলাকাবাসী মোকতার দিদার জানান, ‘নাব্যতা-সংকট দূর করতে মাসের পর মাস একটু একটু করে ড্রেজিং করা হচ্ছে। এতে ঘাটে সরাসরি লঞ্চে আসতে না পারায় যাত্রীদের সমস্যা হচ্ছে।’

চট্টগ্রাম থেকে বেনাপোলগামী যাত্রীবাহী বাস দিদার পরিবহনের চালক বাদশা শেখ বলেন, ‘নাব্যতা-সংকটের জন্য ঘাটের মুখে ড্রেজিং করা হচ্ছে। এতে যাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়।’

ফেরিঘাটের ইজারাদার ও চরসেন্সাস ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান জিতু মিয়া বেপারী বলেন, ‘৪-৫ মাস ধরে ঘাটে লঞ্চ ভিড়তে পারছে না। কর্তৃপক্ষ এক সপ্তাহের সময় নিচ্ছে। এতে কেটে যাচ্ছে মাসের পরে মাস। ফলে ঘাট বন্ধ থাকছে। এ পথে চলাচলকারী ব্যবসায়ীসহ যাত্রীদের সীমাহীন কষ্ট হচ্ছে।’

বিআইডব্লিইটিএর প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘ড্রেজিংয়ের কারণে ঘাটে লঞ্চ আসা বন্ধ রয়েছে। আশা করি, এক সপ্তাহের মধ্যে ড্রেজিংয়ের কাজ শেষ হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত