Ajker Patrika

প্রকাশ্যে চলছে পাহাড় কাটা রক্ষায় উদ্যোগ নেই

নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধি  
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬: ২৭
প্রকাশ্যে চলছে পাহাড় কাটা রক্ষায় উদ্যোগ নেই

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ বিছামারা এলাকায় পরিবেশ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পাহাড় কাটা চলছে। এতে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। সরকারি জমি দখলের উদ্দেশ্যে পাহাড় কাটা অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সম্প্রতি স্থানীয় প্রভাবশালী হযরত আলীর ছেলে সামশুল আলম, মো. হোসেন এক মাস ধরে এই পাহাড় কাটছেন বলে জানা গেছে। এলাকা প্রবীণ বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাতদিন পাহাড় কাটলেও জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেন না প্রশাসন।

সদর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সামশুল আলম বসতবাড়ি নির্মাণের জন্য পাহাড় কেটে চওড়া সমতলে পরিণত করছেন। একই এলাকার মাহাছান ঘোনা স্থানে মো. হোসেন (কেলা মাছন) বসতি স্থাপনের জন্য বিশাল পাহাড় কাটছেন। বিছামারা এলাকায় একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা যায়, তবে পাহাড় কাটায় জড়িতরা প্রভাবশালী হওয়ায় নাম প্রকাশ করতে পাননি তাঁরা।

আব্দুর রহিমসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুজন জানান, কয়েক বছর আগে বিছামারা এলাকায় বসতি স্থাপন করেন সামশুল আলম। তাঁর বসতবাড়ির আয়তন বাড়াতে পাহাড়ের মাটি কাটা অব্যাহত রেখেছেন তিনি। একই কাজ করছেন মো. হোসেন। তাঁদের মাটি কাটা স্থানটি ওই এলাকার সর্বোচ্চ পাহাড়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েক জানান, সামশুল আলম ও মো. হোসেন সরকারি জায়গা দখলের পর বিক্রি করা জমি মালিকের মধ্যে মিয়ানমারের লোকও আছেন। তা ছাড়া পাহাড় কাটায় পার্শ্ববর্তী বাড়িগুলো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আগামী বর্ষা মৌসুমে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

জানতে চাইলে মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত সামশুল আলম বলেন, ‘আমি বাড়ি করার জন্য মাটি কাটছি। এ জায়গায় আমরা বসবাস করি। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বোঝাপড়া হয়েছে।’ একই ধরনের কথা বলেন অপর অভিযুক্ত মো. হোসেন।

এদিকে উপজেলার বাইশারী লম্বাবিল এলাকায় আব্দুল জব্বার একজন পাহাড় কেটে দিনরাত ট্রাক, পিকআপে মাটি বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস বলেন, ‘চেয়ারম্যানকে বলে কোন স্থানে পাহাড় কাটছে সেটি চিহ্নিত করব। অবশ্যই আইনের আওতায় এনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাহাড় খেকোদের কাউকে ছাড় দেওয়া যাবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত