সম্পাদকীয়
দ্রব্যমূল্য পাগলা ঘোড়ার মতোই ছুটে চলেছে। এ সময় টক অব দ্য টাউন হলো ডিমের দাম। ডিম আর সহজলভ্য প্রোটিন হিসেবে টিকে নেই। একটি ডিমের দাম ১৫ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল! চেষ্টা করা হচ্ছে দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার। ভারত থেকে ডিম আমদানি করার ঘোষণায় ডিমের দাম কিছুটা কমেছে।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে যে দুর্বলতা রয়েছে, তা কাটিয়ে ওঠা দরকার। অন্তর্বর্তী সরকার যদি দ্রব্যমূল্য ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারত, তাহলে তার প্রাথমিক সুফল ফলত। কিন্তু এ দুই জায়গাতেই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে সরকার। এই ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে না পারলে জনগণের আশা ভঙ্গ হবে। এই দিকটায় খেয়াল না রাখলে সংকট আরও বাড়বে।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন সময়ে ডিমের দাম বাড়লে তা নিয়ে পত্রপত্রিকায় লেখা হয়েছে, টেলিভিশনে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ডিমের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে ডিমের দাম। সেই সিন্ডিকেট কি এখনো ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণ করে চলেছে? এত বড় একটি পরিবর্তনের পর এত বড় সাহস তারা এখনো কীভাবে পাচ্ছে? সেটা কি বিশ্বাস করতে হবে? তারা যদি এখনো এতটা শক্তিশালী হয়ে থাকে, তাহলে তাদের দৌরাত্ম্য ঠেকাবে কে?
দেশের খামারিরা বলছেন, ভারতে ডিমের যে উৎপাদন খরচ, আমাদের দেশে খরচ তার দ্বিগুণ। এটাও তো একটা ধাঁধা। ভারতে কেন ডিমের উৎপাদন খরচ আমাদের দেশের উৎপাদন খরচের তুলনায় অর্ধেক হবে? ভারতের মুরগিগুলো কী খায়? আমাদের দেশের মুরগিও কি একই খাবার খায়? তাহলে সেই খাদ্যের দাম বেশি হবে কেন? পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণে কি খরচ বেশি? সেটাই বা কেন হবে? সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চললে তো সেই খরচও বাংলাদেশ আর ভারতে একই হওয়ার কথা!
ডিম আমদানিতে শুল্ক ছাড়ের কথা ভাবছে ট্যারিফ কমিশন। এ নিয়ে খামারিদের রয়েছে অনুযোগ। খামারিদের বাঁচাতে হলে খামারে ডিম উৎপাদনে এত বেশি খরচ কেন, সেটাও তো জানতে হবে। সেই খরচ কমানোর উপায় বের করতে হবে। নইলে এই উচ্চমূল্যের ছুরি গিয়ে বিঁধবে সরাসরি দেশের নাগরিকদের বুকে।
অল্প দামে প্রোটিন আসে ডিম আর ব্রয়লার মুরগি থেকে। দেশের দরিদ্র মানুষ বহুদিন ধরেই গরু বা খাসির মাংসের স্বাদ পায় না।
উৎসবের সময় হয়তো পাতে একটু জোটে। মাছেরও অগ্নিমূল্য। শাকসবজির দামও বাড়ছে। এ অবস্থায় গরিব মানুষ কী খাবে?
‘সুষম খাবার’ মানে সেই খাবার, যা খেলে সব ধরনের পুষ্টিকর উপাদান শরীর পাবে। সেই সুষম খাবার জোগাড় করার ক্ষমতা গরিব
মানুষের নেই। গরিব মানুষকে পুষ্টিকর খাবারের আওতায় আনার জন্য সুপরিকল্পিত ব্যবস্থা গড়ে তোলা দরকার।
ডিমের দাম সহনশীল পর্যায়ে আনার পাশাপাশি মানবদেহের জন্য অতি প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদানেরও সন্ধান দিতে হবে জনগণকে। আমাদের দেশের জনগণের একটি বড় অংশ পুষ্টিহীনতায় ভোগে। একটা ডিম শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য জরুরি হয়ে ওঠে। ডিমের দাম সব শ্রেণির মানুষের নাগালের মধ্যে আনার বিকল্প নেই।
দ্রব্যমূল্য পাগলা ঘোড়ার মতোই ছুটে চলেছে। এ সময় টক অব দ্য টাউন হলো ডিমের দাম। ডিম আর সহজলভ্য প্রোটিন হিসেবে টিকে নেই। একটি ডিমের দাম ১৫ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল! চেষ্টা করা হচ্ছে দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার। ভারত থেকে ডিম আমদানি করার ঘোষণায় ডিমের দাম কিছুটা কমেছে।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে যে দুর্বলতা রয়েছে, তা কাটিয়ে ওঠা দরকার। অন্তর্বর্তী সরকার যদি দ্রব্যমূল্য ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারত, তাহলে তার প্রাথমিক সুফল ফলত। কিন্তু এ দুই জায়গাতেই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে সরকার। এই ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে না পারলে জনগণের আশা ভঙ্গ হবে। এই দিকটায় খেয়াল না রাখলে সংকট আরও বাড়বে।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন সময়ে ডিমের দাম বাড়লে তা নিয়ে পত্রপত্রিকায় লেখা হয়েছে, টেলিভিশনে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ডিমের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে ডিমের দাম। সেই সিন্ডিকেট কি এখনো ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণ করে চলেছে? এত বড় একটি পরিবর্তনের পর এত বড় সাহস তারা এখনো কীভাবে পাচ্ছে? সেটা কি বিশ্বাস করতে হবে? তারা যদি এখনো এতটা শক্তিশালী হয়ে থাকে, তাহলে তাদের দৌরাত্ম্য ঠেকাবে কে?
দেশের খামারিরা বলছেন, ভারতে ডিমের যে উৎপাদন খরচ, আমাদের দেশে খরচ তার দ্বিগুণ। এটাও তো একটা ধাঁধা। ভারতে কেন ডিমের উৎপাদন খরচ আমাদের দেশের উৎপাদন খরচের তুলনায় অর্ধেক হবে? ভারতের মুরগিগুলো কী খায়? আমাদের দেশের মুরগিও কি একই খাবার খায়? তাহলে সেই খাদ্যের দাম বেশি হবে কেন? পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণে কি খরচ বেশি? সেটাই বা কেন হবে? সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চললে তো সেই খরচও বাংলাদেশ আর ভারতে একই হওয়ার কথা!
ডিম আমদানিতে শুল্ক ছাড়ের কথা ভাবছে ট্যারিফ কমিশন। এ নিয়ে খামারিদের রয়েছে অনুযোগ। খামারিদের বাঁচাতে হলে খামারে ডিম উৎপাদনে এত বেশি খরচ কেন, সেটাও তো জানতে হবে। সেই খরচ কমানোর উপায় বের করতে হবে। নইলে এই উচ্চমূল্যের ছুরি গিয়ে বিঁধবে সরাসরি দেশের নাগরিকদের বুকে।
অল্প দামে প্রোটিন আসে ডিম আর ব্রয়লার মুরগি থেকে। দেশের দরিদ্র মানুষ বহুদিন ধরেই গরু বা খাসির মাংসের স্বাদ পায় না।
উৎসবের সময় হয়তো পাতে একটু জোটে। মাছেরও অগ্নিমূল্য। শাকসবজির দামও বাড়ছে। এ অবস্থায় গরিব মানুষ কী খাবে?
‘সুষম খাবার’ মানে সেই খাবার, যা খেলে সব ধরনের পুষ্টিকর উপাদান শরীর পাবে। সেই সুষম খাবার জোগাড় করার ক্ষমতা গরিব
মানুষের নেই। গরিব মানুষকে পুষ্টিকর খাবারের আওতায় আনার জন্য সুপরিকল্পিত ব্যবস্থা গড়ে তোলা দরকার।
ডিমের দাম সহনশীল পর্যায়ে আনার পাশাপাশি মানবদেহের জন্য অতি প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদানেরও সন্ধান দিতে হবে জনগণকে। আমাদের দেশের জনগণের একটি বড় অংশ পুষ্টিহীনতায় ভোগে। একটা ডিম শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য জরুরি হয়ে ওঠে। ডিমের দাম সব শ্রেণির মানুষের নাগালের মধ্যে আনার বিকল্প নেই।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪