রাশেদুজ্জামান, মেহেরপুর
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বেতবাড়িয়া আর কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের মধুগাড়ির গ্রামের বাসিন্দাদের দাবির মুখে মাথাভাঙ্গা নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। সেই সেতুর এক পাশে সড়ক থাকলেও অপর পাশে ফসলি জমি। ফলে ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি কোনো কাজেই আসছে না।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মূল সড়ক দিয়ে সেতু নির্মাণের কথা থাকলেও এলজিইডি কর্তৃপক্ষ তা করেনি। তবে এলজিইডি বলছে, নকশা অনুযায়ী তারা কাজ করেছে।
জানা গেছে, সেতুটি নির্মাণ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কফিল এন্টারপ্রাইজ। কাজ শেষ হয়েছে ৬ মাস আগে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সেতুর জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়নি। স্থানীয়রা জানান, সেতু নির্মাণের পর তাঁরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। আগে নদীতে একটি চর ছিল। সেই চর দিয়ে ফসল ঘরে তুলতেন। সেতু নির্মাণের সময় সেটি কেটে ফেলা হয়। এখন ফসল তুলতে প্রায় ১৫ ফুট উঁচু সেতু পাড়ি দিতে হয়। গোড়ায় কিছু মাটি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা খুবই সামন্য।
মধুগাড়ির গ্রামের কৃষক তিতাস বিশ্বাস জানান, বেতবাড়িয়া গ্রামের মাঠে তাঁর ৫ থেকে ৬ বিঘা জমিতে আবাদ রয়েছে। কাঁচা মরিচ, বিভিন্ন ধরনের সবজি, ধান, গমসহ বিভিন্ন প্রকারের ফসল উৎপাদন করেন। এসব ফসল নদী পার হয়ে ঘরে তুলতে হয়। সংযোগ সড়ক না থাকায় এখন এসব ফসল ঘরে তোলা দায় হয়ে পড়েছে। বাধ্য হয়ে কম মূল্যে ব্যবসায়ীদের কাছে ফসল বিক্রি করছেন।
বেতবাড়িয়া গ্রামের নতিম উদ্দীন বলেন, দুই গ্রামের সংযোগস্থলে সেতুটি। আশপাশে কোনো সেতু না থাকায় কয়েক কিলোমিটার পার হয়ে নদীর ওপারের গ্রামগুলোতে যেতে হয়। এতে যাতায়াত বাবদও গুনতে হয় বাড়তি টাকা। সময়ও অপচয় হয়। সেতুর ওপারে সংযোগ সড়ক হয়েছে। অথচ এপারে মাঠের মাঝখান। কোনো সংযোগ সড়ক হবে কি না, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।
বেতবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ মোল্লা বলেন, ‘মূল সড়কে সেতুটি নির্মাণের কথা ছিল। এলজিইডি কর্তৃপক্ষ কারও সঙ্গে কথা না বলে মাঠের মধ্যে দিয়ে নির্মাণ করেছে। এখন সংযোগ সড়ক করতে হলে ১০ থেকে ১৫ জন কৃষকদের কাছ থেকে জমি নিতে হবে। সেতু করার সময় আমাদের কারও সঙ্গে কোনো যোগাযোগও করা হয়নি। সংযোগ সড়ক করতে হলে অনেক জমির প্রয়োজন। এ জমিতো আর আমরা এমনি এমনি দিতে পারি না। সরকার অধিগ্রহণ করে টাকার মাধ্যমে জমি নিলে আমরা দিতে রাজি।’
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে কফিল এন্টারপ্রাইজের দেখভাল করা ঠিকাদার জান মোহাম্মদ মিন্টু বলেন, ‘এলজিইডি কর্তৃপক্ষের নকশা অনুযায়ী সেতুর কাজ করেছি। সংযোগ সড়কের জন্য কেউ জমি দিতে না চাইলে আমাদের কি করার আছে। কর্তৃপক্ষ জমির ব্যবস্থা করলে আমরা দ্রুত সংযোগ সড়কের কাজ শেষ করতে পারব।’
গাংনী উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী ফয়সাল হোসেন বলেন, ‘এক্সপার্টরা যেভাবে নকশা করেছেন আমরা সেভাবে সেতুর কাজ করছি। এতে আমাদের কিছু করার নেই।’ মূল সড়ক বাদে কেন মাঠের মাঝখান দিয়ে সেতু করা হলো এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘জমি অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসককে চিঠি দেওয়া হয়েছে। অধিগ্রহণ হলেই আমরা সংযোগ সড়কের কাজ শুরু করতে পারব।’
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বেতবাড়িয়া আর কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের মধুগাড়ির গ্রামের বাসিন্দাদের দাবির মুখে মাথাভাঙ্গা নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। সেই সেতুর এক পাশে সড়ক থাকলেও অপর পাশে ফসলি জমি। ফলে ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি কোনো কাজেই আসছে না।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মূল সড়ক দিয়ে সেতু নির্মাণের কথা থাকলেও এলজিইডি কর্তৃপক্ষ তা করেনি। তবে এলজিইডি বলছে, নকশা অনুযায়ী তারা কাজ করেছে।
জানা গেছে, সেতুটি নির্মাণ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কফিল এন্টারপ্রাইজ। কাজ শেষ হয়েছে ৬ মাস আগে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সেতুর জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়নি। স্থানীয়রা জানান, সেতু নির্মাণের পর তাঁরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। আগে নদীতে একটি চর ছিল। সেই চর দিয়ে ফসল ঘরে তুলতেন। সেতু নির্মাণের সময় সেটি কেটে ফেলা হয়। এখন ফসল তুলতে প্রায় ১৫ ফুট উঁচু সেতু পাড়ি দিতে হয়। গোড়ায় কিছু মাটি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা খুবই সামন্য।
মধুগাড়ির গ্রামের কৃষক তিতাস বিশ্বাস জানান, বেতবাড়িয়া গ্রামের মাঠে তাঁর ৫ থেকে ৬ বিঘা জমিতে আবাদ রয়েছে। কাঁচা মরিচ, বিভিন্ন ধরনের সবজি, ধান, গমসহ বিভিন্ন প্রকারের ফসল উৎপাদন করেন। এসব ফসল নদী পার হয়ে ঘরে তুলতে হয়। সংযোগ সড়ক না থাকায় এখন এসব ফসল ঘরে তোলা দায় হয়ে পড়েছে। বাধ্য হয়ে কম মূল্যে ব্যবসায়ীদের কাছে ফসল বিক্রি করছেন।
বেতবাড়িয়া গ্রামের নতিম উদ্দীন বলেন, দুই গ্রামের সংযোগস্থলে সেতুটি। আশপাশে কোনো সেতু না থাকায় কয়েক কিলোমিটার পার হয়ে নদীর ওপারের গ্রামগুলোতে যেতে হয়। এতে যাতায়াত বাবদও গুনতে হয় বাড়তি টাকা। সময়ও অপচয় হয়। সেতুর ওপারে সংযোগ সড়ক হয়েছে। অথচ এপারে মাঠের মাঝখান। কোনো সংযোগ সড়ক হবে কি না, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।
বেতবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ মোল্লা বলেন, ‘মূল সড়কে সেতুটি নির্মাণের কথা ছিল। এলজিইডি কর্তৃপক্ষ কারও সঙ্গে কথা না বলে মাঠের মধ্যে দিয়ে নির্মাণ করেছে। এখন সংযোগ সড়ক করতে হলে ১০ থেকে ১৫ জন কৃষকদের কাছ থেকে জমি নিতে হবে। সেতু করার সময় আমাদের কারও সঙ্গে কোনো যোগাযোগও করা হয়নি। সংযোগ সড়ক করতে হলে অনেক জমির প্রয়োজন। এ জমিতো আর আমরা এমনি এমনি দিতে পারি না। সরকার অধিগ্রহণ করে টাকার মাধ্যমে জমি নিলে আমরা দিতে রাজি।’
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে কফিল এন্টারপ্রাইজের দেখভাল করা ঠিকাদার জান মোহাম্মদ মিন্টু বলেন, ‘এলজিইডি কর্তৃপক্ষের নকশা অনুযায়ী সেতুর কাজ করেছি। সংযোগ সড়কের জন্য কেউ জমি দিতে না চাইলে আমাদের কি করার আছে। কর্তৃপক্ষ জমির ব্যবস্থা করলে আমরা দ্রুত সংযোগ সড়কের কাজ শেষ করতে পারব।’
গাংনী উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী ফয়সাল হোসেন বলেন, ‘এক্সপার্টরা যেভাবে নকশা করেছেন আমরা সেভাবে সেতুর কাজ করছি। এতে আমাদের কিছু করার নেই।’ মূল সড়ক বাদে কেন মাঠের মাঝখান দিয়ে সেতু করা হলো এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘জমি অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসককে চিঠি দেওয়া হয়েছে। অধিগ্রহণ হলেই আমরা সংযোগ সড়কের কাজ শুরু করতে পারব।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪