Ajker Patrika

রেলসেতুতে কাটা পড়ল ৩ ভাই-বোনসহ ৪ জন

নীলফামারী প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০২১, ০৯: ০৯
রেলসেতুতে কাটা পড়ল ৩ ভাই-বোনসহ ৪ জন

নীলফামারী সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নে ট্রেনে কাটা পড়ে তিন ভাই-বোনসহ চারজন নিহত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ৮টার দিকে ওই ইউনিয়নের মনসাপাড়া গ্রামের বউবাজার নামক স্থানের রেলক্রসিং-সংলগ্ন সেতুর ওপর এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলো রিকশাচালক রেজোয়ান আলীর তিন সন্তান লিমা আকতার (৭), রেশমা খাতুন (৫) ও মমিনুর রহমান (৩) এবং প্রতিবেশী আনোয়ার হোসেনের ছেলে শামীম হোসেন (৩৫)।

প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল হান্নান জানান, রেললাইনের ধারে নিহত ব্যক্তিদের বাড়ি। আর বাড়িসংলগ্ন রেলসেতুর সংস্কারকাজ চলছিল। শিশুরা সেতুর ওপর বসে সেতু সংস্কারের কাজ দেখছিল। ঠিক ওই সময় চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসে খুলনাগামী ‘খুলনা মেইল’ ট্রেন। এ সময় সেতুর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নৈশপ্রহরী শামীম হোসেন শিশুদের বাঁচানোর চেষ্টা করতে গেলে তিনিসহ তিনটি শিশু কাটা পড়ে। এতে ঘটনাস্থলে লিমা আকতার ও রেশমা খাতুন এবং নীলফামারী আধুনিক হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায় শিশু মমিনুর ও শামীম।

নিহত ব্যক্তিদের প্রতিবেশী হাসিবুল ইসলাম জানান, নীলফামারী শহরের উকিলের মোড়ে দর্জির কাজ করতেন শামীম। বাবার মৃত্যুর পর বৃদ্ধা মা, স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়েই তাঁর সুখের সংসার। সংসারে একমাত্র উপার্জনশীল ব্যক্তিটি না থাকায় ওই পরিবারকে এখন পথে নামা ছাড়া উপায় নেই।

ঘটনার পর এলাকাবাসী চিলাহাটি-পার্বতীপুর পথে চলাচলকারী আন্তনগর ট্রেন ‘রুপসা এক্সপ্রেস’ আটকে দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। বিক্ষোভকারী রেললাইনের খোলা লেভেল ক্রসিংয়ে গেটম্যানসহ গেট নির্মাণ এবং নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দাবি জানায়। দ্রুত ঘটনাস্থলে হাজির হন নীলফামারীর পুলিশ সুপার মোখলেছুর রহমান। তিনি রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দাবি পূরণের আশ্বাস দেওয়ার পর ট্রেনটি ছেড়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা।

সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রহমান বিশ্বাস জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

নীলফামারী সদর উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে নিহত তিন শিশুর পরিবারকে ৩০ হাজার এবং শামীমের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে দাফনের জন্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত