Ajker Patrika

শিক্ষক সংকটে ধুঁকছে বিদ্যালয়

সনি আজাদ, চারঘাট 
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২১, ১৯: ০৮
শিক্ষক সংকটে ধুঁকছে বিদ্যালয়

শিক্ষকসহ প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে চারঘাটের শতবর্ষী সরদহ সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। এতে ব্যাহত হচ্ছে লেখাপড়া। একসময় এটি ছিল উত্তরবঙ্গের অন্যতম বিদ্যাপীঠ। আজ সেই বিদ্যালয়টিই ধুঁকছে শিক্ষক সংকটে।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯১৬ সালের ১৪ নভেম্বর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের অধ্যক্ষ মে. চামনী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছেলেমেয়েদের জন্য সরদহ এম ই জুনিয়র নামে একটি বিদ্যালয় নির্মাণ করেন। পরবর্তী সময়ে চাহিদার কথা চিন্তা করে ১৯২৭ সালে তা উচ্চবিদ্যালয়ে রূপান্তর করা হয়। ১৯২৯ সালে শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদন লাভ করে বিদ্যালয়টি। ১৯৬২ সালের ২৬ ডিসেম্বর তৎকালীন সরকার ফোর্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পূর্ব পাকিস্তানের ৫টি স্কুল পাইলট স্কিমে নিয়ে আসে। এর মধ্যে সরদহ পাইলট উচ্চবিদ্যালয় ছিল অন্যতম। ১৯৮১ সালের ১ জানুয়ারি স্কুলটি জাতীয়করণ করা হয়।

বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা এই বিদ্যালয়ের হাজারো প্রাক্তন শিক্ষার্থী দেশ-বিদেশে ভালো অবস্থানে রয়েছেন। অথচ শতবর্ষী বিদ্যালয়টি শিক্ষক ও জনবলের অভাবে ধুঁকছে।

আগে বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষক ছিলেন স্থানীয়। স্থানীয় শিক্ষকেরা অবসরে যাওয়ার পর থেকেই শিক্ষক সংকট দেখা দেয়। সেটা এখন প্রকট রূপ পেয়েছে।

বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮২৯। তাদের পাঠদানের জন্য ২৫ জন শিক্ষকের স্থলে কর্মরত আছেন মাত্র ১৪ জন। প্রধান ও সহকারী শিক্ষকসহ ১১টি পদ শূন্য। ইংরেজির শিক্ষক ৪ জনের মধ্যে ১, ভৌতবিজ্ঞানে ২ জনের মধ্যে ১, জীববিজ্ঞানে ২ জন শিক্ষকের মধ্যে ১ জন কর্মরত রয়েছেন। বাংলার ৪ শিক্ষকের পদ ও ধর্মের ২ শিক্ষকের পদও শূন্য। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের উচ্চমান সহকারী পদে ১টি, অফিস সহকারী পদে ১টি এবং এমএলএস ৫টি পদের সবগুলোই শূন্য।

এদিকে শিক্ষক সংকটে লেখাপড়ার মান ক্রমাবনমিত। এখন লেখাপড়ার তীব্র প্রতিযোগিতার মাঠে ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়টি অনেক পিছিয়ে পড়েছে। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা হতাশা প্রকাশ করেছেন।

অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বাদশা বলেন, সরদহ পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে একসময় ছাত্ররা গর্ববোধ করত। আর সেখানে শিক্ষার পরিবেশ ক্রমে সংকুচিত হচ্ছে। প্রায় সাড়ে ৮০০ শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষক মাত্র ১৪ জন। শতবর্ষী বিদ্যালয়টিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে দ্রুত শিক্ষকসহ প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দেওয়া উচিত।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সৈয়দ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষক সংকটের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করছি। কিন্তু সমাধান হচ্ছে না। শিক্ষার মানোন্নয়ন করতে হলে অবশ্যই শূন্য পদগুলোতে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।’

এ ব্যাপারে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা রাজশাহী অঞ্চলের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. শরমিন ফেরদৌস চৌধুরী, ‘শিক্ষক সংকটের বিষয়টি আমরা জেনেছি। বিসিএস নন-ক্যাডার থেকে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। এখন পদায়ন প্রক্রিয়া চলমান আছে। আশা করছি দ্রুতই শিক্ষক সংকট কাটবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পাচারের অর্থে দুবাইয়ে মেয়ের ৪৫ কোটি টাকার ফ্ল্যাট—অভিযোগ নিয়ে যা বললেন গভর্নর

সুধা সদন এখন কিশোর গ্যাং ও মাদকসেবীর আখড়া

যুক্তরাজ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের শতকোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এখন বৈঠকে রাজি নন

ভোলায় বিএনপির ৮ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত