রংপুর প্রতিনিধি
রংপুর জেলা থেকে গত ১৮ বছরে ৩৭ হাজারের মতো শ্রমিকের বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে। দেশের মোট প্রবাসী শ্রমিকের মাত্র ১ দশমিক ৮ শতাংশ গেছেন এই বিভাগের আট জেলা থেকে, যেখানে প্রবাসী আয়ে তাঁদের অবদান শূন্য দশমিক ৬৯ শতাংশ। এ অবস্থায় রংপুর থেকে বিদেশে যেতে আগ্রহী ব্যক্তিদের দক্ষতা বাড়িয়ে তাঁদের নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে নানামুখী কার্যক্রম চালাচ্ছে সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ‘নিরাপদ অভিবাসন এবং দক্ষতা উন্নয়ন’ শীর্ষক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং রংপুর জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয়ের আয়োজনে নগরীর আরডিআরএস বাংলাদেশ ভবনের রোকেয়া মিলনায়তনে এ সেমিনার হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, প্রচার ও দক্ষ শ্রমিকের অভাবের পাশাপাশি উচ্চ ব্যয়ের কারণে অনগ্রসর এ অঞ্চল থেকে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে না। তবে সরকারি উদ্যোগ এবং জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমের কারণে দিন দিন বিদেশগামী আগ্রহী মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক চিত্রলেখা নাজনীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ) উৎপল কুমার রায় প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমেনা পারভীন। সেমিনার সঞ্চালনা ও পরিচালনা করেন উইনরক ইন্টারন্যাশনালের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী খাইরুল ইসলাম।
আলোচনা পর্বে বক্তারা মত দেন, প্রচারের পাশাপাশি দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ, তথ্য ঘাটতি পূরণ এবং দালালদের দৌরাত্ম্য দূর করা গেলে রেমিট্যান্স বাড়ানো সম্ভব হবে।
এ সময় সহকারী পরিচালক আমেনা জানান, রংপুর জেলা থেকে ২০০৪ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত বিদেশে গেছেন ৮ হাজার ৩৩ জন। আর ২০১১ থেকে ২০২২ সালে গেছেন ২৩ হাজার ৫৮৬ জন। করোনাকালে ২০২০ সালে মাত্র ৪৭৩ জন প্রবাসে পাড়ি জমিয়েছেন। মহামারির সময় অভিবাসী শ্রমিকেরা ঘরমুখী হলেও এখন নতুন করে তাঁরা বিদেশমুখী হতে শুরু করেছেন।
এই কর্মকর্তা বলেন, নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিতে নানামুখী কার্যক্রম চলছে। অভিবাসনের ক্ষেত্রে দালালদের দৌরাত্ম্য কমানোর পাশাপাশি নিরাপদ, নৈতিক ও মর্যাদাপূর্ণ শ্রম অভিবাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে।
উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে বিদেশগামী এক ব্যক্তি জানান, রংপুর অঞ্চলের মানুষ অনেক আগে থেকেই বিদেশে যাওয়া নিয়ে আগ্রহী ছিলেন না। তবে এখন অনেকের কাছে শুনে ও খবর নিয়ে যাচ্ছেন। কারণ, বিদেশে সুযোগ-সুবিধা ভালো। দেশে যে শ্রম দেন, সেই তুলনায় মূল্য পান না। তাই বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। যদি কর্মসংস্থানের সঠিক তথ্য দেওয়া হয় এবং দালাল প্রতিরোধ করা যায়, তাহলে রংপুর থেকে আরও বেশি লোক যেতে আগ্রহী হবে।
‘থাকব ভালো, রাখব ভালো দেশ, বৈধ পথে প্রবাসী আয়—গড়ব বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এ সেমিনারে জনপ্রতিনিধি, রিক্রুটিং এজেন্সির প্রতিনিধি এবং বিদেশফেরত ও বিদেশগামীরা অংশ নেন।
রংপুর জেলা থেকে গত ১৮ বছরে ৩৭ হাজারের মতো শ্রমিকের বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে। দেশের মোট প্রবাসী শ্রমিকের মাত্র ১ দশমিক ৮ শতাংশ গেছেন এই বিভাগের আট জেলা থেকে, যেখানে প্রবাসী আয়ে তাঁদের অবদান শূন্য দশমিক ৬৯ শতাংশ। এ অবস্থায় রংপুর থেকে বিদেশে যেতে আগ্রহী ব্যক্তিদের দক্ষতা বাড়িয়ে তাঁদের নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে নানামুখী কার্যক্রম চালাচ্ছে সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ‘নিরাপদ অভিবাসন এবং দক্ষতা উন্নয়ন’ শীর্ষক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং রংপুর জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয়ের আয়োজনে নগরীর আরডিআরএস বাংলাদেশ ভবনের রোকেয়া মিলনায়তনে এ সেমিনার হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, প্রচার ও দক্ষ শ্রমিকের অভাবের পাশাপাশি উচ্চ ব্যয়ের কারণে অনগ্রসর এ অঞ্চল থেকে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে না। তবে সরকারি উদ্যোগ এবং জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমের কারণে দিন দিন বিদেশগামী আগ্রহী মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক চিত্রলেখা নাজনীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ) উৎপল কুমার রায় প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমেনা পারভীন। সেমিনার সঞ্চালনা ও পরিচালনা করেন উইনরক ইন্টারন্যাশনালের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী খাইরুল ইসলাম।
আলোচনা পর্বে বক্তারা মত দেন, প্রচারের পাশাপাশি দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ, তথ্য ঘাটতি পূরণ এবং দালালদের দৌরাত্ম্য দূর করা গেলে রেমিট্যান্স বাড়ানো সম্ভব হবে।
এ সময় সহকারী পরিচালক আমেনা জানান, রংপুর জেলা থেকে ২০০৪ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত বিদেশে গেছেন ৮ হাজার ৩৩ জন। আর ২০১১ থেকে ২০২২ সালে গেছেন ২৩ হাজার ৫৮৬ জন। করোনাকালে ২০২০ সালে মাত্র ৪৭৩ জন প্রবাসে পাড়ি জমিয়েছেন। মহামারির সময় অভিবাসী শ্রমিকেরা ঘরমুখী হলেও এখন নতুন করে তাঁরা বিদেশমুখী হতে শুরু করেছেন।
এই কর্মকর্তা বলেন, নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিতে নানামুখী কার্যক্রম চলছে। অভিবাসনের ক্ষেত্রে দালালদের দৌরাত্ম্য কমানোর পাশাপাশি নিরাপদ, নৈতিক ও মর্যাদাপূর্ণ শ্রম অভিবাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে।
উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে বিদেশগামী এক ব্যক্তি জানান, রংপুর অঞ্চলের মানুষ অনেক আগে থেকেই বিদেশে যাওয়া নিয়ে আগ্রহী ছিলেন না। তবে এখন অনেকের কাছে শুনে ও খবর নিয়ে যাচ্ছেন। কারণ, বিদেশে সুযোগ-সুবিধা ভালো। দেশে যে শ্রম দেন, সেই তুলনায় মূল্য পান না। তাই বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। যদি কর্মসংস্থানের সঠিক তথ্য দেওয়া হয় এবং দালাল প্রতিরোধ করা যায়, তাহলে রংপুর থেকে আরও বেশি লোক যেতে আগ্রহী হবে।
‘থাকব ভালো, রাখব ভালো দেশ, বৈধ পথে প্রবাসী আয়—গড়ব বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এ সেমিনারে জনপ্রতিনিধি, রিক্রুটিং এজেন্সির প্রতিনিধি এবং বিদেশফেরত ও বিদেশগামীরা অংশ নেন।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫