সম্পাদকীয়
আমাদের দেশে জাহাজভাঙা শিল্পে দুর্ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও অসংখ্যবার এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সরকার থেকে কোনো ধরনের বিচার করা হয়নি। প্রতিরোধেরও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করাহয়নি। তাই এ শিল্পে দুর্ঘটনা রোধ করা যাচ্ছে না।
গত শনিবার চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুরের তেঁতুলতলা এলাকার সাগরের কাছে অবস্থিত ‘এসএন করপোরেশন’ নামের জাহাজভাঙা কারখানায় পাম্প রুমে বিস্ফোরণের ঘটনায় ১২ শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আটজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে রোববার একজনের মৃত্যু হয়েছে।
বিশ্বের উন্নত দেশসমূহ মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্যবাহী বা যাত্রীবাহী জাহাজগুলো আমাদের মতো দেশে বিক্রি করে। এই জাহাজগুলো চলাচলের যোগ্যতা হারিয়ে ফেলে। আমাদের মতো দেশের সমুদ্রসৈকত এলাকায় বড় বড় জাহাজভাঙা বা রিসাইক্লিং শিল্প গড়ে উঠেছে।
অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হওয়ায় অনেকেই এ শিল্প ব্যবসায় আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এ শিল্প দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখলেও বিপরীতভাবে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি করছে। শুধু পরিবেশের ক্ষতিই নয়, এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত শ্রমিকেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে থাকেন। দুর্ঘটনায় অনেক শ্রমিক পঙ্গুত্ববরণ করেছেন, মৃত্যুবরণ করেছেন। কিন্তু মালিকপক্ষ বারবারই শ্রমিকদের নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে অবহেলা করেছেন।
পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোয় আধুনিক পদ্ধতিতে জাহাজ ভাঙা হয়। বাংলাদেশ, ভারতসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোয় এখনো প্রাচীন পদ্ধতিতে জাহাজ ভাঙা হয়। বর্তমানে বিশ্বে জাহাজ ভাঙার ১০টি পদ্ধতি চালু আছে বলে জানা যায়। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতিটি হচ্ছে, সমুদ্রসৈকতে জাহাজ এনে স্থানীয় শ্রমিকদের দিয়ে ভাঙা। এ পদ্ধতিতে খরচ অল্প হয় আর কম মজুরিতে শ্রমিক পাওয়া যায়।
বাংলাদেশে জাহাজভাঙা শিল্প বিকশিত হয়েছে সহজে শ্রমিক পাওয়া যায় বলে। শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা বা জীবনঝুঁকি এবং শারীরিক ক্ষতির দিকটিও বিবেচনায় নেওয়া হয় না। যে শ্রমিকেরা জাহাজ ভাঙেন, তাঁদের অধিকাংশই কোনো না কোনোভাবে তাৎক্ষণিক শারীরিক ক্ষতির শিকার হন। অনেকে হাত-পায়ের আঙুল হারান। শরীরের অন্যান্য অঙ্গে ক্ষতের শিকার হন। চোখ-কানের সমস্যা হয়। দীর্ঘ মেয়াদে জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন।
জাহাজভাঙা শিল্পে পরিবেশের ক্ষতির দিক বিবেচনার পাশাপাশি শ্রমিকদের নিরাপত্তা দেওয়াটা খুব জরুরি। এদিক দিয়ে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা বরাবরই দেখা যায়। শ্রমিকদের পক্ষে রাষ্ট্রকে পাওয়া যায় না। এ কারণে এ শিল্পের মালিকেরা বারবারই পার পেয়ে যাচ্ছেন।
এ শিল্পের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকারি উদ্যোগ জরুরি। পুরোনো পদ্ধতিতে জাহাজ ভাঙা বন্ধ করতে আইন প্রণয়ন করা দরকার। পাশাপাশি শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আধুনিক যন্ত্রপাতি দিতে হবে, যাতে তাঁদের আর শুধু হাতের ওপর নির্ভর করে জাহাজ কাটা বা ভাঙতে না হয়। মালিকেরাও যেন শ্রমিকদের সঙ্গে অন্যায় আচরণ করতে না পারেন, তার জন্য আইনে কোনো নির্দেশনা থাকা দরকার।
আমাদের দেশে জাহাজভাঙা শিল্পে দুর্ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও অসংখ্যবার এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সরকার থেকে কোনো ধরনের বিচার করা হয়নি। প্রতিরোধেরও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করাহয়নি। তাই এ শিল্পে দুর্ঘটনা রোধ করা যাচ্ছে না।
গত শনিবার চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুরের তেঁতুলতলা এলাকার সাগরের কাছে অবস্থিত ‘এসএন করপোরেশন’ নামের জাহাজভাঙা কারখানায় পাম্প রুমে বিস্ফোরণের ঘটনায় ১২ শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আটজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে রোববার একজনের মৃত্যু হয়েছে।
বিশ্বের উন্নত দেশসমূহ মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্যবাহী বা যাত্রীবাহী জাহাজগুলো আমাদের মতো দেশে বিক্রি করে। এই জাহাজগুলো চলাচলের যোগ্যতা হারিয়ে ফেলে। আমাদের মতো দেশের সমুদ্রসৈকত এলাকায় বড় বড় জাহাজভাঙা বা রিসাইক্লিং শিল্প গড়ে উঠেছে।
অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হওয়ায় অনেকেই এ শিল্প ব্যবসায় আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এ শিল্প দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখলেও বিপরীতভাবে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি করছে। শুধু পরিবেশের ক্ষতিই নয়, এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত শ্রমিকেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে থাকেন। দুর্ঘটনায় অনেক শ্রমিক পঙ্গুত্ববরণ করেছেন, মৃত্যুবরণ করেছেন। কিন্তু মালিকপক্ষ বারবারই শ্রমিকদের নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে অবহেলা করেছেন।
পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোয় আধুনিক পদ্ধতিতে জাহাজ ভাঙা হয়। বাংলাদেশ, ভারতসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোয় এখনো প্রাচীন পদ্ধতিতে জাহাজ ভাঙা হয়। বর্তমানে বিশ্বে জাহাজ ভাঙার ১০টি পদ্ধতি চালু আছে বলে জানা যায়। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতিটি হচ্ছে, সমুদ্রসৈকতে জাহাজ এনে স্থানীয় শ্রমিকদের দিয়ে ভাঙা। এ পদ্ধতিতে খরচ অল্প হয় আর কম মজুরিতে শ্রমিক পাওয়া যায়।
বাংলাদেশে জাহাজভাঙা শিল্প বিকশিত হয়েছে সহজে শ্রমিক পাওয়া যায় বলে। শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা বা জীবনঝুঁকি এবং শারীরিক ক্ষতির দিকটিও বিবেচনায় নেওয়া হয় না। যে শ্রমিকেরা জাহাজ ভাঙেন, তাঁদের অধিকাংশই কোনো না কোনোভাবে তাৎক্ষণিক শারীরিক ক্ষতির শিকার হন। অনেকে হাত-পায়ের আঙুল হারান। শরীরের অন্যান্য অঙ্গে ক্ষতের শিকার হন। চোখ-কানের সমস্যা হয়। দীর্ঘ মেয়াদে জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন।
জাহাজভাঙা শিল্পে পরিবেশের ক্ষতির দিক বিবেচনার পাশাপাশি শ্রমিকদের নিরাপত্তা দেওয়াটা খুব জরুরি। এদিক দিয়ে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা বরাবরই দেখা যায়। শ্রমিকদের পক্ষে রাষ্ট্রকে পাওয়া যায় না। এ কারণে এ শিল্পের মালিকেরা বারবারই পার পেয়ে যাচ্ছেন।
এ শিল্পের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকারি উদ্যোগ জরুরি। পুরোনো পদ্ধতিতে জাহাজ ভাঙা বন্ধ করতে আইন প্রণয়ন করা দরকার। পাশাপাশি শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আধুনিক যন্ত্রপাতি দিতে হবে, যাতে তাঁদের আর শুধু হাতের ওপর নির্ভর করে জাহাজ কাটা বা ভাঙতে না হয়। মালিকেরাও যেন শ্রমিকদের সঙ্গে অন্যায় আচরণ করতে না পারেন, তার জন্য আইনে কোনো নির্দেশনা থাকা দরকার।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪