Ajker Patrika

বড়শির মাছে চলে সংসার

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২১, ১০: ২৮
বড়শির মাছে চলে সংসার

কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁঠালপাড়া গ্রাম। কাঁঠালপাড়া স্লুইসগেটের ভেতরে ও বাইরে সারিবদ্ধ হয়ে ছোট ডিঙি নৌকায় চড়ে বড়শি ফেলে মাছ শিকার করছেন একদল মানুষ। সারা দিনের শিকার করা মাছ ডোলের মধ্যে রেখে পরদিন সকালে কলাপাড়া শহরে বিক্রি করতে নিয়ে যান তাঁরা।

স্থানীয়রা জানান, আগে এখানে বড় বড় মাছ উঠলেও এখন তেমন একটা পাওয়া যায় না। সরকারি সুযোগ–সুবিধা পেলে স্ত্রী–সন্তান নিয়ে খেয়ে–পরে বাঁচতে পারবেন বলে জানান তাঁরা। এখানে গলদা চিংড়ি, গুলসা, বগনি, কোরাল, গাগঁড়া, পাঙাশ, রুই, কাউন, পোয়া, বাইলা, কাঁকড়াসহ নানা প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। সারা দিন মাছ শিকার করে তাঁরা ৪০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করে থাকেন। কোনো কোনো দিন মাছ পান না, আবার কোনো দিন পেয়ে যান বড় কোনো মাছ।

এ বিষয়ে কাঁঠালপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৎস্যজীবী আবদুল হামিদ সরদার বলেন, ‘বয়স হয়ে গেছে, তাই নদীতে মাছ শিকার করতে যেতে পারি না। ৩ বছর ধরে এখানে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করছি। এখন পর্যন্ত কোনো জেলে কার্ড পাইনি। গত বছর মৎস্য কর্মকর্তা এসে নাম নিয়ে গেছেন। এরপর আর কোনো খবর নেই।’

মাছ শিকারে আসা প্রতিবন্ধী জালাল ফকির বলেন, ‘সংসার চালাতে নৌকায় বসে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করছি। অন্য কোনো কাজ করতে পারি না। সকালে আমার স্ত্রী কড়ইবাড়িয়া থেকে নৌকায় উঠিয়ে দেয়, আবার বাড়িতে গেলে নৌকা থেকে তুলে নেয়।’

চাকামইয়া ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির বলেন, ‘আমার ইউপির মৎস্যজীবীদের সম্পর্কে জানি। এরা যাতে নির্বিঘ্নে মাছ শিকার করতে পারে সে ব্যাপারে সহযোগিতা করছি।’

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে বর্তমানে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ১০টি পেশার মানুষের ওপর জরিপ চলছে। এদের মধ্যে এই পেশাকে তালিকাভুক্ত করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত