জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (কেজিডিসিএল) মহাব্যবস্থাপক (চলতি দায়িত্ব) ফিরোজ খানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের প্রমাণ পেয়ে তিন মাস আগে বিভাগীয় ব্যবস্থার সুপারিশ করেছিল তদন্ত কমিটি। এরপর কেজিডিসিএলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা পেট্রোবাংলা থেকে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাছে সুপারিশ করা হয়; কিন্তু তিন মাসেও ফিরোজ খানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সম্প্রতি কেজিডিসিএলে অনিয়মের একাধিক অভিযোগ পেয়ে পেট্রোবাংলা চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তাঁরা গত জুনের শেষের দিকে ৩১ পাতার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। ওই কমিটি মহাব্যবস্থাপক ফিরোজ খানকে নিয়ে আলাদা প্রতিবেদন দেয়। সেখানে ফিরোজ খানের বিরুদ্ধে ১০টি সুনির্দিষ্ট অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছেন তাঁরা।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন পেট্রোবাংলার পরিচালক (পরিকল্পনা) আলী ইকবাল মো. নুরুল্লাহ। এ ছাড়া সদস্য ছিলেন মহাব্যবস্থাপক (হিসাব) মহ. নজরুল ইসলাম, মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) ডি এম জোবায়েদ হোসেন ও মো. আমজাদ হোসেনকে সদস্যসচিব করা হয়।
পেট্রোবাংলার তদন্ত কমিটি ফিরোজ খানের বিরুদ্ধে নিয়োগ পরীক্ষায় মেধাতালিকা অনুসরণ না করেই নিজের পছন্দের ছয়জনকে নিয়োগ দেওয়া, সমমানের পদের কর্মকর্তাকে কোনো কারণ দর্শানোর নোটিশ ছাড়াই সাময়িক বরখাস্ত করাসহ নানা অভিযোগের প্রমাণ পায়। ফিরোজ খান ৭ বছর ধরে এসব অনিয়ম করেছেন।
তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ফিরোজ খানের মূল পদ উপ-মহাব্যবস্থাপক। তিনি ২০১৬ সালে চলতি দায়িত্বে মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) পদে দায়িত্ব পান। দায়িত্ব পেয়েই কোনো কারণ দর্শানো নোটিশ ছাড়াই উপ-মহাব্যবস্থাপক আমীর হামজাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। এই বরখাস্তের আদেশটি ছিল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ছাড়া সচিব পদবি ব্যবহার করার জন্য ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে চিঠি পাঠান; কিন্তু অফিস আদেশ অনুযায়ী তিনি সচিব পদ ব্যবহার করতে পারেন না।
ফিরোজ খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিনা অজুহাতে পছন্দমতো তদন্ত কমিটি গঠন করে বিভাগীয় মামলা করতেন। কর্মকর্তাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি, কোম্পানিতে যোগ্যতাসম্পন্ন কারিগরি কর্মকর্তা থাকা সত্ত্বেও একই ব্যক্তিকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করেন তিনি। এ ছাড়া কোম্পানির বিভিন্ন বিভাগের দক্ষ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত মিটার পরীক্ষণ কমিটি বাতিল করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শুধু বিপণন বিভাগের চিহ্নিত অসাধু কর্মকর্তাদের নিয়ে কমিটি পুনর্গঠন করেন।
আরও জানা গেছে, মহাব্যবস্থাপকের (প্রশাসন) চলতি দায়িত্ব পালনের সময় ফিরোজ খান ২০১৬ সালে নিজেই নিজের নাম আহ্বায়ক হিসেবে রাখেন। পরে সচিব পদবি ব্যবহার করে তদন্ত কমিটি গঠনের প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে নথি পাঠিয়েছিলেন; কিন্তু ওই বছরের ১২ জানুয়ারির অফিস আদেশ অনুযায়ী তিনি সচিবের দায়িত্ব পালন করতে পারেন না; অথচ সচিব পদবি ব্যবহার করে তিনি আরেকজন উপ-মহাব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে বরখাস্তের আদেশ দেন, যা কেজিডিসিএলে নেই।
তদন্ত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, চলতি বছরে কেজিডিসিএলের একটি প্রকল্পের জন্য সহকারী হিসাব কর্মকর্তা পদে মেধাতালিকা থেকে না নিয়ে নিজেই ছয়জনকে নিয়োগ দেন। নিয়োগের এই অনিয়মের জন্য তদন্ত কমিটি ফিরোজ খানকে দায়ী করে। কারণ তিনি জ্যেষ্ঠ সিলেকশন কমিটির সুপারিশ পালন না করে কোম্পানির কর্মকর্তাদের মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচন করায় নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন। এ জন্য তিনি ছাড়াও কোম্পানির প্রশাসন বিভাগের তৎকালীন ব্যবস্থাপক মো. হাবিবুল গণি, উপমহাব্যবস্থাপক এ জে এম ছালেহউদ্দিন সারওয়ারও দায়ী বলে কমিটি মনে করে।
কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক ফিরোজ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে কিছুই বলব না; যা বলার তদন্ত কমিটিকে বলেছি।’
পেট্রোবাংলার পরিচালক (প্রশাসন) আলতাফ হোসেন বলেন, কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক ফিরোজ খানের বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়মের প্রমাণ পায় তদন্ত কমিটি। প্রতিবেদনে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (কেজিডিসিএল) মহাব্যবস্থাপক (চলতি দায়িত্ব) ফিরোজ খানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের প্রমাণ পেয়ে তিন মাস আগে বিভাগীয় ব্যবস্থার সুপারিশ করেছিল তদন্ত কমিটি। এরপর কেজিডিসিএলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা পেট্রোবাংলা থেকে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাছে সুপারিশ করা হয়; কিন্তু তিন মাসেও ফিরোজ খানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সম্প্রতি কেজিডিসিএলে অনিয়মের একাধিক অভিযোগ পেয়ে পেট্রোবাংলা চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তাঁরা গত জুনের শেষের দিকে ৩১ পাতার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। ওই কমিটি মহাব্যবস্থাপক ফিরোজ খানকে নিয়ে আলাদা প্রতিবেদন দেয়। সেখানে ফিরোজ খানের বিরুদ্ধে ১০টি সুনির্দিষ্ট অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছেন তাঁরা।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন পেট্রোবাংলার পরিচালক (পরিকল্পনা) আলী ইকবাল মো. নুরুল্লাহ। এ ছাড়া সদস্য ছিলেন মহাব্যবস্থাপক (হিসাব) মহ. নজরুল ইসলাম, মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) ডি এম জোবায়েদ হোসেন ও মো. আমজাদ হোসেনকে সদস্যসচিব করা হয়।
পেট্রোবাংলার তদন্ত কমিটি ফিরোজ খানের বিরুদ্ধে নিয়োগ পরীক্ষায় মেধাতালিকা অনুসরণ না করেই নিজের পছন্দের ছয়জনকে নিয়োগ দেওয়া, সমমানের পদের কর্মকর্তাকে কোনো কারণ দর্শানোর নোটিশ ছাড়াই সাময়িক বরখাস্ত করাসহ নানা অভিযোগের প্রমাণ পায়। ফিরোজ খান ৭ বছর ধরে এসব অনিয়ম করেছেন।
তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ফিরোজ খানের মূল পদ উপ-মহাব্যবস্থাপক। তিনি ২০১৬ সালে চলতি দায়িত্বে মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) পদে দায়িত্ব পান। দায়িত্ব পেয়েই কোনো কারণ দর্শানো নোটিশ ছাড়াই উপ-মহাব্যবস্থাপক আমীর হামজাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। এই বরখাস্তের আদেশটি ছিল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ছাড়া সচিব পদবি ব্যবহার করার জন্য ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে চিঠি পাঠান; কিন্তু অফিস আদেশ অনুযায়ী তিনি সচিব পদ ব্যবহার করতে পারেন না।
ফিরোজ খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিনা অজুহাতে পছন্দমতো তদন্ত কমিটি গঠন করে বিভাগীয় মামলা করতেন। কর্মকর্তাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি, কোম্পানিতে যোগ্যতাসম্পন্ন কারিগরি কর্মকর্তা থাকা সত্ত্বেও একই ব্যক্তিকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করেন তিনি। এ ছাড়া কোম্পানির বিভিন্ন বিভাগের দক্ষ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত মিটার পরীক্ষণ কমিটি বাতিল করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শুধু বিপণন বিভাগের চিহ্নিত অসাধু কর্মকর্তাদের নিয়ে কমিটি পুনর্গঠন করেন।
আরও জানা গেছে, মহাব্যবস্থাপকের (প্রশাসন) চলতি দায়িত্ব পালনের সময় ফিরোজ খান ২০১৬ সালে নিজেই নিজের নাম আহ্বায়ক হিসেবে রাখেন। পরে সচিব পদবি ব্যবহার করে তদন্ত কমিটি গঠনের প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে নথি পাঠিয়েছিলেন; কিন্তু ওই বছরের ১২ জানুয়ারির অফিস আদেশ অনুযায়ী তিনি সচিবের দায়িত্ব পালন করতে পারেন না; অথচ সচিব পদবি ব্যবহার করে তিনি আরেকজন উপ-মহাব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে বরখাস্তের আদেশ দেন, যা কেজিডিসিএলে নেই।
তদন্ত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, চলতি বছরে কেজিডিসিএলের একটি প্রকল্পের জন্য সহকারী হিসাব কর্মকর্তা পদে মেধাতালিকা থেকে না নিয়ে নিজেই ছয়জনকে নিয়োগ দেন। নিয়োগের এই অনিয়মের জন্য তদন্ত কমিটি ফিরোজ খানকে দায়ী করে। কারণ তিনি জ্যেষ্ঠ সিলেকশন কমিটির সুপারিশ পালন না করে কোম্পানির কর্মকর্তাদের মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচন করায় নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন। এ জন্য তিনি ছাড়াও কোম্পানির প্রশাসন বিভাগের তৎকালীন ব্যবস্থাপক মো. হাবিবুল গণি, উপমহাব্যবস্থাপক এ জে এম ছালেহউদ্দিন সারওয়ারও দায়ী বলে কমিটি মনে করে।
কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক ফিরোজ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে কিছুই বলব না; যা বলার তদন্ত কমিটিকে বলেছি।’
পেট্রোবাংলার পরিচালক (প্রশাসন) আলতাফ হোসেন বলেন, কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক ফিরোজ খানের বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়মের প্রমাণ পায় তদন্ত কমিটি। প্রতিবেদনে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪