নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে ঠিক এক সপ্তাহ আগে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে লড়াই করছেন’। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি জানিয়েছেন, তাঁর অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। তিনি আগের অবস্থাতেই আছেন।
গতকাল সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার সবশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে আজকের পত্রিকাকে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) অবস্থা একই রকম। কোনো পরিবর্তন হয়নি। ফারদার কোনো ডেভেলপমেন্ট নাই।’ তবে গত দুই দিন ধরে মুখ ও পায়ুপথ দিয়ে যে রক্তপাত হচ্ছিল, সেটা এখন বন্ধ হয়েছে বলে জানান তিনি।
পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। তিনি এখন যে অবস্থায় আছেন, তাতে কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই তাঁর চিকিৎসা করানো সম্ভব। এ জন্য অবিলম্বে তাঁকে সেখানে নিতে হবে। এ ছাড়া আর কোনো পথ নেই। পরিবারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে অনুমতি পাওয়ার জন্য চেষ্টা চলছে বলে জানান পরিবারের সদস্যরা।
খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম জানান, গুরুতর অসুস্থ খালেদা কথা বলতে পারছেন না। ঠিকভাবে নড়াচড়াও করতে পারছেন না। এই অবস্থায় যথাযথ চিকিৎসার জন্য সরকারকে সদয় হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তাঁর বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে গতকাল সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিএনপির অঙ্গসংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল। এদিন সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে যুবদলের সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়ার বর্তমান অবস্থার জন্য সরকারই দায়ী। কারাগারে থাকাকালে তাঁর সুচিকিৎসা হয়নি বলেই এমনটা হয়েছে। এমনকি ওই সময় তাঁকে স্লো পয়জনিং করা হয়েছে কি না, সে প্রশ্নও তোলেন ফখরুল। আজ শুক্রবার সারা দেশের মসজিদ ও উপাসনালয়গুলোতে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।
১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া। হাসপাতালে ভর্তির আগেই ১১ নভেম্বর চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁকে দেশের বাইরে নিতে সরকারের কাছে আবেদন করা হয়। কিন্তু সরকার সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি।
হায়াত মউত আল্লাহর হাতে
এদিকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘মানুষের হায়াত মউত আল্লাহর হাতে। চিকিৎসা প্রয়োজন, সেটা করাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিদেশ থেকে ভালো চিকিৎসক আনা দরকার হলে আনতে পারবে তারা। কিন্তু সরকার তো গলাটিপে মারছে না, তাই একজন মানুষ মরে গেলে এর দায় সরকারের ওপর ফেলে দেবেন না। এটা ঠিক নয়। মানুষের বেঁচে থাকার একটা নির্দিষ্ট সময়সীমা আছে। অসুস্থ হয়ে অনেকেই মারা যায়। কিন্তু কথায় কথায় সরকারের ওপর দায় চাপাবেন এটা ঠিক নয়।’
সংসদে খালেদা জিয়া
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় বিদেশ থেকে চিকিৎসক আনতে আমরা বলেছি। কিন্তু তারা সেটা নিয়ে চিন্তা করছে না। কোনো পদক্ষেপও নিচ্ছে না।’ গতকাল স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় সংসদে বিশেষ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির দলীয় সাংসদ হারুনুর রশীদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আমি একাধিকবার সংসদ নেতার সঙ্গে কথা বলেছি। আমি বলেছি, আজকে ওনার (খালেদা জিয়া) শারীরিক যে অবস্থা ওনাকে বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনার অনুমতি দিতে অসুবিধা কোথায়? আপনি তাঁকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগটি দিন। এতে আপনি সম্মানিত হবেন। দেশের মানুষ আপনাকে অবশ্যই সম্মান করবে। তাঁর (খালেদা জিয়া) যে বয়স, তাঁর যে অবস্থা এই অবস্থায় তাঁকে এইটা বিবেচনা করা উচিত।’
হারুনের কথার জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির সকলেই বলে আমাদের নেত্রীকে এখনই বিদেশে পাঠাতে হবে। আর ওনার চিকিৎসা করাতে হবে বিদেশে। আমাদের দেশের চিকিৎসা খুব খারাপ। বিএনপি নেতা খালেদা জিয়া তিন তিনবার হাসপাতালে গেছেন। সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন। আমরা বলেছি বিদেশ থেকে যদি চিকিৎসক আনতে চান, সেই কথা চিন্তাও করবে না, পদক্ষেপও নিবে না।’
এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে ঠিক এক সপ্তাহ আগে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে লড়াই করছেন’। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি জানিয়েছেন, তাঁর অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। তিনি আগের অবস্থাতেই আছেন।
গতকাল সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার সবশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে আজকের পত্রিকাকে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) অবস্থা একই রকম। কোনো পরিবর্তন হয়নি। ফারদার কোনো ডেভেলপমেন্ট নাই।’ তবে গত দুই দিন ধরে মুখ ও পায়ুপথ দিয়ে যে রক্তপাত হচ্ছিল, সেটা এখন বন্ধ হয়েছে বলে জানান তিনি।
পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। তিনি এখন যে অবস্থায় আছেন, তাতে কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই তাঁর চিকিৎসা করানো সম্ভব। এ জন্য অবিলম্বে তাঁকে সেখানে নিতে হবে। এ ছাড়া আর কোনো পথ নেই। পরিবারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে অনুমতি পাওয়ার জন্য চেষ্টা চলছে বলে জানান পরিবারের সদস্যরা।
খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম জানান, গুরুতর অসুস্থ খালেদা কথা বলতে পারছেন না। ঠিকভাবে নড়াচড়াও করতে পারছেন না। এই অবস্থায় যথাযথ চিকিৎসার জন্য সরকারকে সদয় হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তাঁর বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে গতকাল সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিএনপির অঙ্গসংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল। এদিন সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে যুবদলের সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়ার বর্তমান অবস্থার জন্য সরকারই দায়ী। কারাগারে থাকাকালে তাঁর সুচিকিৎসা হয়নি বলেই এমনটা হয়েছে। এমনকি ওই সময় তাঁকে স্লো পয়জনিং করা হয়েছে কি না, সে প্রশ্নও তোলেন ফখরুল। আজ শুক্রবার সারা দেশের মসজিদ ও উপাসনালয়গুলোতে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।
১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া। হাসপাতালে ভর্তির আগেই ১১ নভেম্বর চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁকে দেশের বাইরে নিতে সরকারের কাছে আবেদন করা হয়। কিন্তু সরকার সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি।
হায়াত মউত আল্লাহর হাতে
এদিকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘মানুষের হায়াত মউত আল্লাহর হাতে। চিকিৎসা প্রয়োজন, সেটা করাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিদেশ থেকে ভালো চিকিৎসক আনা দরকার হলে আনতে পারবে তারা। কিন্তু সরকার তো গলাটিপে মারছে না, তাই একজন মানুষ মরে গেলে এর দায় সরকারের ওপর ফেলে দেবেন না। এটা ঠিক নয়। মানুষের বেঁচে থাকার একটা নির্দিষ্ট সময়সীমা আছে। অসুস্থ হয়ে অনেকেই মারা যায়। কিন্তু কথায় কথায় সরকারের ওপর দায় চাপাবেন এটা ঠিক নয়।’
সংসদে খালেদা জিয়া
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় বিদেশ থেকে চিকিৎসক আনতে আমরা বলেছি। কিন্তু তারা সেটা নিয়ে চিন্তা করছে না। কোনো পদক্ষেপও নিচ্ছে না।’ গতকাল স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় সংসদে বিশেষ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির দলীয় সাংসদ হারুনুর রশীদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আমি একাধিকবার সংসদ নেতার সঙ্গে কথা বলেছি। আমি বলেছি, আজকে ওনার (খালেদা জিয়া) শারীরিক যে অবস্থা ওনাকে বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনার অনুমতি দিতে অসুবিধা কোথায়? আপনি তাঁকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগটি দিন। এতে আপনি সম্মানিত হবেন। দেশের মানুষ আপনাকে অবশ্যই সম্মান করবে। তাঁর (খালেদা জিয়া) যে বয়স, তাঁর যে অবস্থা এই অবস্থায় তাঁকে এইটা বিবেচনা করা উচিত।’
হারুনের কথার জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির সকলেই বলে আমাদের নেত্রীকে এখনই বিদেশে পাঠাতে হবে। আর ওনার চিকিৎসা করাতে হবে বিদেশে। আমাদের দেশের চিকিৎসা খুব খারাপ। বিএনপি নেতা খালেদা জিয়া তিন তিনবার হাসপাতালে গেছেন। সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন। আমরা বলেছি বিদেশ থেকে যদি চিকিৎসক আনতে চান, সেই কথা চিন্তাও করবে না, পদক্ষেপও নিবে না।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫