আজাদুল আদনান, ঢাকা
করোনার প্রকোপ শেষ হতে না হতেই বিশ্বজুড়ে দেখা দিয়েছে নতুন আতঙ্ক—মাঙ্কিপক্স ভাইরাস। অনেকটা গুটিবসন্তের মতোই লক্ষণযুক্ত এই রোগটি এরই মধ্যে বিশ্বের ১২টি দেশে ছড়িয়ে পড়ার তথ্য দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এই পরিস্থিতিতে ভাইরাসটি নিয়ে সতর্ক অবস্থায় আছে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে দেশের সব প্রবেশ পথে মেডিকেল অফিসারদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম আজকের পত্রিকা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, এয়ারপোর্ট, ল্যান্ড পোর্টসহ দেশে প্রবেশের সব ধরনের পথে মেডিকেল অফিসারদের সতর্ক থাকতে বলেছি, যাতে সন্দেহভাজন কেউ আসলে দ্রুত শনাক্ত করে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমরা সারা দুনিয়ার পরিস্থিতি দেখব, তথ্য উপাত্ত নেব এবং সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেব। বিভাগীয় পরিচালক ও সিভিল সার্জনদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে যার যার মত করে ব্যবস্থা নেবেন তারা।
করোনার মতো প্রাণঘাতী না হলেও নতুন আতঙ্ক সৃষ্টি করা মাঙ্কিপক্স ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে এরই মধ্যে শতাধিক মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। আরও বহু মানুষ সংক্রমিত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে ডব্লিউএইচও। এ অবস্থায় দেশে ভাইরাসটির বিষয়ে বিশেষ নজরদারির পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ড. মোশতাক হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও মাঙ্কিপক্স প্রবেশের ঝুঁকি রয়েছে। এ ভাইরাস আফ্রিকার যেসব স্থানে সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে, সেখানে ১০ শতাংশ পর্যন্ত প্রাণহানি হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত মৃত্যুহার ১ শতাংশের কম। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। চিকেনপক্সের (জলবসন্ত) কোনো রোগী পাওয়া গেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জানাতে হবে। যেহেতু ভাইরাসটি প্রতিরোধে এখনো নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। সাধারণত মাস্ক পরা, সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়া—এগুলো চালিয়ে যেতে হবে।
জ্বর, মাথাব্যথা, পিঠেব্যথা, মাংসপেশির টান ও অবসাদের মতো শারীরিক অবস্থাকে এখন পর্যন্ত মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, আক্রান্ত ব্যক্তির প্রথমে জ্বরের পাশাপাশি শরীরে ফোসকা দেখা দেয়। এ ছাড়াও অধিকাংশ ঘটনার শুরুতে মুখে ফুসকুড়ি পড়ে। পরে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে।
স্মলপক্স ভাইরাস শ্রেণির একটি ভাইরাসকে এ রোগের জন্য দায়ী করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত মধ্য আফ্রিকান ও পশ্চিম আফ্রিকান নামে দুটি ধরন পাওয়া গেছে। ইউরোপের দেশগুলোতে গ্রীষ্মকালজুড়েই বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও উৎসব হয়ে থাকে, ফলে সংক্রমণের মাত্রা আরও ব্যাপকভাবে বাড়তে পারে বলে শঙ্কা ডব্লিউএইচওর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. আহমেদুল কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, মাঙ্কিপক্স কোভিডের মতো ততটা ভয়াবহ না হলেও সংক্রমিত দেশ থেকে যেহেতু মানুষ আসছে, তাই শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। তাই সঠিক ব্যবস্থা নিতে পারলে সহজেই শনাক্ত করা যাবে।
মাঙ্কিপক্স সম্পর্কিত পড়ুন:
করোনার প্রকোপ শেষ হতে না হতেই বিশ্বজুড়ে দেখা দিয়েছে নতুন আতঙ্ক—মাঙ্কিপক্স ভাইরাস। অনেকটা গুটিবসন্তের মতোই লক্ষণযুক্ত এই রোগটি এরই মধ্যে বিশ্বের ১২টি দেশে ছড়িয়ে পড়ার তথ্য দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এই পরিস্থিতিতে ভাইরাসটি নিয়ে সতর্ক অবস্থায় আছে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে দেশের সব প্রবেশ পথে মেডিকেল অফিসারদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম আজকের পত্রিকা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, এয়ারপোর্ট, ল্যান্ড পোর্টসহ দেশে প্রবেশের সব ধরনের পথে মেডিকেল অফিসারদের সতর্ক থাকতে বলেছি, যাতে সন্দেহভাজন কেউ আসলে দ্রুত শনাক্ত করে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমরা সারা দুনিয়ার পরিস্থিতি দেখব, তথ্য উপাত্ত নেব এবং সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেব। বিভাগীয় পরিচালক ও সিভিল সার্জনদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে যার যার মত করে ব্যবস্থা নেবেন তারা।
করোনার মতো প্রাণঘাতী না হলেও নতুন আতঙ্ক সৃষ্টি করা মাঙ্কিপক্স ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে এরই মধ্যে শতাধিক মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। আরও বহু মানুষ সংক্রমিত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে ডব্লিউএইচও। এ অবস্থায় দেশে ভাইরাসটির বিষয়ে বিশেষ নজরদারির পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ড. মোশতাক হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও মাঙ্কিপক্স প্রবেশের ঝুঁকি রয়েছে। এ ভাইরাস আফ্রিকার যেসব স্থানে সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে, সেখানে ১০ শতাংশ পর্যন্ত প্রাণহানি হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত মৃত্যুহার ১ শতাংশের কম। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। চিকেনপক্সের (জলবসন্ত) কোনো রোগী পাওয়া গেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জানাতে হবে। যেহেতু ভাইরাসটি প্রতিরোধে এখনো নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। সাধারণত মাস্ক পরা, সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়া—এগুলো চালিয়ে যেতে হবে।
জ্বর, মাথাব্যথা, পিঠেব্যথা, মাংসপেশির টান ও অবসাদের মতো শারীরিক অবস্থাকে এখন পর্যন্ত মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, আক্রান্ত ব্যক্তির প্রথমে জ্বরের পাশাপাশি শরীরে ফোসকা দেখা দেয়। এ ছাড়াও অধিকাংশ ঘটনার শুরুতে মুখে ফুসকুড়ি পড়ে। পরে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে।
স্মলপক্স ভাইরাস শ্রেণির একটি ভাইরাসকে এ রোগের জন্য দায়ী করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত মধ্য আফ্রিকান ও পশ্চিম আফ্রিকান নামে দুটি ধরন পাওয়া গেছে। ইউরোপের দেশগুলোতে গ্রীষ্মকালজুড়েই বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও উৎসব হয়ে থাকে, ফলে সংক্রমণের মাত্রা আরও ব্যাপকভাবে বাড়তে পারে বলে শঙ্কা ডব্লিউএইচওর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. আহমেদুল কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, মাঙ্কিপক্স কোভিডের মতো ততটা ভয়াবহ না হলেও সংক্রমিত দেশ থেকে যেহেতু মানুষ আসছে, তাই শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। তাই সঠিক ব্যবস্থা নিতে পারলে সহজেই শনাক্ত করা যাবে।
মাঙ্কিপক্স সম্পর্কিত পড়ুন:
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪