Ajker Patrika

খোলাবাজারে আটা চাল কিনতে ভিড় বাড়ছে

রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৪: ৫৪
খোলাবাজারে আটা চাল  কিনতে ভিড় বাড়ছে

নরসিংদীর রায়পুরায় ভিড় বেড়েছে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় খোলাবাজারে খাদ্যপণ্য বিক্রির (ওএমএস) ডিলারের দোকানে।

বাজারে নিত্যপণ্যের দাম দিন দিন বাড়ছে। এতে চরম বিপাকে রয়েছেন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ। পণ্যের দাম বাড়লেও বাড়েনি আয়। তাই পরিবার চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের। ফলে কম দামে চাল ও আটা কিনতে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা ভিড় করছেন অনুমোদিত ডিলারের দোকানে। ডিলাররা বলছেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অনেক কম। তাই বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন। তবে প্রশাসন বলছে, বরাদ্দ বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। তবে আটার চাহিদা বেশি। তাই বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।

উপজেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ওএমএস কার্যক্রমের আওতায় উপজেলার পৌর এলাকায় লাইসেন্সপ্রাপ্ত তিনজন ডিলারকে ওএমএস-এর জন্য অনুমোদন দেওয়া আছে। এতে প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা ও আটা ১৮ টাকা দরে সুবিধাভোগীরা ক্রয় করতে পারবেন। একজন ক্রেতার একসঙ্গে পাঁচ কেজি আটা ও পাঁচ কেজি চাল কেনার সুযোগ রয়েছে। পৌর এলাকায় তিনটি পয়েন্টে তিনজন ডিলারকে অনুমোদন দেওয়ায় উপকারভোগীরা চাল-আটা কেনার সুযোগ পাচ্ছেন।

গতকাল বুধবার সকালে উপজেলার অনুমোদনপ্রাপ্ত তিনটি ডিলার পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেছে নারী-পুরুষের উপচেপড়া ভিড়। পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা অনেক বেশি। কম দামে আটা ও চাল কিনতে ভোর থেকে অপেক্ষা করছেন ক্রেতারা। এ সময় কথা হয় ক্রেতা ও ডিলারের সঙ্গে।

ছবি বেগম (৭০) বলেন, ‘স্বামী নাই, ছেলেদের পৃথক সংসার। মানুষের কাছ থেকে টাকা চেয়ে কোনো রকমে জীবন চালিয়ে আসছি। বাজারে যে দাম তাতে চাল-আটা কোনো কিছুই কেনার উপায় নাই। এখানে দামে কম হওয়ায় চাল কিনতে এসেছি।’

নাজমা আক্তার নামের আরেকজন বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। আটা কিনতে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি। দিন আনি দিন খাই। এত টাকা কই পামু। কম টাকায় পাঁচ কেজি আটা কেনা যায় কি না দেখি?’

রমজান নামের একজন অটোরিকশাচালক বলেন, ‘নিত্যপণ্যের দাম যেভাবে বাড়ছে, সেভাবে আয়-রোজগার বাড়ছে না। এখানে কম দামে চাল ও আটা কিনতে পারছি। তাই তিন-চার দিন পরপর এখান থেকে কম দামে চাল ও আটা কিনতে আসি।’

তুলাতলি ডিলার পয়েন্টের পরিচালক মাহিনুর রহমান বলেন, ‘বাজারের তুলনায় চাল ও আটার দাম এখানে কম। তাই প্রতিদিনই ভিড় জমে। ক্রেতাদের মধ্যে চালের তুলনায় আটার চাহিদা বেশি।’

বাবুল মিয়া নামের একজন ডিলার বলেন, ‘প্রতিদিন এক হাজার কেজি চাল ও এক হাজার কেজি আটা বরাদ্দ পাই। কিন্তু যে পরিমাণ লোকজন ভিড় করে, তাতে হিমশিম খেতে হয়। এখান থেকে দেওয়া চাল ও আটার মান খুবই ভালো। বরাদ্দের চেয়ে চাহিদা অনেক বেশি থাকায় দুপুরের আগেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। চালের তুলনায় আটার গ্রাহক বেশি। প্রতিদিন ২০০ জনকে আটা দেওয়ার সুযোগ থাকলেও ভিড় করছেন ৩০০ থেকে ৪০০ জন। এতে অনেকেই মন খারাপ করছেন। বরাদ্দ আরও বাড়াতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’

খোলা বাজার তদারকি কর্মকর্তা শহিদুল্লাহ বলেন, ‘ভুক্তভোগীদের মধ্যে আটার চাহিদা বেশি লক্ষ করা গেছে। এই মুহূর্তে আটা বন্ধ রয়েছে। শুধু চাল দেওয়া হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিএনসিসির পদ ছাড়লেন এস্তোনিয়ার নাগরিক আমিনুল ইসলাম

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা, চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ

এনআইডির নাম ও জন্মতারিখ সংশোধনের দায়িত্বে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা

কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর অতর্কিত গুলি, নিহত ২৬

পদত্যাগ করব না, আলোচনা করে সমাধান করব: কুয়েট উপাচার্য

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত