মেহেরপুর সংবাদদাতা
মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার রশিকপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মাণ হয়েছিল ২০০৩ সালে। এরপর জমিদাতার মামলার কারণে আটকে যায় স্কুল চালুর কার্যক্রম। ২০১১ সালে সেই মামলা খারিজ হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত চালু হয়নি বহু কাঙ্ক্ষিত সেই স্কুলটি। এদিকে আশপাশে কোনো মাধ্যমিক বিদ্যালয় না থাকায় অনেকেই প্রাথমিকের গণ্ডি পেরিয়ে ঝরে পড়ছে। অনেকে আবার ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে হচ্ছে স্কুলমুখী। জানা গেছে, বিদ্যালয়টি চালু না হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকার সম্পদ। ইতিমধ্যে চুরি হয়ে গেছে বেশ কিছু আসবাব।
জানা গেছে, মুজিবনগর উপজেলার রশিকপুর শিক্ষাক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া একটি গ্রাম। সেখানকার অধিকাংশ বাসিন্দা কৃষির ওপর নির্ভরশীল। গ্রাম থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে চুয়াডাঙ্গার নাটুদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ভৈরব নদী পার হয়ে ৪ কিলোমিটার পর বাগোয়ান মাধ্যমিক বিদ্যালয় আর ৩ কিলোমিটার দূরে টেংরামারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়। অথচ নিজ গ্রামেই দ্বিতল ভবনের একটি বিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মাণ হলেও এখনো চালু হয়নি।
জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সালে সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩ বিঘারও বেশি জমির ওপর নির্মাণ করে দ্বিতলবিশিষ্ট বিদ্যালয় ভবন। বিদ্যালয়টির নাম দেওয়া হয় রশিকপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ওই বছর দেশে ৫৪টি বিদ্যালয় নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে রশিকপুর ছাড়া বাকি ৫৩টি বিদ্যালয় চালু হয়। হয়েছে এমপিওভুক্তও।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহফুজুল হোসেন জানান, বিদ্যালয়টির জন্য রশিকপুর গ্রামের সুলতান শেখ তাঁর স্ত্রী আম্মাতন নেছার নামে ৩ বিঘা ৫ কাঠা, আমির শেখ ১০ কাঠা এবং রতন শেখ ১০ কাঠা জমি দান করেন। জমিদানকারীদের মধ্যে আম্মাতন নেছা দাবি করেন, ৩ বিঘা জমির পরিবর্তে তাঁকে মাঠে ৫ বিঘা জমি দেওয়ার কথা ছিল বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির। কিন্তু সেই জমি না দেওয়ায় জেলা জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন তিনি। ২০১১ সালের ৯ মে মামলাটি খারিজ করে দেন আদালত। বিদ্যালয়টি চালুর জন্য সব নথিপত্রসহ জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ায় বিদ্যালয়টি এখনো চালু করা সম্ভব হয়নি।
জমির মালিক আম্মাতন নেছা বলেন, ‘৩ বিঘা আমবাগানের গাছ কেটে আমি বিদ্যালয় নির্মাণের জমি দিয়েছিলাম। তৎকালীন বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে কথা ছিল ওই জমির পরিবর্তে মাঠে ৫ বিঘা আবাদি জমি কিনে দেবেন। কিন্তু কমিটি কথা রাখেনি। বিদ্যালয় নির্মাণ করার পর জমি না পাওয়ায় ২০০৪ সালে আদালতে মামলা করি। তবে মামলাটি খারিজ হয়েছে কি না জানি না।’
রশিকপুর গ্রামের ওয়াজেদ আলী খান জানান, ‘পাঠদান শুরুর যাবতীয় উপকরণ এ ভবনে এখনো আছে। বিদ্যালয়ের সামনে রয়েছে একটি বড় খেলার মাঠ। অথচ মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার ১০ বছর পেরোলেও বিদ্যালয়টি চালু হয়নি।’
রশিকুপর গ্রামের জিন্নাতয়ারা বলে, ‘ইচ্ছে ছিল উচ্চ শিক্ষায়
শিক্ষিত হব। কিন্তু ৬ষ্ঠ শ্রেণির পরই মা–বাবা জোর করে বিয়ে দিয়ে দেন। কারণ কাছে কোনো মাধ্যমিক বিদ্যালয় নেই।’
৭ম শ্রেণির ছাত্র রেদওয়ান জানায়, গ্রামের বিদ্যালয়টি চালু না হওয়ায় ৫ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে তাকে মুজিবনগর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যেতে হয়। বিদ্যালয়ে যেতে সময়ের পাশাপাশি অভিভাবকের কাছ থেকে যাতায়াত বাবদ নিতে হয় টাকা। দূরের পথ হওয়ায় অনেক বন্ধুরই নিয়মিত বিদ্যালয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। এ বিষয়ে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন সরকার জানান, শিক্ষার্থীদের সমস্যার কথা মাথায় রেখে বিদ্যালয়ের সব কাগজপত্র ঊর্ধ্বতন মহলে পাঠানো হয়েছে। অনুমতি পেলেই বিদ্যালয়টি চালু করা হবে।
মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার রশিকপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মাণ হয়েছিল ২০০৩ সালে। এরপর জমিদাতার মামলার কারণে আটকে যায় স্কুল চালুর কার্যক্রম। ২০১১ সালে সেই মামলা খারিজ হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত চালু হয়নি বহু কাঙ্ক্ষিত সেই স্কুলটি। এদিকে আশপাশে কোনো মাধ্যমিক বিদ্যালয় না থাকায় অনেকেই প্রাথমিকের গণ্ডি পেরিয়ে ঝরে পড়ছে। অনেকে আবার ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে হচ্ছে স্কুলমুখী। জানা গেছে, বিদ্যালয়টি চালু না হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকার সম্পদ। ইতিমধ্যে চুরি হয়ে গেছে বেশ কিছু আসবাব।
জানা গেছে, মুজিবনগর উপজেলার রশিকপুর শিক্ষাক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া একটি গ্রাম। সেখানকার অধিকাংশ বাসিন্দা কৃষির ওপর নির্ভরশীল। গ্রাম থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে চুয়াডাঙ্গার নাটুদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ভৈরব নদী পার হয়ে ৪ কিলোমিটার পর বাগোয়ান মাধ্যমিক বিদ্যালয় আর ৩ কিলোমিটার দূরে টেংরামারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়। অথচ নিজ গ্রামেই দ্বিতল ভবনের একটি বিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মাণ হলেও এখনো চালু হয়নি।
জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সালে সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩ বিঘারও বেশি জমির ওপর নির্মাণ করে দ্বিতলবিশিষ্ট বিদ্যালয় ভবন। বিদ্যালয়টির নাম দেওয়া হয় রশিকপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ওই বছর দেশে ৫৪টি বিদ্যালয় নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে রশিকপুর ছাড়া বাকি ৫৩টি বিদ্যালয় চালু হয়। হয়েছে এমপিওভুক্তও।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহফুজুল হোসেন জানান, বিদ্যালয়টির জন্য রশিকপুর গ্রামের সুলতান শেখ তাঁর স্ত্রী আম্মাতন নেছার নামে ৩ বিঘা ৫ কাঠা, আমির শেখ ১০ কাঠা এবং রতন শেখ ১০ কাঠা জমি দান করেন। জমিদানকারীদের মধ্যে আম্মাতন নেছা দাবি করেন, ৩ বিঘা জমির পরিবর্তে তাঁকে মাঠে ৫ বিঘা জমি দেওয়ার কথা ছিল বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির। কিন্তু সেই জমি না দেওয়ায় জেলা জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন তিনি। ২০১১ সালের ৯ মে মামলাটি খারিজ করে দেন আদালত। বিদ্যালয়টি চালুর জন্য সব নথিপত্রসহ জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ায় বিদ্যালয়টি এখনো চালু করা সম্ভব হয়নি।
জমির মালিক আম্মাতন নেছা বলেন, ‘৩ বিঘা আমবাগানের গাছ কেটে আমি বিদ্যালয় নির্মাণের জমি দিয়েছিলাম। তৎকালীন বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে কথা ছিল ওই জমির পরিবর্তে মাঠে ৫ বিঘা আবাদি জমি কিনে দেবেন। কিন্তু কমিটি কথা রাখেনি। বিদ্যালয় নির্মাণ করার পর জমি না পাওয়ায় ২০০৪ সালে আদালতে মামলা করি। তবে মামলাটি খারিজ হয়েছে কি না জানি না।’
রশিকপুর গ্রামের ওয়াজেদ আলী খান জানান, ‘পাঠদান শুরুর যাবতীয় উপকরণ এ ভবনে এখনো আছে। বিদ্যালয়ের সামনে রয়েছে একটি বড় খেলার মাঠ। অথচ মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার ১০ বছর পেরোলেও বিদ্যালয়টি চালু হয়নি।’
রশিকুপর গ্রামের জিন্নাতয়ারা বলে, ‘ইচ্ছে ছিল উচ্চ শিক্ষায়
শিক্ষিত হব। কিন্তু ৬ষ্ঠ শ্রেণির পরই মা–বাবা জোর করে বিয়ে দিয়ে দেন। কারণ কাছে কোনো মাধ্যমিক বিদ্যালয় নেই।’
৭ম শ্রেণির ছাত্র রেদওয়ান জানায়, গ্রামের বিদ্যালয়টি চালু না হওয়ায় ৫ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে তাকে মুজিবনগর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যেতে হয়। বিদ্যালয়ে যেতে সময়ের পাশাপাশি অভিভাবকের কাছ থেকে যাতায়াত বাবদ নিতে হয় টাকা। দূরের পথ হওয়ায় অনেক বন্ধুরই নিয়মিত বিদ্যালয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। এ বিষয়ে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন সরকার জানান, শিক্ষার্থীদের সমস্যার কথা মাথায় রেখে বিদ্যালয়ের সব কাগজপত্র ঊর্ধ্বতন মহলে পাঠানো হয়েছে। অনুমতি পেলেই বিদ্যালয়টি চালু করা হবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪