সাখাওয়াত ফাহাদ, ঢাকা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া ধর্মভিত্তিক সাতটি দল এখন অনেকটাই নিষ্ক্রিয়। সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস পেয়ে ভোটে অংশ নিলেও আশানুরূপ নির্বাচন না হওয়ায় হতাশ ও ক্ষুব্ধ ওই দলগুলোর নেতারা। আসন্ন উপজেলা নির্বাচনেও অংশ না নেওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে কয়েকটি দল।
নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ধর্মভিত্তিক সাতটি দল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়। দলগুলো হলো বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, ইসলামী ঐক্যজোট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন, জাকের পার্টি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি।
ওই দলগুলোর সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তরীকত ফেডারেশন ছাড়া অন্য ছয়টি দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের কাছে ২০টি আসন চাইলেও তাদের সেই আশা পূরণ হয়নি। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক দল তরীকত ফেডারেশনের আশা ছিল, অন্তত দুটি আসনে ছাড় পাবে। কিন্তু পরে ভোটে অংশ নিয়ে দলীয় প্রচার বাড়ানো ছাড়া কোনো দলেরই দৃশ্যমান কোনো প্রাপ্তি নেই।
নির্বাচন নিয়ে দলীয় মূল্যায়ন জানতে চাইলে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা মো. আবুল হাসানাত আমিনী। আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলটি অংশ নেবে কি না জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচন বিষয়ে আর কোনো কথা বলারই কোনো ইচ্ছা নাই আর। সামনে এই সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেব কি না সেটা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ আছে।’ দলীয় কার্যক্রম প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা নিজেরা বসছি, আলোচনা চলছে, সামনে কীভাবে কী করা যায়।’
নির্বাচন নিয়ে সন্তুষ্ট নয় প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি। দলটির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী বলেন, ‘নির্বাচনে কালোটাকা, পেশিশক্তির প্রভাব যত দিন না কমবে, তত দিন সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না।’ নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের আরও নিরপেক্ষ ভূমিকা থাকা উচিত বলে তিনি মনে করেন।
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন জানান, দলের নাম, দলীয় আমির আতাউল্লাহ হাফেজ্জীর দাওয়াত এবং বটগাছ মার্কার প্রচারই দলীয় অর্জন। তিনি বলেন, ‘যখন যে ইস্যু আসে সেই ইস্যু নিয়ে আমরা কর্মসূচি করছি। সামনে দ্রব্যমূল্য নিয়ে একটা মিছিল করার পরিকল্পনা আছে।’
নির্বাচন থেকে অর্জন কী জানতে চাইলে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী বলেন, ‘নির্বাচন থেকে অর্জন শূন্য, শূন্য, শূন্য।’ তিনি জানান, এটা একটা প্রহসনের নির্বাচন হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে এই সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে আমরা যাব না।’ সামনে কোনো কর্মসূচি আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের কোনো কর্মসূচি নেই, আমরা দল গোছাতে ব্যস্ত আছি।’
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান মাওলানা এম এ মতিন অবশ্য নির্বাচন নিয়ে হতাশ নন। তিনি জানান, ২০১৬ সালে বুকিং দেওয়া তিন হাজার বর্গফুটের কেন্দ্রীয় অফিস তাঁরা এতদিনে বুঝে পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত। আগামী উপজেলা নির্বাচনেও অংশ নিতে প্রস্তুত আছে।’ তাঁর দাবি, নির্বাচনে অংশ না নিলে দলীয় প্রার্থীদের অর্থের লোভ দেখিয়ে বিভ্রান্ত করার সুযোগ ছিল। তিনি বলেন, ‘অবৈধ কী কী পন্থা আছে, কীভাবে ক্ষমতা দখল করতে হয় এবং কীভাবে মানুষের ভোট নিতে হয় তা প্রত্যক্ষ করার সুযোগ হয়েছে।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া ধর্মভিত্তিক সাতটি দল এখন অনেকটাই নিষ্ক্রিয়। সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস পেয়ে ভোটে অংশ নিলেও আশানুরূপ নির্বাচন না হওয়ায় হতাশ ও ক্ষুব্ধ ওই দলগুলোর নেতারা। আসন্ন উপজেলা নির্বাচনেও অংশ না নেওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে কয়েকটি দল।
নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ধর্মভিত্তিক সাতটি দল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়। দলগুলো হলো বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, ইসলামী ঐক্যজোট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন, জাকের পার্টি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি।
ওই দলগুলোর সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তরীকত ফেডারেশন ছাড়া অন্য ছয়টি দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের কাছে ২০টি আসন চাইলেও তাদের সেই আশা পূরণ হয়নি। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক দল তরীকত ফেডারেশনের আশা ছিল, অন্তত দুটি আসনে ছাড় পাবে। কিন্তু পরে ভোটে অংশ নিয়ে দলীয় প্রচার বাড়ানো ছাড়া কোনো দলেরই দৃশ্যমান কোনো প্রাপ্তি নেই।
নির্বাচন নিয়ে দলীয় মূল্যায়ন জানতে চাইলে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা মো. আবুল হাসানাত আমিনী। আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলটি অংশ নেবে কি না জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচন বিষয়ে আর কোনো কথা বলারই কোনো ইচ্ছা নাই আর। সামনে এই সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেব কি না সেটা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ আছে।’ দলীয় কার্যক্রম প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা নিজেরা বসছি, আলোচনা চলছে, সামনে কীভাবে কী করা যায়।’
নির্বাচন নিয়ে সন্তুষ্ট নয় প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি। দলটির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী বলেন, ‘নির্বাচনে কালোটাকা, পেশিশক্তির প্রভাব যত দিন না কমবে, তত দিন সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না।’ নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের আরও নিরপেক্ষ ভূমিকা থাকা উচিত বলে তিনি মনে করেন।
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন জানান, দলের নাম, দলীয় আমির আতাউল্লাহ হাফেজ্জীর দাওয়াত এবং বটগাছ মার্কার প্রচারই দলীয় অর্জন। তিনি বলেন, ‘যখন যে ইস্যু আসে সেই ইস্যু নিয়ে আমরা কর্মসূচি করছি। সামনে দ্রব্যমূল্য নিয়ে একটা মিছিল করার পরিকল্পনা আছে।’
নির্বাচন থেকে অর্জন কী জানতে চাইলে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী বলেন, ‘নির্বাচন থেকে অর্জন শূন্য, শূন্য, শূন্য।’ তিনি জানান, এটা একটা প্রহসনের নির্বাচন হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে এই সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে আমরা যাব না।’ সামনে কোনো কর্মসূচি আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের কোনো কর্মসূচি নেই, আমরা দল গোছাতে ব্যস্ত আছি।’
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান মাওলানা এম এ মতিন অবশ্য নির্বাচন নিয়ে হতাশ নন। তিনি জানান, ২০১৬ সালে বুকিং দেওয়া তিন হাজার বর্গফুটের কেন্দ্রীয় অফিস তাঁরা এতদিনে বুঝে পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত। আগামী উপজেলা নির্বাচনেও অংশ নিতে প্রস্তুত আছে।’ তাঁর দাবি, নির্বাচনে অংশ না নিলে দলীয় প্রার্থীদের অর্থের লোভ দেখিয়ে বিভ্রান্ত করার সুযোগ ছিল। তিনি বলেন, ‘অবৈধ কী কী পন্থা আছে, কীভাবে ক্ষমতা দখল করতে হয় এবং কীভাবে মানুষের ভোট নিতে হয় তা প্রত্যক্ষ করার সুযোগ হয়েছে।’
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫