Ajker Patrika

বিএনপির সমাবেশে হামলা আ.লীগের, আহত ২০

এম এম হেলাল, কালিহাতী 
বিএনপির সমাবেশে হামলা আ.লীগের, আহত ২০

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা হামলা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার চারান বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ১০টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

এ ছাড়া বিএনপির ২০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. মজনু মিয়া জানান, রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ সব অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা কার্যালয়ের সামনে আসতে শুরু করেন। এ সময় যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীরা টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কে লাঠিসোঁটা নিয়ে দুই দফা মিছিল বের করেন। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির নেতৃত্বে তাঁদের ওপর হামলা করা হয়। এতে বিএনপির ১০-১২ জন নেতা-কর্মী আহত হন। এ ছাড়া ৫টি বাস ভাঙচুর করা হয়।

পরে বিএনপির নেতা-কর্মীরা কালিহাতী-বল্লা আঞ্চলিক সড়কের চারান বাজারে জড়ো হন। এ সময় মজনু মিয়ার সভাপতিত্বে চারান বাজারে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করা হয়।

সমাবেশের পর একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি যাওয়ার সময় কোকডহরা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি লুৎফর রহমান ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে রামদা, রড ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আবারও বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করা হয়। এ সময় তাঁরা ঘটনাস্থলে থাকা তিনটি বাস ও দুটি পিকআপ ভাঙচুর করেন। এতে বিএনপির ১০ নেতা-কর্মী আহত হন।

চারান বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আবু সাঈদ খান বলেন, ‘বিএনপি এখানে একটি সমাবেশ করেছে, কিন্তু কোনো অনুমতি নেয়নি। তবে কে বা কারা হামলা ও ভাঙচুর করেছে, তা আমরা দেখিনি।’

এ ঘটনায় জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাসানুজ্জামিল শাহীন হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনীর দুই দফা হামলায় আমাদের অন্তত ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজহারুল ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু বলেন, বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা নাশকতার উদ্দেশ্যে একত্র হলে জনসাধারণ আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিশে তাঁদের প্রতিহত করেছে, তবে হামলা-ভাঙচুরের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

কালিহাতী থানায় ওসি মোল্লা আজিজুর রহমান বলেন, ছাত্রলীগ রাস্তার ওপর মিছিল করছিল। ওই সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে এলে দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়। এ সময় গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

এ বিষয়ে কালিহাতী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. শরীফুল হক বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশে ছাত্রলীগ-যুবলীগ বাধা দিয়েছে কি না, তা আমরা দেখিনি।’ গাড়ি ভাঙচুর ও হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি বিএনপির কোন্দলের কারণে হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা যাবে।

বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটু, বিশেষ অতিথি জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক  হাসানুজ্জামান শাহিন, ফরহাদ ইকবাল প্রমুখ। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত