এম আসাদুজ্জামান সাদ, গাজীপুর
গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে গ্যাসের তীব্র ঝাঁজালো গন্ধ। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। সঙ্গে রয়েছে অগ্নিকাণ্ডের আতঙ্ক। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গ্যাস সঞ্চালন লাইনের ছিদ্র (লিকেজ) শনাক্তে মিথেন গ্যাসের সঙ্গে সরবরাহ করা অডরেন্ট (তীব্র গন্ধযুক্ত এক ধরনের গ্যাস) থেকেই ছড়াচ্ছে এ দুর্গন্ধ।
স্থানীয়রা জানান, মহানগরীর প্রায় সব আবাসিক এলাকায়, রাস্তার পাশে যেখানে তিতাস গ্যাসের সরবরাহ লাইন, রাইজার রয়েছে সেসব এলাকায় কিছুদিন ধরে গ্যাসের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। তীব্র গন্ধে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন শ্বাসকষ্ট ও পেটের পীড়ায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিতাস গ্যাসের এক কর্মকর্তা জানান, তিতাসের সঞ্চালন লাইনে মিথেন গ্যাস থাকে। এই গ্যাস গন্ধ এবং বর্ণহীন থাকার কারণে কোথাও গ্যাস লিকেজ হচ্ছে কি না তা বোঝা যায় না। তিতাসের লাইনের লিকেজ শনাক্ত করার জন্য মিথেন গ্যাসের সঙ্গে অডরেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে। গাজীপুর এবং ভানুয়া স্টেশন থেকে গ্যাসের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে ওই অডরেন্ট। ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ইদানীং গ্যাসের প্রেশার কম থাকার কারণেই এই অডরেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে, কারণ প্রেশার কম থাকলে কোনো লিকেজ থাকলে তা ধরা সম্ভব হয় না। অডরেন্ট দিলে লিকেজ শনাক্ত সহজ হয়।
শহরের লক্ষ্মীপুরা এলাকার একটি পাঁচ তলা ভবনের মালিক মো. মানিক বলেন, ‘বাইরে থেকে বাসায় এসে গ্যাসের তীব্র গন্ধ পাই। পরে গ্যাসের পাইপগুলো সব চেক করি। পাইপের সংযোগস্থল রেঞ্জ দিয়ে টাইট করে দিই। তারপরও গ্যাসের তীব্র ঝাঁজালো গন্ধ দূর হয়নি। পরে আশপাশে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, লক্ষ্মীপুরা এলাকার অনেক জায়গা থেকেই এ ধরনের গন্ধ বের হচ্ছে। এ নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে। গ্যাস লিকেজ থেকে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন অনেকেই।’
শহরের পশ্চিম জয়দেবপুর এলাকার বাসিন্দা শাহীন জানান, গত রোববার সকাল থেকে বাসার সামনে গ্যাসের তীব্র ঝাঁজালো গন্ধ পান তিনি। কোথাও গ্যাস লাইন লিকেজ হয়েছে, এমন সন্দেহ থেকে বাসার আশপাশের গ্যাস সঞ্চালন লাইন পরীক্ষা করে দেখেন; কিন্তু কোনো লিকেজ পাননি। পরবর্তী সময়ে শহীদ স্মৃতি স্কুলের আশপাশেও গ্যাসের তীব্র গন্ধের বিষয়ে জানতে পারেন। এ নিয়ে এলাকার লোকজন আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানান তিনি।
তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপক (অপারেশন) রিদওয়ানুজ্জামান জানান, গাজীপুর শিল্পনগরী এলাকা হওয়ায় এখানে গ্যাসের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে; কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে নানা কারণে গ্যাসের চাপ প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কমে গেছে। অনেক কারণের মধ্যে একটি রয়েছে গ্যাসের লিকেজ থাকা। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের ধারণা, লিকেজের কারণেও গ্যাসের চাপ কমে থাকতে পারে। তা ছাড়া লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডসহ দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে। এ কারণে গ্যাস লাইনের কোথায় লিকেজ হয়েছে তা জানার জন্য তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ মিথেনের সঙ্গে অন্য একটি গ্যাসমিশ্রিত করে দিয়েছে, যাতে এই গ্যাসের গন্ধ মানুষ পায়, বিষয়টি তিতাস কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারে। গন্ধের বিষয়ে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে কেউ অবহিত করলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় গিয়ে অনুসন্ধান করে লিকেজ বন্ধ করা হবে।
জানা গেছে, জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য এ বিষয়ে কোনো পূর্ব ঘোষণা দেওয়া হয়নি।
গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. শাফি মোহাইমেন বলেন, দুর্গন্ধযুক্ত গ্যাসকে অডরেন্ট গ্যাস বলা হয়ে থাকে। নিশ্বাসের সঙ্গে দুর্গন্ধযুক্ত গ্যাস মানুষ গ্রহণ করার পর হাইপার সেনসিটিভিটি সম্পন্ন মানুষের মধ্যে বিভিন্ন রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। তবে এ সংখ্যা খুব কম। দুর্গন্ধযুক্ত অনেক গ্যাস রয়েছে, তবে এখানে কোন গ্যাসটি মিশ্রিত করা হয়েছে সেটি জানা গেলে এটি মানুষের জন্য কতটা ক্ষতিকর সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যেত।
গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে গ্যাসের তীব্র ঝাঁজালো গন্ধ। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। সঙ্গে রয়েছে অগ্নিকাণ্ডের আতঙ্ক। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গ্যাস সঞ্চালন লাইনের ছিদ্র (লিকেজ) শনাক্তে মিথেন গ্যাসের সঙ্গে সরবরাহ করা অডরেন্ট (তীব্র গন্ধযুক্ত এক ধরনের গ্যাস) থেকেই ছড়াচ্ছে এ দুর্গন্ধ।
স্থানীয়রা জানান, মহানগরীর প্রায় সব আবাসিক এলাকায়, রাস্তার পাশে যেখানে তিতাস গ্যাসের সরবরাহ লাইন, রাইজার রয়েছে সেসব এলাকায় কিছুদিন ধরে গ্যাসের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। তীব্র গন্ধে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন শ্বাসকষ্ট ও পেটের পীড়ায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিতাস গ্যাসের এক কর্মকর্তা জানান, তিতাসের সঞ্চালন লাইনে মিথেন গ্যাস থাকে। এই গ্যাস গন্ধ এবং বর্ণহীন থাকার কারণে কোথাও গ্যাস লিকেজ হচ্ছে কি না তা বোঝা যায় না। তিতাসের লাইনের লিকেজ শনাক্ত করার জন্য মিথেন গ্যাসের সঙ্গে অডরেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে। গাজীপুর এবং ভানুয়া স্টেশন থেকে গ্যাসের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে ওই অডরেন্ট। ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ইদানীং গ্যাসের প্রেশার কম থাকার কারণেই এই অডরেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে, কারণ প্রেশার কম থাকলে কোনো লিকেজ থাকলে তা ধরা সম্ভব হয় না। অডরেন্ট দিলে লিকেজ শনাক্ত সহজ হয়।
শহরের লক্ষ্মীপুরা এলাকার একটি পাঁচ তলা ভবনের মালিক মো. মানিক বলেন, ‘বাইরে থেকে বাসায় এসে গ্যাসের তীব্র গন্ধ পাই। পরে গ্যাসের পাইপগুলো সব চেক করি। পাইপের সংযোগস্থল রেঞ্জ দিয়ে টাইট করে দিই। তারপরও গ্যাসের তীব্র ঝাঁজালো গন্ধ দূর হয়নি। পরে আশপাশে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, লক্ষ্মীপুরা এলাকার অনেক জায়গা থেকেই এ ধরনের গন্ধ বের হচ্ছে। এ নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে। গ্যাস লিকেজ থেকে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন অনেকেই।’
শহরের পশ্চিম জয়দেবপুর এলাকার বাসিন্দা শাহীন জানান, গত রোববার সকাল থেকে বাসার সামনে গ্যাসের তীব্র ঝাঁজালো গন্ধ পান তিনি। কোথাও গ্যাস লাইন লিকেজ হয়েছে, এমন সন্দেহ থেকে বাসার আশপাশের গ্যাস সঞ্চালন লাইন পরীক্ষা করে দেখেন; কিন্তু কোনো লিকেজ পাননি। পরবর্তী সময়ে শহীদ স্মৃতি স্কুলের আশপাশেও গ্যাসের তীব্র গন্ধের বিষয়ে জানতে পারেন। এ নিয়ে এলাকার লোকজন আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানান তিনি।
তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপক (অপারেশন) রিদওয়ানুজ্জামান জানান, গাজীপুর শিল্পনগরী এলাকা হওয়ায় এখানে গ্যাসের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে; কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে নানা কারণে গ্যাসের চাপ প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কমে গেছে। অনেক কারণের মধ্যে একটি রয়েছে গ্যাসের লিকেজ থাকা। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের ধারণা, লিকেজের কারণেও গ্যাসের চাপ কমে থাকতে পারে। তা ছাড়া লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডসহ দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে। এ কারণে গ্যাস লাইনের কোথায় লিকেজ হয়েছে তা জানার জন্য তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ মিথেনের সঙ্গে অন্য একটি গ্যাসমিশ্রিত করে দিয়েছে, যাতে এই গ্যাসের গন্ধ মানুষ পায়, বিষয়টি তিতাস কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারে। গন্ধের বিষয়ে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে কেউ অবহিত করলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় গিয়ে অনুসন্ধান করে লিকেজ বন্ধ করা হবে।
জানা গেছে, জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য এ বিষয়ে কোনো পূর্ব ঘোষণা দেওয়া হয়নি।
গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. শাফি মোহাইমেন বলেন, দুর্গন্ধযুক্ত গ্যাসকে অডরেন্ট গ্যাস বলা হয়ে থাকে। নিশ্বাসের সঙ্গে দুর্গন্ধযুক্ত গ্যাস মানুষ গ্রহণ করার পর হাইপার সেনসিটিভিটি সম্পন্ন মানুষের মধ্যে বিভিন্ন রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। তবে এ সংখ্যা খুব কম। দুর্গন্ধযুক্ত অনেক গ্যাস রয়েছে, তবে এখানে কোন গ্যাসটি মিশ্রিত করা হয়েছে সেটি জানা গেলে এটি মানুষের জন্য কতটা ক্ষতিকর সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যেত।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪